somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পদাতিক চৌধুরি
আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (খন্ড-১/ পর্ব- নবম)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষের প্রত্যেকেরই জীবন এক একটা চক্রের মধ্যে বাঁধা।হালদার বাবুর গোলাতে থাকাকালীন আমাদের প্রত্যাহিক রুটিনও সেরকম একটা ধরাবাঁধা চক্রের মধ্যে আবর্তিত হত। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে নিয়মের অন্যথা হতো না। মনে পড়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে যৎসামান্য প্রাতরাশ করে আমরা কাজে লেগে যেতাম। শুরু থেকেই আমি স্বপন কাকার জোগাড়ে হিসেবে ফাইফরমাস খেটে এসেছি। যদিও মাথার উপরে দাদার নজরদারি থাকতো সারাক্ষণ। মাঝে দুপুরে খাওয়ার পরে একটু হাল্কা বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকু বাদ দিলে সারাদিনই এক প্রকার আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে কেটে যেত। সাধারণত দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ শুরু করতে করতেই বিকেল গড়িয়ে যেত। প্রতিদিনকার মত সেদিনও বিশ্রাম নিয়ে সবে কাজ শুরু করেছি, এমন সময় হালদার বাবু খুব উদ্বিগ্ন হয়ে, রুস্তম ভাই রুস্তম ভাই, বলে ডাকতে ডাকতে সোজা গোলার মধ্যে ঢুকে পড়লেন। উল্লেখ্য তার আগে দুদিন উনি বাইরে ছিলেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন কাজে প্রায়ই বাইরে যান। আজ কখন বাড়িতে এলেন আমরা তা টের পাইনি। যাইহোক দাদা ছিল সে সময়ে ভিতরের দিকের শেষ প্রান্তে কাঠ বাছাইয়ে ব্যস্ত।হালদার বাবুর এমন হন্তদন্ত হয়ে আগমন দেখে দাদাও কাজ ফেলে সোজাসুজি দাঁড়িয়ে গেল। মাঝে পথিমধ্যে চারিদিকে কাঠ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা ছিল। ওনার ব্যস্ততা দেখে আমরা সমান ব্যস্ততায় পড়িমড়ি করে অবিন্যস্ত কাঠ সড়াতে উদ্যত হলাম। কিন্তু উনি সেসবের কোন পাত্তাই দিলেন না। কাঠের ফাঁকফোকর দেখে পা টেনে টেনে কিছুটা হুমড়ি খেতে খেতে পৌঁছে গেলেন এক্কেবারে শেষ প্রান্তে দাদার কাছে। খুব নিচু গলায় কয়েক মুহূর্ত দুজনে কি একটা বলাবলি করলেন। আমরা উৎকণ্ঠার তাকিয়ে রইলাম ওনাদের দিকে। কিন্তু দুজনেই এত নিচু স্বরে কথা বললেন যে কিছুই আমাদের কান পর্যন্ত এসে পৌঁছালো না। কথোপকথনের শেষে হালদার বাবু একটা ইশারা করতেই দাদা ওনাকে অনুসরণ করতে লাগলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,হালদার বাবু বাড়িতে পা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া সাদা কাটা ধুতি পরেন। এক্ষণে ধুতিটা ঈষৎ উপরে তুলে নিঃশব্দে আমাদের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ওনার এমন আগমন ও প্রত্যাগমন যে অত্যন্ত অস্বাভাবিক ছিল সে কথা বলা বাহুল্য। দেখতে দেখতে কয়েক বছর এখানে কাটিয়েছি। এই বাড়ি ও আশপাশের অলিগলি থেকে শুরু করে চেনাজানা অনেক সদস্যকেই কমবেশি চিনি। গড়পড়তা মানুষ থেকে হালদার বাবু ব্যক্তিটা সম্পূর্ণ আলাদা।অসম্ভব ঠান্ডা মাথার হৃদয়বান মানুষটিকে দেখেছি প্রবল ব্যক্তিত্বশালী পুরুষ হিসেবে।আজ পর্যন্ত কারো সঙ্গে ওনার কখনো ঝগড়া করতে বা কথা কাটাকাটি হতেও দেখিনি। এরকম একজন মানুষের আচরণ আজ সম্পূর্ণ অপরিচিত লাগলো।কিছুতেই আমার চেনাজানা মানুষটার সঙ্গে মেলাতে পারলাম না। স্বভাবতই মনের অস্থিরতা বহুগুণ বেড়ে গেল। আপন মনে এসব ভাবতে ভাবতে দাদার ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। দেখতে দেখতে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেল, দুজনের ফেরার কোন নাম গন্ধ নেই দেখে পাশে কর্মরত বাপজানকে উঠে গিয়ে জানাই সে কথা। বাপজান প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। আমার কথা শুনেও যথারীতি অবিচল থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখে আপন কাজে। শুধু একবার মুখ তুলে, আমাকে নিজের কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ দেয়। বাপজানের আচরণ পাথরের মূর্তির মত লাগলেও কোনরকম অভিব্যক্তি প্রকাশ না করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজের জায়গায় চলে আসি। বাপজানের কথা শুনে বাধ্য ছেলের মত কাজে ফিরে যাই ঠিকই কিন্তু ভিতরে ভিতরে অস্থিরতার পারদ চড়চড় করে উপরে উঠতে থাকে।

