somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লীনার দিনরাত্রী

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের সকাল কি একটু অন্যরকম ? মনে হয় ! সকাল থেকেই লীনার তাই মনে হচ্ছে ! একটু অস্বস্থি লাগছে । কোন কাজ করেই যেন ঠিক শান্তি পাচ্ছি না ।
এই যে এখন এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ তার সামনে রয়েছে অল্প অল্প ধোয়া উঠছে, এই দৃশ্যটা লীনার খুব পরিচিত । কিন্তু আজকে এই দৃশ্যটা লীনার মনে ঠিক মত শান্তি দিতে পারছে না ! মনের ভিতর সব সময় একটা অস্থিরতা ঠিকই কাজ করছে । মনে হচ্ছে আজকে কি যেন হবে !
প্রতিদিন খুব সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে ও । সকাল বেলা সূর্য ওঠার আগেই এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ নিয়ে বারান্দায় বসে সকালের সূর্য কে উঠতে দেখে । সূর্যের আলোটা যখন দুর থেকে আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে আসে সেটার দিকে এক ভাবেই তাকিয়ে থাকে ও ! এক ভাবেই তাকিয়ে থাকে ! এই তাকিয়ে থাকার ভিতর একটা নেশার মত আছে ! আস্তে আস্তে আলোটা দুর থেকে ওর দিকে এগিয়ে আসে । দৃশ্যটা লীনার খুব ভাল লাগে । এই ভাবেই দিন শুরু হয় লীনার ।

কিন্তু আজকে এর ব্যতীক্রম হয়েছে । কারনটা অবশ্য ও নিজে নয় । রাতে জনির সাথে কথা বলতে বলতে বেশ খানিকটা দেরি এমনিতেই হয়ে গিয়েছিল তার উপর ফোন রাখার পরেও বেশ খানিকটা সময় জনির কথাই ভাবছিল । ইদানিং কি যে হয়েছে সারাটা সময় কেবল এই ছেলেটার কথাই মাথার ভিতর ঘোরাফেরা করে ! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত কেমন একটা চেহারাই চোখের সামনে ভাসতে থাকে । মাঝে মাঝে নিজের স্বপ্নের ভিতর এসেও হানা দেয় ছেলেটা !
কি আশ্চার্য ভাবেই না ছেলেটা ওর জীবনে ঢুকে পড়ল । প্রথমে ভার্চুয়াল তার পর বাস্তব জীবনে । আর আজকে পারিবারিক ভাবেও ও জীবনে ঢুকতে যাচ্ছে । এই জন্যই লীনার খানিকটা অস্বস্থি লাগছে ।

খানিকটা অস্থিরতা নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার কারনে ঠিক মত ঘুম আসে নি । শেষ রাতের দিকে আবার একটা অদ্ভুদ স্বপ্নও দেখেছে ! কোন আগা মাথা নাই !
স্বপ্নে দেখলো লীনা জনির জন্য সব কিছু তৈরি করে অপেক্ষা করছে এমন সময় জনি এসে হাজির । সেদিনের মত হাফ প্যান্ট পরে ! তাও আবার লাল রংয়ের হাফ প্যান্ট ! লীনা তো থ !
মুখ দিয়ে কথা সরছিল না !
লীনার মা সাফ জানিয়ে দিল এ ছেলের সাথে কিছুতেই মেয়ে বিয়ে দিবে না ! যে ছেলে লাল হাফপ্যান্ট পরে শ্বশুর বাড়িতে আসতে পারে সে ছেলে নিশ্চই সমস্যা আছে ! জনি দরজা দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লো ! লীনা বারান্দায় দাড়িয়েই ওর চলে যাওয়া দেখছিল !
এমন সময় কোথা থেকে যেন পাড়ার পাগলটা এসে হাজির হল । জনির লাল প্যান্ট ধরে টানাটানি শুরু করে দিল ! জনিতো সেই প্যান্ট বাঁচাতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল !
এর পরেই লীনার ঘুম ভেঙ্গে যায় । বাইরে তখন বেশ অন্ধকার । লীনা উঠতে গিয়েও উঠলা না ! সামনের দিনের কথাই ভাবতে লাগলো ! কখন যে আবার চোখ লেগে এসেছিল টের পায় নি !

তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে । ঘুম ভাঙ্গার পর অস্বস্থিটা যেন আরো বেড়েছে । সব কিছু যেন ঠিক মত হচ্ছে না ! কিছু কি উল্টাপাল্টা হবে ? এটা ভেবেই লীনার মনের ভিতর অস্বস্তিটা লেগেই রইলো !

এতো দিন জনির সাথে কেবল ওর নিজের পরিচয় ছিল আজকে ওর পুরো পরিবারের সাথে পরিচয় হবে । অবশ্য পুরো পরিবার বলতে ওর বাবা আর মা । তবে লীনার বাবা বাসায় নেই । গত দুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছে । এই সুযোগেই লীনা মাকে ধরেছে । কোন ভাবে যদি মাকে রাজি করানো যায় তাহলেই কাজ হয়ে যাবে । বাবাও ঠিক রাজি হয়ে যাবে ।
লীনার বারান্দায় বসে এইসব কথাই ভাবছিল অন্যমনস্ক হয়ে । কাপের কফি কখন ঠান্ডা হয়ে গেছে ঠিক টেরও পায় নি ।
-কি ভাবছিস ?
ঘুরে মা কে দাড়িয়ে থাকতে দেখলো । একটু যেন লজ্জাও পেল মনে মনে । লীনার কেন জানি মনে হল ও মনে মনে এতোক্ষন যা ভাবছিল তার সবই ওর মা টের পেয়ে গেছে ।
-এখানে বসে আছিস কেন ?
-এমনি !
-তোর ঐ গেষ্ট কখন আসবে ?
মায়ের মুখে গেষ্টের কথা শুনে একটু লজ্জাই পেল ও ।
-হুম । আসবে । নামাজ পরেই আসবে ।
-আচ্ছা । কি কি রান্না করবো ?
-মা তোমার কিছু চিন্তা করতে হবে না । আমি সব কিছু করবো ।
-পারবি তো ?
-মা ? তুমি কি যে ভাবো না ?
মায়ের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো । মা এখনও তাকে বাচ্চাই মনে করে । সে যে বড় একটা অফিসে চাকরী করে এটা তার এখনও বিশ্বাসই হয় না !


-হ্যালো ।
-হুম ।
-কি খবর জান ?
-জান ?
-কেন ? তুমি আমার জান না ?
-শুনো ! তোমায় সেই বয়স নেই যে টিন এজ ছেলেদের মত নিজের গার্লফ্রেন্ড কে জান টান বলে ভাসায়ে দিবে !
-কি বল এই সব ! শুনো প্রেমিকরা কখনও বুড়ো হয় না ! তারা সদা তরুণ !
-হুম ! বুঝলাম ! শুনো, এদিককার খবর ভাল । তোমার খবর বল ?
ওপাশ থেকে খানিকক্ষন নিরবতা । লীনা বলল
-কি ব্যাপার ? চুপ করে গেলে কেন ?
-না মানে একটু কনফিউশনে পড়েছি ।
-কি রকম ?
-কি পরে আসবো তাই ভাবছি । প্রথম বারের মত হবু শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছি । পোষাকের একটা ব্যাপার তো আছে তাই না ?
-হুম তা তো আছেই ।
-কি পরে আসবো বলত ?
-কালকেই না আলোচনা হল !
-হুম ।
-কিন্তু ...
জনি কথাটা শেষ করলো না ।
-কিন্তু কি ?
-না । কিছু না । আসলে থ্রী কোয়াটারেই আমার বেশি সুবিধা ! এইটা পরেই আসবো কি না বুঝতে পারছি না !
-এই খবরদার বলছি । হাফ প্যান্ট পরে আসলে কিন্তু দরজা খুলবো না । পাঞ্জাবী পরতে বলেছিলাম না ? না পরলে নাই । তবে হাফ প্যান্ট না ।
-আচ্ছা । আচ্ছা । দেখি ।
-দেখা দেখির কিছু নাই । সিম্পল শার্ট প্যান্ট পরে আসো । কোন সমস্যা নাই ।
ফোন রাখার পরেও যেন অস্বস্থিটা কাটলো না । জনির বিশ্বাস নাই । কি জানি কি পরে আসে !

