somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ শান্তি চুক্তি এবং পাকিস্তানী সেলোয়ার কামিজ !

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-এই পাকিস্তানী সেলোয়ার কামিজ কোথায় পাওয়া যায় বলতে পারো ?
আমি রফিক ভাইয়ের দিকে ভরু কুচকে তাকালাম ! আমি যতদুর জানি রফিক ভাই তীব্র পাকিস্তান বিরোধী ! পাকিস্তানের সব কিছুতেই তার তীব্র ঘৃনা ! তিনি দুনিয়ার সব কিছু শুনতে রাজি আছেন কিন্তু পাকিস্তানের প্রসংসা শুনতে মোটেই রাজি না !
আর আজকে এই রফিক ভাই ই কয় পাকিস্তানী সেলোয়ার কামজ কোথায় পাওয়া যায় ?
আমি রফিক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম
-কি বলেন এই সব ?
-কি বলি ? খারাপ কি বললাম ? বলেছি পাকিস্তানী কামিজ কোথায় পাওয়া যায় জানো নাকি ?
-রফিক ভাই ? আপনি কিনবেন পাকিস্তানী জিনিস পত্র ? আপনি ?

রফিক ভাইয়ের মুখটা একটু করুন হয়ে গেল ! কিছুক্ষন উদাস হয়ে তাকিয়ে রইলো উপরের সিলিংয়ের দিকে । তারপর বলল
-বিয়ে করেছ না ?
-হুম !
-কদিন বাদেই বুঝে যাবে ! বউয়ের ইচ্ছার কাছে পৃথিবীর সব কিছু ফিকে হয়ে আছে !
আমি বললাম
-মানে কি ?
-সময় যাক মানে এমনিতেই বুঝতে পারবে ! এখন বল পাকিস্তানী কামিজ কোথায় পাওয়া যায় জানো নাকি !
-জি না !

আমি আমার কাজে মন দিলাম । ঠিক মত বুঝতে পারলাম না রফিক ভাই আসলে কি বুঝাতে চেয়েছে । বউয়ের কাছে পৃথিবীর সব কিছু ফিকে হয়ে যায় মানে কি ? অবশ্য বিয়ের আগে আমার সব বন্ধু বান্ধবই এমন কথা বলছিল ! এসবের মানে কি ?
বউকে এতো ভয় পাওয়া কি আছে ?
লোকে যা বলে বলুক ! আমার বউ তো আর এমন নয় ! নিশি আসলেই অনেক ভাল মেয়ে ! মাঝে মাঝে একটু আধটু বায়না কয়ে । সেটা তো সব মেয়েরাই তাদের স্বামীদের কাছে করে !
এটাই তো স্বাভাবিক !

অফিস থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল ! বাসায় গিয়েই দেখি নিশি গম্ভীর মুখে বসে আছে ! মুখটা অন্ধকার করে বসে আছে !
কি ব্যাপার ? আজকে কি একটু দেরী হয়ে গেল বাসায় আসতে ?
ঘড়ি তে তাকিয়ে দেখলাম !
আধা ঘন্টার মত দেরি হয়েছে । এর জন্য নিশ্চই মুখ অন্ধকার করে বসে থাকার কোন মানে নেই !
আমি নিশির কাছে গিয়ে বললাম
-কি হয়েছে বাবু ? এমন মন খারাপ কেন ?
আমার কথা শুনে নিশি প্রথমে কিছুক্ষন অগ্নি চোখে আমার দিকে তাকালো ! তারপর বলল
-তোমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কত ?
আমি একটু থতমত খেলাম ! কি রে ভাই ! এটা আবার কেমন কথা ! কিসের ভিতর কি !
আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম
-তুমি তো জানোই আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কত ! তাই না ? আমরা তো একসাথেই জয়েন্ট একাউন্ট খুলেছি !
এই কথা শুনে নিশি যেন আর একটু রেগে গেল ! চোখের আগুনের মাত্রাটা যেন আর একটু বাড়লো !

এই মেয়ের সমস্যা কি ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না !
আশ্চার্য !

