somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন ভাঙ্গার আওয়াজ

১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- স্যার কোথায় যাবেন ?
- অমুক যায়গা । যাবেন ?
- হ্যাঁ । যাবো ।
- কত নিবেন ?
- দিয়েন যা ভাড়া হয় ।
- তারপরও বলে নেওয়া ভাল ।
- আপনাদের কাছে ভাড়া চেয়ে কি ঠকবো নাকি ? উঠেন ।

কিছু দূর যাবার পর একটা ফাঁকা রোড এলো । ড্রাইভার একটা সিগারেট জ্বালালেন । পিছন থেকে রহমান সাহেব বললেন, '' ভাই, সাথে বাচ্চা আছে । সিগারেটের ধুঁয়ায় ওর ক্ষতি হবে । তাছাড়া আপনারও তো ক্ষতি হচ্ছে । খান কেন এইসব ? '' ড্রাইভার উত্তর করলেন, '' টেনশন কমানোর জন্য ও মন+ বাড়াবার জন্য স্যার খেতে হয় । '' রহমান সাহেব এর কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পেলেন না । '' ড্রাইভার হাই-ওয়ে ধরে যেতে লাগলেন ।

- বাবা আমরা কবে ফিরে আসবো ?
- এই তো বাবা আগামী সপ্তাহে ।
- না না বাবা এতো দিন থাকব না ।
- কেন ? বছরে একবারই তো যাওয়া হয় ।
- না বাবা । আমার পড়া মিস্‌ হয়ে যাবে ।
- কি যে বলে না পাগল ছেলে । মাত্র তো সাতটা দিন । দেখতে দেখতে কেটে যাবে । তা ছাড়া তোর নানুও তো তোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন । অপেক্ষা করে থাকেন তো এই সাতটা দিনের জন্য ।
- কিন্তু বাবা, এই সাত দিনে যে আমার অনেক পড়া পিছিয়ে যাবে ।
- তুই এতো সিরিয়াস কেন রে পড়া নিয়ে ?
- বারে, তুমি বুঝি জানোনা ।
- তা তো তুই যা হতে চাস এমনিতেই হতে পারবি । তাই বলে এতো পড়ালেখা নিয়ে কেউ থাকে ?
- জানি না বাবা । তবে আমাকে যে থাকতেই হবে, হতেই হবে বিজয়ী মায়ের এই স্বপ্ন পূরণের যুদ্ধে । বাবা জানো, মা আমাকে বলেছিল, '' বাবা, তোকে যে অনেক বড় ডাক্তার হতে হবে । তবে তুই কিন্তু ঐ উচু তলার মানুষের ডাক্তার হবি না । তাদের দেখার মানুষের অভাব নেই । কিন্তু এই অভাব যাদের নিত্য দিনের সঙ্গী । তুই তাদের ডাক্তার হবি । তুই ঐসব পথ শিশুদের চিকিৎসা করে বেড়াবি, যাদের গা-পুড়া জ্বরেও মাথায় একটু পানি পট্টি দেবার কেউ নেই । তুই ঐসমস্ত এতীমদের ডাক্তার হবি, যাদের মুখে অসুখে একটু ভাতের মার দেবার মতোও কেউ নেই ।

চিকিৎসা করবি তাদের যারা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে । তুই শুনবি সেই সকল ছেলে-মেয়েদের কান্না, যারা বাবা-মায়ের চিকিতসার টাকা যোগার করার জন্য দ্বারেদ্বারে ঘুরে । তুই আর কোন ছেলে-মেয়েকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া বাবা-মায়ের লাস বুকে জড়িয়ে কাঁদতে দিবি না । কাঁদতে দিবি না ঐ শিশুটিকে যে কিনা, মৃত্যু কি তা বোঝার আগেই জননীকে হারায় । চিকিৎসা করবি ঐ বোনটিকে যে বৃষ্টিতে ভিজে ফুল বিক্রি করে তার পরিবার দেখাশুনা করে । যখন সে অসুখে পরে থাকে, জানিস খোকা, তখন তাদের পরিবারের কি অসহায় দিন যাপন করে ।