স্বপন কাকাও এতক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে ছিল। আমি ফিরে আসাতে দুজনে মিলে আবার নতুন করে কাজ শুরু করি। আগেই উল্লেখ করেছি এক অস্থিরতার দোলাচাল মনের মধ্যে প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। আপ্রাণ চেষ্টা করি কোনভাবেই যেন তার বহিঃপ্রকাশ না ঘটে। এমন সময়ে বাপজানকে দেখি নিজের জায়গা ছেড়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে।
স্বপন কাকা কাজ থামিয়ে মুখ উঁচু করে জিজ্ঞেস করে,
- বড় ভাই কিছু বলবে?
-হ্যাঁ স্বপন তুমি একটু বাইরে গিয়ে দেখবে, ওনারা দুজন কোথায় গেছেন?
-আজ্ঞে হ্যাঁ আমি এখুনি যাচ্ছি, বলে স্বপন কাকা বাইরে বেরিয়ে গেল।
খানিকবাদে ফিরে এসে জানালো,
-বড় ভাই, ওনারা দুজন বাড়ির পেছনে বসে কথা বলছেন।
-কি কথা বলছেন?
- সে কথা বলতে পারব না। আমি যেতেই ওনারা কথা বলা বন্ধ করে দেন। আমি তাতেও ভ্রুক্ষেপ না করে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াতে বাবু আমাকে চলে যেতে বললেন।
স্বপন কাকার কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে এবার আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হল। হাত-পা নিশপিশ করতে লাগল। উল্লেখ্য ধৈর্যচ্যুতির এমন অভিব্যক্তি আজ নতুন নয়।প্রচণ্ড মানসিক চাপে এমন অবস্থা ইতিপূর্বেও আমার ঘটেছে। কাজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে একপ্রকার দাঁতে দাঁত চেপে গভীর উৎকণ্ঠায় বসে রইলাম।

