somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ স্বচ্ছ জলে বিন্দুর ঢেউ (The Ring Of Bright Water) (গল্প শেষের পরের গল্প)

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের ব্যবসাটা শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে দাড়িয়েই গেল । দেশে এসে এতো পরিশ্রম যখন করেছি, তার ফল পেতে শুরু করেছি মনে হচ্ছে । আজকে একটা বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর সাথে ডিল হওয়ার কথা ! যদি ডিল টা হয়ে যায় তাহলে বলা যায় আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না । সেই জন্যই এতোক্ষন অপেক্ষা করছি এই রিসিপশনে ।

-ম্যাম আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন !
ফ্রন্ট ডেস্কের সামনেশাসি মুখে দাড়িয়ে থাকা আমার দিকে মেয়ের দিকে বলল কথা টা !

আমি একটা বড় নিঃশ্বাস টেনে উঠে দাড়ালাম ! কাচের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে গেলাম । দরজার ঠিক ওপাশের বসে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আমি একটু অবাক না হয়ে পারলাম না ! এতো বড় একটা পোস্টে বসে থাকা একজনকে আমি আরও বয়স্ক মনে করেছিলাম । কিন্তু মেয়েটা তো দেখি একদম .......
আমি আরও কয়েক মুহুর্ত মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে । প্রথম দর্শনে আমি মেনিলাকে চিনতে না পারলেও যখন চিনতে পারলাম তখন ছোট খাটো একটা ধাক্কার মত খেলাম ! বিশেষ করে ওর ঠোটের কোনে ছোট্ট তিল টা ওকে চিনিয়ে দিল ! তা ছাড়া আর কোন দিন দিয়ে ওকে আমি চিনতে পারছি না ! চেনার কোন অবস্থা ও রাখে নি !

ওর ধূসর চোখের মনিটা কালো হয়ে গেছে । নিশ্চয়ই চোখে কনট্যাক্ট লেন্স পরেছে । শেষ বার যখন ওকে শাড়িতে দেখলেও অন্যান্য সময় ওকে জিন্স আর টিশার্টেই দেখে অভস্ত ছিলাম ! চুপের রং আগে ছি বাদামী কিন্তু এখন পুরোপুরি কালো ! এই মেয়ে যে এই দেশী নয় কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় ! এই জন্য আমি ওকে চিন্তেই পারি নি !

আমাকে দেখে সেই ভূবন ভূলানো হাসি দিল । বুকের ভেতরে সেই অনুভুতিটা আবার যেন জেগে উঠলো মুহুর্তেই !
কেবল বলতে পারলাম
-তুমি ?
আমাকে আরও খানিকটা অবাক করে মেলিনা পরিস্কার বাংলায় বলল
-আমাকে চিনতে পেয়েছো ?
-তুমি ? এখানে কিভাবে ?
মেনিলা কোন কথা না বলে সামনে রাখা চেয়ার টার দিকে ইঙ্গিত করলো বসার জন্য ! আমি সেটাতে গিয়ে বসলাম । তখনও আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না ! এই মেয়ে এখানে কিভাবে এল ? আমার মাথায় তখনও বেশ কয়েকটা প্রশ্ন খেলা করছে ! মেনিলা কে এখানে এভাবে কিছুতেই আমি আশা করি নি !



বাকিটুক জীবন আমি বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম রাত্রির স্মৃতিতে ডুবে। মেনিলাকে সেদিন মিথ্যে বলেছিলাম। আমি ছোট বেলা থেকেই স্বপ্নে এক বিদেশীনীকে দেখতাম। ঠিক যেন মেনিলার মত। রাত্রির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে আমি আর তাকে দেখিনি। জীবনে কিছু অপূর্ণতা থাকে। থাকনা আমার জীবনটাও অপূর্ণ, অগোছালো আর অতৃপ্ত। সেরকম ভাবেই সব কিছু চলছিল !


দেশে এসে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম । সব কিছু ভুলে থাকার জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে শুরু করলাম । সারা দিন কঠোর পরিশ্রমের পর রাতে যখন বিছানার যেতাম ঘুম চলে আসতো সাথে সাথেই । দিন এভাবেই কাটছিল । তবুও মাঝে মাঝে রাত্রি চলে আসতো স্বপ্নের ভেতরে ! আসতো মেনিলাও । দুজন কে নিয়ে আমি মাঝে মাঝে বড় বেশ কনফিউজ হয়ে যেতাম !

