somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিশিন এবং এই রাতের গল্প !

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সারা দিনে আজকে বেশ পরিশ্রম গেছে ! এখন একটু ঘুমানো দরকার !
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি খুব বেশি রাত হয় নাই ! তবুও ঘুম আসতেছে ! আমি বিছানা ঠিক করতে শুরু করলাম !
মা এসে আমাকে ঘর বিছানা গোছাতে দেখে একটু অবাকই হল ! আমাকে বলল
-কি রে ! শরীর খারাপ নাকি ?
-নাহ ! একটু ক্লান্ত ! এখন ঘুমাবো !
-সে কি রে খাবি না ?
-নাহ ! ভাল লাহছে না !
-কেন !
-এমনি মা ! তুমি ভাত বেড়ে রাখো ! আমি পরে খেয়ে নিবো !
মা আর বেশি কথা বললেন না ! রুম থেকে চলে গেল ! আমি ঘরের লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লাম !
পাঁচ মিনিটও যায় নাই দেখলাম ফোন বেজে উঠল !

নিশিন !
এই সময়ে ! আমি একটু অবাক না হয়ে পারলাম না ! নিশিন সাধারনত এমনিতে আমাকে ফোন টোন দেয় না ! যদিও আমাদের পাশের বাসাতেই থাকে !
ওর সাথে আমার কথা হয় প্রায়ই ! যখনও ছাদে যাই তার কিছু পরেই নিশিন এসে হাজির ! প্রথমে এদিক ওদিক হেটে বেড়িয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসবে ! তারপর নিজ থেকেই কথা শুরু করবে !
মেয়েটা খারাপ না ! খুব মিষ্টি করে কথাও বলে ! আর চেহারা ছবিও যে খুব খারাপ তা না !
মাশাল্লা ভাল !
মেয়েটা কে আমার ভালই লাগতো ! আমি প্রথমে মনে করতাম নিশিন আমাকে পছন্দ করে ! এই জন্যই মনে হয় আমার সাথে কথা বলে ! কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গতে খুব বেশি সময় লাগলো না !
একদিন বাসার সামনেই দেখি নিশিন একটা রোগা পাতলা ছেলের সাথে কথা বলতেছে ! কথা বলার স্টাইল দেখে আমার কেন জানি মনে হল এই ছেলেটা ওর বয়ফ্রেন্ডই হবে !
ছাদের যখন ওর সাথে দেখা হল ওকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম ছেলেটা কে ?
আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে নিশিন বলল
-আপনি দেখেছেন ?
-হুম !
-কেমন লেগেছে ?
আরে মর জ্বালা আমি জানতে চাই ছেলেটা কে ! আর এই মেয়ে বলে কেমন লেগেছে ! আমি বললাম
-ভাল তো !
নিশিন বলল
-ভাল না ! অনেক ভাল ! রাজীব আমার অনেক টেক কেয়ার করে ! আজ সকালে একটু দাঁত ব্যাথা করছিল এই কথা শুনে আর না থাকতে পেরে চলেই এসেছে আমাকে দেখতে ! বলুন এমন কাউকে পাবো আমি ?
-নাহ ! পাবে না তো !
আমি একটু শুকনো হাসি দিলাম ! আরে মেয়ে এই বগের ঠ্যাংয়ের মত ছেলে তোমার কি দেখাশুনা করবে ! বেটা তো নিজেকেই ঠিক মত দেখা শুনা করতে পারে না !
যাক তবুও কেন জানি নিশিনের দাঁত ব্যাথা শুনে নিজের কাছেই কেমন লাগলো ! দাঁত ব্যাথার কষ্ট অনেক !

