somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ একটি রিক্সা ভ্রমনের পরিসমাপ্তি !

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



-এই ! মিরা....।
পরীবাগের ওভার ব্রীজ থেকে নামতে নামতে একটা ডাক দিতে দিতে আটকে গেলাম !
মীরা ততক্ষনে রিক্সায় উঠে গেছে । আরেকবার ডাকবো কি না বুঝতে পারলাম না !
পরে আর না ডাকার সিদ্ধান্ত নিলাম ! যদি আজকে মেয়েটি আমাকে চিনতে অস্বীকার করে !
তাহলে ?
আমার তো মনে হয় আমাকে হয় তো আজকে সে আমাকে চিনবেই না ! চেনার অবশ্য খুব একটা করনও নেই ! কেবল একটা দিন মীরার সাথে আমি কিছুটা সময় রিক্সায় করে পরীবাগ থেকে কাজীর গলি পর্যন্ত গিয়েছিলাম । ব্যস এই টুকুই !

গত পরশু দিনের কথা !
পরীবাগ ওভার ব্রীজ থেকে নেমে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি । বেশ খানিকটা পথ পরিবাগ থেকে কাজীর গলি ! হেটে যাওয়া যায় তাতে বেশ খানিকটা সময় আর শ্রম খরচ হয় ! আমি এই জায়গাটুকু রিক্সা করেই যাওয়ার চেষ্টা করি ! কিন্তু মাঝে মাঝে রিক্সাওয়ালা গুলো বদ হয়ে যায় !
আমাদের অর্থনীতির খুব সহজ একটা থিউরী আছে । যোগান কম এবং চাহিদা বেশি থাকলে সেই জিনিসের দাম বেড়ে যাবে ! মাঝে মাঝে এখানে তেমনই হয়ে যায় ! রিক্সা আছে ৫ টা যাত্রী সংখ্যা ২০ জন ! এই সুযোগে রিক্সওয়ালাও নিজেদের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে !
৩০ টাকার রিক্সা ভাড়া ৭০ টাকার নিচে কিছুতে যাবে না !

আমার মত ছাপোষা মানুষের জন্য টাকা টা একটু বেশিই হয়ে যায় !
কি করব ভাবছিলাম ! তখনই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম ! আমার মতই কয়েকটা রিক্সাওয়ালার কাছে গেল তারপর আমার মতই হতাশ হয়ে ফিরে এল ! শেষে আমার মত রাস্তার পাশে এসে দাড়ালো ! তাকিয়ে রইলো নতুন কোন রিক্সা আসে নাকি !

আমি খানকটা ইতস্থত করে মেয়েটির দিকে এগিয়ে গেলাম ! জানি না মেয়েটির কি বলবে কিন্তু একবার বলতে অসুবিধা নেই !

-হ্যালো ?
মেয়েটি আমার দিকে স্বাভাবিক ভাবেই তাকালো ! সাধারনত মেয়েরা এমন হয় না ! অপরিচিত ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা খানিকটা বিরক্ত হয় কিংবা সন্দেহের চোখে তাকায় !
আমি বললাম
-আপনি কি কাজির গলি যাবেন ?
মেয়েটির এবার একটু অসহায় কন্ঠে বলল
-দেখুন না ! কেউ যেতে চাচ্ছে না ! ভাড়া ৩০ টাকা যারা যেতে চাচ্ছে ৭০ টাকা বলছে ! এখন বলুন তো ৭০ টাকা দিয়ে কি যাওয়া সম্ভব ? ভাবছি হেটে যবো !
-ইয়ে মানে আমিও কাজীর গলি যাবো ! একসাথে গেলে কিছুটা টাকা শেয়ার করে যাওয়া যেত ! যাবেন ?
মেয়েটি আমাকে এইবার পুরো মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখলো । মনে হল যেন একটু দেখে নিচ্ছে ! কিংবা আমার মতলব বুঝার চষ্টা করছে !

-যাওয়া যায় !
বাহ ! মেয়েটা এতো সহজে রাজি হয়ে যাবে ভাবিনি ! তবে আমার চেহারায় একটা ভালা পুলা ভালা পুলা ভাব আছে ! তাছাড়া মনে হচ্ছে মেয়েটার যাওয়ার একটা তাড়াহুড়া ভাব আছে !
-আচ্ছা তাহলে চলুন । যাওয়া যাক !

