ছবি গুগল
অনেকে পরমানু গল্প, ফ্লাশ ফিকশন পছন্দ করে না । তবে আমার কাছে এই ফ্লাশ ফিকশন গুলো বেশ চমৎকার লাগে । মাত্র দুই তিন লাইনের ভেতরে একটা পুরো গল্প পাঠকের মনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়াটা বেশ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ । এই জন্য আমি যেখানেই এই দুই তিন লাইনের গল্প গুলো পাই পড়ে ফেলি । বাংলাতে এর চল একেবারেই নেই বললেই চলে তবে ইংরেজিতে প্রচুর আছে । সেই রকমই কিছূ ফ্লাশ ফিকশন আজকে আপনাদের জন্য । আজে তেরোটা নিয়ে এলাম । সামনের দিনে আরও নিয়ে হাজির হব !
আমার অনুরোধ থাকবে দুই লাইনের গল্প গুলো পড়বেন আর কিছু সময় সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন । তাহলেই গল্পের মজা বুঝতে পারবেন আশা করি !
এক
মেয়েটি প্রতিদিন তার ক্লাস রুমে ডেস্কের নিচে একটা করে লাভ নোট পেত । প্রথম প্রথম তার খুব ভাল থাকতো কিন্তু তারপর সে লাভ নোট গুলো তার বেড রুমের পড়ার টেবিলের উপরে পাওয়া শুরু করলো !
দুই
একদিন রাতের বেলা মিমু হঠাৎ শুনতে পেল তার খাটের নিচ থেকে তার মা তার নাম ধরে ডাকছে । মিমু যখনই খাটের নিচে তাকাতে যাবে তখনই পাশ থেকে তার মা তাকে চেপে ধরে ফিসফিস করে বলল, আমিও শুনতে পেয়েছি ডাকটা !
তিন
আমার মনে হত প্রতিদিন আমার পিছু পিছু আসতো । আমি যেখানেই যেতাম এই অনুভূতিটা আমার হত খুব । তারপর একদিন সেই অনুভূতিটা বন্ধ হয়ে গেল । সেইদিনই পুলিশ আমার বাড়ির পেছনে একটা লোকের মৃত দেহ আবিস্কার করলো ।
চার
রাতের বেলা দাদীকে তার বিছানার পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখে নিশি একটু অবাক হল । দাদী হাসি মুখে নিশিকে বলল, ভাল থাকিস । নিশিও হাসি মুখে দাদীকে একই কথা বলল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিশি জানতে পারলো তার দাদী রাতেই মারা গেছে ।
পাঁচ
নিহারা প্রায়ই নিজেকে আয়নায় দেখতে একভাবে । কিন্তু একদিন সে দেখতে পেল তার আয়নায় প্রতিবিম্ব তার দিকে তাকিয়ে মৃদু ভাবে হাসছে । তারপর থেকে নিহারা আর কোন দিন আয়নার সামনে যায় নি ।
ছয়
ঘুম থেকে উঠেই আমি নিজের ফোন চেক করি সব সময় । আজও ঘুম থেকে উঠে ফোন চেক করতে গিয়ে দেখি আমার ফেসবুকে আমার একটা ঘুমন্ত ছবি পোস্ট করা হয়েছে ঘন্টাখানেক আগে । আমি বাসায় একা থাকি !
সাত
রিমু প্রতি রাতে খুব কাঁদে । মেয়ের কান্না সাদিয়ার একটুও ভাল লাগে না । প্রতি রাতেই সাদিয়া রিমুর কবরের কাছে গিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে । কিন্তু রিমুর কান্না থাকতেই চায় না ।
আট
জানলায় মৃদুর ধাক্কার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গলো । জানালার কাছে গিয়ে আমি আবিস্কার করলাম যে আওয়াজটা জানালা থেকে নয়, পাশের ওয়াল মিররের ভেতর থেকে আসছে !
নয়
আমি মাঝে মধ্যেই দেখি আমার জানলা দিয়ে একটা বা্চ্চা ছেলে উকি দেয় । আমি তাকাতেই সে তার মাথা নিচু করে ফেলে । আমি ১৫ তলায় থাকি ।
দশ
রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ আমার স্ত্রী আমাকে বলল যে আমি এতো জোরে জোরে নিঃশ্বাস কেন নিচ্ছি । অথচ আমি খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম ! একটু পরে অন্ধকার ঘরে আমিও জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনতে পেলাম ।
এগারো
ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে এলাম । অন্ধকারে ঘরে সুইট টিপতে গিয়ে আবিস্কার করলাম আরও একটা আঙ্গুল সুইচের উপরে আগে থেকেই রয়েছে । আঙ্গুলের উপর আঙ্গুল পড়তেই সে হাত সরিয়ে নিল দ্রুত ! আমি বাসায় একা থাকি !
বারো
শীতের শুরুতে প্রায়ই লেপের নিচ থেকে এক পা বাইরে বের করে রাখতো সুমন । তারপর একদিন রাতে আবিস্কার করলো বের করে পায়ে কে যেন স্পর্শ করছে । আর কোন দিন পা বাইরে বের করে নি সে !
তেরো
আমার স্ত্রী রাতের বেলা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলল যে বাসায় কেউ ঢুকেছে । দুই বছর আগে এই রকম ভাবেই একজন ডাকাত বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল ।
প্রতিটি গল্পের মুল ওয়াটপ্যাড সাইট থেকে সংগ্রহ করা । বাংলাতে নিজের মত একটু মডিফাই করে লেখা হয়েছে !
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