সকাল থেকেই লীনার প্রস্তুতি শুরু হল ! জনি বলেছিল গরুর ঝাল মাংস রাঁধতে ! এটা নাকি ওর ওর খুব প্রিয় ! প্রথমে লীনা একটু আপত্তি করেছিলে যে ডাক্তার জনিকে সাফ মানা করে দিয়েছে গরুর মাংস খেতে ! আর তাছাড়া লীনাদের বাসাও গরু খাওয়া নিষেদ আছে ! কিন্তু সেটা সম্ভব হয় নি ! ওর কথা শুনে জনি খানিকটা উদাস হলে বলল
-প্রথম বার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে যদি পছন্দ মত খাইতেই না পারলাম তাইলে এ জীবন রাইখ্যা কি লাভ ?
-মানে কি ?
-তুমি বুঝবা না !
-আরে কিসের সাথে কি মিলাচ্ছ তুমি ?
-কোন কিছু মিলাচ্ছি না ! থাক ! লাগবে না ! পুটি মাছ আর আলু ভর্তা রান্না কর ! আর কিছু লাগবে না !
-আচ্ছা ! বাবা ঠিক আছে । গরুর মাংস থাকবে ! আর কিছু ?
-আচ্ছা ! আচ্ছা ! বড় রুই মাছও আমার পছন্দ ! তবে থাক ! দরকার নাই ওত ঝামেলার ! গরূর মাংস যখন হয়েছে আর কিছু দরকার নাই ! আর দেশী মুরগী অনেক দিন খাওয়া হয় নাই ! থাক ! থাক ! এসবে দরকার নাই !
লীনা জনির কথা শুনে কেবল হাসলো ! কিছু বলল না !
-শুনো ! ঢাকাইয়া বিয়েতে এক প্রকার আইটেম বানায় না জর্দা না কি নাম ! একবার খেয়ে ছিলাম সেই কবে ! স্বাধটা কেমন যেন ! তুমি খেয়েছ?
-শুনো এতো ঢং করতে হবে না ! কি কি খাবা তাই বল !
জনি একটু হেসে তার লিষ্ট দিতে শুরু করলো !


-হ্যালো !
-হুম !
-রান্না শেষ ?
-হুম ! তুমি কোথায় ?
-তোমাদের এলাকায় ? কিন্তু বাসা খুজে পাচ্ছি না ! কি রংয়ের বাড়ি তোমাদের বল তো ?
-আরে বাবা ! আমি বাসায় নাম্বার দিয়ে দিলাম না তোমাকে ! বাড়ির রং দিয়ে কি করবা ?
-আরে কতক্ষন ধরে খুজতেছি ! পাচ্ছি না ! তাই তো বাসার রং জানতে চাচ্ছি !
-আচ্ছা ঠিক আছে । তুমি কোথায় আছ ?
-আরে একটা বড় ডাষ্টবিন আছে না ! বিকট গন্ধ বের হয় সেখান থেকে !
-আচ্ছা ! আচ্ছ ! আমি বুঝেছি তুমি কোথায় আছো ? তুমি ওখানেই থাকো আমি আসতেছি !
-একটু জলদি আসো !

