আজকে একটা স্বপ্ন দেখলাম। ভাবছি স্বপ্নটা বাংলাদেশ পেটেন্ট অধিদপ্তরে গিয়ে নিজের নামে পেটেন্ট করে আসেতে হবে। বলাতো যায়না আমার দেখা স্বপ্নটা কে কখন তার বা তার বাবার বা স্বামীর নিজস্ব স্বপ্ন হিসেবে রেজিস্টার্ড দাবী করে বসে। আমার স্বপ্নটা খুব বড় কিছু না, সামান্যই একটা স্বপ্ন, তবুও নিজের নামে পেটেন্ট করে রাখতে চাই।
ডিজিটাল বাংলাদেশে নাকি ২০২১ সালের মধ্যে সব কিছু ডিজিটাল হয়ে যাবে। সেটা খুব বেশী দূরে নয় স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছর পূর্তিতে, আর এখন থেকে মাত্র ১০ বছর দূরে মাত্র। দেশের ইন্টারনেট স্পিডের যে অবস্থা তা থেকে আজ আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম: স্বাধীনতার ১৫০ বছর পূর্তিতে ২১২১ সালে বাংলাদেশের সর্বত্র থ্রি-জি নেটওয়ার্ক পৌছে যাবে।
আর এই মধ্যেবর্তী ১৫০ বছর পর্যন্ত ২০০ বছর আগের প্রযুক্তির জিপিআরএস/এজ দিয়েই মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস চালু থাকবে। বর্তমানে গ্রামীন ফোন দিয়ে ২/৪ কিলোবাইটের বেশী "স্পিড" পাওয়া যায় না। গ্রামীন/একটেল /বাংলালিংক/টেলিটক কোন অপারেটরের জিপিআরএস বা এজ সার্ভিস দিয়েই ৮/১০ কিলোবাইটের বেশী স্পিড আজকাল পাওয়া অলৌকিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আশা করি জনগন আগামীতেও ২/৪ কিলোবাইটের বেশী স্পিড পাবেনা। কারণ বেশী স্পিড পেলে বেশী সমস্যা, সব কিছু গতিশীল হয়ে যাবে।
বর্তমানে একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের ম্যাধমে আমাদের যে একমাত্র আন্তর্জাতিক গেটওয়ে রয়েছে এবং এর মোট ৪৬.৫ জিবি ব্যান্ড উইথের মধ্যে ১০ জিবি ব্যবহৃত হচ্ছে তা আরো কমিয়ে আনতে হবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জন্য আমরা প্রতি সেকেন্ডে যে ৩৫ জিবি ব্যন্ডউইথ সমুদ্রে জমা রাখছি তার পরিমান আরো বাড়াতে পারবো। এতেকরে আমাদের ভবিষ্যৎ সোনালী হতে বাধ্য।
আমাদের প্বার্শবর্তী শ্রীংকা/ভারত থ্রি-জি প্রযুক্তির সুবিধা উপভোগ করছে কয়েক বছর হয়ে গেলো। আমাদের দেশে এখনো লাইসেন্সই দেওয়া সম্ভব হলো না। সমস্যাটা হলো কে কতো কমিশন পাবে, এটাই রফা করা যায় না। তাই এবার আমি ২১২১ সালের মধ্যে সারাদেশে থ্রি-জি প্রযুক্তির সুবিধা পৌছে দেওয়ার স্বপ্নটা নিজের নামে রেজিস্টার্ড করে রাখতে চাই। আমার এই স্বপ্নটা নিয়ে আপনাদের কি অভিমত?