আরও কিছুক্ষণ পরে দাদা ফিরে আসে। চোখেমুখে দুশ্চিন্তার করাল ছায়া স্পষ্ট।উফ! এতক্ষণে আমাদের প্রতীক্ষার যেন অবসান হলো। দাদা গোলায় প্রবেশ করতেই আমরা সবাই উৎসুক্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। গোলার মধ্যে তখন পিনপতন নীরবতা। কিন্তু কি আশ্চর্য! দাদার মুখে কোনো কথাই নেই। চুপচাপ একটা কাঠের উপরে বসে পড়লো। উদাস চাহনির সঙ্গে শূন্য দৃষ্টিতে গোলার চালের দিকে তাকিয়ে রইলো। এদিকে ভিতরে ভিতরে আমি প্রচন্ড অস্থির হয়ে উঠি।এমন সময় দুই হাত পিছনে বেঁধে গভীর দুশ্চিন্তায় কিছুটা সামনে ঝুঁকে অনেকটা লক্ষ্যহীনভাবে প্রবেশ করলেন হালদার বাবু। আমাদের সকলের লক্ষ্য স্থানান্তর ঘটলো হালদার বাবুর দিকে। শুরুতে একটা কাঠে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে উনি আমাদের সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন।
এবার সোজা ভাবে দাঁড়িয়ে বার দুয়েক গলা খাকারি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে,
-তোমরা সকলেই এখানে আছ। তোমাদের সঙ্গে আলোচনার আগে রস্তম ভাইকে আড়ালে ডেকে মূলত যে বিষয়টি আলোচনা করেছি, এখন সেটাই তোমাদেরকে বলতে চাই। আমি দুঃখিত যে বিষয়টি জানানোর জন্য আমার অন্য কোন উপায় নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বা দুঃখজনক হলেও সত্য সত্যই; তাকে যে অস্বীকার করার উপায় নেই।আমরা গোটা দেশবাসী এই মুহূর্তে একটা ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে অতিক্রম করছি। শাসক ব্রিটিশের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গেছে।তারা ইতিমধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও তারা নখদন্ত বার করে দেশমাতৃকার উপর চূড়ান্ত আক্রমণ হানতে উদ্যত। উল্লেখ্য প্রান্তিক শহর হওয়াতে আমাদের এলাকাটা বরাবরই ব্রিটিশ শাসকের শ্যেন দৃষ্টির আড়ালে থেকে গেছে। এটা এই শহরের একটা বাড়তি সুবিধা আর কি। আর এই কারণেই আমরা এখানে অনেকটা নিজেদের মত করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু ব্রিটিশের এবারের আক্রমণে গোটা দেশের সঙ্গে আমরাও সমানে আক্রান্ত।আজ আমরা কেউই তার হিংস্র নখর থেকে নিরাপদ নই। আজ তারই লোলুপ দৃষ্টিতে আমাদের যে কারো জীবনে চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে যেতে পারে।

তোমরা সব নাও জানতে পারো ব্রিটিশের এই প্রস্থান কিন্তু একে দিনে হয়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশকে উদ্ধারের জন্য জীবন মরণ সংগ্রাম করেছেন। বহু রক্ত ঝরেছে, এখনোও ঝরছে। তারই সুফলে আমরা পেতে চলেছি আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। দেশের এই বীর সন্তানদের লাগাতার সংগ্রাম কর্মসূচির জন্যই ব্রিটিশ সরকার আজ পর্যুদস্ত।তারা সম্পূর্ণ দিশেহারা হয়েই আমাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে।তাই বলে এখনও আমাদের লড়াই থেমে যায় নি। আমাদের লক্ষ্য ওসব ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, ব্রিটিশকে সম্পূর্ণ উৎখাত করা।দুশো বছরের একটা দানবীয় শক্তির প্রলয়ঙ্করের পর দেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস স্তুপে পরিণত। তাকে নতুন করে না গড়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই।

কিন্তু ধূর্ত ব্রিটিশরা সহজে দমবার পাত্র নন।এই পরাজয় তারা সহজে হজম করতে রাজি নয়। নিত্য নতুন ফন্দি ফিকির করে বৃহত্তম দুই সম্প্রদায়কে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে চাইছে। তারা এখনও এদেশে জমি আঁকড়ে পড়ে থাকতে মরিয়া।আর একাজে তাদের সংগত দিচ্ছে দেশের দুই বৃহত্তম সম্প্রদায়ের কিছু সংকীর্ণ স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি। একশ্রেণীর মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজেরাই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় ব্যস্ত। শেষ মুহূর্তে এটাই ব্রিটিশের মস্ত বড় সাফল্য। মূলত তাদের প্রত্যক্ষ উসকানিতে গোটা ভারতবর্ষ এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লেলিহান শিখায় প্রজ্বলিত। যদিও আমরাও দৃঢ় সংকল্প, ব্রিটিশের এই অপচেষ্টা রুখবই ... একটানা কথাগুলো বলে বাবু হঠাৎ বসে পড়লেন।

