somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমরান সাহেবের কাছ থেকে তার প্রেমিকা ছিনতাইয়ের সম্ভাব্য গল্প ! B-)) B-))

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসের ভিতর এতো ভিড় যে সোজা হয়ে দাড়াতে পারছি না আর এই ছোকড়া কতক্ষন ধরে ফোনে রাজ্যের প্রেমালাপ করেই যাচ্ছে । আমি দাড়িয়েছি লোকটার ঠিক সামনেই । সব থেকে বিরক্ত তাই আমার বেশি লাগছে ।
আসে পাশের লোকজনও দেখছে কেম চোখে কিন্তু এই পোলার কোন খবরই নাই ! একবার মনে হল কিছু বলি লোকটাকে । আমি যদি সাহস করে কিছু বলি তাহলে নিশ্চই আশে পাশের লোকজনও আমার সাহায্যের জন্য কিছু না কিছু বলবেই !
মানুষের স্বভাব ! কারো ভাল কোন কাজে বাহবা না দিলেও কাউকে কটাক্ষতে ঠিকই সুর মেলায় !
কিন্তু তারপর মনে হল থাক । বলে আর কি হবে ? লোকটা আমার থেকে দুই তিন বছরের বড় হবে আর দেখতেও বেশ স্মার্ট । আমি এক কথা বলব আর প্রতি উত্তরে আমাকে আবার কি না কি বলবে কে জানে । আর আমি যে লোক জনের ভরসায় কিছু বলতে যাচ্ছি যদি তারা কিছু না বলে ?
তখন?
আমি চুপ করেই রইলাম !
লোকটার নাম সম্ভত ইমরান । একটু আগেই লোকটা ফোনে এই নামটাই তো মনে হয় বলল । যাই হোক আমার এখনও গন্তব্যের অনেক বাকি । আর এই ইমরান সাহেবও মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি নামবে না । আমি বিরক্তি ভাব কাটানোর চেষ্টা করলাম । আমি তার কথা মনযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করলাম ! দেখি বেটা এতো কি কথা বলছে ?
ইমরান সাহেব হেড ফোনে কথা বলছিল । আসলে যত লম্বা সময় কথা বলছিলেন ততক্ষন হাত দিয়ে ফোন ধরে রাখা একটু কষ্টকরই বটে । যাই হোক ফোন এতোক্ষন পকেটের ভিতরেই ঢুকানো ছিল এখন বের করে হাতে নিল । স্বাভাবিক ভাবেই চোখটা আমার উনার হাতের দিকে চলেই গেল । স্যামসাং এর স্মার্ট ফোন ।
স্মার্ট ইমরানের স্মার্ট ফোন ।
একটু যেন ঈর্ষাই হল । আমার অবস্থান থেকে ইমরান সাহেব সব দিক থেকেই এগিয়ে । আমি চুপচাপ তাকিয়ে রইলাম ইমরান সাহেবের দিকে । তবে এমন একটা ভাব যেন ইচ্ছা করে নয় স্বাভাবিক ভাবে তাকিয়ে আছি । ইমরান সাহেব একটা নাম্বার ডায়েল করল । স্মার্ট ফোনের স্ক্রীন বড় হওয়ায় নামটা আমি স্পষ্টই দেখতে পেলাম অরিন । নিচে নাম্বার টাও দেখা যাচ্ছে । সাথে সাথে অরিনের ছবিটাও ভেসে উঠল মোবাইল পর্দায় ।
আমার বুকটার ভিতর আবার একটা হাহাকার ভেশে উঠল ।
নাহ !
এই ইমরান সাহেব কে আল্লাহ সব কিছুই দিয়েছে দেখছি । আমাদের কি কিছুই দিবে না ?
ফোন রিভিস হয়েছে । আমি কথা শুনতে লাগলাম । ইমরান সাহেব বলল
-হ্যা । বাবু কতদুর ?
বাবু ?
এতো ঢং কই থেকে আসে ? এই ব্যাপারটা আমি আগেও দেখেছি । রাস্তা ঘাটে এই ছেলেগুলা এমন আহ্লাদ করে । আমি অরিনের কথা শুনতে পাচ্ছি না । কেবল ইমরান সাহেবের কথাই শুনে অনুমান করতে হবে যে অরিন কি বলছে !
ইমরান সাহেব আবার বলল
-আচ্ছা ! ঠিক আছে ! আমি কাছাকাছিই আছি !
তারপরই সে ঘড়ি দেখলো ! তারপর বলল
-তুমি ঠিক দুইটার দিকে বসুন্ধরার থাকবে !
-(নিরবতা)
-আরে আট তলায় থাকবা ! ক্যাপ্রিকনের ভিতরে ! আমার একটা ছোট্ট কাজ আছে ! কাজ সেরেই আমি চলে আসবো !
-(নিরবতা)
-আচ্ছা রাখি !
ইমরান সাহেব ফোন রেখে দিল ! আমি মনে করলাম মনে হয় একটু খানি সময়ের জন্য শান্তি পাওয়া যাবে ! কিন্তু ফোন রাখা বাকী, সঙ্গে সঙ্গেই আবার ফোন চলে এল !
আমার চোখ আবারও চলে গেল ইমরান সাহেবের স্মার্ট ফোনের দিকে !
এবার ফোন দাতা ....না ঠিক দাতা না, মহিলা দাতা !
নাম নুপুর !
এবার আমি মোবাইল স্ক্রীনে নুপুরের ছবি দেখতে পেলাম ! বেশ মায়া কড়া চেহারা ! সাথে সাথে নাম্বারটাও দেখা যাচ্ছে ০১৭১২৩০৩০**
এতো সহজ নাম্বার ?
দেখতেই মনের ভিতর কেমন যেন আটকে গেল !
কিন্তু বেকুব ইমরান সাহেবের সেদিকে খিয়াল নাই !
তিনি কথা বলায় ব্যস্ত !
-আরে কি বল ? না না ! কোন ভাবেই সম্ভব না ।
-(নিরবতা)
-আরে একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-(নিরবতা)
-ঠিক আছে আমি বুঝলাম ! কিন্তু আমার পক্ষে এখন তোমার সাথে দেখা করা সম্ভব না ! প্লিজ বুঝতে চেষ্টা কর সোনা !
সোনা ??
হালায় তো আসলেই বদ !
একজন রে টাইম দিছে তাই এইটারে টাইম দিতে পারছে না !
এরও কয় কপাল ! আমরা একটা পাই না আর এইটা দুইটা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! এই দুনিয়াই আসলেই গরীব সারা জীবন মার খেয়ে গেল !
আমি আসলেই মনে মনে ইমরান বেটার উপর ঈর্ষা বোধ করলাম ! এই ব্যাটাকে একটা শিক্ষা যদি দিতে পারতাম !!
কিন্তু আমার কি করার আছে ?
ঠিক তখনই আমার মাথায় একটা শয়তানী বুদ্ধি খেলে গেল ! নুপুরের মোবাইল নাম্বারটা তো আমার মাথায় আটকে আছে ! একটা কাজ করলে কেমন হয় ?
আমি মনে মনে বললাম অবশ্যই হয় !
একটা কুটিল হাসি আমার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে এল । বাসের জানালার কাচে আমি সেই হাসিটা পরিস্কার দেখতে পেলাম !
আমি ঘড়িতে সময় দেখলাম ! একটার কাছা কাছি বাজে ! অরিনের সাথে এই ফাজিল ইমরানের দেখা করার কথা ! আমার হাতে আরো একঘন্টা সময় আছে ! দেখা যাক কি করা যায় !