নিশির সাথে বিয়ের পরপরেই ও আমাকে বলেছিল
-শুনো আমাদের একটা জয়েন্ট একাউন্ট থাকবে !
আমি বললাম
-অবশ্যই থাকবে ! আজকে গিয়েই আমি একাউন্ট করে আসবো ! এখন বল কোন ব্যাংকে একাউন্ট করবে ? আমার মনে হয় ব্রাক ব্যাংক টা বেষ্ট হবে !
-আরে ধুর ! ব্যাংকের একাউন্ট না ! ফেসবুক একাউন্ট !
-ফেসবুক একাউন্ট ? তাও আবার জয়েন্ট !
-হুম !
আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না ! জুয়েন্ট ফেসবুক একাউন্ট কেমনে খুলে ! আমি বললাম
-জয়েন্ট ফেসবুক একাউন্ট কেমনে খুলে ?
-শুনো ! আমরা দুজন প্রায় একই নামে একাউন্ট খুলবো !
-তাতে কি লাভ !
-আরে শুনো না ! ধর তোমার নাম অপু !
-আরে ধরবো কেন ! আমার নাম তো আসলেই অপু !
এবার দেখলাম নিশি আসলেই একটু বিরক্ত হল ! আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে বলল
-শুনো ! ফাজলামি করবা না ! আমি যা বলছি শুনো !
-আচ্ছা !
-জয়েন্ট একাউন্ট মানে হল তুমি অপু নামে এটা একাউন্ট খুলবা আর আমি তোমার নামের সাথে মিলিয়ে আরেকটা একাউন্ট খুলবো ! লাইক অপুর হৈম ! বুঝেছ ? এবং ..।
-এবং ?
-এবং তুমি তোমার আগের একাউন্ট টা ডি-একটিভেট করে দিবা ! ওকে ?
-অবশ্যই ! তুমি সাথে আমার তো আর একাউন্ট রাখার দরকারই নাই !

আমি নিশি দিকে তাকিয়ে বললাম
-এতো রাগারাগির কি আছে ? আমার পাওয়ার্ড তো তুমি জানোই !
নিশি বলল
-এটা না ! তোমার আসল একাউন্ট ! যেটা আগে চালাতে !
-আরে ওটা তো আমি বন্ধ করে দিয়েছি !
-বন্ধ করে দিয়েছ ?
এই কথা বলে নিশি আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে রইলো ! তারপর শীতল কন্ঠে বলল
-বন্ধ করে দিয়েছ ? বন্ধ করে দিয়েছ ? বন্ধ করে দিয়েছ ?
এই কাজ সেরেছে রে !
নিশি নিশ্চই কোন ভাবে টের পেয়ে গেছে যে আমি আমার আগের একউন্ট টা বন্ধ করে দেই নি !
আরে এভাবে বললে কি একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া যায় নাকি ? কত বন্ধু- বান্ধব কত পরিচিত মানুজন ! সবার উপরে কত গুলো মেয়ে ফলোয়া রয়েছে আগের একাউন্ট টাতে । বললাম আর একাউন্ট বন্ধ করে দিলাম !
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নিশি কিভাবে জানতে পারলো ! আমিতো আগের একাউণ্ট থেকে নিশিকে ব্লক করে রেখেছি !
তাহলে ?
আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম ! বললাম
-এসব কি বলছো সোনা পাখি ? আমি তো কবেই....
-খবরদার মিথ্যা কথা বলবা না ! খবরদার বলতেছি ! তুমি থাকো তোমার ফেসবুক ফ্রেন্ড আর ফলোয়ার নিয়ে ! আমি গেলাম !

আামকে অবাক কয়ে দিয়ে নিশি সত্যি সত্যই ব্যাগ নিয়ে দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল ! আমি কিছু বুঝতেই পারলাম না ! ব্যাগ মনে হয় আগে থেকেই গুছিয়ে রেখেছিল !
আশ্চার্য ! এই টুকু সামান্য বিষয় নিয়ে কেউ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ?
যাহ !
যাক ! হু কেয়ারস ??


-কি ব্যাপার অপু সাহেব ! মন খারাপ কেন ?
আজকে রফিক ভাইকে দেখলাম বেশ প্রফুল্য ! সেদিনের মত আর এতো বিষন্ন নন !
-আর বইলেন না ! ফেসবুক নিয়ে ঝামেলায় পরেছি ।
-ফেসবুকে নিয়ে আবার কি ঝামেলায় পড়লা ?
-ঠিক ফেসবুক নিয়ে না ! ফেসবুক আর বউ নিয়ে !

তারপর রফিক ভাইকে সব কথা খুলে বলতেই তিনি কি যেন ভাবতে লাগলেন !
-রফিক ভাই একটা বুদ্ধি দেন !
রফিক ভাই কোন বুদ্ধি দিতে পারলো না ! কেবল বলল আমি যেন শান্তি চুক্তি করে নেই ! এটাই নাকি বিবাহিত জীবনে শান্তিতে থাকার সব চেয়ে ভাল উপায় !


আমার শ্বশুর বাড়ি আমার বাসা থেকে খুব বেশি দুরে না । হেটে গেলে বড় জোর পনের মিনিটের পথ ! এই জন্যই নিশি হুট করে চলে এসেছে এতো জলদি !
আগেও অবশ্য আসতো ! আমি ভেবেছিলাম নিশি গেছে পরের দিনই ফিরে আসবে ! কিন্তু দেখতে দেখতে সপ্তাহ কেটে যাবে ভাবতে পারি নি !
আমি নিশির রাগ ভাঙ্গানোর জন্য শ্বশুর বাড়ি গিয়ে হাজির হলাম !

