somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নৈতিকতার পরাজয় - বর্তমান সময়ে মানুষের নির্লজ্জতা

১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যেহেতু মানুষ তাই আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা নানান সময়ে ভুল করে ফেলি । এই ভুল তখনই অন্যায়ে পরিনত হয় যখন একই কাজ আমরা বারবার করি এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে করে থাকি । এই ভুল বা অন্যায়কে মানুষ চাইলেই সংশোধন করতে পারে । কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি আমি সেইটা করতে ইচ্ছুক কিনা !

আমাদের সমাজে দুই ধরনের মানুষকে আমরা দেখতে পাই সব সময় । আগেই বলেছি মানুষ ভুল করবে, সেই ভুল বারবার করে কেউ অন্যায়ও করবে । অনেক সময় দেখা যায় সে এই অন্যায় করছে সে নিজ থেকে বুঝতে পারছে না যে সে অন্যায় করছে । যখন তাকে সেই অন্যায়টা ধরিয়ে দেওয়া হবে তখন, এক হতে পারে সে নিজের ভুল/অনয়ায়টা বুঝতে পারবে এবং নিজ থেকে সেটা সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহন করবে । অন্তত চেষ্টা করবে সেই অন্যায় থেকে বের হয়ে আসতে । অন্য দিকে অন্য দলটা হচ্ছে আপনি যখন তাদের ভুল/অন্যায়টা ধরিয়ে দিবেন তখন সেটা তো তারা সংশোধন করবেই না বরং আপনাকে তাদের শত্রু মনে করবে । আবার যদি নিয়ম কিংবা আইনের কারণে সেই অন্যায় থেকে তারা বিরতও থাকে মনে মনে তারা কখনই এটা মেনে নিতে পারে না । এবং যারা অন্যায়টাকে ধরিয়ে ধরিয়ে ছিল তাদেরকে নিজেদের শত্রু হিসাবেই দেখা শুরু করবে । তাদের মনভাবটা এমন যে আমি যত অন্যায়ই করি না কেন তুমি বলার কে? কেন বলবে !

সামুতে কপি পেস্ট নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে । এটা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই । তবে সেই অনেক কিছু হওয়ার পর থেকে আমি একটা ব্যাপার সব সময় খেয়াল করে দেখা শুরু করেছি যে যাদের যাদের নাম সেখানে এসেছিলো তাদের প্রায় সবাই নিজেকে সংশোধন করেই নিয়েছেন । এবং আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি যে তারা অন্তত এই টুকু স্বীকার করেই নিয়েছেন যে তাদের ঐকাজটা ভুল ছিল ! একটু আগেই বলেছিলাম সমাজে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে । তারা প্রথম দলে পড়েন । সত্যি বলতে কি এই ভুলটা কে মেনে নেওয়া, এই গুণটা অনেক বড় একটা গুণ ! এটা যারা করেন, করতে পারেন তারা কোন সন্দেহ নেই ভাল মনের মানুষ ! কিন্তু সেই সাথে সমাজে দ্বিতীয় আরেকটা দলও রয়েছে যারা নিজেদের ভুল ধরিয়ে দেওয়াতে সেটা মেনে নিতে বাধ্য হলেও নিজের মন থেকে সেটা কখনই স্বীকার করেন না । নিয়ম আইনের কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয় সেই ভাবে । অর্থ্যাৎ এখনও তারা এটা ভেবে বসে থাকেন যে তাদের কোন ভুল ছিল না । এবং তাদের এই মনভাব প্রকাশ পায় তাদের আচরন এবং মন্তব্যের মাধ্যমে ।



