আমি তখন কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। বাড়ি থেকে যাওয়া-আসা সম্ভব না হওয়ায় সোনারপুরে একটি মেস বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতাম । বেশ বড় মেস। আমরা একসঙ্গে দশজন ছেলে মেসটিতে থাকতাম।সে এক দিন গেছে। সবসময় একটা হৈ হট্টগোল লেগেই থাকত মেসে ।তাই সে রাজনীতি হোক বা খেলা হোক আমরা ছিলাম বোদ্ধা। গোটা শহরে আমাদের মত জ্ঞানীগুণী ছিল কিনা সন্দেহ।তার মধ্যে ক্রিকেট বা ফুটবল হলে তো কোন কথাই নেই। বাস্তেন কেন পেনাল্টি মিস করল, সেটা ওদের দলের কোচ বা বাস্তেনের নিজের থেকে আমাদেরই দুশ্চিন্তা ছিল বেশি । বলটাকে ডানদিকে অতটা না চেপে ইষৎ বামদিক চেপে মারলে যে নিশ্চিত গোল হত , এই সাধারন ব্যাপারটা আমরা বুঝলেও বাস্তেনের মত খেলোয়ার না বোঝায় আমরা অবাক হতাম।
সেই সঙ্গে চলতো প্রত্যাহিক সকালে নিয়ম করে আমাদের এক আড্ডাসভাও। সকাল সাড়ে ছটা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে মেসে নেওয়া একমাত্র বাংলা দৈনিক 'আনন্দ বাজার পত্রিকা'র দখল নেওয়ার জন্য আমাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা লেগে থাকত।
ফাস্ট সকালে পেপারটি কে আগে হস্তগত করার মধ্যে একটা মজার অনুভূতি লুকিয়ে ছিল। অবশ্য কারণটি যে একেবারেই অকাট্য তা অস্বীকার করা যায় না। পেপার যে পাবে সাধারনত সে, সেদিনের সভা পরিচালনার অলিখিত দায়িত্ব পালন করত। ঠিক পার্লামেন্টের স্পিকারের মত। একের পর এক পাতা উল্টিয়ে সে আলোচনার সুযোগ করে দিত।বিষয় ধরে আলোচনার পর সকলের সম্মতি নিয়ে পরের পেজে যাওয়ার নিয়ম ছিল।মেসের নুতন ছেলেরা সাধারণত এরকম নিয়ম না মেনে নিজের মতো করে পেপার পড়লে তাকে শুরুতে পেপারে হাত দিতে নিষেধ করা হতো।ফলে বড় দাদাদের চাপে পড়ে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে নুতন যে কোনো সদস্য ভালো স্পিকার হয়ে উঠতো। যাইহোক স্পিকার হেড লাইন দেখে দু-একটি কথা পড়ে শোনাতেই বাকিরা মতামত প্রকাশ করতো।ভাঙা বা দুর্বল চৌকির কুচকাচ শব্দ আমাদের সভা পরিচালনায় কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারতো না।উল্টে ওটা ছিল আমাদের একপ্রকার টেবিল চাপড়ানোর মতো। কোনও পেজ পছন্দ না হলে পরের পেজে চলে যাওয়ার নিয়ম ছিল । উল্লেখ্য মেসের ছেলেরা সাধারনত বেশি রাতজেগে পড়াশোনা করায় একটু গভীর রাতে নিদ্রায় যেত।তুলনায় আমার মত দু একজন যারা বেশি রাত জাগতে পারতাম না, তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে ওদিকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। ঘটনার দিন রাতে বেশ বৃষ্টি হওয়ায় সকলেই প্রায় তখনো ঘুমিয়ে ছিল। আমি অন্য কাউকে না উঠতে দেখে মনে মনে খুশি হই। কিন্তু বারান্দায় পেপার না পেয়ে তার অপেক্ষায় চৌকিতে বসে থাকি।ক্রমশ সময় অতিক্রান্ত হলেও পেপার না আসায় মনে মনে বেশ বিরক্ত হতে থাকি।পরের দিকে মনের মধ্যে একটি অস্থিরতা তৈরী হয় ।এমন সময় ঢং ঢং করে গুনে গুনে সাতবার ঘন্টা বেজে উঠলো।
