সংঘর্ষ শুরু হয়েছে । পুলিশ আর ছাত্র জনতার মধ্য ধাওয়া পাল্টা চলছে । এরই ভেতরে দেখা গেল দুই বৃদ্ধ তাদের মাঝে আরাম করে বসে আছেন । একজন আরেকজনকে বলল, কী ভাই আক্রমন করবেন না? দ্বিতীয়জন বলল, আরে দাড়ান ভাই, একজন ব্লগার আসবে এই মারামারি দেখতে । তাকে শুনিয়ে আমরা এখন পাকিস্তানের নাম নিব । তারপর যাব একশানে ! আমাদের মুখে তখন এই দেশের বিরুদ্ধে একটা ঘৃণা থাকবে । আপনি কিন্তু ঘৃণা ফুটিয়ে তুলবেন । নয়তো কাজ হবে না । মারামারি চলছে চলুক । আমাদের মুখের এক্সপ্রেশন যেন ঠিক থাকে।
সম্ভবত ঘটনা এমনই কিছু ঘটেছিল । নয়তো সেই মারামারির ভেতরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ এসবের বিরুদ্ধে ঘৃণা ঝড়ে পড়ার ব্যাপারটা সাধারণ কারো চোখে পড়ার কথা না !
আচ্ছা আপনারা কখনো সম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনে গেছেন? কিংবা জীবনে সংঘর্ষের ভেতরে পড়েছেন?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলনের সময়ে আমি সেখানে সক্রিয় ভাবে একদিন মাত্র গিয়েছিলাম। মাত্র একদিন । পুলিশের টিয়ারশেলের সামান্যতম অংশ আমি অনুভব করছিলাম। আপনি যদি সাধারণ কেউ হোন এবং আপনার যদি আগে থেকে এসবের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে তাহলে যখন পুলিশ কিংবা প্রতিপক্ষে ধেয়ে আসবে এবং আপনি নিরস্ত্র, হাতে কিছু নেই, তখন আপনার দিকবিদিগ জ্ঞান থাকবে না । কে কি বলল আর কে করল এসবের হুস আপনার থাকবে না। আপনার মস্তিস্ক কেবল নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাওয়ার বলবে আপনাকে । অন্য কোন কিছু আপনার মাথাতেই আসবে না। যারা কোন দিন এটার মাঝে পড়ে নি তারা কখনই এটা টের পাবে না। একই ঘটনা যদি আপনি সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যান তখন আপনার পালানোর জন্য মস্তিস্ক পর্যন্ত ঠিক মত কাজই করবে না ! আর আমাদের ব্লগার সাহেব এই সংঘর্ষ টিয়ালের সেলের মাঝে দাঁড়িয়ে মানুষের মুখের এক্সপ্রেশন ভাষার এক্সপ্রেশন পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন ! সেই চাপা তিনি আবার ব্লগে মেরেছেন এবং কিছু রাম পাঠা দেখি সেটা বিশ্বাসও করেছে !
দেশে কে সংহিংসতা করেছে সেটা যদি সুষ্ঠ তদন্ত আদৌও হয় তাহলে বের হয়ে আসবে । ছাত্রদের সাথে আসলেই তৃতীয় পক্ষ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে কিনা সেটাও বের হয়েই আসবে । কিন্তু এই আমি ছিলাম আমি দেখেই এসব, এই টাইপের চাপাবাজি বন্ধ হোক ! দালালী বন্ধ হোক ! অবশ্য যে কসাই মোদীর ভক্ত হতে পারে, যে ইসরায়েলের পক্ষ নিতে পারে সে যে দালালী করবে এটাই তো স্বাভাবিক !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