রাত্রিকে নিয়ে সব থেকে বেশি দেখা স্বপ্ন টা ছিল সমুদ্রের পাড়ে ওর হাত ধরে হাটা ব্যাপার ! রাত্রিকে সমুদ্রের পাড় খুব পছন্দ ছিল । ও প্রায়ই আমাকে বলতো ওর স্বপ্নের কথা টা ! কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার ও কোন সমুদ্রের ধারে যায় নি ! আমি একদিন জানতে চাইলাম !
ও আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার সাথে যাবো বলে এখনও যাই নি । জানি জীবনের সব থেকে পছন্দের আকাঙ্খিত জিনিস টা আমি আমার সব থেকে কাছের মানুষটার হাত ধরে দেখতে চাই ! যেদিন প্রথম তোমার সাথে সমুদ্র দেখতে যাবো ঠিক সেদিন আমরা সারাদিন পানিতে দাপাদাপি করবো ! তুমি কিন্তু মানা করতে পারবে না !
আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম মেয়েটার দিকে । কত স্বপ্নই না দেখে রেখেছিল মেয়েটা আমাকে নিয়ে । অথচ কিছুই যেন পুরন হল না ।

স্বপ্নেও দেখতাম আমি রাত্রির হাত ধরে সমুদ্রের পাড়ে হাটছি ! ও মাঝে মাঝে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে পানিতে দৌড়ে চলে যাচ্ছে আমি ওকে আবার ধরে আনছি । বারবার বলছি যে তোমার ঠান্ডা লেগেছে । এখন পানিতে নামা যাবে না ।
ও বলছে কিছু হবে না । একটু যেতে দাও প্লিজ !

সব কিছু ভালই চলছিল বলা চলে । জীবন তার স্বাভাবিক গতিতেই সামনে এগুচ্ছিল । এদিকে আমারও বয়স বেড়ে চলল । আরও ভাল করে বলল আমার বিয়ের বয়স হতে চলল ! অবিবাহিত ছেলের মাদের যে চিন্তা আসা উচিৎ আমার মায়ের মনেও ঠিক একই চিন্তা এসে হাজির হল যাথা সময়ে !

মা রাত্রির ব্যাপার টা জানতো তাই প্রথম দিকে খুব বেশি উচ্চ-বাচ্চ করে নি আমার বিয়ের ব্যাপারে । কিন্তু দিন যতই এগুতে লাগলো মা আস্তে আস্তে আকারে ইঙ্গিতে আমাকে বোঝাতে শুরু করলো যে এখন আমার ঘরে একজন বউ আনা দরকার !

আমি এসব দেখেও না দেখার ভান করতে লাগলাম । ঠিক যেমন টা মেনিলার ভালবাসা বুঝতে পেরেও আমি চোখ বন্ধ করে ছিলাম ঠিক সেভাবে । কিন্তু আমার নিজের ব্যবসাটা ভাল মত দাড়িয়ে গেল তখন কোন ভাবেই মা কে আর আটকানো গেলো না । শত হলেও মা তো । তার উপর তো কিছুতেই জোর খাটানো যায় না ! আমাকে প্রায় জোর করেই মেয়ে দেখাতে নিয়ে গেল !

আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । কেমন করে আমার জীবনে অন্য একজন কে জড়াবো কিভাবে আমার স্মৃতির সাথে অন্য কাউকে এনে শরিক করবো কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না । ঠিক সেই সময় মেনিলা আবারও এসে হাজির হল আমার জীবনে !



মেনিলার অফিস রুমে আমি বসে আছি ! আমি তখনও অবাক হয়ে ওকে দেখছি । দেখে বোঝার উপায় নেই যে ওর বয়স বেড়েছে । ঠিক যেভাবে ওকে রেখে এসেছিলাম ঠিক তেমন ভাবেই ও রয়েছে । বরং আগের থেকে যেন একটু সুন্দর হয়ে উঠেছে ।
মেনিলা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি বদলাও নাই !
-তুমিও বদলাও নাই দেখছি ! তা এই খানে ? আমার দেশে ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না !
-তুমি বুঝবে না ! আরও ভাল করে বললে তুমি বুঝতে চাইবে না !

মেনিলা আসলে কি বলতে চাইছিলো আমি পরিস্কার বুঝতে পারছিলাম ! মেয়েটা এখনও আমাকে ভালবাসা ! মেনিলার চোখ এখনও চিৎকার করে আমাকে বলছে যে দেখো আমি তোমাকে ভালবাসি ! কেবল তোমাকে ! কোন ছেলে মানুষী আবেক নয় তোমাকে আমি ভালবাসি !

