somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইফাই গল্পঃ বাংলাদেশ ২০৫০

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

বিকাল চারটা !
হাসান দৌড়াচ্ছে । হাসান দৌড়াচ্ছে পরীবাগের বাম দিকের রাস্তা দিয়ে । একটু উত্তেজিত !
হাসানের কানে একটা এয়ার ফোন লাগানো রয়েছে । সেটা ওর সেল ফোনের সাথে সংযুক্ত । একটা ফোন কল চালু আছে সেল ফোন টাতে । সেখান থেকে নির্দেশ আসছে । হাসান সেই অনুপাতে দৌড়াচ্ছে ।
হঠাৎ ফোনের ওপাশ থেকে হাসান শুনতে পেল
-হাসান !
-শুনছি !
-আপনাকে তাড়াতাড়ি করতে হবে ! পুলিশ আপনার পিছু নিয়েছে ।
-জি আমি জানি । ওরা আপনার দিকে এগিয়ে আসছে । আমি এখন কি করবো সেটা বলুন ?
-আপনি বামদিকে দৌড়াচ্ছেন তো !
-জি !
আরেকটু সামনে গেলেই আপনি একটা বড় এপার্টমেন্ট দেখতে পাবেন ! নাম দিগন্ত ! ঠিক আছে !
-আমি চিনি
হাসান এক সময় এই রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে টিউশনি তে যেতে ! সেই সময় সে এই রাস্তা দিয়েই যেত আর দিগন্ত এপার্টমেন্ট টা চেয়ে চেয়ে দেখতো ! মনে হত এই খানে কি কোন দিন থাকতে পারবে সে !

-হাসান আপনি শুনতে পাচ্ছেন ?
-জি আমি শুনতে পাচ্ছি !
-দিগন্তের পাশ দিয়ে আরেকটা রাস্তা চলে গেছে । হাতের ডান দিকে । আপনি সেই বরাবর চলে যাবেন । ঠিক আছে । একদম নাক বরাবর ! দেখবেন একটা ঘরের দরজা খোজা ! যদি কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাকে যেভাবেই হোক সামাল দেবেন !
-কিভাবে সামাল দেব ? আমার কাছে কোন আর্মস নেই !
-সেটা আপনার বিষয় ! একটু আগে এতো একটা কাজ করেছেন সামান্য একজন কে সামলাতে পারবেন না !

হুম ! একটু আগে হাসান অনেক বড় একটা কাজ করেছে ! এতো বড় একটা সে করবে কোন দিন ভাবতেই পারে নি ! অবশ্য অন্য কিছ করারও ছিল না ! আর একটা দিনও হাসপাতালের লোকজন হাসানের স্ত্রীকে রাখতে প্রস্তুত ছিল না যদি না টাকা পেত ! যে কোন ভাবেই হাসানের টাকা দরকার ছিল ! যাক যা হয়ে গেছে !
এখন যেভাবেই হোক পালাতে হবে ! হঠাৎই গুলির আওয়াজ হল পিছনে !
হাসান পিছনে তাকিয়ে দেখে সাত আট জনের একটা দল ওর দিকে দৌড়ে আসছে । গুলিটাও নিশ্চই ওরাই করেছে ।
হাসান দৌড়ানোর গতি বাড়িয়ে দিল !
এই তো ! রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে ! একদম শেষ মাথায় একটা ঘরও যাচ্ছে ! কিন্তু ওর পিছনে পুলিশ আসছে । পুলিশ নিশ্চই ওকে রুমের ভিতর ঢুকতে দেখবে । দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি কষ্ট হবে না ।
তাহলে ?
হাসানের কি ঘরে ঢোকা ঠিক হবে ?
আর কি কোন উপায় আছে ?
হাসান এদিক ওদিক দেখতে লাগলো ! নাহ !
দুপাশেই দুটো বড় এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের দেওয়াল । হাসানের পক্ষে টপকানো সম্ভব না !
হাসান ঘরটার দিকে দৌড় দিল !
দরজার সামনে কেউ ছিল না ! হাসান ঘরে প্রবেশ করলো !