আমি নিশিনের ফোন রিসিভ করলাম !
-আপনি কি ঘুমিয়ে পরেছেন ?
-হুম ! কেন ?
-আমার একটু উপকার করতে হবে !
-বল !
নিজের ক্লান্তির কথাটা আর বললাম না ! অন্য কেউ হলে হয়তো বলতাম পারবো না কিন্তু নিশিন বলে কথা ! ওকে কিভাবে ফিরিয়ে দেই ! নিশিন বলল
-আপনি কি এখন একটু বাসা থেকে বের হতে পারবেন ?
-এখন ?
-হুম ! খুব জরুরী ! প্লিজ না করবেন না ! বের হতেই হবে !
আমি একটু ভাবলাম ! এখন বাসা থেকে কি বলে বের হব ? মা তো কিছুতেই শুনবে না ! আর এখন সবাই টিভির ঘরে বসে টিভি দেখছে ! ওদের সামনে ছাড়া বেরও হওয়া যাবে না !
আমি নিশিন কে বললাম
-আচ্ছা ! সমস্যা নাই ! আমি আসতেছি ! কোথায় আসতে হবে বল !
-আপন পাঁচ মিনিটের ভিতর আমাদের বাড়ির সামনে যে চায়ের দোকানটা আছে ঐ খানে আসেন ! ঠিক আছে ?
-আচ্ছা !
-শুনুন !
-হুম !
-আপনার কাছে ক কিছু টাকা হবে ?
-কত ?
-যা পারেন !
-আচ্ছা ! আমি আনছি ! সমস্যা হবে না !

লাইট জ্বেলে আবার জামা কাপড়রে নিলাম ! হাজার দুয়েক টাকা ছিল সেটাও নিলাম ! বাসা থেকে বের হতে যাবো তখন মা থামালো !
-কোথায় যাচ্ছিস ?
-মা ! ঐ শাহরিয়ার দাড়িয়ে আছে বাইরে ! কি যেন কাজ ! তাই দেখা করতে যাচ্ছি ! সামনের চায়ের দোকানেই আছি চলে আসবো !
মা আর বেশি কিছু বলল না ! শাহরিয়ার আমাদের এলাকাতেই থাকে ! মায়ের বান্ধবীর ছেলে ! তাই আর কিছু বলল না !
আমি বাইরে বের হয়ে এলাম !

চায়র দোকানে কোন কাষ্টমার নাই ! মামা দোকান বন্ধ করে দিবে এখনই ! আমি কাছাকাছি আসতেই দেখলাম নিশিন বের হয়ে এল ! আমি ওকে দেখে একটু অবাকই হলাম ! কালো জিন্সের সাথে কালো কামিজ পরেছে ! সাথে কালো ওড়না !
চায়ের দোকানের টিমটিম আলোতে ওকে কেন এক অপস্বরীর মত লাগছে ! আমি রো অবাক হলাম ওর হাতে একটা হ্যান্ড ব্যাগ দেখে !
আমি কিছু বলার আছেই নিশিন বলল
-এখানে কিছু বলতে পারছি না ! আমার বাবা মা যে কোন সময়েই বুঝে ফেলবে যে আমি বাসায় নাই ! আগে বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলেন !
-মানে কি ?
-বলছি ! আগে একটা সিএন জি নেন !

