যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা (৩০ ও ৩ লাখ) নিয়ে বিতর্ক করতে চান, তারা যদি তথ্য দিয়ে তর্ক করতে চান তাহলে আপনার কেবল পিনাকি মিয়ার লেখা পড়লেই চলবে। আপনি পিনাকির লেখা পড়েই শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখের পক্ষে শক্ত পোস্ট লিখতে পারবেন এবং আপনি এই পিনাকির লেখা পড়েই শহীদের সংখ্যা ৩ লাখের পক্ষেও শক্ত পোস্ট লিখতে পারবেন! এ এক এমনই তেলেসমাতি ব্যাপার। পিনাকি ভার্সেস পিনাকি!
২০১৩/১৪ সাল এবং তার আগে পিনাকির লেখাগুলো পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন যে তখন শহীদের সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ। এই সংখ্যার পেছনে সে নিজেই অনেক যুক্তি তর্ক দেখিয়েছে। এই সামুতেই সেই পোস্ট আছে। এই রইলো লিংক
সেই পোস্টের প্রথম লাইনটাই দেখেন কী লেখা - জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়। অথচ আজকে সে নিজেই জামাতের অনলাইন উজিয়ে আজম। জামাতের সব চেয়ে প্রিয় বান্দা।
পোস্টটা সম্পূর্ণ পড়ে আছেন। বিশেষ করে যারা পিনাকি মুরিদ আছেন তারা অবশ্যই পড়ে আসবেন।
পিনাকি বেশ কিছু বইপত্র লিখেছে। তার ভেতরে একটা বই হচ্ছে স্বাধীণতা উত্তর বাংলাদেশ। এই বইটা আমার কাছে আছে। এই বইটা আমার হাতে আসে ২০২১ সালে। বইটার প্রচার আমি দেখেছি আরও বছর দুয়েক আগে থেকে। বইটা লিখতে বেশ খাটাখাটনি হয়েছে। অনুমান করতে পারি যে বইটা সে ২০১৭/১৮ সাল থেকে লেখা শুরু করেছে। এখন এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। এই বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে সে এই শহীদের সংখ্যা নিয়ে লিখেছে। এবং মজার ব্যাপারটা হচ্ছে সে এই বইটা ৩০ লক্ষকে অপতথ্য হিসাবে প্রমানের চেষ্টা করেছেন।
এবার একটা ব্যাপার ভাবার চেষ্টা করেন। যে লোক নিজেই শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখের পেছনে যুক্তি দিয়ে পোস্ট করেছে, মাত্র ৪/৫ বছরে পরে সে নিজের বয়ান বদলে সেটা ৩ লাখের পেছনে যুক্তি দেওয়া শুরু করেছে।
আর গতকাল সে সম্ভবত এই শহীদের সংখ্যাকে ২০ হাজার উল্লেখ করেছে তার ভিডিওতে। আমি যদিও তার ভিডিও দেখি নি তবে সোস্যাল মিডিয়াতে কিছু স্ক্রিনসট ঘুরে বেড়াতে দেখলাম।
এখন যে লোক গত নয় বছরে নিজের বক্তব্যই তিন বার বদলায়ে ফেলে তাকে আপনারা কী বলবেন? তার কথা আপনারা রেফারেন্স হিসাবে কিভাবে ব্যবহার করবেন? তার কাছ থেকে ইতিহাসের পাঠ নেওয়া বলদামি নয় কি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