চোখ চলে গেল মাথার উপরে দেওয়াল ঘড়ির দিকে। দেখি ঘন্টার কাটা সাঁতে দাঁড়িয়ে আছে। বিরক্তির পারদ চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছে গেল। নাহা! এমন খালি মুখে আর বসে থাকা যায় না। আমার মতই পেপারের প্রত্যাশায় সকালে বারান্দায় পায়চারি করছিল অনুজ মানসও।বাইরে বের হয়ে একটু খোঁজ নেওয়ার কথা বলতেই, এক কথায় রাজি হয়ে গেল। কাজেই আর দেরি না করে, মানসকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার মোড়ের দিকে পা বাড়ালাম। কিছুটা এগিয়ে আসতেই অবাকজলপানের কাছে দেখি প্রচুর মানুষের জটলা। পাঠকরা আবার 'অবাক জলপান' শুনে অন্য কিছু ভেবে বসেন না। শহরের একটা প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান 'অবাক জলপান'।যাইহোক লোকজনের আধিক্য দেখে আমাদেরও কৌতূহল বেড়ে গেল। আরো একটু কাছাকাছি আসতেই পরিচিত মুখ খুঁজতে লাগলাম। নাহা!আশপাশে কাউকে খুঁজে পেলামনা। ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে মনে হল এটা অবাক জলপান এর সামনে হলেও পাশের বাড়ির অভিদের বাড়ির গলিতেই তো। সমস্যাটা তাহলে কি ওদের? কৌতুহল নিবৃত্ত করতেই পাশে দাঁড়ানো একজনকে জিজ্ঞেস করতেই অনুমান সঠিক হল।
অভি ওরফে অভিজিৎ দত্ত, সুরেন্দ্র নাথ কলেজে ইংরেজি নিয়ে পড়ে । আমাদের সঙ্গে পাড়ায় মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলতে আসে। বেশ মিশুকে এবং হাসিখুশি স্বভাবের। ওদের গলি বুঝে শুরুতেই ভেতরটা স্যাৎ করে উঠলো। তবে কি ওদের কারও কিছু হয়েছে? মনে একরাশ প্রশ্ন নিয়ে ভীড় ঠেলে সোজা ঢুকে গেলাম ওদের বাড়ির ভিতরে ।
অভি বয়সে আমার চেয়ে অনেকটাই ছোট । আমাদের মত মেসের ছেলেদেরকে শহরবাসীরা অবশ্য নষ্ট বলেই মনে করে। অবশ্য তার একাধিক কারণও আছে। তবে সেই বিতর্কে যাব না। যাইহোক এমনই মেসের ছেলেদের সঙ্গে সাধারনত পাড়ায় কোনো ভদ্র বাড়ির ছেলেরা খেলাধুলা করেনা । আমাদের মেসবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ক্যানিং লাইন। লাইনের পাশে রেলের একচিলতে পতিত জমিতে বিকালে আমরা একটু শর্টহ্যান্ড ক্রিকেট খেলতাম। লাইনের ওপার থেকেও কয়েকজন খেলতে আসতো আমাদের সঙ্গে। তবে তারা সবাই এলাকার শ্রমিক বা পরিচারিকাদের সন্তান । তারই মধ্যে ব্যতিক্রমী ছিল অভি। একমাত্র ভদ্রবাড়ির সন্তান; যে আমাদের সঙ্গে খেলতে আসতো। স্বভাবতই ও একটু বেশি প্যাম্পারিং পেত আমাদের কাছে। তবে ওর আসাটা বোধহয় সম্ভব হয়েছিল যেহেতু ওর বাবা-মা কেউ বাড়িতে না থাকার কারণে। পেল্লায় একটা দোতলা বাড়িতে ঠাকমাই ছিল ওর একমাত্র আপনজন। অভির কথানুযায়ী ওর বাবা নেভির অফিসার। সারাবছর বাইরে থাকে । বছরে দুচার দিনের জন্য বাড়িতে আসেন । ঐসময়ে বাড়িতে নাকি খুব ধুমধাম করে সময় কাটত।আভির কথানুযায়ী, সত্যিকথা বাবা যেকদিন বাড়িতে থাকেন মনে হয় যেন বাড়িতে উৎসব চলছে । পাশাপাশি মাকে নিয়ে অভি একদিনের জন্যও একটি কথাও খরচ করেনি। একবার মায়ের কথা জিজ্ঞাস করতেই ওর চোখে জল দেখে আমরা উল্টে দুঃখ প্রকাশ করে ওকে শান্ত করি । কাজেই এহেন ছোটভায়ের বাড়িতে লোকসমাগম দেখে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে দোতলায় একটি ঘরে প্রচুর লোকের মধ্যে ওকে পেয়ে যাই।
আমাকে দেখে নিতান্ত একটু শুকনো হাসি দিয়ে,
-পোকাদা তুমি এসেছ?
