ক্লাস ফাইভে থাকতে কুংফু নামে সত্যিই একটা মুভ্যি দেখেছিলাম ছোটমামার সঙে। হিরোর কর্মকাণ্ড জটিল। সে গরম বালুতে হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে, আরো নানান কসরত। কলেজে উঠে চিনলাম ব্রুস লিকে। এন্টার দ্য ড্রাগন এল বলাকায়। বিশাল এক মারামারি হয়েছিল এই সিনেমা দেখতে গিয়ে। এরপর আমি পাংখা। মঞ্জু ভাইর কাছে ক্যারাটে শিখতাম। ওনারই ছোটভাই নাজমুলের কাছে শেখা শুরু করলাম নানচাকু। কয়েকদিন বাড়িবুড়ি খেয়ে বাদ দিলাম অবশ্য। তবে ব্রুস লি আমার মননে তখন পুরোদস্তর সুপার হিরো। দড়ির মতো পেশী নিয়ে লিকলিকে একজন শুইয়ে ফেলছে পুরা ঝাক। জটিল মানে জটিল। একে একে ফিস্ট অব ফিউরি, বিগ বস, গেম অব ডেথ।
ক'দিন আগে একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম তার ওপর। সেখানে জেনেছি লি ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতেন। ছিলেন ব্যালের ছাত্র আর পিএইচডি করেছেন দর্শনের ওপর। ইয়াহুর পোস্টটা পড়ে জানলাম গতকাল ছিল তার জন্মদিন, বেচে থাকলে ৬৫ হতো তার বয়স। ব্রুস লির মৃত্যু অমিমাংসিত এক রহস্য। কেউ বলে ড্রাগ ওভারডোজ। কেউ বলে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাকে। তার ছেলে ব্রেন্ডন ও অপমৃত্যুর শিকার। যাক ভক্তরা অবশেষে হংকংয়ে তার ব্রোঞ্জের একটা মূর্তি তুলেছে গতকাল। একই কাণ্ড নাকি হয়েছে বসনিয়াতেও। ভালো লাগল জেনে। মার্শাল আর্টকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া 'বিগবস' আজীবন এমনি থাকবেন তার শতকোটি ভক্তের চেতনায়। হ্যাপি বিলেটেড বার্থ ডে
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