রিক্সা ডাকলাম ! ৬০ টাকায় ভাড়া ঠিক হল ! আমাদের রিক্সা ভ্রমন শুরু হল ! আমি একটু অস্বস্থি বোধ করলেও মেয়েটা দেখলাম বেশ স্বভাবিক তবে কিচুটা চিন্তিত মনে হল ! কিছু যেন একটা ভাবছে ! আমি যে তার পাশে বসে আছি এটা সে খুব একটা লক্ষ্য করছে বলে মনে হল না ! নিজের মনে কিছু একটা হিসেব করছে !

আমি একটু কাশি দিয়ে মেয়েটির দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করলাম !
মেয়েটি আমার মনের ভাব খানিকটা বুঝতে পেরে বলল
-আপনি না থাকলে আজকে সারাটা পথ আমাকে হেটেই যেতে হত ! বলুন তো টিউশনী করে মাসে পাই তিন হাজার টাকা ৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে কি যাওয়া মানায় ?
-আপনিও টিউশনী করেন ?
-আপনিও বুঝি ?
-হুম !
-কাজীর গলিতেই ?
-হুম !
-আমিও ওখানেই করি টিউশনি ! আচ্ছা আমি মীরা ! আপনি ?
আমি আমার নাম বললাম ! মেয়েটি খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল !

এভাবেই মীরার সাথে আমার পরিচয় ! মাত্র সেদিন ! সপ্তাহে আমি যে দিন যেদিন টউশনীতে যাই মীরাও ঠিক সেই সেই দিন টিউশনীতে যায় !



আমি ডাক দিতে গিয়েও থেমে গেলাম !
নাহ ! যতই পরিচয় হোক না কেন আজকে মীরাকে ডাকা টা ঠিক মনে হল না ! বিশেষ করে যখন আজকে রিক্সার কোন সংকট নেই ! আজকে ৩০ টাকার ভাড়া রিক্সাওলারা ৩০ টাকাই যাচ্ছে !

-মামা যাইেবন না ?
-না ! আজকে যাবো না !

কেন গেলাম না ঠিক বলতে পারি না । কেবল যেতে মন চাইলো না একা একা ! ! পরীবাগের দিকে হাটা শুরু করে দিলাম ! হাটতে হাটতেই সেদিনের কথা চিন্তা করতে লাগলাম ।


ঢাকা শহরে একটা মেয়ের জন্য থাকা টা বেশ কষ্টকর ! বিশেষ করে মেয়েটা যদি কোন হোস্টেলে থাকে ! তার উপর টিউশনী করে মেয়েটাকে আয় রোজগার করতে হয় ! ঐ দিন মীরা অনেক কথাই বলল আমাকে ! যেন এই অল্প সময় টুকুতেই মীরার মনে কথা বলার একটা মানুষ খুজে পেয়েছে ! আমার কেন জানি মনে হল এই কোটি মানুষের শহরে ওর কথা বলার মানুষ যেন কেউ নেই মেয়েটার !
তবে একটু অবাক হয়েছিলাম যে একদিনের পরিচয়ে একটা মানুষের সাথে এতো কথা কিভাবে বলে !



-কি ব্যাপার গতকালকে আপনি যান নি টিউশনীতে ?
-কেন ?
-আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম !
-সত্যি ?

আমি মীরার কথাটা ঠিক বিশ্বাস করতে পারলাম না ! মেয়েটা কি বলছে ?
আমার জন্য অপেক্ষা করছিল ? কেন ?
আমি খানিকটা অবাক হয়ে বললাম
-সত্যি আপনি অপেক্ষা করছিলেন ?
-হুম ! কিন্তু আপনি আসছেন না দেখে ভাবলাম আপনি আসবেন না তাই চলে গেলাম !
-আসলে ?
আমার ইতস্ততর দেখে বলল
-আপনি আমাকে দেখেছিলেন ?
-হুম !
-ডাকেন নি কেন ?
-সংকচ হচ্ছিল ! যদি কিছু মনে করেন তাই !
-কিছু মনে করলে কি সেদিন আপনার সাথে রিক্সায় চড়তাম ?
-তা অবশ্য ঠিক !
-আসলে ঐ দিন আপনি যখন ঐ দিন রিক্সা শেয়ার করে যাওয়ার কথা বললেন সেদিন কেন জানি মনে হল আপনার সাথে যাই ! আই মিন আপনাকে আমার ক্ষতিকারক মনে হয় নি ! অবশ্য আমি....
মীরা কথা শেষ করলো না !
-চলুন যাওয়া যাক !