-এই তো আমি ঘরের ভিতর !
-দরজা বন্ধ করুন !
হাসান দরজা বন্ধ করল !
-এবার !
-সামনে দেখতে পাচ্ছে কিছু একটা চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে !
-জি !
-ওটা একটা ভিইকেল !
-মানে ?
-মানে কিছু বুঝতে হবে না ! আপনি কেবল চাদরটা সরাবেন । কাঁচের দরজাটা খুলবেন । ভিতরে বসবেন ! তারপর লাল সুইচ টা অন করবেন !
-কি বলছেন আপনি এসব ! ? বদ্ধ ঘরে এই যান কিভাবে চলবে ?
-শুনুন ! আমি যা বলছি তাই করুন !
-কিন্তু !
-কোন কিন্তু না ! আর আপনার কোন উপায়ও নেই ! আমি যতদুর জানি পুলিশ দরজার প্রায় কাছে চলে এসেছে !

কথা সত্য ! এতোক্ষনে পুলিশ তার দরজার কাছে চলে এসেছে ! এখন আর কোন চিন্তা ভাবনার কোন উপায় নেই ।
হাসান এক টান মেরে চাদরটা খুলে ফেলল ! চাদরের আড়াল থেকে অদ্ভুদ যন্ত্রটা বের হয়ে এল !
যন্ত্রটা দেখে হাসান মুখ থেকে কেবল একটা কথাই বের হয়ে এল
হোয়াট দ্যা াক !! এটা কি ?
যেটাকে একটা যানবাহন বলে আক্ষা দেওয়া হয়েছে আসলে সেটা আদৌও কোন যানবাহন কিনা সেই ব্যাপারে একটা সন্দেহ আছে ! গোলাকার একটা যন্ত্র বিশেষ যার সামনের বেশ খানিকটা জুরে কাঁচ দিয়ে তৈরি ! বাকিটা স্টিলের কিংবা ঐ জাতীয় কোন ধাতু দিয়ে তৈরি ! যানটার ভিতরে উঠবে কি না হাসান চিন্তা করলো কিছুক্ষন !

ঠিক তখনই দরজায় আঘাত পড়লো !
কয়েক মুহুর্ত পরে আবারও আঘাত ! এবার আগের বারের চেয়েও অনেক জোরে ! এই দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি সময় লাগবে না !

হাসান আর কিছু চিন্তা করার সময় পেল না ! কাঁচের দরজাটা চেনে অদ্ভুদ যানটার ভিতর উঠে পড়লো ! ভিতরেও অসংখ্যা অদ্ভুদ ধরনের যন্ত্রাংশ দেখা যাচ্ছে ! হাসান ওসবের ভিতরে গেল না !
সিট বেল্ট বেধে নিল !

দরজার ধাক্কার পরিমান বাড়ছেই !
ঐ তো দেখা যাচ্ছে লাল সুইচ টা ! হাসান কিছু না ভেবেই লাল বাটনে চাপ দিল !
কয়েক মুহুর্ত ! এইতো ! কিছু একটা চালু হয়েছে ! কাঁপছে ! আস্তে আস্তে কাঁপন বাড়ছে !
হাসান কাপন টা অনুভব করতে পারছে ! এক পর্যায়ে যান টা অনেক জোরে কাঁপতে থাকলো !
কি হচ্ছে এই সব !
হাসানের মনে হল ভয়ংকর কিছু একটা হতে চলেছে ! নিজেকে সিট বেল্ট থেকে মুক্ত করার চেষ্টায় লেগে গেল সে । কিন্তু সেটাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে ! একটা আলোর ঝলকানি আর তীব্র ঝাকুনিতে হাসান চেতনা হারালো !