ড্রয়িং রুমে বসে ছিলাম শ্বশুর সাহেবের সাথে । তিনি টুকটাক কথা বলছিলেন । আমি হ্যা হু করছিলাম !
শ্বশুর মাশই বললেন
-তোমরা কি যে কর না ? আমি বুঝি না ! একটু মানিয়ে নিয়ে চললে কি হয় ?
-তা তো অবশ্যই !
-নিশি এসেছে সেই এক সপ্তাহ আগে ! আর আজকে তুমি এলে ! এভাবে রাগ করে থাকলে কি চলে ? শুনো ! সব সময় বউদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয় ! তাহলে সংসারে সুখ শান্তি বজায় থাকে !
-জি আব্বা !
শ্বশুর মশাই আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল তার আগেই শ্বাশুড়ি এসে হাজির ! শ্বশুর মশাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপার ? তোমাকে না বললাম বাজারে যেতে ! এখানে বসে বসে কি করছ ?
কাচুমুচু করে শ্বশুর মশাই
-এই তো যাচ্ছি !
আমি বুঝে গেলাম কিভাবে শ্বশুর মশাইয়ের সংসারে সুখ শান্তি বজায় আছে !

কিছুক্ষন একা বসে থেকে আমি নিজে থেকেই নিশির ঘরের দিকে রওনা দিলাম ! গিয়ে দেখি মহা রানী খাটের উপর চুপ করে বসে আছে । আমাকে দেখে তার মুখটা আরো একটু গম্ভীর হয়ে গেল !
আমি আস্তে আস্তে ওর পাশে গিয়ে বসলাম ! ওর হাত ধরতে গেলেও ও তা ছারিয়ে নিল !
-আহা ! এটা কেমন কথা !
-কেমন কথা মনে ?
-তুমি এমন কেন করছ ?
-জানো না কেন করছি ?
-আচ্ছা এটা এমন কি একটা কাজ আমি করেছি যে একেবারে বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হবে ! জানো গত দিন গুলো আমি একটুও ঘুমাতে পারি নি ! শান্তি মত একটুও খেতে পারি নি ! তুমি ছাড়া কি চলে বল আমার ?

যদিও একটু মিথ্যা কথা বললাম !
সপ্তাহ ধরে শান্তি মত বিরানী খেয়েছি ! নিশি থাকলে একটু বিরানী খাওয়ার উপায় নাই ! বাইরে থেকে যে খেয়ে আসবো তারও উপায় নাই ! ঠিকই টের পেয়ে যায় ! বিরানী নাকি শরীরের জন্য খারাপ ! তাই সে আমাকে খেতে দেয় না !
দেখলাম নিশির মুখ একটু নরম হল ! বলল
-ঠিক মত খেতে পার নি !
-উহু !
-একটুও ঘুম আসে নি ?
-উহু ! আমার সোনা বউয়ের গায়ের গন্ধ না পেলে কি ঘুম আসে ?
-তাই ?
-হুম !

যাক মনে হচ্ছে ঝামেলা এখনই কেটে যাবে ! কিন্তু এতো সহজেই কাটলো না ! নিশি হঠাৎ বলল
-তাহলে তুমি আমাকে না জানিয়ে কেন ওটা চালু রাখলে ?
-বাবু একটু বোঝার চেষ্টা কর ! ওখানে কত দিনের পরিচিত মানুষ জন রয়েছে ! আস্তে আস্তে এই একাউন্টে সব ট্রান্সফার করছিলাম । এই জন্য !
-যাও তোমার ঐ পরিচিরাই তো সব । আমি তো কিছু না !
-আমি কি তাই বলেছি ? তুমিই তো আমার সব ! একটু বোঝার চেষ্টা কর !
নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-আচ্ছা ! তবে একটা শর্ত আছে !
-যে কোন কিছু ! তুমি যা বলবে তাই !



-রফিক ভাই ভাল আছেন ?
-হুম ! ভাল !
-একটা উপকার করতে হয় !
-বল !
পাকিস্তানী কামিজ কোথায় কিন্তে পাওয়া যায় বলতে পারেন ?
আমার এই কথা শুনে এবার রফিকভাই কেমন ভুরু কুচকে তাকালো আমার দিকে !
একটু পরে নিজের হেসে বলল
-এখন বুঝেছ হে মিয়া ?
-হুম !
-সেদিন তো খুব লেকচার দিচ্ছিলে !
-ভাই জানা থাকলে বলেন ! ঝামেলা শেষ করি !
রফিক ভাই কাগজে একটা ঠিকানা লিখে দিল !

নিশি আমাকে দুইটা পাকিস্তানী সেলোয়ার কামিজ কিনের দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে এইবার শান্তি চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে ! আর প্রতিমাসের শুরুতে একবার করে শপিংয়ে নিয়ে যাওয়ার শর্ত দিয়ে আমি আমার আগের ফেসবুক একাউন্ট রাখার অনুমুতি পেয়েছি= !

আমি শান্তি চুক্তি মেয়ে নিয়েছি । যদিও খানিকটা বৈষম্য মূলক চুক্তি ! তবুও কি আর করার । শ্বশুর মশাইয়ের কথা মত বউদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়াই সুখে থাকা সব থেকে উত্তম উপায় !


Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১২
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×