সিএনজি পাওয়া গেল না ! তবে রিক্সা পাওয়া গেল । রিক্সা করেই কল্যানপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিলাম ! আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না ! এই মেয়ের সমস্যা কি ?
এই মেয়ের মাথায় কি কাজ করছে আমি আসলেই ঠিক মত ধরতে পারছি না !
রিক্সায় নিশিন নিজেই বলল সব ! সব শুনে আমার মাথায় বাশ !
নিশিন আজকে তার বয়ফ্রেন্ড রাজীবের সাথে করে বাসা থেকে পালাবে ! কল্যান পুরে রাজীব তার জন্য অপেক্ষা করছে ! আমার দায়িত্ব হল নিশিন কে কল্যানপুর পর্যন্ত পৌছে দেওয়া !
মনে রভিতর একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেল !
হায়রে আমার পোড়া কপাল !
যখন কল্যান পুরে নামলাম তখন প্রায় এগারোটা বেজে গেছে ! কল্যানপুর সব সময়ই লোকে লোকারন্য থাকে ! আমরা দুজন সোহাগের বাস কাউন্টারে গিয়ে বসালাম ! রাজীবের নাকি এখানেই আসার কথা !
এতোক্ষন পরে আমি একটু চিন্তা করার সময় পেলাম ! এতোক্ষন আমার মাথা গরম ছিল ! আসলে নিশিনের এই ভাবে কথা বলাটা আর এই ভাবে চলে আসা টা আমার কেন জানি মানতে একটু কষ্ট হচ্ছিল ! মেয়েটাকে আমি মোটামুটি পছন্দই করি ! মোটামুটি কেন বলছি ভালই পছন্দ করি !
নিশিন যে দিন আমার সাথে প্রথম কথা বলেছিল সেদিনই একটা মিষ্টি ভাল লাগা ভেসে বেড়াচ্ছিল আমার চারিদিকে ! যাই হোক ! এই মেয়েটা এই ভাবে চলে যাবে !
আর সব থেকে বড় কথা এই মেয়ে যে পালাচ্ছে এটার দোষ তো আমার ঘরে এসে পড়বে ! নিশিনের সাথে রিক্সায় উঠতে আর কেউ না দেখলেও ঐ চায়ের দোকানদার মামা তো ঠিকই দেখেছে !
যদি একবার আমার নাম বলে দেয় ! যাই হোক সবার আগে গিয়ে মামাকে হাত করতে হবে ! কিন্তু সেই ব্যাটা এখনও আসে না কেন ?
রাজীব না আসলে তো আমি যেতে পারতেছি না ! আমা মুখের ভাব দেখে নিশিন বলল
-আপনি চলে যেতে পারেন ! রাজীব এখনই চলে আসবে !
-না ! আমি আছি !
-না কোন সমস্যা হবে না ! আপনি এমনিতেও আমার খুব বড় উপকার করলেন ! আপনি ছাড়া আমার কি যে হত !
আসলেই আমি ছাড়া যে কি যে হত !
আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম ! দেখতে দেখতে ঘড়ি বারোটার কাটা ছুলো কিন্তু তার খবর নাই !
আমার কেমন যেন অস্ঠির লাগা শুর হল ! কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু একটা সমস্যা হবে ! এরই মধ্যে নিশিন দুইরার ফোন দিয়ে ফেলেছে ! কি জানি কি কথা বলেছে ! দেখলাম নিশিনের মুখ শান্ত ! তার মানে এখনও কিছু হয় নাই ! কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না !
আমরা বসে রইলাম !
বাসা থেকে কেউ ফোন দিতে পারে ভেবে আমি ফোন বন্ধ করে রেখেছি ! ফোন রাখার আগে মাকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি যে আসতে একটু দেরি হতে পারে ! শাহরিয়ারদের বাসায় যাচ্ছি ! মা আর কিছু বলে নাই !

কিছুক্ষন পরে কাউন্টার ম্যান এগিয়ে এসে বলল
-আপনাদের গাড়ি চলে এসেছে ! ইচ্ছা করলে গাড়িতে গিয়ে বসতে পারেন ! সাড়ে বারোটায় ছাড়বে !

