somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন আবুল হোসেন

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তিনি একসময় টিসিবির একজন সামান্য কর্মচারী ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ঘটনা। তখন সব কিছু রাষ্ট্রায়াত্ব, টিসিবি ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সব ধরণের পণ্য আমদানি করতো এই সংস্থাটি, রপ্তানিও করতে হত টিসিবির মাধ্যমে।

দুর্নীতিটি ছিল গম নিয়ে। দুর্নীতির ব্যাপকতা এতোটাই বেশি ছিল যে, শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে যায় তার। বঙ্গবন্ধুর সময় সরকারি চাকরি হারানো এই লোকটির নাম ছিল সৈয়দ আবুল হোসেন। চাকরি চলে গেলেও লোকটির কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছিলেন টিসিবিতে চাকরি করতেই। সেই টাকা দিয়ে একটা প্রতিষ্ঠান চালু করলেন। নিজের নামেই প্রতিষ্ঠান। নাম-সৈয়দ আবুল হোসেন কোম্পানি লিমিটেড-সংক্ষেপে এসএএইচসিও বা সাকো

সাকো বা সৈয়দ আবুল হোসেনের মূল উত্থান এরশাদ আমলে। এরশাদের সময়ে একের পর এক ব্যবসা পেতে থাকে সাকো। তবে সৈয়দ আবুল হোসেনের মূল খুঁটি ছিল রওশন এরশাদ। রওশন এরশাদের কয়েকজন পোষ্য পুত্র ছিল, যারা প্রকাশ্যে রওশন এরশাদকে মা বলে ডাকতো। তাদের মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম।

শোনা যায়, শেখ শহীদের শিক্ষামন্ত্রীত্ব গিয়েছিল সৈয়দ আবুল হোসেনের কারণে। আবুল হোসেনের এলাকায় একটি কলেজ করা ও এর শিক্ষাক্রম অনুমোদন নিয়ে বিপত্তি বাধে। জানা যায়, গলফ খেলতে খেলতে সৈয়দ আবুল হোসেন এরশাদকে শেখ শহীদের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল। ওই রাতেই শেখ শহীদের মন্ত্রিত্ব চলে যায় আর নতুন শিক্ষা মন্ত্রী হন কাজী জাফর। কাজী জাফরের নামও বলে দিয়েছিল সৈয়দ আবুল হোসেন। কাজী জাফর মন্ত্রী হয়েই প্রথম যে কাজটি করেছিলেন তা হচ্ছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চাহিদা পূরণ।

৯০ এর গণআন্দোলনে এরশাদের পতন হ্ওয়ার পর ভোল পালটে ফেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। রাতারাতি সবাইকে বিস্মিত করে নৌকায় উঠে পড়েন তিনি। বলা হয়, মোটা অংকের বিনিময়ে মনোনয়ন কিনেছিলেন তিনি। মন্ত্রী হয়ে যান ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। দুই পাশপোর্ট ব্যবহার করায় মন্ত্রীত্ব চলে যায়।
তারপর আবার মন্ত্রী হন সৈয়দ আবুল হোসেন। যোগাযোগমন্ত্রী। এরপরের কাহিনী সবারই জানা।

সৈয়য় আবুল হোসেন পরীক্ষিত আওয়ামী লীগার নন। এই আউটসাইডাররাই একটি দলের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। পদ্মা সেতুর এই সংকট এই লোকটির কারণেই। পুরানা কথাটাই আবার বলি, এক আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি করলো এবার, পুরো সাড়ে তিন বছরে বিএনপিও সেটা করতে পারেনি।"

এই হল আমাদের দেশের নেতাদের ইতিহাস আর এদের উপর নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যৎ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×