মাঝেমাঝে যে ঐ ওভার ব্রীজে ছেলেটাকে দেখিস, আমি তাকে সেদিন বলেছিলাম, '' কিরে তোর এতো টাকার কি দরকার ? প্রতিদিন এতো টাকা তুলিস, এগুলো নেয় কে ? সে বলেছিল, '' আফা, এগুলো খাবার কেনার জন্য নেই না । ইস্কুল থেকে ফিরে খেলার নাম করে টাকা তুলি এই অভার ব্রীজে । এই ছেড়া জামাকাপড় আমার না । আমার এক টুকাই বন্ধুর । এখান থেকে ওকে ২০ টাকা দেই প্রতিদিন । ও নিতে চায় না । কিন্তু আমি জানি ওদের আমাদের চাইতেও বেশি কষ্ট । '' আমি বলেছিলাম, '' তবে টাকা তুলো কেন ? '' ও মুখের দিকে একটু তাকিয়ে থেকে বলেছিল, '' আফা, এই টাকা আমি আমার বোনের জন্য তুলি । তাকে সেদিন বর পক্ষ দেখতে এসেছিল । তারা খুব ভাল পরিবার । আমাদের চাইতে তাদের টাকা অনেক বেশি । ছেলে নাকি লেদ মিস্ত্রী । মাসে অনেক টাকা কামায় । '' আমি একটু অবাক হয়েই বলেছিলাম, '' এ তো ভাল খবর । এখানে তোর টাকা তোলার কি আছে । তোর আপা তো সুখেই থাকবে । ওহ ! বুঝেছি, দুলাভাইকে গিফট দিবি । '' '' আফা যে কি বলেন না । তাকে গিফট দেবার জন্য এতো টাকার কি দরকার !

সেই ছেলের মা বলেছে, '' ২০ হাজার টাকা না হলে এই বিয়ে হবে না । '' বললাম, '' বিয়ে দিতে টাকা লাগবে কেন ? এটা তো অন্যায় । আমি কি তাদের সাথে কথা বলবো ? '' জানিস খোকা, সে কেঁপে উঠেছিল । বলেছিল, '' না না আফা, বলার দরকার নেই । যদি বিয়ে ভেঙ্গে যায় । তবে আফা অনেক কষ্ট পাবে । '' জিজ্ঞেস করেছিলাম, '' তুই কি পড়ালেখা করিস ? '' বলল, '' হ্যাঁ , করি । ফাইভে পড়ি । '' বললাম, '' তোর বাবা-মা নেই ? '' মুখটা ভার করে বলল, '' মা নেই বাবা আছেন । বাবা রিকশা চালায় । '' বললাম, '' তো বেশ তো, তোর বাবাই তো টাকা জোগাড় করতে পারবেন । তুই এভাবে টাকা তুলছিস কেন ? '' বলল, '' ওরা বলেছে এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ২০ হাজার টাকার জোগাড় না হয়, তবে আমরা অন্য যায়গায় মেয়ে দেখব । তাই এ টাকা তুলছি । বাবার কাছে আছে বারো হাজারের মত । আর আমার কাছে ৪ হাজার । সব মিলিয়ে আছে প্রায় ১৬ হাজারের মতো । আরো লাগবে ৪ হাজার । কিন্তু আজই শেষ দিন । কালকে তাদের হাতে টাকা তুলে না দিতে পারলে আমার বোনের বিয়ে হবে না । বাবা যদি আজ সারাদিনে ১ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারে । তবে আরো ৩ হাজার টাকার টান । '' আমি তাকে বলেছিলাম, '' চল তোর বোনকে দেখবো । দেখি কি করা যায় । '' দেখলাম তার মুখে যেন একচিলতে রৌদ্দুর খেলে গেল । হাসি মাখা মুখ করে বলল, '' সত্যিই যাবেন আফা ? '' বললাম, '' হ্যাঁ রে বোকা ছেলে, চল যাই । ''