দুই

-আম্মু ! দেখো !
তানজিনা নিজের জিএস ফোনটাতে আজকের খবর গুলো দেখছি ! তখনই পাশে বসা মেয়ের ডাক শুনতে পেল !
-কি হয়েছে মা মনি ?
জিএস ফোন থেকে চোখ না সরিয়েই মেয়ে ইমুন কে বলল কথা টা !
-আম্মা দেখো না ! আমাদের প্রেসিডেন্ট !
প্রেসিডেন্ট নামটা শুনতেই তানজিনার চোখটা জানলার দিয়ে বাইরে চলে গেল ! ইমুন জানলার কাঁচ নামিয়ে বাইয়ে তাকিয়ে আছে !
তানজিনা বেশ খানিকটা অবাক হয়ে গেল !

দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট খালিদ আবসার তানজিনা থেকে ঠিক দুই তিন হাত দুরে গাড়ির ভিতর বসে আছে । ১০/১২ বছর আগেও এই জিনিসটা একদম ভাবাই যেত না ! এই ২০৫০ সালে এসে বাংলাদেশের তেমন কিছু পরিবর্তন হয় নি । কিন্তু কয়েকটা বিয়ষ খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে তার একটা হল আগে রাস্তায় চলার সময় কোন ভিআইপি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হত । কিন্তু এখন সেই জিনিসটা নেই । এখন যেই হোক না কেন কারো জন্য রাস্তা বন্ধ করা হয় না !
এখন স্বয়ং প্রেসিডেন্টও রাস্তায় জ্যামে পড়ে থাকে !
কেবল রাস্তায় চলা এম্মুলেন্সের ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া হয় !

ইমুন বলল
-আম্মু আমি ওনাকে ডাক দেই !
-না মা মনি ! উনি অনেক বড় মানুষ ! তোমার ডাকে বিরক্ত হবেন !
-হবেন না আম্মু !
-ইমুন ! চুপ করে বসে থাকো !

তানজিনে ইমুন কে বকতে শুরু করবেন ঠিক তখন একটা ভরাট গলায় কেউ বলে উঠলেন
-তোমার নাম কি ?
মা মেয়ে দুজনের একসাথে ঘুরে তাকালেন !
প্রে. খালিদ আবসার তার কাঁচের গ্লাস নামিয়ে ইমুনের দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখে !
ইমুন বলল
-আমার নাম ইমুন !
পেছন থেকে তানজিনা ধমকে উঠলো
-ভাল নাম বল !
-আমার নাম ইশরান তাজনিনা ইমুন !
খালিদ আবসার বলল
-কোন ক্লাসে পড় মা মনি ?
-ক্লাস ফাইভ !
-ভেরি গুড !
আরও কিছু বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে ! খালিদ আবসার ইমুনের দিকে এবং তানজিনার দিকে একটু হেসে বলল
-আজকে আসি মা মনি !
তারপর ভুস করে কালো রংয়ের গাড়িটা চলে গেল । পেছনে সাইরেন বাজিয়ে কেবল একটা প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্সের গাড়ি !


তানজিনার মন ভাল হয়ে গেল ! দিনের শেষে এই এসে এই ছোট্ট ঘটনা টাতে মন ভাল হয়ে গেল !

বাসায় পৌছাতে পৌছাতে আরও ঘন্টা খানেক লেগে গেল ! বাসায় পৌছেই এপার্টমেন্টের রিসিপ্টসনিষ্ট বলল
-ম্যাম ! আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে ?
-কোথায় ?
-ওয়েটিং রুমে বসে আছে !
-আচ্ছা !

ইমুন কে এপার্টমেন্টের দিকে পাঠিয়ে তানজিনা ওয়েটিং রুমের দিকে এগিয়ে গেল !

দরজা দিয়ে ঢুকতেই তানজিনা দেখতে পেল ত্রিশ বত্রিশের একজন মানুষ মাথা নিচু করে বসে আছে । পরনে কেমন পুরানো দিনের মত কাপড় পরা !
তানজিনা ঠিক বুঝতে পারলো না লোকটা কে ? চেহারাটাও কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে । কিন্তু চিনতে পারছে না ।

-হ্যালো !
তানজিনার কথা শুনে লোকটা কেমন যেন একটু চমকে উঠলো !
তানজিনার দিকে ফিরা তাকালো !
তানজিনা বলল
-আমি তানজিনা কাবির ! আপনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছে ?
-হুম !
-কেন জানতে পারি ?

