somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্যগল্পঃ সম্ভাব্য বউ যখন ....... হতবাক এই আমি !!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আমি চেষ্টা করে দেখি ?
মেয়েটি আমার দিকে ফিরে তাকালো ! এমন একটা ভাব যেন আমাকে এই মাত্র দেখলো !
ফাজিল মেয়ের একটা ফাপ্পর লাগানো দরকার !
ছি: কি ভাবছি !
নিজেকে বুঝালাম !
সাবধান ! এই মেয়ে সামনে তোমার সম্ভাব্য বউ সুতরাং কুনো খারাপ কথা নহে !
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-অনেকক্ষন ধরে চেষ্টা করছি ! জানলাটা মনে হয় জ্যাম হয়ে আছে !
-হুম ! তাই তো মনে হচ্ছে ! আমি চেষ্টা করবো ?
-প্লিজ !

বাসের জানালাটা আসলেই একটু জ্যাম মনে হল । খুলতে একটু বেগ পেতে হল তবে খুলে ফেললাম ! না খুললে আবার মান সম্মান থাকতো না ! সম্ভাব্য বউয়ের জন্য যদি সামান্য একটা বাসের জানালাই খুলতে না পারলাম তাহলে কেমন করে হবে !

-থেঙ্কিউ !
-মাই প্লেজার !

মেয়েটা আর কিছু বলল না ! খোলা জানালা দিয়ে প্রবল বেগে বাতাস আসছে । মেয়েটি সেই বাতাসে নিজের চুল টুকু আরো একটু খুলে দিল ! বাতাসে চুল উড়তে লাগলো ! আমি অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখতে লাগলাম !
এই মেয়েটি আসলেই কি আমার বউ হতে যাচ্ছে ?
অবশ্য এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না ! মেয়ে দেখা মানেই কিন্তু বিয়ে হাওয়া না !


ঘটনা আজকের সকালের ! বাসায় কদিন থেকে একাই ছিলাম ! মা আর বোন গেছে গ্রামের বাসায় ! আমি একাই পরে আছি অফিসের কাজে ! প্রতিদিনকার মত আজকেও অফিসে গেছি ! বারোটার দিকে মার ফোন !
-জাদীদ তুই কই এখন ?
-মা ! তুমি জানো না আমি এখন কোথায় থাকি ! অফিসে !
-শোন ! এখনই অফিস থেকে বের হ ! সোজা চুয়াডাঙ্গায় চলে আস !

আমার ভয় হল কি না হল আবার । নানীর শরীর আমি যতদুর জানি বেশ ভাল ! তাহলে কি সমস্যা !
অন্য কারো শরীর খারাপ নাকি ?
কিন্তু মায়ের কন্ঠস্বর তো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে ! তার মানে খুব একটা বিপদের কথা না !
কিন্তু তাহলে এতো জরুরী তলব কেন ?
আমি মাকে বলল
-মা ! আমি অফিস ছেড়ে কেমন করে আসবো ?
-আমি কিন্তু শুনতে চাইনা ! যদি বস ছুটি না দেয় তাহলে চাকরী ছেড়ে দিয়ে আয় !
মানে কি ! আমি আর কিছু বললাম না । মনে হল জরুরী কিছু ! আর মায়ের কথার অবাধ্য কেমনে হই ? মাকে বললাম
-আচ্ছা আমি আসতেছি !

একটু অবশ্য বিরক্ত লাগছিল ! দুপুরে একটা মিটিং ছিল ! হল না ! বসের কাছ থেকে ছুটি পেতেও বেশ বেগ পেতে হল । যাই হোক যখন চুয়াডাঙ্গার বাসে উঠলাম তখন বাজে দুইটা !
আমাদের ছোট মফস্বল এলাকা ! ঢাকা থেকে কেবল একটা কোম্পানির বাস ছাড়ে ! দিনে দুইটা মাত্র ! একটা সকাল আটটার সময় আর একটা বেলা দুইটা !

