সকল ভাষা-শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং নারীদের প্রতি সম্মান রেখেই আমার এই লেখা
সরকারি সবকিছুই এখন দেখি কোটা জ্বরে আক্রান্ত। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সবখানেই ভর্তি, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বিরাজমান। মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড় কোটা, নারী কোটা, পোষ্য কোটা........ কোটা আর কোটা। এইরকম কোটা দেখলে আরও কিছু কোটার প্রচলন ঘটানোর জন্য আমার মন উদগ্রীব হয়ে উঠে, যেমনঃ ভাষাসৈনিক কোটা, গনঅভ্যুত্থান কোটা, হিজড়া কোটা, ছাগু কোটা, ভাদা-পাদা কোটা........।
আমার বক্তব্য হচ্ছে আমাদের(!) সরকার শুধু ভর্তি-নিয়োগের সময়ই এদের প্রতি এতো শ্রদ্ধাশীল হয়ে যায় কেন? এতই শ্রদ্ধা যদি তাদের মাংসভরা গায়ে থেকে থাকে তাহলে সবার আগে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা, ভালো খেলোয়াড়দের মৌলিক অধিকারগুলোর প্রথম ৪ টিঃ অন্ন, বস্ত্র, বাস-স্থান ও চিকিৎসা আগে নিশ্চিত করুক। তারপর শিক্ষার দিকে মনোযোগ প্রদান করুক। নিশ্চিন্তে থাকুন আপনারা, এইসব হবে না, কারণ একটাই, যতদিন কোটা জীবিত থাকবে ততদিন মন্ত্রী-আমলাদের গায়ে-গতরের মাংস প্রসারিত হবার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরাও নাকি কোটার সুবিধা পাবে।
এইগুলো কি বৈষম্য নয়? মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমলাদের সন্তান বলেই কি মেধাবী না হয়েও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জায়গা দখল করে বসে থাকবে? দক্ষ না হয়েও প্রশাসন একজন অদক্ষ ব্যাক্তি কব্জা করে রাখবে? এগুলো কি সন্ত্রাসের পর্যায়ে পড়ে না? যেখানে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা হচ্ছে ত্রাস কায়েম করা। হ্যাঁ, এগুলো তো ত্রাসই। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে-দক্ষ ব্যাক্তিদের কাছে।
সরকার নারী নীতি বলে গলা ফাটিয়ে গোলা ঝরাচ্ছে। আবার নারী-পুরুষ সমধিকারও কায়েম করতে ব্যাতিব্যাস্ত। এইসব নীতি জারী করার পূর্বে স্ত্রীর সম্পত্তির উপর স্বামীর অধিকার সৃষ্টি করুন, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন বাতিল করুন, বাসে নারীদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়ার ভদ্রতা মুছে ফেলুন, স্ত্রীর আয় হতে স্বামীর ভরন-পোষণ নিশ্চিত করুন। পারবেন করতে? পারবেন না... কারণ, প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে একজন নারী। নিজের ভালো তো পাগলেও বুঝে, নাকি?
কষ্ট লাগে যখন দেখি অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা কোটার জোড়ে অধিক মেধাবীদের জায়গা দখল করে রাখছে, কষ্ট লাগে তখন যখন বি.সি.এস. পরীক্ষায় শুধুমাত্র কোটা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে..... আরও অনেক কষ্টই রয়েছে বলে শেষ করা যাবেনা।