লোকটা কোন কথা না বলে কিছুক্ষন কেবল তানজিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো ! তানজিনার হঠাৎ করেই কেন জানি মনে হল লোকটার চেহারায় আসলেই পরিচিত মনে হচ্ছে ! কোথায় দেখেছে ?
লোকটা আনমনেই বলল
-তুমি তোমার মায়ের মত হয়েছো একদম !

তুমি !!
একটু অবাক হল ! লোকটার বয়স ওর থেকেই ছোটই মনে হচ্ছে । তনজিনার এখন ৩৬ চলছে আর এই লোকের বয়স কোন ভাবেই ৩০/৩১ এর বেশি হওয়ার কথা না ! তাহলে লোকটা কেন ওকে তুমি করে বলছে ।
-আপনি কি বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না !
-তাহিরা একদম তোমার মত ছিল !
-আপনি আমার মা কে কিভাবে চিনেন ?
লোকটা হাসলো !
-কিভাবে চিনি ?
লোকটা হাসলোই আনমনে কিছুক্ষন !
-কথাটা বললে হয়তো তোমার বিশ্বাস হবে না ! কিন্তু আমি তোমার বাবা !

তানজিনার তখনই মনে হল লোকটা হঠাৎ করেই কেন এটো পরিচিত মনে হচ্ছিল ! লোকটার চোখ একদম ওর নিজের মত !
তানজিনার মা প্রায়ই এই কথাটা বলতো যে ওর চোখ নাকি একদম ওর বাবার মত ! প্রতিদিন আয়নায় তানজিনা নিজের এই চোখ দেখে সে !


তানজিনার এখনও ঠিক মত বিশ্বাস হচ্ছে না ড্রয়িং রুমে বসে থাকা মানুষটা, যে কি না বয়সে তার থেকে প্রায় ৫ বছর ছোট, তার জন্মদাতা পিতা ! জন্মের পর থেকে তানজিনা তার বাবাকে দেখ নি । তার মায়ের কাছে শুনছে একদিন অফিস গিয়ে আর ফিরে আসে নি তার বাবা । কি হয়েছে কেউ বলতে পারে না ! তানজিনা তখন ওর মায়ের পেটে ! ওর মা হাসপাতালের ভর্তি ! প্রতিদিন কাজ সেরে হাসপালে তার বাবা মায়ের কাছে আসতো ! কিন্তু ঐ দিন আর আসে নি !
আর আজকে হঠাৎ করেই এসে হাজির !

কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না । কোন কিচু একটা সমস্যা নিশ্চই আছে ! কিন্তু লোকটা নিজের মানিব্যাগ থেকে যে ফটো দেখিয়েছে সেটাতে স্পষ্টই প্রমান হয় যে এই লোকটাই ওর বাবা !
বাবার অস্পষ্ট ছবি সে দেখেছে মায়ের সাথে ! যতদিন তানজিনার মা বেঁচে ছিল ততদিন কেন জানি তিনি তানজিনার বাবার সব স্মৃতি গুলো ওর কাছ থেকে দুরে রেখেছে !


তানজিনা ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখেন তার বাবা ইমুনের সাথে কথা বলছে ।
-ইমুন ঘরে যাও তো ! আমি একটু কথা বলি !
ইমুন চলে গেল !

তানজিনা সোফাটার উপর বসলো কিন্তু ঠিক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না !
-আমার নাম তো তুমি জানো, তাই না ?
-জি ! সার্টিফিকেইকে আপনার নামটা লিখতে হয়েছে । হাসান মাসুদ !
হাসান হাসলো ! বিমর্শ ভরা হাসি !
হাসান কে খানিকটা বিমর্শ মনে হল ।
-আমি জানি তুমি আমাকে অনেক দোষরোপ কর !
-করা কি উচিৎ নয় ?
-হুম ! উচিৎ !
-যে সময় টাতে আপনার আমার আর মায়ের পাশে থাকা দরকার ছিল তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন না !
হাসান চুপ করে রইলো !
-মা বলতো আপনারা নাকি ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ! তাহলে ? কেন ?
-তুমি কি বুঝতে পারছো না কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে যেটা আমি ইচ্ছে করে করি নি !