পান্থপথের মোড়ে ইমরান নেমে গেল ! আমিও নেমে গেলাম তার পেছন পেছন ! ও বসুন্ধরার দিকে না গিয়ে কাওরান বাজারের দিকে গেল ! আমি ওর পিছনে গেলাম না ! যেখানেই যাক না কেন দুইটার সময় তো ও ঠিকই বসুন্ধরায় আসতেছে ! আমি বরং এই ফাকে আমার কাজ করে ফেলি ! আমি মোবাইল বের করেই প্রথমে নুপুর কে ফোন দিলাম ! দুবার রিং হতেই মেয়েটা ফোন রিসিভ করলো ! মেয়েটা হ্যালো বলার আগেই আমি বললাম
-নুপুর বলছেন ?
খানিক্ষন নিরবতা ! তার পর আওয়াজ এল
-জি বলছি ! কে বলছেন ?
-আমাকে আপনি চিনবেন না !
-তাহলে ফোন দিয়েছেন কেন ?
-আপনার উপকার করতে !
-শুনুন আপনার উপকার আমার দরকার নাই !
-সেটা আপনার ইচ্ছা ! যদি না নিতে চান তাহলে আমি কিছু বলবো না ! তবে ব্যাপারটা ইমরানকে নিয়ে !
আমার মনে হল আসল জায়গায় হাত দেওয়া গেছে ! মেয়েটি কিছুক্ষন চুপ করে রইলো ! তারপর আমাকে বলল
-আপনি ইমরানকে কিভাবে চিনেন ?
-সেটা বড় প্রশ্ন না ! এখন আমি কি বলবো আমার কথা নাকি আপনি ফোন রেখে দিবেন ?
আমি জানি নুপুর ফোন রাখবে না ! মেয়েরা সব সময় তাদের বয়ফ্রেন্ডের ব্যাপারে কৌতুহলী হয় ! যে কারো কাছ থেকে বয়ফ্রেন্ডের ব্যাপারে সব কিছু শুনতে প্রস্তুত !
আমি আবার বললাম
-কি কিছু বলছেন না যে ?
-আপনি বলুন !
-আজকে আপনি ইমরানের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাই না ?
খানিকক্ষন নিরবতা !
-জি !
-কিন্তু সে রাজি হয় নাই তাই না ?
-হুম !
-সে কোথায় গেছে জানেন ?
-কি একটা কাজ আছে যেন !
-সে আর একটা মেয়ের সাথে ডেটিং করবে এই জন্য !
আবারও নিরবতা !
আমি আবার বললাম
-দেখুন আমার কথা আপনার বিশ্বাস হওয়ার কোন কারন নাই ! কিন্তু যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে আমি ফোন রেখে দেই !
আবারও কিছু সময় নিরবতা !
মেয়েটি তারপর বলল
-আপনি প্রমান করতে পারবেন ?
-না পালে বলছি কেন ?
তারপর বাসে ইমরানের সাথে দেখা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সব কিছু বললাম নুপুর কে !
নুপুর সব শুনে বলল
-তারমানে ইমরান এখন বসুন্ধরায় ঐ অরিনের সাথে আছে !
আমি বললাম
-এখনও আসে নাই তবে দুইটার সময় আসবে ! আপনি চাইলে আসতে পারেন ! আমি এখানেই আছি !
আবারও নিরবতা !!
-আচ্ছা আমি আসতেছি !
-শুনুন ! এর ভিতরে কিন্তু ইমরানকে ফোন দিবেন না ! তাহলে কিন্তু হবে না !
-আচ্ছা দিবো না !

