somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো কিছু কথা, এলোমেলো কিছু গান ....

২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





-ঐ গান টা শোনেন নি ?
-কোন গান টা ?
-ঐ যে তুমি আমার পাশে বন্ধু হে ! বসিয়া থাকো ! একটু বসিয়া থাকো !
"তুমি আমার পাশে বন্ধু হে"

মেয়েটি অনেক ক্ষন দিয়ে মন দিয়ে গান টা শুনলো ! চোখ বন্ধ করে ! যেন একবারে গানের ভিতর ঢুকে পড়েছে ! গান শেষ করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি কি কাউকে বসে থাকার আহবান জানিয়েছেন কোন দিন ? সব কিছু হারিয়েও এমন কাউকে ?
-দুরে থাকা মেঘ তুই দুরে দুরে থাক যতদুত টুকুপারা যায় সামলে রাখ !
মেয়েটি আমার কথা বুঝতে না পেরে বলল
-মানে কি ? আমি আপনাকে কি বললাম আর আপনি কি বলছেন ?
-না ! এই গান টা শোনেন
দুরে থাকা মেঘ

মেয়েটির সাথে সেই কখন থেকে কথা বলছি । মাঝে মাঝে গান শুনছি দুজন মিলে ! আমার পছন্দের গান গুলো ! এবং একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত যে আমার পছন্দের গান গুলো মেয়েটির বেস ভাল লাগছে ! এমন টা সাধারন হয় না ! মেয়ে গুলোর পছন্দ আমার পছন্দের সাথে ঠিক যায় না !

মেয়েটি এবার বলল
এবার আমার পছন্দের একটা গান আপনাকে শোনাই ! তোমায় দিলাম ! কত কিছু তাকে দিতে চেয়েছিলাম ! কিন্তু সে কিছু নেয় নি !

তোমায় দিলাম

-নেয় নি ?
-উহু !
-কেন ?
-হয়তো তার অন্য কিছু চাওয়ার ছিল আমি তাকে অন্য কিছু দিতে চেয়েছিলাম !

আসলেই এমনই হয় তো হয় ! প্রিয়মানুষ গুলোর জন্য জমা করে রাখা অনেক কিছুই তাদের ভাললাগে না ! প্রিয় মানুষ গুলো হঠাৎ করেই কেমন অন্য করমন হয়ে যায় ! অন্য কিছু তাদের চাই ! অন্য কোন মানুষের অন্য কোন প্রিয় জিনিস গুলো তাদের প্রিয় হয়ে ওঠে !

মায়াবন বিহারিনী
জীবন টাই মনে হয় এমন ! এমন করেই দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে ! এমন করেই দিন চলে যায় !

মেয়েটি হঠাৎ করেই বলল
-জানেন আমার না একটা প্রেমিক ছিল !
-প্রেমিক ?

আমি খানিকটা কৌতুহলী হই ! মেয়েদের মুখে তার প্রেমিকদের কথা শুনতে ভাল লাগে ! তারা এমন একটা ভাবে তাদের কথা গুলো বলে যেন বলতে খুব লজ্জা পাচ্ছে আবার বলতেও ইচ্ছে করছে অনেক !
-আপনার প্রমিক ?
-ঠিক প্রেমিক না
-মানে কি ? এই বললেন আপনার প্রেমিক আবার এই বলছেন প্রেমিক না ! কেমনে কি ?
মেয়েটি হাসলো !

ক্লাসরুম

-কলেজে পড়তাম ! তখন ! একটা ছেলে আমাকে অনেক পছন্দ করতো ! কিন্তু আমি কোন দিন তাকে ভালবাসি নি !
-কোন দিন না ?
-কি জানি ? ইচ্ছে হয় নি তখন ?
-এখন ?
-তাও জানি না ! জীবনের এই সময় টাতে এসে সব কিছু কেমন যেন শূন্য মনে হয় ! একবার মনে হয় তার ডাকে সারা না দিয়ে অনেক ভাল করেছি । বেশ ভাল আচি এখন আবার মাঝে মাঝে মনে হয় ছেলেটার চিঠিতে কি লেখা আছে একবার দেখলেও হয় তো পারতাম ! একবার যদি পড়তাম তাহলে হয় তো অন্য রকম হত !

বন্ধু তোমায়

এমন কিছু আসলেই কি হয় ? কারো ভালবাসা কারো কাছে মূল্যহীন মনে হয় ? এমন কোন মানে নেই যে একটা মানুষ একজন কে ভালবাসে বলে তাকেও ভাল বাসতে হবে ! ভালবাসার এই অনুভুতি গুলো বড় অদ্ভুদ ! কখন কার জন্য জেগে ওঠে বলা মুশকিল ! আমারও কি এমন কিছু হয়েছিল ?
হুম মনে আছে স্পষ্টই !
স্কুল জীবনে একটা মেয়ে আমাকে জান প্রান দিয়ে ভালবেসেছিল ! সব লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আমাকে বলে ফেলেছিল সেই কথা গুলো ! কি তীব্র ভাবেই না তা আমি প্রত্যাখান করেছিলাম তাকে ! তখন আমার মন অন্য একটা মেয়ের দিকে ! সেই মেয়েটি আবার আমাকে পাত্তা দিতো না !
কি অদ্ভুদ একটা পরিস্থিতি !