তানজিনা সেইটাই জানতে চাচ্ছে ! কি সেই ঘটনা !
হাসান বলল
-তুমি টাইম মেশিনে বিশ্বাস কর ?
-কি ? কি বলছেন আপনি ?
-যদি বলি আমি কেবল টাইম মেশিনে করে এই তোমাদের সময়ে চলে এসেছি !
-আপনি কি বললেন এই সব ?
-ঠিক বলছি ! যখন তোমার জন্ম হওয়ার কথা তখন একদিন হঠাৎ করেই তোমার মায়ের শরীর খারাপ হয়ে যায় ! তখনও আমি ঠিক মত কিছু করি না ! টুকটাক কোন রকম সংসার চলে যায় ! ভালবেসে বিয়ে করার জন্য আমাদের বাবামারা আমাদেরকে মেনে নেন নি ! কষ্ট ছিল আমাদের সংসারে কিন্তু ভালবাসার কোন অভাব ছিল না ! তোমার মাকে হাসপালে ভর্তি করে আমি বের হলার টাকার জন্য ! একসপ্তাহ পরেও যখন কোন টাকা ব্যবস্থা হল না তখন কি করবো ঠিক বুঝতে পার ছিলাম না !
-তারপর ?
-তারপর হঠাৎ করেই একদিন আমার ফোনে একটা ফোন আসলো । বলা হল একটা বিশেষ কাজ করা জন্য ! অন্যায় ছিল কিন্তু তোমার মায়ের চেয়ে আমার কাছে আর বেশি কিছু ছিল না ! বেশ কিছু টাকা পেয়ে গেলাম ! তোমার মায়ের হাসপাতে জমা দিয়ে দিলা ! তারপর যখন পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওদের নির্দেশ মত আমি একটা রুমের ভিতর ঢুকলাম তখন একটা গোলাকার যানের ভিতর আমাকে বসতে বলা হয় ! দরজার ওপাশে পুলিশ দাড়িয়ে ছিল ! দরজার আঘাত করছিল ! আমি লাল সুইচ অন করে দিলাম
-তারপর ?
-তারপর আর কিছু মনেনেই ! আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ! যখন জ্ঞান ফিয়ে আসে তখন আমি দেখতে পাই আমি সেখাই বসে আছি ! কিন্তু ঘরটা কেমন যেন পুরানো ! বাইরে এসে দেখি সব কিছু কেমন যেন একটু অচেনা অচেনা লাগছে । প্রায় দুই দিন লেগে গেছে আমার এইটা বুঝতে আমি ভবিষ্যতে চলে এসেছি ! আমি যেটাতে বসেছিলাম ওটা আসলে একটা টাইমমেশিন ছিল ! আস্তে আস্তে বুঝতে পারি আসলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যাতে আমি কোন কিছু ভাবার সময় না পাই আর টাইম মেশিনে উঠে বসি !


কিছুক্ষন কোন কথা হল না !

-এখন কি করবেন ?
-আবার ফিরে যাবো ভাবছি ! এইটা আমার পৃথিবী না ! তখনই ফিরে যেতাম । কিন্তু ইচ্ছা হল একটু ঘুরে দেখে যাই আমার সন্তানটা কেমন আছে একটু দেখে যাই ! তবে তুমি ভেবো না ! তোমার পৃথিবী এরকম হবে না । মনে রেখো তোমার পৃথিবী বাবা শূন্য হবে না !





আমার সাইফাই লেখার হাত নেই ! একটা মানুষের ছিল যার লেখা পড়ে প্রথম সাইফাই লেখার টুকটাক চেষ্টা করে থাকি !
আজ তার জন্মদিন !

শুভ জন্মদিন প্রিয় ইমন ভাই !!
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×