আমি নুপুরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম !
দেড়টার দিকে নুপুর এসে হাজির ! আমিই নিচতলায় ছিলাম ! ওর দিকে চোখ পড়তেই ওকে ফোন দিলাম !
আমাকে দেখে খানিকটা বিষন্ন চোখে আমার দিকে তাকালো ! তারপর বলল
-আপনি সত্যি বলছেন তো ?
-আমার কি মিথ্যা বলার কোন কারন আছে ? আমি আপনাকেও চিনি না আপনার ইমরানকেও চিনি না !
-তাহলে কেন করছেন এই সব ?
মেয়েটির এই প্রশ্নে আমি খানিকটা চুপ করে গেলাম । নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করতে লাগলাম আসলেই তো আমি কেন করছি এই কাজটা ! এটা কি এই অপরিচিত মেয়েটাকে একটা প্রতারকের হাত থেকে বাচানোর জন্য নাকি ইমরানের প্রতি ঈর্ষা থেকে ?
আমি জানি না !
একবার মনে হল থাক এসব করে লাভ নাই ! মেয়েটাকে বলি আমি কেবল ফান করছি ! আমি ইমরানের বন্ধু ইত্যাদি ইত্যাদি !!
কিন্তু এই বেকুব মেয়েটাই বা আমার কথা বিশ্বাস করে চলা এল কেন ?
কে জানে কেন ?
নুপুর মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছে ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতাম না ! কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরেই ইমরানের আচরন আমার কাছে কেমন যেন সন্দেহজনক মনে হচ্ছে ! একদম যেন পাল্টে গেছে ! আর অরিনের কথাটা আমি নিজেও শুনেছি ওর কয়েকজন বন্ধুর মুখ থেকে !
আমি চুপ করে রইলাম !
নুপুর বলল
-আজকে যদি হাতে নাতে ধরতে পারি তাহলে ইমরানের খবর আছে ! একসাথে দুইটা প্রেম করা ছুটাইয়া দেব !
এই না হলে বাঙালী নারী ! ছেলেরা ধোকা দেবে আর সে বসে কাঁদবে তা হবে না !
আমি একটু হাসলাম ! নুপুরও কি মনে করে হাসলো !
আমি বললাম
-চলুন আমরা ক্যপ্রিকনে গিয়ে বসি ! ওদের আগেই আমরা হাজির হই ! -আচ্ছা চলুন !