লীনা আয়নায় নিজেকে ভাল করে দেখে নিয়ে দরজার দিকে পা বাড়ালো ! দরজা খুলে সামনে যাবে তখনই দেখে সামনে জনি দাড়িয়ে ! এক হাতে এক গুচ্ছ রজনিগন্ধা ফুল অন্য হাতে মিষ্টির প্যাকেট !
লীনার বুকের ভিতর একটা ধাক্কার মত লাগলো । লীনা অনুভব করলো ওর বুকের ভেতর একটা তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে ! এই ছেলেটাকে দেখলেই এমন শুরু হয় ! আর এই ছেলে টা এমন ঢং কে কেন করে !
জনির ফুলে রগুচ্ছটা লীনার দিকে বাড়িয়ে বলল
-তোমার জন্য ! মাই ডিয়ার !
ফুলের তোড়াটা নিয়ে মিষ্টির প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে লীনা বলল
-ওটা কার জন্য ?
-আরে প্রথম বারের মত শ্বশুর বাড়িতে এসেছি ! মিষ্টি আনতে হবে না ? একটু ধরো তো !
-হুম ! বুঝলাম !
-এই একটু ধরত মিষ্টির প্যাকেট টা ! মনে হচ্ছে মিষ্টি ওয়ালা আমাকে দুকেজি মিষ্টি বেশি দিয়ে দিয়েছে ! এতো ভারী তো হবার কথা না !
এই বলে জনি মিষ্টির প্যাকেট টা লীনার হাতে দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়লো ! লীনা পেছন পেছন আসতে আসতে দেখে জনি বসার ঘরের ফ্যান ছেড়ে দিয়ে ছোফায় বসে পরেছে ! এমন একটা ভাব যেন কত দিনের পরিচিত সে । প্রতিদিনই এই বাসায় আসছে সে ।
-আর তুমি পাঞ্জাবী পরেছ ?
-দেখো নি তুমি ?
লীনা আসলেই প্রথমে লক্ষ্য করে নি । জনিকে সে দরজার সামনে আশায় করে নি । তারপর ফুল মিষ্টি সব মিলিয়ে দেখার খুব একটা সুযোগও পায় নি ! এরখন ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলো কালো রংয়ের কাজ করা একটা পাঞ্জাবী পরেছে । সাথে হালকা নীল রংয়ের জিনস !
-সুন্দর লাগছে তোমাকে ! তুমি না বললে যে পাঞ্জাবী পরবে না ! এইটার ইতিহাস ভাল না !
-তাই ভেবেছিলাম ! কিন্তু পাঞ্জাবী না পরে পারাও গেল না । শ্বশুর বাড়ি আসার আদর্শ পোষাক হচ্ছে পাঞ্জাবী !
-হুম ! বুঝলাম !


লীনা আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু লীনার মা চলে আসাতে বলতে পারলো না । জনিকে পরিচয় করিয়ে দেবে কি জনি নিজেই এগিয়ে গেল । লীনাকে কোন কথা সুযোগই দিল না ! জনির ওর মায়ের সাথে এমন ভাবে কথা শুরু করে দিল যেন কত দিন ধরে চিনে তাকে ।
জনি আর ওর মায়ের কথা বলা টা লীনা অনেকক্ষন দাড়িয়ে দেখলো । কি দেখলো ও নিজেও বলতে পারবে না কিন্তু দেখতে বেশ ভাল লাগছিল !
জামাই তার স্বাশুড়ি সাথে কথা বলছে । তার স্বাস্থের খোজ খবর নিচ্ছে । ঠিক যেমন তার বড় দুলাভাইয়েরা মায়ের খোজ নেয় একদম সেই রকম !

লীনা কেবল অনুভব করলো ওর সারা মন জুরে একটা আশ্চার্য ভালার অনুভুতি বয়ে গেল । হঠাৎ করেই ওর সব কিছু ভাল লাগতে শুরু করলো আর সাথে সাথে একটু লজ্জাও করতে শুরু !
-লীনা ! এই !
-হুম ! মা !
-এই ভাবে দাড়িয়ে কি ভাবছিস ?
-কই কিছু না ।
-টেবিলে খাবার দে !
-হুম দিতেছি !
লীনা খানিকটা কাঁপা পায়ে রান্না ঘরের দিকে পা দিল !

ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ



আগের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×