মেনিলা আমাকে বলল সে যে কোম্পানীটা তে চাকরী করে সেটার এখানে আমাদের দেশে একটা শাখা আছে । মেনিলা সেই শাখার কান্ট্রি হেড হয়ে এসেছে এখানে । আমার মোটেই বুঝতে অসুবিধা হল না যে মেরিনা কেন এখানে এসেছে !
কেন পুরোপরি বাঙ্গালী হয়ে এসেছে । সেই শুরু থেকেই মেনিলার আমাকে মুগ্ধ করার একটা চেষ্টা ছিল সব সময় । আমি কি পছন্দ কি কি করি না সব থেকে বেশি লক্ষ্য রাখতো সে ।

বলা বাহুল্য আমার নতুন কোম্পানীটার সাথে একটা নতুন ডিল সই হয়ে গেল । একদিন মেনিলাকে বাসায় নিয়ে এলাম । মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য । এরপর মেনিলার আসা যাওয়া বেড়ে গেল আমাদের বাসায় ! মায়ের সাথেও ভাব হতে খুব বেশি সময় লাগলো না । আসলে মেনিলা এমনই একটা মেয়ে যে যে কারো পছন্দ হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়িই । মায়েরও বুঝতে খুব বেশি দেরি হল না এই বিদেশীনী তার ছেলেকে ভালবাসে !

একদিন দুপুরে খেতে বসতে যাচ্ছি মা বলল
-একটু পরে বস !
-কেন ?
-মেনিলা কে আসতে বসেছি । এক সাথে বসি !
-ও আচ্ছা ।
আমি উঠতে যাবো মায়ের কি মনে হল আমাকে বলল
-ও আসার আগে তোর সাথে কয়েকটা কথা বলি !
আমি আবার বসে পড়লাম ।
মা বলল
-তো কি করতে চাচ্ছিস সামনে ?
-কেন যা করছি !
-দেখ না বোঝার ঢং করবি না ! আমি তোকে কি বলতে চাচ্ছি তুই ভাল করেই বুঝতে পারছিস !
আমি বুঝতে পারছি ভাল করেই । কিন্তু কি বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । চুপ করে থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করলাম । মা বলল
-দেখ, জীবন টা এভাবে কাটিয়ে দেওয়া যায় না !
-মা ! আমাকে আমার মত থাকতে দেও না !
-না ! আমি পড়ে পড়ে তোকে কষ্ট পেতে দেখতে পারি না ! জীবনে তুই কি কেবল তোমার ভালবাসা নিয়েই ব্যস্ত থাকবি ? তোকে যারা ভালবাসা তাদের কথা চিন্তা করবি না ?
-মা ! এই কথা কেন বলছো ? আমি কি কেয়ার করি না ?
-কেয়ার করলে আমার কথা কেন শুনিস না ? যে মেয়েটা তোর জন্য, কেবল তোর জন্য ২২ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এল নিজের পরিচিত ভুবন ছেড়ে অপরিচিত একটা জায়গায় এসে বাস কারতে লাগলো তার কথা চিন্তা করছিস না কেন ?
আমি চুপ করে রইলাম ! মা বলল
-দেখ, তুই কি মনে করিস রাত্রিও এইটা চাইতো ? ও যেখানেই আছে তোকে কষ্ট পেতে দেখে নিজেও কষ্ট পাচ্ছে ! আরও কিছু বলতে যাচ্ছোলো তার আগেই কলিংবেল বেজে উঠলো । নিশ্চয়ই মেনিলা চলে এসেছে । আমি নিজেই দরজা খুলে দিলাম ।

মেনিলা আজকে একেবারে বাঙালীর সাজে এসেছে । নীল পাড়ের একটা শাড়ি পরেছে । হাতে মেহেদী দেওয়া । চুলে বেলী ফুল দেওয়া । হালকা প্রশাধনীতে ওকে সত্যিই স্বর্গ থেকে নেমে আসা অপ্সরার মতই মনে হচ্ছে । আমাকে দেখেই সেই ভুবন ভুলানো হাসি দিল ! আমার বুকের ভেতরেই সেই পুরানো মোচড় টা দেওয়া শুরু করলো । পুরো সেই কথা গুলো, বিদেশের মাটিতে ওর সাথে কাটানো সব কিছু যেন আমাকে আবার মনে করিয়ে দিতে লাগলো । সেই সব সুখের স্মৃতি গুলো !