আমরা ক্যপ্রিকনে ঢুকলাম ! বসলাম একেবারে প্লেজোনের একটু পাশে ! এখান থেকে সব জায়গা ভাল করে দেখা যায় ! আর নিজেদের আড়াল করার একটা ব্যাপার আছে !
আমার কি হল নুপুর কে বসিয়ে ওর জন্য আইসক্রিম নিয়ে এলাম !
আইসক্রিম দেখে নুপুর বলল
-এখানে আমি আপনার সাথে ডিটিং করতে আসি নি !
-না সেটা না ! আসলে এখানে আসলেই আমার কেবল আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে ! এখন আমি খাবো আপনার জন্য না এনে কি পারি ? ভদ্রতা বলে তো একটা কথা আছে নাকি ? আপনি যদি না খেতে চান তাহলে কোন সমস্যা নাই !
নুপুর কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আইসক্রিমে কামড় দিল !
বলল
-হুম ! ভালতো !
-দেখছেন !
আম যখন আর একটা কামড় দিলা ঠিক তখন মেয়েটার দিকে চোখ গেল আমার । নীল জিন্স সাথে কালো টিশার্ট পরেছে !
কোথায় দেখেছি মেয়েটাকে ?
কোথায় ?
আরে.....
আমি মেয়েটাকে চিনে ফেললাম । ইমরান সাহেবের মোবাইল স্ক্রীনে তো এই মেয়েটার ছবিই দেখেছিলাম । এই তো অরিন !
আমি নুপুরকে বললাম কথাটা ! দেখলাম নুপুর আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে !
আমিও মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষন ! আসলেই ইমরান মিয়া একটা কঠিন মা.....।
ছিঃ ছিঃ এই সব কি ভবতেছি !
না না মোটেই এই সব কথা ভাবা ঠিক হচ্ছে না !

নুপুরের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখটা কেমন শক্ত হয়ে গেছে ! নুপুর বলল
-এই পেত্নীই আমার ইমরানের মাথা খেয়েছে ! একে যদি ....
-পেত্নী ?
এতো সুন্দর একটা মেয়েকে পেত্নী বলা কি ঠিক হল ! আমি বললাম
-ইমরান সাহেব .....
আমার মুখের কথা শেষ করতে দিল না ! নুপুর বলল
-আমার ইমরান মোটেই এমন নয় ! এই মেয়েরই সব দোষ !
এই না হলে বাংলাদেশী মেয়ে !! একটু আগে নিচে কি বলল আর এখন কি বলছে !
যত যাই হোক তার কাছে তার স্বামীই মানে বয়ফ্রেন্ডই সব ! সবার আগে সে তার বয়ফ্রেন্ডের পক্ষই নেবে !
কিন্তু মমিন এক হাতে তো আর তালি বাজে না !!

আমরা বসে আছি ! ঠিক দুইটার সময় ইমরান সাহেব এসে হাজির !
নুপুর বলল
-একেবারে ঠিক সময়ে এসেছে ! আমাকে সময় দিলে কখনও ঠিক সময়ে আসে না !
আজকে এর মজা দেখাবো !
নুপুর দেখলাম হাতের আইসক্রিমের বাটিটা নিয়েই হাটা দিল !
আমি বললাম
-আরে শুনুন ! আর একটু পরে......
কিন্তু কে শুনে কার কথা ! নুপুর গিয়ে হাজির হল ইমরানের সামনে !
আমি ভাবলাম কাছে যাই ! কিন্তু নিরাপদ দুরুত্বে থাকাই ভাল । ইমরান সাহেব যদি আমাকে দেখে ফেলে আর যদি চিনে ফেলে তাহলে আমার একটু খবর থাকলেও থাকতেও পারে !
আমি দুর থেকেই দেখতে লাগলাম নুপুরের কর্মকান্ড !