এরপর থেকেই মীরার সাথে নিয়মিত রিক্সা করে যেতে লাগলাম ! আমার দেরী হলে ও আমার জন্য অপেক্ষা করতো কিংবা ও দেরি করলে আমি অপেক্ষা করতাম ! কেবল যাওয়ার সময়ও না আসার সময়ও আমরা একসাথে আসতে লাগলাম ! মীরা এই রিক্সা ভ্রমনের সময় অনেক কথা বলতো ! ওর কথা, ওর স্বপ্নের কথা ! ওর পরিবাবের কথা !
মীরা একাই ঢাকায় থাকে ! হোস্টেলে থাকে ! নিজের খরচ নিজেই চালায় ! ওর বাসার অবস্থা খুব বেশি ভাল না !
আমি আমার কথা বলতাম ! এভাবেই দিন ভালই যাচ্ছিল !

একদিন মীরার জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু মীরা এল না ! প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও ও যখন এল না বাধ্য হয়ে চলে গেলাম । পরদিনও একই অবস্থা ! তারপর দিন যখন মীরার সাথে দেখা হল ওর চোখের নীচে কেমন কালো একটা দাগ পরেছে ! মনে হচ্ছিল যেন ও ঠিক মত ঘুমায় নি !

-এ কি অবস্থা আপনার ?
মীরা কোন কথা বলল না ! ওকে নিয়ে রিক্সায় চড়লাম !
আজকে মীটাকে কেমন একটু নিশ্চুপ মনে হল ! কোন কথা বলল না !
যাওয়ার সময়ও মীরা একদম চুপ করেই রইলো ! পরিবাগে নেমে আমাদের পথ আলাদা হয়ে যায় ! আজকে নেমে আমাদের যখন আমাদের আলাদা হওয়ার সময় এল তখনই মীরা আমাকে বলল
-আজকের পরে আমাদের আর দেখা হবে না মনে হয় !
-কেন ?
-কোন কারন নেই ! আসলে আমি মনে হয় একটু বেশিই স্বপ্নই দেখে ফেলেছিলাম !
-মানে কি ?
-কোন মানে নেই ! আসলে আমি তোমার পাশে বসে রিক্সায় যাওয়াটা ডিজার্ভ করি না !

মীরা আমাকে আপনি থেকে তুমি বলা শুরু করলো কখন ও হয়তো নিজেই জানে না ! মীরা বলল
-গত দিন আমি আমার আসল পরিচয় পেয়ে গেছি ! যখন......
-যখন ?
-কিছু না ! কেবল তোমাকে বলি আমাকে যেমন দেখায় আমি তেমন না ! আমাকে খুব খারাপ কিছু কাজ করতে হয় বেঁছে থাকার জন্য ! যা শুনলে তোমার ভাল লাগবে না !

কেবল এই কথা টুকু বলেই মীরা চলে গেল ! একবারও পেছন ফিরে তাকালো না ! আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না !


তরপর বেশ কিছু দিন মীরার কোন দেখা নেই ! ও মনে হয় টিউশনীটা ছেড়ে দিয়েছে ! আমার মন টা খারাপ লাগতো ! মনে হত মেয়েটার সাথে রিক্সায় চড়তে ভাল লাগতো ! এক সাথে সময়টা ভাল কাটতো !

আস্তে আস্তে ওর জন্য অপেক্ষা করা বন্ধ করে করে দিলাম ! কারো জন্য কোন কিচু থেমে থাকে না ! মীরার জন্য কিছু থেমে থাকলো না ! একা একাই আসতে লাগলাম ! হয়তো ওকে ভুলেই যেতাম যদি না আবার ওকে দেখতাম ! ওকে দেখে আমার খুশি হওয়ার কথা কিন্তু ওকে দেখার পর মনে হল হয়তো ওকে না দেখলেই ভাল হত !

সেদিন সকাল বেলা ক্লাসে যাবো বলে যেই না ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছি দেখি সামনের ফ্ল্যাট থেকে মীরা বের হচ্ছে ! আমাকে দেখে যেন ও ভুত দেখার মত চমকে উঠলো ! কিছুক্ষন বিমূর্ত হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো ! ওর নির্বাক চোখ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো এক ভাবে !
আমি কিছু বলতে গিয়ে বলতে পারলাম না ! সেদিনের সেই কথার অর্থ টা আজকে বুঝতে পারলাম ! আমি কিছু বলতে যাবো মীরা আমাকে সেই সুযোগ দিলো না ! দ্রুত সিড়ি দিয়ে নেমে গেল নিচে ! আমি কেবল ওর চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম ! ওর পিছু পিচু যেতে ইচ্ছা করলো না কেন জানি ! কেবল সেদিনের সেই কথা গুলো কানে বাজতে লাগলো !
বেঁচে থাকার জন্য মীরাকে খুব খারাপ কিছু কাজ করতে হয় ! খারাপ কিছু কাজ !
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×