এই ধরনের মন্তব্যটাই যে আজকে প্রথম সেটাও কিন্তু না । এটা শুরু হয়েছে সেই শুরু থেকেই । এই ধরনের মন্তব্য আমাদের পুরো সমাজের চিত্র তুলে ধরছে। যেহেতু আমাদের ব্লগটাও সমাজের একটা অংশ উপস্থাপন করে সেহেতু এখানেও আমরা সমাজের একটা চিট্র ঠিক ঠিক দেখতে পাবো ! সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজের অন্যায়কে সংশোধন করবে না শুধু মাত্র নিজের জেদে । কেবল মাত্র ইগোর কারণে । উপরে দেওয়া মন্তব্য সেটার একটা দিক প্রকাশ করেছে বেশ ভাল ভাবেই। মন্তব্যটা কিন্তু এই কারণে করা হয় নি যে সে আসলেই সামুতে কপিপেস্ট নিয়ে চিন্তিত, কিংবা সে চাচ্ছে সামুটে কপিপেস্ট বন্ধ হোক । নুন্যতম শিক্ষা থাকলে কেউ এই লাইনের জন্য কপি পেষ্ট হিসাবে দোষারপ করবে না । মন্তব্যটা করা হয়েছে কেবল মাত্র নিজের এই মনভাব থেকে তাকে এক সময়ে কপি পেস্টের দোষে দোষারোপ করা হয়েছিলো । সেই সাথে এখন সে আর এমন কিছু করতে পারছে না । এই অন্যায় না করতে পারা একটা রাগ একটা হতাশা সেই হতাশা থেকেই এই ধরনের মন্তব্যের আগমন ঘটেছে ! এবং এমন মন্তব্য কিন্তু প্রথমবার নয় ! এর আগেও আরও অনেকের পোস্টেও ঠিক একই ভাবে মন্তব্য এসেছে । কদিন আগে মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের পোস্টেও ঠিক এমন মন্তব্য ছিল । এবং এটা চলতেই আছে । তারও আগে আরও অনেকের পোস্টেই ঠিক একই ভাবে একই ধরনের মন্তব্য এসেছে !

আরও একটা মন্তব্য খেয়াল করে দেখি ।



যে কোন ব্লগারের মন্তব্যের ভাষা এবং শব্দ চয়ন খেয়াল করলেই আসলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় মন্তব্যটা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে । এছাড়াও ঐ সময়ে পোস্টের পর পোস্ট এবং কবিতার পর কবিতা এসেছে কেবল নিজের এই জেদ কিংবা ইগোর কারণে । কেবল মাত্র ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কারণে । এই ইগো এই জেদ, বিদ্বেষ, এসবের শেষ কোথায় ?

আমি আসলে হতাশ । আর কিছু না । কোন অভিযোগ নয়, কোন রাগ থেকেও নয় ! আমি কেবল হতাশ । প্রথম প্রথম যখন এই ধরনের মন্তব্য আমি যখন দেখতাম তখন মনে হত যে যাক হয়তো খানিকটা মন ক্ষুন্ন হয়েছেন । হতেই পারেন । সময়ের সাথে তা ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু এতোদিন পরেও যখন আর সেটা ঠিক হয় নি তখন মনে হচ্ছে যে আসলে এই ব্যাপারটা কখনই ঠিক হওয়ার নয় না । একজন মানুষ পুরো পার করেও যখন এমন আচরণ করেই যান তখন তাকে কি বলা উচিৎ আমার জানা নেই ! বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে এই মনভাব আসলে কোন ভাবেই বদলানো সম্ভব না ।
মানুষ জনের আচরণে আমি সহজে হতাশ হই না । কারণ সব সময় তাদের কাছ থেকে সব থেকে কম আশা করেই আমি থাকি । কিন্তু যখন দেখা যায় সেই মানুষটা সেই ন্যূনতম কাজটাও করছেন না তখন প্রথমে রাগ-বিরক্তি, পরে হতাশাই আসে !

ব্লগ টিম আশা করি আমার এই হতাশা প্রকাশটাকে ক্ষমা সুলভ চোখে দেখবেন । এক জিনিস যখন বারংবার চোখের সামনে দেখতে পাই তখন চুপ করে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে যাই ! মাঝে মাঝে তাই হতাশা বের হয়ে আসে !
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×