তাদের বাসায় গিয়ে দেখলাম এক বিশ্রী অবস্থা । চারিপাশটা অনেক বেশি নোংরা । বললাম, '' তোরা এখানে থাকিস কেন ? অসুস্থ হয়ে পরবি যে । '' সে হেসেই বলেছিল, '' আফা, আমাদের থাকার যে আর কোন যায়গা নেই । '' তার সে হাসিতে এই ঘুনেধরা সমাজের এক জন হয়ে লজ্জায় মাথা নুইয়ে পরেছিল । তার বোনের হাতে এক হাজার টকা দিয়ে বলেছিলাম, '' আমার যদি আরো বেশি দেবার সামর্থ থাকতো, তবে তাই দিতাম । '' মেয়েটা একটা অদ্ভুত মায়াময়ী হাসি দিয়ে বলল, '' এটাই আমাদের কাছে এখন অনেক কিছু । কিন্তু আপনি এসব জানলেন কীভাবে ? '' আমি ছেলেটার মুখের দিকে তাকাতেই দেখি মুখ কালো হয়ে এলো । বুঝলাম এসব বলা যাবে না । তাই বললাম, '' ইস্কুলে যাবার পথে ওর সাথে পরিচয় । আমি একজন ষ্ট্রীট ফটো গ্রাফার । পথে পথে ঘুরে ছবি তোলাই আমার কাজ । তো একদিন ওদের খেলার মাঠে বসেছিলাম । সেখান থেকেই পরিচয় । সে অনেক কথা অন্য আরেকদিন বলবো । আসতে মানা নেই তো ! তারা বলেছিল, '' তা আমারের জন্য সৌভাগ্য । '' দেখলাম ধনীদের চাইতে এদের সৌজন্যতা বোধ ঢেঁড় বেশি । পরে আমার এক ধনী ফ্রেন্ডের কাছে থেকে প্রায় জোর করেই বাকি ২ হাজার টাকা পরদিন সকালে তাদের দিয়ে এসে ছিলাম ।

কিছুদিন পর সেই ছেলেটাকে আবার দেখা গেল একই ওভার ব্রীজে, একই সাজে । মনের মাঝে একটা খটকা খেলে গেল । কিন্তু ছেলেটা আমাকে দেখেই দৌড়ে আমার কাছে এসে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো । জিজ্ঞেস করলাম, '' কি হয়েছে ? '' অনেক্ষন পর কান্না থামিয়ে বলল, '' আফা, আমার বাবার এক্সিডেন্টে হয়েছে । কিন্তু ওরা চিকিৎসা দিচ্ছে না । বলেছে, '' চিকিৎসা নিতে হলে এক হাজার টাকার ওষুধ লাগবে । '' এক দিকে ছেলেটাকে সান্ত্বনা দিবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা, অন্যদিকে সরকারী হাসপাতালে কেন চিকিৎসা নিতে টাকা লাগবে বুঝার চেষ্টা করে কোন কূল খুঁজে পাচ্ছি না । বললাম, '' তোর আপাকে খবর দেয়া হয়েছে ? '' বলল, '' না আফা, ওদের বাড়িতে যাওয়া আমাদের জন্য নিষেধ । আমরা তো ওদের মতো ধনী না, তাই । বলেছে, '' আমরা তাদের বাসায় গেলে নাকি তাদের সম্মান নষ্ট হয় । আফাকে ধরে ধরে অনেক মারে । তাই কোন দিন যাই না । ''

তাকে সাথে নিয়ে সিএনজি করে হাসপাতালে যাই । কিন্তু অনেক দেড়ি হয়ে যায় । গিয়ে শুনি লাস মর্গে রাখা আছে । ডাক্তারকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি কেন জিজ্ঞেস করলে জানায়, '' রোগী তো হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছিল । '' প্রমানের অভাবে চুপ থেকে ছিলাম । জানিস বাবা, ছেলেটার সেই কান্না যদি কোন পাষাণ হৃদয়ও দেখতো, তবে তা গলে পানিতে পরিণত হতো । বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে এমন অনেক বাবা তার ছেলের চোখের সামনে । বাবা তুই ভাল ডাক্তার হবি । সবার দুঃখ বুঝার চেষ্টা করবি । দুঃখীর পাশে দাঁড়াবি ।

মা আজ নেই বাবা । কিন্তু তার সকল কথাই আমার মনের মাঝে গেথে আছে । আমি ডাক্তার হবো বাবা, ডাক্তার । মায়ের সকল স্বপ্ন গুলোকে যে আমার বাস্তবে রূপান্তর করতে হবে ।