উল্লেখ্য এতক্ষণ যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। প্রবল দুশ্চিন্তায় হাত পা সব অবশ হয়ে এল। কয়েক মুহুর্ত পরে উনি আবার উঠে দাঁড়ালেন।
আবার বলতে লাগলেন,
-এই অবস্থায় ব্রিটিশের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তিকেও প্রতিহত করা আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বড় দুচিন্তাও বৈকি। দুই সম্প্রদায়কে আবার ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেদেরই করতে হবে। কিন্তু সময়টা এখন বড্ড প্রতিকূল। তোমরা শুনে অবাক হবে,কলকাতা শহরে হাজার হাজার মানুষ এই মুহূর্তে গৃহহারা। বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। শুধুমাত্র প্রাণটুকু হাতে নিয়ে যে যেদিকে সম্ভব উদভ্রান্তের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন। মূলত রাতের দিকেই মহল্লার পর মহল্লা ভস্মীভূত হচ্ছে বেশি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এই প্রান্তিক শহরেও তার আঁচ এসে পৌঁছেছে। আমার গোলায় তোমরা দুই সম্প্রদায়ের লোক আছ।একটা সময় যেটা ছিল আমার গর্ব, আজ সেটাই আমার দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। এমতাবস্থায় আর এক মূহুর্ত তোমাদের এখানে থাকাটা আমি আর নিরাপদ বোধ করছি না। আজি এবং এক্ষুনি তোমরা যে যেখানে পার নিরাপদ দূরত্বে চলে যাও। পরিস্থিতি অনুকূল হলে পরে আবার যোগাযোগ করবে। তোমরা জানো তবুও আরো একবার স্মরণ করাই যে তোমরা প্রত্যেকেই আমার হৃদয়ে স্থায়ী আসনে আসীন।
শেষ কথাগুলো বলার সময় রীতিমতো ওনার গলা ধরে এলো। কোনক্রমে কথাগুলো বলেই উনি গোলা ছেড়ে দ্রুত পা চালিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলেন।

হালদার বাবুর সংক্ষিপ্ত ভাষণে আমাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। পড়ন্ত বেলা! অথচ উনি তো এখনই গোলা ছাড়তে বলছেন। আমরা রাতটুকু থাকার কথা তুলতেই দাদা প্রতিবাদ করে উঠলো,
-তোমাদের সঙ্গে সব কথা আলোচনা করা যাবে না। উনি যেটা বলেছেন এক্কেবারেই সত্যি। আর এক মুহূর্ত এখানে থাকা নিরাপদ নয়। আজকেই রাতে আমাদের গোলা আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। এখানে থাকলে আমাদের সবাইকে হয়তো আগুনে পুড়ে মরতে হবে।
দাদার এ কথা শোনার পর আমরা সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।যে জায়গাটা ছিল আমার একসময়ের সাধনার, আমার প্রার্থনার, আমার সর্বোত্তম আকাঙ্ক্ষার সেই স্থানটি যে আজ যে মৃত্যুফাঁদ হতে চলেছে তা ভেবে শিউরে উঠি। যাইহোক আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের জিনিসপত্র গোছাতে থাকি। আরও কিছুক্ষণ পরে আমরা গোলা ছেড়ে বেরিয়ে আসি। দেখতে দেখতে পশ্চিম আকাশে সূর্য অনেকটা ঢলে পড়েছে। সন্ধ্যার বেশি বাকি নেই। অথচ অন্ধকার হওয়ার আগেই আমাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। এই অসময়ে আরও পাঁচ ছয় ঘণ্টা পায়ে হেঁটে গ্রামে ফেরাও সম্ভব নয়। তাহলে এখন আমাদের উপায়....

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- পোস্টটিকে সপ্তম লাইক প্রদান করে নির্বাচিত করাতে কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। ধন্যবাদ প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইকে।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×