আমি নিশিনের দিকে তাকালাম চিন্তিত মুখে ! রাজীব এখনও এল না ! কিন্তু নিশিনকে দেখলাম একদম নিশ্চিন্ত ! দেখে মনেই হচ্ছে না এই মেয়েটা বাড়ি থেকে একটু আগে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে ! আর আমি তাকেই পালাতে সাহায্য করেছি !
আমি বললাম
-এখন কি হবে ?
-কি হবে ! গাড়ি ছেড়ে দিবে ! আপনি বরং চলে যান !
-কিন্তু রাজীব যে এল না ?
-সে চিন্তা করে লাভ নাই ! রাজীব আসবে না !
আমার প্রথমে মনে হল আমি যেন ভুল শুনছি ! কি বলছে এই মেয়ে ! রাজীব আসবে না মানে ?
আমি কোন মতে বললাম
- কি বললে ? আসবে না !
-হুম ! সে আমাকে বলেই দিয়েছে সে পালাতে পারবে না !
-এখন ?
-জানি না !
-জানি না মানে কি ?
-জানি না মানে হল আমি এখন গাড়িতে উঠবো !
-তারপর ?
-তারপরের টা তারপর ! দেখা যাক কি হয়?
-দেখ ! এটা পাগলমো করার সময় না !
-আপনি বুঝতে পারছেন না আমি কি অবস্থার ভিতর পরেছি ! বাসা থেকে এখন সবাই জেনে গিয়েছে ! আমি এখন বাসায় যাবো কিভাবে ! আব্বা আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলবে !
আমি কোন কথা বলতে পারলাম না ! কি বলবো ?
আমার কি বলার আছে ?
মেয়েটা !!
নিশিন গাড়িতে উঠে পরলো !
আমি গাড়ির সামনে দাড়িয়েই রইলাম ! কি করবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ! আমার কি করা উঠিৎ তাও ঠিক মত মাথায় ঢুকছিল না !
কিন্তু গাড়ি ছাড়ার ঠিক আগ মুহুর্তে আমি নিজে গাড়িতে উঠে পরলাম ! কেন বসলাম জানি না ! কিন্তু এই মেয়েটা কে একা রেখে যেতে মন চাইল না কিছুতেই !
সামনে আমার জন্য খবরই আছে !
কালকের ভিতরই সারা এলাকা খবর হয়ে যাবে যে আমি নিশিন কে নিয়ে পালিয়েছি ! কোন ভুল নাই !

নিশিন আগে থেকেই টিকিট কেটে রেখেছিল ! আমি ওর পাশে সিটে গিয়ে বসলাম ! সব থেকে যে ব্যাপারটা আমার কাছে অবাক লাগছিল সেটা হল ওকে একদম শান্ত লাগছিল ! মেয়েটা এতো শান্ত কিভাবে থাকতে পারছে ! আশ্চার্য !
এই যে আমি ওর পাশে এসে বসলাম এটা দেখেও ওর ভিতর এমন কোন পরিবর্তন হল না ! যেন ও জানতো আমি আসবো !
আমি বললাম
-এখনও সময় আছে ! একবার ভেবে দেখো !
-নাহ ! এখন আর সময় নাই ! এই দেখন বাস ছেড়ে দিয়েছে !
আসলেই বাস ছেড়ে দিয়েছে !
আল্লাহ জানে সামনে কি আছে ! হঠাৎ নিশিন আমার দিকে একটা বন্ধ খাম এগিয়ে দিয়ে বলল
-এটা পড়েন তো !
-কি ?
-আহা ! পরেন না !
আমি খাম ছিড়ে পড়তে শুরু করলাম ! এবং খানিকটা ধাক্কার মত খেলাম ! সেখানে লেখা
আমি তোমাকে একবারও আসতে বলবো না ! বরং বারবার বলবো চলে যেতে ! কিন্তু আমি জানি তুমি যাবে না ! যখন বাসে উঠবো তখনও তোমাকে ডাকবো না ! কিন্তু তবুও তুমি চলে যাবে না ! আমি জানি তুমি যাবে না ! তুমি যেতে পারবে না ! আমাকে একা রেখে যাওয়া ক্ষমতা তোমার নাই ! আমি জানি আমার সাথেই বাসে উঠবে ! আমার পাশেই বসবে ! আশ্চর্য এতো যখন আমার কথা ভাব তখন কেন আরো আগে আমাকে বল মুখ ফুটে ! ভালবাসি বলাটা কি খুব বেশি কঠিন ?

আমি চিঠি হাতে কিছুক্ষন বসে রইলাম ! মাথার ভিতর কেমন যেন লাগতেছে ! সেই সাথে একটা ভাল লাগাও কাজ করতেছে !
হঠাৎ অনুভব করলাম নিশিন আমার হাত ধরেছে !
কি নরম তুলতুলে ওর হাত !!


ফেবু লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১১
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×