আমি হ্যাঁ বা বলে জিজ্ঞেস করি,
-কি হয়েছে অভি?
উল্লেখ্য আমার পোকা নামের পিছনে একটা কারন আছে। প্রসঙ্গক্রমে বিষয়টি না বললেই নয়। আমি বরাবরই ভুজঙ্গাসনের মতো শুয়ে শুয়ে পড়তাম। বাড়িতে আমার বাবার কাছে এনিয়ে প্রচুর বকাবকি খেয়েছি । মেসেও আমি সেই বকার নিস্তার পাইনি । আমার থেকে অনেকটাই সিনিয়র ছিলেন বিকাশদা। ফার্মাসিস্ট বিকাশদা আমার এই শুয়ে শুয়ে পড়া নিয়ে প্রায়ই বকতেন।এর ফলে পরের দিকে বিকাশদাকে দূর থেকে আসতে দেখলেই আমি ধড়ফড় করে উঠে বসতাম। বিকাশদা বুঝে যেত আমার কৌশল। পাশে এসে মাঝে মাঝে হেসে ফেলতেন। একদিন আমাকে বকা দিয়ে সেই যে পোকার সঙ্গে তুলনা করলেন, তারপর থেকে আমার পিতৃপ্রদত্ত নামটিকে বাদ দিয়ে সকলে পোকা নাম চালু করলো। জুনিয়ররা এরপর থেকে আমাকে পোকাদা নামেই ডাকত।
অভির কথানুযায়ী,
-সেকেন্ড সেমিস্টারের পড়ার চাপ ছিল । রাতজেগে পড়ছিলাম । সন্ধ্যে থেকেই মুহুর্মুহু মেঘগর্জন হচ্ছিল । একটু রাত বাড়তেই এবার ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে গেল।বদ্ধ জানালায় বারংবার ধাক্কায় নিচ দিয়ে সিট জল তারই প্রমাণ দিচ্ছিল । মাঝে মাঝে সেদিকে লক্ষ্য গেলেও তখনও পড়ছিলাম। প্রতিদিনকার মত সন্ধ্যা রাতে ঘুমানোর অভ্যাস ঠাকমা তখন ঘুমিয়ে কাঁদা । রাত একটা দেড়টা নাগাদ হঠাৎ মনে হল কারা যেন পাশের ঘরে হাঁটাচলা করছে । বই বন্ধ করে কান খাঁড়া করে চুপচাপ কয়েক মিনিট বসে থাকলাম । অনুমান করার চেষ্টা করছিলাম শব্দটার উৎস কোথায়? বারবার দরজার দিকে চোখ যাচ্ছিল । যদিও দোতলার এই ঘরে দরজায় ছিটকিনি দেওয়া ছিলনা। কিন্তু নতুন করে উঠে ছিটকিনি দিতেও তখন সাহস হচ্ছিল না। দশমিনিট তখনও হয়নি এমন সময় বাইরে থেকে,
-মাসিমা দরজা খুলুন।আপনার ছেলে অসুস্থ ।
আমি হঠাৎ বাবার কথা ভেবে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দরজাটা খুলে দেই।
দরজা খুলতেই পরপর ছয়-সাতজন লোক হুরমুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লো । প্রথম একজন আমার মুখে সপাটে মারলো এক চড়,
-শুয়োরের বাচ্চা! আলমারির চাবি কোথায়? শুরুতে সপাটে চড় খেয়ে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। কানের গোড়া তখন রিরি করে জ্বালা করছে।ওদের পলিসির কিনা জানিনা, তবে আমাকে ওভাবে মারতে দেখে ওদেরই একজন ধমক দিয়ে চলে আসে আমার পাশে। মাথায় হাত দিয়ে, গায়ে হাত দিতে নিষেধ করলো। আমি মুহূর্তের মধ্যে বুঝে গেলাম আসলে কি ঘটতে চলেছে। যাহোক সেকথা মুখে না এনে, আমাকে মারতে বারণ করাতে আমি লোকটাকে ধন্যবাদ জানাই। এবার লোকটি আমার একদম পাশে চলে আসে,
- লক্ষীবাবাটি আমার, তোমাদের আলমারির চাবিটা ঔ বদ লোকটিকে দিয়ে দাও দেখি। ওদিকে খাটের উপর দুজন ততক্ষণে ঠাকমাকে বাঁধার চেষ্টা করছে । ঠাকমাও সমানে হাতপা ছুড়ছে। আমি চিৎকার করে ছুটে যেতেই খপ করে আমার হাত ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললো,
-আমি দেখছি।
এবারও দেখলাম কাকু ওই দুজনকে বেশ ধমক দিল। এরপর আমি কাকুর নির্দেশ মত উঠে গিয়ে আলমারির চাবিটি দিয়ে দেই। এবার নীরবে প্রত্যক্ষ করি ওদের কান্ডকারখানা। বুঝলাম এই ডাকাতদলের সর্দার কাকু বেশ ভদ্র । আমার পাশে আর একটি টুল টেনে টেবিলের উপরে সাজানো একের পর এক বই ওল্টাতে লাগলো।
আমি বললাম,
-আঙ্কেল বইয়ের মধ্যে কিছু নেই।
-না না আমি তোমার বইগুলি দেখছি মূলত তুমি কি নিয়ে পড়াশোনা কর সেটা অনুমান করতে।
-তুমি লেখাপড়া জানো?
