somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহিলা শিবির কর্মীর সাথে আমার প্রায় সফল প্রেমের ছোট্ট গল্প

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-মমিনের কাছে থেকে আপনি আমার নাম্বার পেয়েছেন , তাই না ?
-মমিন ? কে মমিন ?
-আপনি মমিন কে চিনেন না ?
মিলার এই কথার জবাব দিতে আমার একটু সময় লাগলো ! আসলে যত যাই করি চট করে মিথ্যা কথাটা ঠিক বলতে পারি না ! একটু সময় লাগে !
আমি বললাম
-আরে বাবা, আমি মমিন কে চিনিনা ! ওর কাছ থেকে নাম্বার পাবো কোথায় ?
আমি এই কথা গুলো বলি খুব গম্ভীর ভাবে ! এমন ভাবে বলি যেন মেয়েটা খানিকটা কনফিউজ হয়ে যায় ! এই মেয়েটাও একটু কাহনি চুপ করে গেল ! কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না ! আমি আবার বললাম
-কি ভাবছো ? আমার কথা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না ? ওকে আমি ফোন রাখি!
আমি ফোন রেখে দিলাম !
আমার থিওরি যা বলে এই মেয়ে আমাকে নিজেই ফোন করবে ! নিজেই কথা বলবে !!

মমিন আমার এলাকার বন্ধু ! ওদের কাজ ই হচ্ছে মেয়েদের কে ফোন করে পটানো ! যে মেয়েটাকে ওরা পটাতে না পারে মমিন আমাকে সেই নাম্বারটা দেয় ! আমি আমার থিওরি এপ্লাই করি !
গত পরশুদিন মমিন আমাকে এই মেয়ের নাম্বার দিয়ে বলল
-দেখ তো কিছু হয় নাকি ? আমরা তো অনেক চেষ্টা করলাম ! হল কিছুই না !
আমি জানতে চাইলাম
-মেয়ের নাম জানিস ?
-আরে মেয়ের নাম হল মিলা ! আমাদের এলাকায় বাসা !
-তাই নাকি ?
-হুম ! ইসলামী ভার্সিটিতে পড়ে ! আর শিবির করে ?
-কি কস ? এই রিস্ক নেওয়া কি ঠিক হবে ?
-আরে ভয় নাই ! এই মেয়ে নতুন যোগ দিছে ! তাই মোবাইলে অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলতে চায় না !
-আচ্ছা !
মমিন তারপর মেয়েটার সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য দিল ! আমি মনে মনে বললাম জীবনে কত মেয়ের সাথেই প্রেম করলাম কত প্রেম কাহিনী লিখলাম ! বাড়িয়ালার মেয়ে, ভাড়াটিয়ার মেয়ে, ইংমিডিয়াম পড়ুয়া মেয়ে, বাংলা মিডিয়াম পড়ুয়া মেয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি এবার না হয় মহিলা শিবির কর্মীর সাথেই প্রেম কাহিনী করা যাক !
তাই লেগে গেলাম !
আমার একটা ব্যাপার আমি আগেই লক্ষ্য করেছি আর যাই হোক মোবাইলে মেয়ে পটাতে খুব আমি খুব ওস্তাদ !

এই মেয়েটাকেওবাগে আনতে খুব বেশি সময় লাগলো না (পদ্ধতি সবার সামনে বলা যাবে না :P :P )!
তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম মেয়েটা অন্য মেয়ে গুলোর মত না । আমার সাথে আসলেই কথা বলতে চাইতো না ! তবে আমি অন্য সবার থেকে একটু এগিয়ে ছিলাম । মমিনদের কেউ ফোন করলে তো মিলা ফোনই ধরতোই না ! সেক্ষেত্রে আমার ফোন সে রিছিভ করতো ! টুকটাক কথা বলত !
তবে একটা দায়রার ভিতরে থাকতো ! আমিও বেশি কিছু জানতে চাইতাম না ! কেবল আমার কথা বলতাম ! কি পড়াশুনা করছি সামনে কি করবো এই সব !

-আপনি বলবেন না ?
আমি ভেবেছিলাম মিলা আমাকে ফোন দিবে ! রাতেই ফোন দিল ! ফোন দিয়ে আবার সেই একই কথা ! আমার নাম্বার কোথা থেকে পেয়েছেন ?
আমি এবার বললাম
-মমিনের কাছ থেকে পেয়েছি !
-আপনি না বললেন আপনি মমিনকে চিনেন না ? তাহলে ?
-আমি এখনও বলছি আমি মমিন কে চিনি না ! কিন্তু তোমার মানে হচ্ছে মমিন কাছে থেকে নাম্বার পেয়েছি এটা না শুনে শান্তি হবে না !
মিলা চুপ করে রইলো কিছুক্ষন !
মিলা বলল
-আচ্ছা ঠিক আছে ! আপনি বলছিলেন না আপনার একটা বন্ধু আছে আমাদের ভার্সিটিতে ?
-হুম !
-তাহলে আসেন ! আমাদের ভার্সিটিতে !
-শিবির দিয়ে মার খাওয়াবে !!
মেয়েটা কিছুক্ষন চুপ করে রইলো কিছুক্ষন ! মেয়েটা বলল
-আপনি এই কথাটা কেন বললেন ?
-তুমি কি শিবিরের সাথে আছো ?
-ছিঃ ! এটা আপনাকে কে বলল ! আমি শিবির কেন করবো ? শিবির কি মানুষে করে ?
-তাহলে ? আমি যে শুনলাম তুমি শিবির কর ! তাই মনে হল !
-কার কাছ থেকে শুনলেন ?
-মমিন......
মুখ দিয়ে কথাটা বেরই হয়ে গেল !
-আপনি মমিনের কাছে থেকে শুনেছেন, তাই না !
মিলা আর কোন কথা বলল না ! ফোন কেটে দিল ! আর কোন কথাই বলল না ! কতবার ফোন দিলাম কিন্তু আর ধরলোই না !
আমি আসলে বুঝতে পেরেছি, শিবিরের সাথে আছ এইটা যদি কাউকে বলা হয় তাহলে এই তার জন্য বেশ অপমানের কথা ! এইটা যে কেউ ঠিক মত সহ্য করতে পারে না !
তা না হলে মেয়েটা কে আস্তে আস্তে পটিয়েই ফেলেছিলাম !

যাহ !! মহিলা শিবির কর্মীর সাথে প্রেম করার শখ তো আর পুরন হল না !
:( :( :(


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×