পুরো খাবার টেবিল জুড়ে মেনিলা যে আলো জ্বালিয়ে বসে ছিল । বাবা মা দুজনেই মেনিলার সাথে হেসে কথা বলছিল । আমার কাছে কেন জানি দৃশ্যটা খুব বেশি ভাল লাগলো !

আচ্ছা রাত্রি যদি উপর থেকে আমাকে দেখতে পায় তাহলে সে কোন টা চাইতো ?
তার স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে থাকা ?
নাকি মেনিলা যে কি না এই পৃথিবীতে এসেছেই আমার জন্য তার বাকি জীবন টা আনন্দে পার করা টা ? মেনিলার সাথে যদি আমার ভাগ্য লেখা থাকে তাহলে সেটা কি রাত্রির আনন্দের কারন নয় ?


খাওয়া শেষ করে মেনিলা মা'য়ের সাথে রান্না ঘরে চলে গেল সব কিছু পরিস্কার করতে । মা'য়ের শত বারণ শুনলো না ! আমি নিজের ঘরে এসে এসব চিন্তা করতে লাগলাম । কখন যে চোখ বুজে এল বুঝতে পারলাম না !


আবার সেই স্বপ্ন টা দেখতে পেলাম । সমুদ্রের পাড়ের টা । তবে রাত্রি আজকে দৌড়াচ্ছে না । আমার দিকে তাকিয়ে আছে চুপ করে । ও হঠাৎ আমাকে বলল
-তোমার আমাকে ভুলে যাওয়া উচিৎ !
আমি অবাক হয়ে বললাম
-সে কি কেন ?
-না হলে তুমি সুখে থাকতে পারবে না ! তোমার জীবন টা আমার সাথে লেখা নয়, কোন দিন ছিল না । অন্য কারো সাথে তোমার থাকার কথা ছিল । তুমি লাইন ভেঙ্গে আমার কাছে এসেছো ! এখন সময় এসেছে সব কিছু ঠিক করার !
-কিন্তু ....
-কোন কিন্তু না ! আমি আর আসবো না !
-না প্লিজ ! রাত্রি প্লিজ যেও না !
-তোমার জন্য অন্য কেউ অপেক্ষা করছে !
-যেও না .......
চোখের সামনেই দেখলাম রাত্রি হারিয়ে গেল । আমি ধরফর করে জেগে উঠলাম ! উঠে দেখি মেনিলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে !

-তুমি কি জানো ঘুমানো অবস্থায় তোমাকে কি চমৎকার লাগে ?
-একবার বলেছিলে ।
-আমি প্রতিদিন তোমার এই ঘুমন্ত মুখ টা দেখে ঘুম থেকে উঠতে চাই ! দিবে আমাকে সুযোগ টা ?
আমি কোন কথা না বলে মেনিলার দিকে তাকিয়ে রইলাম ! মেনিলার দেওয়া লাইটার জ্বালিয়ে দেখতাম মাঝে মাঝে । আমার কাছেই ছিল ! ও বলেছিল এটা জ্বালিয়ে এর শিখা দেখতে । আমি নাকি একটা মেয়ের ভালবাসার উত্তাপ বুঝতে পাবরো ! আজকে কেন জানি লাইটার টা না জ্বালিয়েই আমি সেই উত্তাম বুঝতে পারছিলাম ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ! মেনিলা বলল
-আজকে যখন তোমার আম্মা কি বলল জানো ?
-কি ?
-বলেছে .....।
-থাক ! আমি জানি কি বলেছে ।

আমি মেরিনার হাত টা ধরলাম !
সত্যি কি মেনিলা আমার স্যোলমেট হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছে !
লেটস সি !!


স্বচ্ছ জলে বিন্দুর ঢেউ (The Ring Of Bright Water) !
রিয়েল ডেমোন ভাইয়ের লেখা আমার সব থেকে পছন্দের একটা গল্প । কিন্তু যতবারই লেখা টা পড়ি, পড়া শেষে একটা অদ্ভুদ কষ্ট এসে বুকের ভেতর ভর করে । বারবার মনে হয় কেন রিক আর মেনিলা কষ্টে থাকবে ? জীবন কি তাদের এক করে দিবে না । আমি সারা জীবন হেপি এন্ডিংয়ের পক্ষে । তাই রিক ভাইয়ের চার পর্বে শেষ হয়ে যাওয়া গল্পের পরের পর্ব টা আমি লিখলাম নিজের মত করে । হ্যাপি এন্ডিং দিয়ে । সবাই সুখে থাকুক !


প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
শেষ পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×