টেলিটক পরীক্ষামূলক থ্রিজি ইন্টারনেট: একটি ব্যাক্তিগত মূল্যায়ন
২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
জিপি-বাংলালিংক-রবি-এয়ারটেল সব কটি’র ইন্টারনেট পরিসেবা নেওয়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে আমার। এগুলোতে আর চলছে না। আমার অবস্থান ঢাকা শহরের ঠিক বাইরে। মফস্বলে এদের ইন্টারনেটের গতি এতো খারাপ যাচ্ছে যে মাঝে মাঝে পেজ লোড দিয়ে ঘুমাতে হয়। ইতিমধ্যে ১৪ অক্টোবর টেলিটকে পরীক্ষমূলক থ্রিজি চালু হলো। ভাবলাম থ্রিজি চেষ্টা করে দেখি। যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া থ্রিজি কাভারেজ কেবল ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে পাওয়া যাচ্ছে তাই আমি নিশ্চিত ছিলাম না আমার এখানে থ্রিজি কাভারেজ আছে কিনা। তার ওপর সমস্যা হলো আমার এখানে এমনিতেই ধারে কাছে ১৫/১৬ কিলোমিটারের মধ্যে টেলিটকের কোন বিটিএস নেই, নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় বহু কষ্টে।
টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ঢাকা শহরের ঠিক বাইরে আমার অবস্থানে থ্রিজি কাভারেজ আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম। থ্রিজির জন্য ১০০ টাকা দিয়ে পুরনো সিম রিপ্লেস করতে হলো। তারপর টেলিটকের মহান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত গলাকাটা চার্জ ৫০০ টাকা দিয়ে থ্রিজিতে মাইগ্রেশন করলাম। এতো কিছুর পর যা পেলাম তার নাম GPRS! কানেক্ট করে দেখি স্পিড ২ থেকে ৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড! ছবিতে দেখুন ফোনের নেটওয়ার্কের বারে কতো সুন্দর EDGE আইকন ‘E' শোভা পাচ্ছে! আমি কি কাঁদবো না হাসবো?
টেলিটকের যে কাস্টমার কেয়ার নম্বর রয়েছে ওটাতে ফোন করলে কেউ রিসিভ করে না। আমি জিপি-বাংলালিংক দিয়ে যাহোক ব্রাউজ করতে পারতাম। এটাতে দেখছি কোন পেজই লোড হচ্ছে না। কানেক্ট করতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। ঢাকার ভেতরে ঢুকলে ফোনে ঠিকই থ্রিজি কাভারেজ পাচ্ছি কিন্তু আমার বাড়িতে এলে আর থ্রিজি পাচ্ছি না। ফোনের নেটওয়ার্ক এজ কাভারেজে চলে যাচ্ছে এবং টেলিটকের এজ কাভারেজে গতি ২ থেকে ৪ কিলোবাইটের বেশী ওঠছেই না। মেজাজ পুরো খারাপ। এভাবে চলে গেল দুদিন। তারপর হঠাৎ খেয়াল করলাম ফোনটা জানালার কাছে রাখলে মাঝে মাঝে ফোনের নেটওয়ার্কে বারে ২/১ দাগ থ্রিজি সিগনাল দেখাচ্ছে। এটা দেখে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে ডুয়াল নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করে শুধুমাত্র UTMS করে দিলাম। আর ফোন ঝুলিয়ে দিলাম জানালার সাথে!
এবার থেকে ফোনে থ্রিজি সিগনাল পেতে শুরু করলাম! তবে যেখানে এজ কাভারেজে পূর্ণ সিগনাল থাকে, সেখানে থ্রিজিতে থাকছে ১টি বা ২টি সিগনাল বার! এই এক দুই সিগনাল বার সিগনাল স্ট্রেন্থ দিয়েই ৩০ থেকে ৩৫ কিলোবাইট পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড ওঠেছে যদিও অধিকাংশ সময়ে স্পিড থাকছে ১২ থেকে ১৫ কিলোবাইটের মধ্যে! সম্ভবত নেটওয়ার্ক কাভারেজ কম এটাই স্পিড ওঠানামা করার বড় কারণ। আর এভাবেই জানালার সাথে ফোন ঝুলিয়ে দিয়ে এখন টেলিটকের বহু আকাঙ্খিত থ্রিজি ব্যবহার করছি! আহারে কতো সাধের থ্রিজি! যেখানে জিপির মেজাজ ভালো থাকলে এজ দিয়েই ৩৫ কিলোবাইট ডাউনলোড স্পিড পাওয়া যায়, সেখানে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে পাচ্ছি ৩৫ কিলোবাই ডাউনলোড স্পিড!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য...
...বাকিটুকু পড়ুন একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত...
...বাকিটুকু পড়ুন