লিলুয়া বাতাস

-আরে অনেক ক্ষন থেকে কোন কথা বলছেন না কেন ?
-ভাবছিলাম !
-কি ?
-জানি না ! আপাতত কি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবো সেই বিষয় নিয়ে ভাবছি !
আমার কথা শুনে মেয়েটি হো হো করে হেসে ফেলল ! বলল
-তা কি ভাবনা চিন্তা করলেন ?
-সব কিছু অর্থ হীন ! জানেন আমার স্যার ছিল, মাহবুব স্যার নামে ! স্যার প্রায়ই বলত তার জীবনের কোন অর্থ নেই !
-কেন ? এমন কথা কেন বলতো ?
-স্যার আমাদের কেমিস্ট্রি পড়াতেন ! স্যার বলতেন এই যে তিনি সারা জীবন কষ্ট করে পড়াশুনা করেছেন ! এখন কষ্ট করে সারাদিন কলেজে লেকচার দিচ্ছেন বিকেল বেলা প্রাইভেট পড়াচ্ছেন ! রাতে বউয়ের সাথে ঝগড়া করছেন ছেলে মেয়ে মানুষ করছেন !
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তো ? সবাই তো এমন করে ?

ঝড়া পাতার গান

-স্যারের কথা হচ্ছে সারা জীবন সে কেবল দায়িত্ব পালন করে গেল ! এবং সামনেও সে কেবল দায়িত্বই পালন করে গেল ! নিজের জন্য তার কিচুই করা হল না !
মেয়েটি আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! বলল
-তাই কি সত্যি ? সবাই কেবল অন্যের জন্য বাঁচে ? নিজের জন্য কিছু করে না ?
-কি জানি ? তবেই বেশির ভাগ মানুষই এমন টাই করে ! নিজের জন্য বাঁচার সময় পায় না ! কেবল দায়িত্বই পালন করে চলে ! আমি এমন টা করতে চাই না ! মোটেই না !
-আপনি কি চান ?
-আমি প্রিয় মানুষ গুলোর জন্য বাঁচার সাথে সাথে নিজের জন্যও বাঁচতে চাই ! সবার কথা ভাবার সাথে সাথে নিজের জন্যও কিছুটা সময় বের করে আনতে চাই ! যেন স্যারের মত আমাকে আফসোস করটে না হয় !
-হুম !
-আমার বৃষ্টি অনেক ভাল লাগে ! অনেক বেশি ! ছোট বেলায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভাল লাগতো অনেক ! এখনও লাগে !

বৃষ্টির গান

-বৃষ্টি নিয়ে শ্রীকান্তের একটা চমৎকার গান আছে না ?
-হুম !
-গান টা যতবার শুনি ততবারই বুকের ভেতর কেমন একটা টান টান কষ্ট বুকের জেগে ওঠে !
-কেন ? কষ্ট কেন ?

আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ

মেয়েটি আমার কথার জবাব না দিয়ে অন্য দিকে তাকালো ! ঠিক বুঝলাম না ! বললাম
আর্টসেলের একটা চমৎকার গান আছে বৃষ্টি ভেজা রাত নিয়ে !
-হুম ! ওটাও চমৎকার একটা গান !

বৃষ্টি ভেজা রাতে

এতো এতো কষ্টের গান শুনলে চলবে আসুন এখন একটা চমৎকার আনন্দের গান শুনি !
-কোন টা !
-তুমি আর আমি !
-কার গান ?
-শুনলেই বুঝবেন

তুমি আর আমি

আচ্ছা মাঝে মাঝে মনে হয় না যে এমন একজন আপনা রপাশে সব সময় থাকুক ! সব সুখ দুঃখে আপনাকে সাপোর্ট দিক !
-এমন কাউকে কি পাওয়া যাবে ?
-কেন যাবে না ?
-যায় নাকি ? আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে বাবামা ছাড়া আপনার পাশে নিঃস্বার্থ ভাবে আর কেউ থাকবে না !
মেয়েটি কিচু নাবলে চুপ করে রইলো ! আমি বললাম
-আসলে নাটক সিনেমায় এমন টা হয় কেবল ! একজন একজনের জন্য সব কিছু ত্যাগ স্বিকার করে ! বাস্তবে এমন হয় না !
-তবুও ! ইচ্ছে হয় না ?
-কেন হবে না ?

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়

এই ছবির আরেকটা সুন্দর গান আছে কিন্তু !
হুম জানি !!

তুমি যদি

আচ্ছা জলের হানের আরেকটা চমৎকার গান আছে ! ঐ টা শুনেন !

বকুল ফুল

-সুন্দর না ?
-হুম !সব গুলোই অদ্ভুদ সুন্দর ! অদ্ভুদ গানের কথা আর মিউজিক কম্পোজিশন !
-আরেকটা শুনেন ! এমন যদি হত

এমন যদি হত


আমার আরেক টা পছন্দের গান আছে ! ঠিক যেন মনে হয় আমার নিজের কথা গুলো বলছে ! মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই ! শুনবেন ?
-হুম ! কেন না ?

পাতার গান


আমি একটা পাতার ছবি আঁকি
পাতাটা গাছ হয়ে যায়।
মাথা ভরা সবুজ কচি পাতা গাছটাকে ছাতা মনে হয়।
আরিরে আরি রাং......
ছুরিরে আরি ছুরি বাং........
আমি একটা ফুলের ছবি আঁকি
ভ্রমর উড়ে আসে তায়।
ফুলে বসে ভ্রমর ফুলের মধু চুষে খায়।
আরিরে আরি রাং.....
ছুরিরে আরি ছুরি বাং.....
আরিরে আরি রাং....
ছুরিরে আরি ছুরি বাং....

-কোথায় যাচ্ছেন ?
মেয়েটার পেছন থেকে ডাকে !
আমি একবার ফিরে তাকায় একটু ! একটু হেসে আবার হাটা দেই !

আরিরে আরি রাং.....
ছুরিরে আরি ছুরি বাং.....
আরিরে আরি রাং....
ছুরিরে আরি ছুরি বাং....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×