নুপুর যেই না ইমরানের সামনে হাজির হল ঠিক তখনই ইমরান চমকে উঠলো ! কিন্তু যেন বলতে চাইলো কিন্তু ঠিক ওর মুখ দিয়ে কথা বের হল না । কেবল সেখানে একরাশ বিশ্ময় !
মনে হয় ভাবছে এই মেয়ে এইখানে আসলো কেমন করে ?
কেমন করে ?
কিন্তু আমি জানি এই প্রশ্নের উত্তর সে পাবে না !
কেন জানি আবারও মনে র ভিতর একটা শয়তানী অনুভুতি হল ! মানুষকে বিপদে ফেলা মোটেই ঠিক না কিন্তু আমার কেন জানি একটা পৌশাচিক আনন্দ হচ্ছে !
বাসের ভিতর যেমন আমি ইমরান কে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েছিলাম এখন আমার আনন্দ লাগছে !
বেটা মর এখন !

আমি ওদের কথা শুনতে পারছি না কিন্তু নুপুরে এক্সপ্রেশন বুঝতে পারছি ! আমি কেবল ওর হাতের আইসক্রিমের বাটির দিকে তাকিয়ে রইলাম ! একবার মনে হল ওটা আবার ইমরানের দিকে ছুড়ে মারবে না তো ?
আমার মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল নুপুর সত্যি সত্যি ইমরানের মুখের উপর আইসক্রিমের বাটিটা ছুড়ে মারলো !
হায় হায় !
পুরো ক্যাপ্রিকনের ভিতরে একটা গুঞ্জন উঠলো ! সব গুলো চোখ এখন ওদের উপর নিবদ্ধ ! নুপুর আর দাড়াল না ! হাটা দিল !

আমিও এই পাশ থেকে ওর পিছন পিছন হাটা দিলাম।
একটু জোরেই হাটছিল !
আমি ওর পিছু পেতে একটু সময়ই লাগলো !

আমি নুপুরের কাছ গিয়ে বললাম
-বাহ আপনার তো অনেক সাহস !
-দেখুন আমার মাথা এখন অনেক গরম !
আমি হাতের আইসক্রিমটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম
-এই নিন আইসক্রিম টা শেষ করুন ! মাথা ঠান্ডা হবে ! চাইলে আমার মাথায়ও মারতে পারেন ! মুখের উপর মারতে পারেন ! কিন্তু চুলের উপর ফেলবেন না কেকমন !
আমার দিকে কঠিন ভাবে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে নুপুর হঠাৎ করেই হেসে ফেলল !
বলল
-আপনার খুব মজা লাগছে না ?
-হুম ! আমি আসলে এই রকম পরিস্থিতিতে কোনদিন পড়ি নি ! আর আপনার মত এমন মেয়েও দেখি নি ! আপনি সত্যি সত্যি এটা করেছেন বিশ্বাসই হচ্ছে না !
নুপুর বলল
-আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না ! কিন্তু আামর নিজের কাছেও খুব ভাল লাগছে ! আসুন আপনাকে আর একটা আইসক্রিম খাওয়াই !!

আমরা আর ক্যাপ্রিকনে ঢুকলাম না ! কোনার দিকের একটা দোকানে গেলাম ! নুপুর কে দেখলাম এখন বেশ স্বাভাবিক ! আমার সাথে টুকটাক কথা বলতেছে !
আমার মনটা ভাল হয়ে গেল ! একটা আকাম যদিও আমি করেছি কিন্তু এই আকামের ফল এই রমক হবে আমি ভাবতে পারি নি !
মেয়েটা এখন নিঃসঙ্গ বোধ করবে !
আমি জানি ! বাসায় গিয়েই নুপুরের মন খারাপ হবে । এখন যদি মেয়েটাকে সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে হু নোজ ইমরান সাহেবের এক্স গার্লফ্রেন্ড আমার বর্তমান গার্লফ্রেন্ড হয়ে যেতে পারে !

এর পরে ??
থাক ! এর পরে কি হল সেটা আর আপনাদের জেনে লাভ নাই ! নুপুর সাথে আমার কিছু হল কিনা অথবা ইমরান সাহেবের কি হল ? এসব কথা নাই বা জানলেন !
টাটা !!

ফেবু লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×