কিন্তু বাসে উঠেই মেজাজটা একটু খারাপ হল ! আমার পাশের সিটে একটা মেয়ে বসে আছে ! কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনছে !

পারতপক্ষে বাসে পাশে সিটে কোন মেয়ে বসলে যে কোন ছেলেই খুশি হবে কিন্তু লং জার্নিতে মেয়েরা পাশে বসলে আরাম করে বসা যায় না !
মেয়েদের জন্য সবসমসয় একটা এটেনশান ভাব করে থাকতে হয়, পাছে আবার কি হয় ! নিজের মান ইজ্জত বাঁচানোর জন্য ঠিক মত আরাম করে ঘুমানো যায় না যদি মেয়েটার কাধে মাথা নুইয়ে পরে ! হাত পা ছড়িয়ে বসাও যায় না এই ভয়ে যে যদি মেয়েটার মেয়েটার পায়ের সাথে পা লেগে যায় ! মেয়েটার আবার তখন কি মনে করবে ! ইত্যাদি ইত্যাদি !


আমি মুখটা বিরক্ত হয়েই বসে পড়লাম ! বসতে বসতেই ফোন বেজে উটলো ! বোন ফোন দিয়েছে !
-জাদীদ কই তুই !
-এই তো ! বাসে উঠেছি !
-শোন ভাল কাপড় এসেছিস তো ?
-এইটা আবার কি ধরনের কথা হল ?
-আরে খেপিস কেন ? এমনি বললাম ! শোন নীল রংয়ের ঐ শার্ট টা আছে না ? ঐ শার্ট টা এনেছিস তো ?
-হুম ! কেন ?
-ঐটা তে তোকে দারুন লাগে ! আর চুল টা কাটিয়েছিস ?
-এমন ভাবে কথা বলছো যেন আমাকে মেয়েরা দেখতে আসবে !

আমার এই কথা বলতেই ও হেসে উঠলো ! হাসতেই হাসতেই ফোন রেখে দিল !
আমার তখনই মনে হল আচ্ছা এমন কিছু না তো আবার ?
আম্মা আমাকে মেয়ে দেখতে ডেকেছে !
হতে পারে !! মা চাকরী পাওয়ার পর থেকেই আমাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে !
আমার মনে এই সব চিন্তা ভাবনা খেলছে তখনই পিলু মামার ফোন এসে হাজির !
পিলু মামার ফোন পেয়ে আমি মোটামুটি শিওর হয়ে গেলাম যে আমার বিয়ের ব্যাপারে কিছু একটা ! কারন পিলু মামা আমার পারিবারিক ঘটক হিসাবে পরিচিত ! নিজে এখনও বিয়ে করে নাই কিন্তু পরিবারে যখনই কারো বিয়ের বিষয়ে কোন কথা হবে তখন সবার আগে পিলু মামা হাজির !


-মামা কই তুমি ?
মামার সাথে আমার বয়সের পার্থক্য খুব একটা বেশি নাই ! আজকে মামার কন্ঠও দেখি বেশ আনন্দ আনন্দ ভাব !
আমি মামাকে বললাম
-মামা এই বাসে উঠেছি ।
-হুম ! ভাল ! এসে পড় ! জলদি এসে পড় !
-মামা !
-বল !
-বলতো কি ব্যাপার ? বিয়ে শাদীর ব্যাপার না তো ?
-আরে এতো টেনশন কেন নিচ্ছিস ?
-বল না মামা ?
-হুম !
-সত্যি !
-হুম !
-মেয়ে কোথাকার ?
-এই যে আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে ! কিন্তু মেয়ে থাকে ঢাকায় !
-তাই নাকি ?
-হুম ! মেয়েও মনে হয় আসতেছে !
-মানে কি ?
-আমি খোজ নিয়ে জেনেছি ! মেয়েও তোর মত জানে না ! তাকেও জরুরী ভিত্তিতে বাসায় আনা হচ্ছে ! মেয়ে ঢাবিতে পড়ে । জীব বিজ্ঞানে মনে হয় !


