ধর্ম কি চায়? জঙ্গীবাদ নাকি মানবতা!!!
কোনটা বেশি উর্ধ্বে?
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সবার মাঝেই যে এক বিরূপ আতঙ্ক কাজ করছে, হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও সমসাময়িক এই বিষয়টির একটি ইম্পর্টেন্ট পজিটিভ সাইড আমার ভাল লেগেছে, আর তা হলঃ
ডিজিটাল এবং টেকনোলজিক্যালি বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের সম্পর্কগুলোও কেমন জানি ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছিল দিনদিন, সবাই যেন এতই ব্যাস্ত জীবন কাটাচ্ছি যে, কেউ কারও খোঁজ নেওয়ার সময়টুকুও মেলাতে পারছি না। হঠাৎ একদিন শুনা যায়, প্রিয় অমুক ব্যাক্তিটি নাকি জঙ্গী। এত অনিশ্চয়তার মাঝে এই জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসবাদ এর মত এমন জটিল একটি ইস্যু আমাদের সম্পর্কগুলোকে আবারও নতুন করে ভাবিয়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে।
এই ধরুন; সব পরিবারের ছেলে মেয়েদের প্রতি অভিভাবকদের নতুন করে ভাবার সুযোগ এসেছে, বন্ধু-বান্ধবীদের মাঝে সম্পর্ক গুলোকে নতুন করে পরিশোধিত করেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্টান কেন্দ্রিক কলিগদের মাঝেও একে অপরের খোঁজ খবর নেওয়ার প্রবনতা আরও বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা আমার ভাল লেগেছে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্র, শিক্ষক, আর অভিভাবকদের মধ্যে নতুন এক সম্পর্কের বন্ধন রচনা হয়েছে। এত সব কিছুর সচেতনতা আর প্রস্তুতির মূল উদ্দ্যেশ্য একটাই, আপনার বা আমার ভাই, বোন, ছেলে, মেয়ে, ছাত্র, এমনকি কোন শিক্ষক বা কলিগও সন্ত্রাসী বা জঙ্গী গোষ্টির সাথে সম্পৃক্ত কিনা তা যাচাই বাছাই করে নেওয়া। আমরা কেউই চায় না, আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসী বা জঙ্গী গোষ্টি পালিত হোক। যে যতই বলুক, আসলেই জঙ্গীদের কোন ধর্মই নেই, মানুষ হত্যা আর মানবতা বিনষ্ট করাই তাদের মূল উদ্দ্যেশ্য। এটা হল ধর্মের নাম দিয়ে ইসলামকে জঙ্গী আর সন্ত্রাসী প্রমান করার এক গভীর ষড়যন্ত্র।
আসুন সবাই আমরা এক হয়। নিজ নিজ ধর্ম থেকে সঠিক শিক্ষাটি নিয়ে সমাজ বিনির্মাণে অগ্রদূত হয়।
আপনার আমার সচেতনতাই পারে, সমাজকে এগিয়ে নিতে।
জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসবাদকে না বলি। নৈতিকতা পূর্ন সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।।