স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয়, সেদিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। এ জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই। তা হলে এতদিন কি উনি আমাদের শুধু আশার বানি শুনিয়েছেন । আর একটি কথা ঘুমন্ত ব্যক্তিকে ডেকে ঘুম থেকে উঠানো যায়, কিন্তু যে জেগে ঘুমিয়ে আছে তাকে কিভাবে জাগাব। যেখানে সাংবাদিকরা বলছে এবং বিভিন্ন প্রমাণ দিচ্ছে সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন সহযোগীতা কথা। আসলে ৪৮ঘন্টা তো এখন ১২মাসে রূপ নিচ্ছে তাই তার মুখে আরেকটি কথার রূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। মূলত এই সরকারই চাচ্ছে না এই হত্যা মামলার রায় হোক বা আসামী ধরা পড়ুক। তা না হলে যে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। আবার আমাদের স্বরষ্ট্রমন্ত্রী বলেন সাংবাদিকরা সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাঁদের এ দাবিকে স্বাগত জানাই। তার মানে তিনি কি এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেন নাই......? আবার তিনি বলেছেন যে, স্বৈরশাসক যখন ছিল, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কোনো প্রতিবেদন আসেনি। এখন আসছে......!!!
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠক একটি রিপোট দিয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ‘নৈরাশ্যজনক’ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
সংস্থাটি জানায় –
১) এক হাজার ১৪৯ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।এর মধ্যে ৭৯ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এবং এর মধ্যে ১৪ জন পরে আত্মহত্যা করে।
২) ৬৮ জন নারী অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার এবং অন্তত ২৫০ জন নারী বখাটেদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়।
৩) যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয় ২১৫ জন। এতে ১৫ জন নিহত হয়।
৪) ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৩৮ জন।
৪) গত ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুনে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণ গেলেও এর মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
৫) আর অন্যদিকে, রাজনৈতিক প্রভাবে বিকাশের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তি পেয়েছে।
৬) ২০১২ সালে দেশে ৫৯৫টি রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে। এতে ৮৪ জন নিহত ও ১০ হাজার ৫২৫ জন আহত হয়েছে।
এসব বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছিল......???
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১