ক্রিং ক্রিং ক্রিং

- হ্যালো । কেমন আছো ? ( সিএনজি চালকের ফোন এসেছে । )

ভাই গাড়ি চালানোর সময় তো কথা বলার নিয়ম নেই । আর এমনিতেও হাইওয়েতে খুব সতর্ক থেকে গাড়ি চালাতে হয় । আরে পাশের বাইপাস ধরলেন কেন ? আমরা তো সুজা যাবো । সে কি ? থামেন থামেন । কোথায় যাচ্ছেন । কিছু দূর যাবার পর গাড়ি থামল । কোথায় থেকে যেন আরো তিন জন লোক আসলো । সিএনজি চালক পিছু ফিরেই একটা পিস্তল ধরল বাঁধনের দিকে । রহমান সাহেবের দিকে তাকিয়ে কর্কশ গলায় বলল, '' শালা একটা কথা বলবি না । চিৎকার দিলে তোর ছেলের মাথার খুলি উড়িয়ে দিব । গাড়ি থেকে নাম । রহমান সাহেব গাড়ি থেকে নামলেন । বললেন, '' তোমাদের যা লাগবে সব নিয়ে যাও । দয়া করে আমার ছেলেটাকে ছেড়ে দাও । '' একজন হেসে বলল, '' সব তো নিবই । তা তুই না বললেও । '' পরে তারা রহমান সাহেবের সব ছিনিয়ে নিয়ে নিলেন । '' ঝুপের পিছু থেকে একজন আসলেন । সবাই বলল, '' বস, এবার এদের কি করা যায় ? ''

রহমান সাহেব যেমন অবাক হলেন তাকে দেখে, ঠিক সেও রহমান সাহেব কে দেখে অবাক হলেন । এ যে তারই ভার্সিটিতে পড়া, তারই বিভাগের ইংরেজি ২য় বর্ষের ছাত্র । তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে ড্রাগ এডিক্টেড । কিন্তু তবুও ছেলেটি স্যারকে দেখে একটু লজ্জা পেলেন । পাশের একটার গালে চপেটাঘাত করে বলল, '' শালা, মানুষ চিনে কাজ করতে পারিস না ? '' পাশের ছেলেটা মাটি থেকে শরীর ঝাড়তে ঝাড়তে উঠলো । বসের এমন কথায় যেন তার আকাশ থেকেই পতন হয়েছিল । '' স্যার আপনি যান । কোন সমস্যা হবে না । '' ঐ জব্বার, স্যারের সব ফিরিয়ে দে । আর স্যার যেখানে যাবেন নামিয়ে দিয়ে আয় ।

কিছু দূর যাবার পর খেয়াল হল, কে যেন পিছন দিক থেকে পিস্তল ধরে আছে । পিছু ঘুরতেই দেখে বাঁধনের হাতে পিস্তল । এটা দেখে ছিনতাইকারীদের আর মাথা ঠিক থাকলো না । সাথে সাথে শুরু করে দিল গুলি করা । বাবা ছেলের শরীর ঝাঁজরা হয়েগেল । ধপ ধপ করতে করতে নিভে গেল দুইটি জীবন প্রদীপ । ফয়সাল সেই ড্রাগ এডিক্টেড ছেলেটি কাছে গিয়ে দেখল । পিস্তলে লক করা । সে বুঝে গেল পিচ্চি এটা ফেরত দেবার জন্য তুলেছিল । সে মাথায় হাত দিয়ে বসে পরল ।

কিছু দিন পর আরেকটি লাস পাওয়া গেল সেই একই যায়গায় । এটা ফয়সালের লাস । সে এই অপমৃত্যুর দায়ভার বহন করতে ব্যার্থ হয়েছে । তাই এই গ্লানির হাত থেকে বেঁচে যাবার জন্য এই পথ । নিভে গেল আরেকটি মেধাবী ছাত্রের জীবন প্রদীপ । ঝড়ছে এমন নাম না জানা অনেক ফুল । যা সুবাস দেবার আগেই ঝরে যাচ্ছে ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×