ফোন রাখার পরে আমি একটু চিন্তিত হয়ে পড়লাম ! পাশের মেয়েটি তখন আপন মনে গান শুনতেছে ! তাহলে সত্যি সত্যি আজকে মেয়ে দেখতে যাচ্ছি ! গলায় দড়ি পরার সময় হয়ে এসেছে ?
আমার মনযোগ মেয়েটার দিকে যেত না, যদি না মেয়েটার একটা ফোন আসতো !
মেয়েটার কোন বন্ধু কিংবা ক্লাসমেইট ফোন দিয়েছে মনে হল ! কারন পুরোটা সময় মেয়েটা একটা ল্যাব আর প্রাক্টিক্যাল নিয়ে কথা বলছিল !
কয়েকট শব্দ শোনার পরেই আমার কানটা খাড়া হয়ে গেল ! মেয়েটা যে শব্দ গুলো ব্যবহার করছিল আমার মনে হল মেয়েটা জীব বিজ্ঞান প্রাক্টিক্যাল নিয়ে কথা বলছে ! জরুরী কাজে মেয়েটাকে বাসায় যেতে হচ্ছে ! দুতিন দিনের ভিতরেই ফিরে আসবে !


আমার দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে একটু দেরি হল না ! আমাদের এলাকায় এই একটাই ভাল গাড়ী । অন্তত কোন মেয়ে অবশ্যই এই গাড়িতে যেতে চাইবে যদি সে একা একা যেতে চায় !
তার উপর মেয়েটাকে জরূরী কাজে বাসায় যেতে হচ্ছে এবং মেয়েটা জীব বিজ্ঞানে পড়ে !
তিনটা তিনটা পুয়েন্ট মিলে যাচ্ছে !
তাহলে কি দাড়াচ্ছে ?
এই মেয়েটাকেই দেখতে যাচ্ছি ?
এই মেয়েটাই কি আমার সম্ভাব্য বউ হতে যাচ্ছে !

যাকে দেখে একটু আগে বিরক্ত লাগছিল তাকে দেখেই এখন একটা অন্য রকম ভাল লাগা শুরু হল ! এতোক্ষন পরে মেয়েটাকে একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম !
মেয়েটার বলতে গেলে ফর্সা ! নাকটা একটু বুচা তবে ঠিক আছে ! ঠোটের ঠিক বাঁ কোনায় একটা ছোট্ট তিল আছে !
বাহ !
তিল ওয়ালা সুন্দরী !


-আপনি জুওলজিতে পড়েন ?
-আমি ?
-হুম !
-হ্যা ! কিভাবে বুঝলেন ?
-না একটু আগে মনে হয় আপনি কারো সাথে কথা বলছিলেন প্রাক্টিক্যাল নিয়ে ! শুনে মনে হল !
-ও ! তাহলে আপনি আমার কথা শুনছিলেন ?
-বলতে পারেন ! সুন্দরী মেয়েদের দিকে সবারই একটু ........।
আমি কথাটা শেষ করলাম না !
তবে প্রসংশা মনে হল মেয়েটির ভাল লেগেছে !
-আমি আহমেদ জাদীদ ! আপনি ?
-আমি মিলি !
-ঢাবিতে পড়েন ?
-জি ! আপনি ?
-আমি পড়তাম এক সমসয় ! এখন একটা জব করি !
-ও !

এই ভাবে কথা চলতে থাকে ! আস্তে আস্তে মিলির সম্পর্কে আরো জানতে শুরু করি ! মেয়েটার বাড়ি আসলেই আমাদের পাশের গ্রামে ! ওকে কি কারনে বাসায় ডাকা হয়েছে এটা ও এখনও জানে না ! সকালের বাস টা মিস করেছে তাই এখান দুইটার গাড়িতে বাসায় যাচ্ছে !
আমি আরেকটু বাসের ভিতরেও তাকিয়ে দেখেছি ! মিলি ছাড়াও আরো তিনটা মেয়ে যাচ্ছে গাড়িতে কিন্তু একটারও মনে হয় না আমার ওদের কে আমি দেখতে যাচ্ছি !!


