একটা মজার জিনিস চোখে পড়ল । ভেবছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে রাখব তবে তার আগেই দেখি মডু সেই মন্তব্যটা মুছে দিয়েছে। যাই হোক সোনা মিয়া এক মন্তব্যের আমাকে বলেছে কুত্তালেজ বিশারদ । ভাল সে অলতেই পারে। এখন একজন সেই শব্দটার ব্যাপারে কৌতূহল হলে জানতে চেয়েছে এমনটা বলার কারণ কী?
উত্তরে সোনা মিয়া বলল, সে (মানে আমি) আমাকে (মানে সোনা মিয়া নিজে) নিয়ে কয়েকটা পোস্ট লিখেছে। তাই আমি তাকে এই নাম দিয়েছি।
এখন একটা ব্যাপার বুঝেন। আমি যদি কোন বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখি তাহলে কেউ আমাকে সেই বিষয়ের বিশারদ আক্ষা দিতে পারে । আমি আলু নিয়ে পোস্ট লিখি মানুষ আমাকে আলু বিশারদ ডাকতে পারে । এখন আমি পোস্ট লিখেছি সোনা মিয়াকে নিয়ে তাই সোনা মিয়া আমাকে কুত্তার লেজ বিশারদ উপাধী দিয়েছে !
ব্যাপারটা কি বুঝতে পারছেন আপনারা?
সোনা মিয়া নিজেই যে নিজেকে কুত্তার লেজের সাথে তুলনা করে ফেলল সেটা হয়তো সোনা মিয়া নিজেও জানল না । অথবা আরও ভাল করে বললে তার মগজে এই জিনিস ধরতেই পারবে না।
মন্তব্যটা দেখে বেশ কিছু সময় হাসলাম । স্ক্রিনশট নিয়ে রাখা দরকার ছিল ।
যাই হোক আরেকটা কথা দিয়ে এই লেখা শেষ করি । আমি বেশ কয়েকদিন আগে কুকুরের লেজ কি সোজা হয় এই শিরোনামে একটা পোস্ট লিখেছিলাম । পোস্টটা মুলত ছিল তারই এক সাগরেদকে নিয়ে । কুকুরের লেজ যেমন করে সোজা হয় না তেমনি ভাবে কপিপেস্টটার কোন দিন ঠিক হয় না । কতবার যে ধরা খেয়েছিল শাস্তি পেয়েছিল তারপরেও সে সোজা না হয়ে আবারও লেখা কপি করে পোস্ট করেছিল । সেই সময়ে মডারেটর আমার কাছে জানতে চেয়েছিল এমন পোস্ট কেন লিখলাম । আমি তাকে কারণ সহ ব্যাখ্যাও করেছিলাম এবং সেই পোস্ট সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল। এখন আমার এই পোস্ট দেখেই সোনা মিয়া একেবারে পাগলা কুকুরের মত লাফাতে শুরু করে দিল । ভেবেই নিল যে পোস্ট বুঝি তাকে নিয়েই পোস্ট লিখেছি। বুঝেই নি যে নিজেই নিজেকে কুকুরের লেজের মত মনে করে আমি আর বাইরে থেকে কী বলতে পারি ।
তবে একটা ব্যাপার সত্যি যে সোনা মিয়ারে আমার থেকে ভাল কেউ চিনে না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