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
-হ্যাঁ বলতে লজ্জা হয় তবে না বলতেও পারিনা। জানতাম, তবে কোনও কাজে এলনা।
টেবিলের উপর থেকে শেক্সপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস গ্রন্থটি তুলে পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে,
- জানো তোমার মত বয়সে এই বইটি ছিল আমার প্রিয় বই । তখন আমিও নিজেকে অ্যান্টেনিও বা বাসেনিওর খুব আপনজন বলে ভাবতাম । কিন্তু এখন আর আমি ওসব নই বরং সাইলক হয়ে গেছি।
আঙ্কেলের সঙ্গে গল্প করতে করতে দেখলাম বেশ কয়েকবার পেটে হাত বুলাতে। আমি জিজ্ঞেস করি,
-তোমার কি খিদে পেয়েছে আঙ্কেল?
- হ্যাঁ, বাবু বড্ড খিদে পেয়েছে। আছে নাকি বাড়িতে কোনও খাবার দাবার? আমি ইশারা করে ফ্রিজের দিকে দেখাতেই, খুব খুশি হল। ফ্রিজ থেকে একেরপর এক খাবার বার করতে লাগলো । আমাদের বাড়িতে ঠাকমার বয়স হওয়ায় সাধারনত একসঙ্গে একটু বেশি রান্না করে ফ্রিজে রেখে খাওয়ার চল আছে । একসময় কৈ মাছের ঝালটা বার করতেই,
-আঙ্কেল, কৈ মাছ আমার খুব প্রিয় মাছ।
সঙ্গে সঙ্গে আঙ্কেল মাছের ঝালটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিল।
আমি বললাম,
-আমি তো তোমাকে এমনিতেই আমার ভালো লাগাটা জানালাম। তোমরা ওটা খেতে পারো।
- না,মাসিমা তোমার জন্য রান্না করেছেন, আমরা বরং মুগডাল আর এই সব্জি দিয়েই খেয়ে নেবো।
ওদের সকলের খাওয়ার পরে ঠাকমার একটি কাপড়ে পুটুলি বেঁধে চলে যাওয়ার সময় আমাকে আশীর্বাদ করে বললো,
-বড় হও, মানুষের মত মানুষ হও।
-আঙ্কেল, সবই তো নিয়ে যাচ্ছো। কিন্তু আমরা আগামীকাল খাবো কি?
সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা কেটে,
- সরি, বলে পকেট থেকে পাঁচশ টাকা বার করে আমার হাতে দিয়ে ঠাকমাকে প্রণাম করে বলল,
- এমন কুসন্তানকে পারলে যেন ক্ষমা করে দিয়েন মাসিমা।
সঙ্গে মুখে বিড়বিড় করে বলল,
-সারে চার বছরের মেয়ের লিউকোমিয়ার চিকিৎসার খরচ আনুমানিক বারো লক্ষ টাকা অথচ আমাদের যে অন্য কোনও উপায় নেই,বলে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল।
আমি নিশিকুটুম্বের পশ্চাদগমন লক্ষ্য করতে লাগলাম।
বিঃদ্র-পোস্টটি রিপোস্ট। মূল পোস্টে যারা মন্তব্য করেছিলেন তাঁরা হলেন-@তারেক ফাহিম,@ব্লগার প্রান্ত,@চাঁদগাজী,@নিজাম উদ্দিন মন্ডল,@শামচুল হক,@জুনাপু,@আহমেদ জী এস ভাই,@প্রামানিক ভাই,@কাওসার চৌধুরী,@শাহাদাত হোসাইন,@রাজীব নুর,@সুমন কর,@মৌরি হক দোলা,@তারেক মাহমুদ,@নীলপরী,@রূপক বিধৌত সাধু, এবং সবশেষে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যার।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪০