somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাস্তাঘাটে চলতি পথে - ২

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ঘটনা - ১

বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছি । প্রতিদিনের মত ই বাসে উঠলাম । বাস পুরো সিটিং । কন্ডাক্টার গেটলক করে ফেলেছে । কয়েকজন দৌড়ে আসল । এসেই গেটে বাড়ি দিচ্ছি । কিন্তু কন্ডাক্টার তো গেট খুলবে না । সে পুরো চিপায় আছে । গেট খুললে বাসের ভিতরের লোকজন চিল্লাবে । আমিও চিল্লাব । আবার বাইরে থেকে গালি খাচ্ছে । এটাই বোধহয় আসল মাইনক্যা চিপা ।

তবে সত্যি যদি বলি বাইরের লোক গুলো দেখছে গেট লাগানো তারা চিল্লাচিল্লা না করে স্ট্যান্ডে যেতে পারে । কিন্তু কষ্ট করে দুই কদম হেটে যাবে না । কেন যাবে না আমার মাথায় আসে না । আরে ভাই বাস তো দুই মিনিট পর পর আছে । তাছাড়া অনেকেই আছে দেখি বাসের গেটের উপর লাফিয়ে পরেন । ভাই আপনার তাড়া থাকলে একটু তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হতেন । কিন্তু সেটা তো হবেন না । বাসার রাগ এসে সব চাপাবেন বাসের উপর সেটা তো হবে না ।

আর আপনি গালি দিয়ে তো নিজের ক্ষতি করলেন । ওই কন্ডাক্টারের কিছুই হবে না । বরং লোকজন আপনার দিকেই তাকিয়ে থাকবে । তাই গালি গালাজ না করে নিজেকে একটু পরিবর্তন করে নিন ।

ঘটনা - ২

অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছি । কোন বাস নেই । দাঁড়িয়ে আছি সাইন্সল্যাব । চিন্তা করছি কি করা যায় । হেটেই যাবো নাকি ভাবছি । সেদিন আবার ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি । মানে পহেলা ফাল্গুন । মজার বিষয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাপল দেখতে ভাল ই লাগছিল । রিকশায় করে জোড়ায় জোড়ায় যাচ্ছে । একবার ভাবলাম বই মেলায় যাই । তবে সারাদিনের অফিসের পর ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাস শেষ করে আর ইচ্ছে হলো না ।

আমার সামনেই এক জোড়া দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছে । ভাবলাম সময়টা একটু মজার করা যাক । দু পা পিছিয়ে আসলাম । বাদাম কিনলাম পাঁচ টাকার । দেখতে থাকলাম তারা কি করে । অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে বাসে উঠার । কিন্তু কোন বাস তো গেট খোলা নেই আবার যেসব বাসের গেট খোলা সেগুলোতে দাড়াবার জায়গা নেই । তারা প্রায় আধা ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে দাঁড়িয়ে আছে । মেয়েটা বিরক্ত । শেষ কি বলব বুঝলাম না । একটু রেগে গিয়েছে ।

একটু হাসি আসল । ছেলেটার জন্য কষ্ট লাগল । বেচারা বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে । মোবাইলে কল করল দেখলাম মনে হয় উবার বা পাঠাও । মেয়ের চেহারাতে বিরক্তির শেষ সীমানায় পৌছে গিয়েছে । আজ ছেলের খবর আছে । মেয়ে বাসায় গিয়েই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে । মেয়েটা উত্তেজিত হয়ে কি কি জানি বলছে আমি দূর থেকে দেখছি । সে যাই হোক শেষ পর্যন্ত তারা একটা রিকশায় চলে গেল । প্রথমে মেয়েটা ছেলেটাকে উঠতে দিতে চায়নি । তারপর ঠিকই উঠিয়েছে ।

আমি ওখানে প্রায় আরও আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম । শেষে একটা বাসে উঠতে পেরেছি । বাসে উঠে ভেবেছি মেয়েটার হয়ত বাসায় প্রব্লেম ছেলেটার উচিত ছিল মেয়েটাকে তাড়াতাড়ি বাসায় পৌছে দেয়া । এটা তার দায়িত্বের অন্যতম । কারন একটা মেয়ে সময়মত বাসায় না পৌছালে কি পরিমান চিন্তা হয় তা আমার চেয়ে ভাল কেউ জানে না । কারন আমার ঘরেও একটা মেয়ে আছে ।

ঘটনা - ৩

আমি অফিস থেকে প্রায় হেটে ঝিগাতলা পর্যন্ত আসি । এটা আমি প্রায় করি । হাটতে আমার ভাল লাগে । চারপাশের অবস্থা দেখতে দেখতে হাটতে ভালই লাগে । অনেক কিছু ই দেখা যায় । মজার দুঃখের আনন্দের কষ্টের সব কিছুই ।

সেদিনও হেটে ঝিগাতলা আসলাম । দেখি ইয়োলো এর শো রুমে মানুষ লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে । এত মানুষ সচরাচর থাকে না । তাও লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে । ব্যাপারটা মজার আবার ভাবলাম এখন তো ঈদ ও না যে এত মানুষ শপিং করবে । এটা জানি বাংলাদেশের মানুষের টাকার অভাব নেই । সবাই তো আমার মতো না ।

যাইহোক পরে জানলাম যে ছাড় চলছিল । ব্যাপারটায় আমি বেশ অবাক হলাম । ছাড় দিয়েছে তো কি হয়েছে । এজন্য এত লোক আসবে । ছাড় তো সারা বছর ই চলে । এই দুই দিন আগেই দেখলাম ছাড় চলছে । তাহলে কি একটার সাথে পাঁচটা ফ্রী অফার চলছিল । আর আমরা তো আছি ফ্রী শুনলেই দৌড়দেই । অথচ এটাও যে বিজনেস সেটা তারা জানে না ।

এই ফ্রী হচ্ছে গোডাউন ক্লিয়ারেন্স । যা বিক্রি হচ্ছে না বা গোডাউন এ পরে আছে ফেলে দেয়ার চেয়ে কিছু টাকা লাভে বিক্রি করে দিলে তো কিছু তো লাভ হবে । তাই ফ্রী শোনার সাথে সাথেই দৌড় না দিয়ে ভাবুন ।



( অফিসের কাজে এতই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি যে ব্লগে আসতে পারিনা । সামনে একটা মেলা আছে সবাইকে আমন্ত্রন জানালাম । কাল থেকে তিনশ ফিটে শুরু হবে ।)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×