আমি মনে মনে হাসতে লাগলাম ! বারবার মনে হতে লাগল যে মিলির মনের অবস্থা কেমন হবে যখন ও আমাকে দেখবে ওকে দেখতে এসেছি !
-হাসছেন কেন ?
আমি মিলির কথায় বাস্তবে ফিরে এলাম !
-জি !
-বলছি একা একা হাসছেন কেন ?
-এমনি হাসছি ! কিছু একটা মনে পরে গেল তো তাই হাসছি !
-কি মনে পরে গেল ?
-বলবো ! তবে এখন না ! আবার যখন দেখা হবে তখন !
-আবার দেখা হবে ?
-হতেও পারে ! একই এলাকায় যখন থাকি !!
আমি জানি মিলি কি বুঝলো তবে কিছু বুঝলো না !


বাস চলতে লাগলো দ্রুত গতিতে বাড়ির দিকে আমি ভাবতেছি সামনের দিন গুলোর কথা !


দুই সপ্তাহ পর !
মিলিকে আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে । লাল বেনারশিতে ওকে দারুন মানিয়েছে ! আমি তাকিয়ে আছি ! আজকে আমাদের বাসায় বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে !
মিলি বসে আছে স্টেজে পেতে রাখা বড় চেয়ারটাতে !
-এই জাদীদ !
আমি চলে যাচ্ছিলাম ঘরের ভিতর তখনই পিলু মামার ডাক শুনতে পেলাম !
আমি কিছু না বলে তাকিয়ে আছি !
-এই দিকে আয় !
যাবো কি না ভাবছি কিন্তু না গিয়ে উপায়ও নাই ! মামা আবার কি মনে করবে ! আমি মামার কাছে হাজির হলাম !
-কি রে বিয়ের পর থেকে তুই একদম দুরে দুরে রয়েছিস ! আমার কাছে আসছিস না ব্যপার ক বলতো ! তোর মামী পছন্দ হয় নি !
আমি মিলির দিকে তাকালাম ! মিলিও আমার দিকে তাকিয়ে আছে । চোখে দুস্টামির হাসি !
মিলি বলল
-তোমার ভাগিনার মনে হচ্ছে আমাকে পছন্দ করে নি ! তাই না ?
আমি বললাম
-আরে কি বলেন ! পছন্দ কেন হবে না মামা ? মামী তো ........
মামা বলল
-তাই না ! বস আমাদের মাঝ খানে ! এই কে আছিস ? একটা ছবি তোল তো !!
মামা আর নতুন মামীর মাঝ খানে বসে আমি ছবি তুললাম !


আসলে দোষটা আমারই ! আমি মনে করেছিলাম মেয়ে আমার কারনে দেখা হচ্ছে ।কিন্তু আসলে মেয়ে দেখা হচ্ছিল মামার জন্য ! মামার সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল বিধায় সবাই আমাকে আসতে বলে জরুরী ভিত্তিতে ! মামা বলেছিল আমাকে ছাড়া সে কিছুতেই মেয়ে দেখতে যাবে না !
কিন্তু আমি কি বুঝেছি !!

হায় হায় যে মাইয়া হওয়ার কথা ছিল আমার সম্ভাব্য বউ সে হয়ে গেল আমার মামী !
আমার মিলি মামী !!
সম্ভাব্য বউ যখন মামী, হতবাক এই আমি !!
এইডা কিছু হইলো !!



আমার কথাঃ ব্লগডের আড্ডা শেষ করে সেদিন জাদীদ ভাইয়ের সাথে এক রিক্সা করে আসছিলাম । সেখানে জাদীদ ভাই নিজের জীবনের একটা গল্প বললেন আমাদের ! সেই গল্পের উপর ভিত্তি করে সমান্য একটা গল্প লিখে ফেললাম !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৩
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×