somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘৃণা (repost)

২০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক আগের লেখা একটা গল্প । রাজাকার নিজামী'র ওপর কি কারনে একদিন প্রবল ক্ষোভ হলো । ক্ষোভ মানে, সামনে থাকলে গুলি করে মারব টাইপ অবস্থা । এক বসাতেই লিখে ফেলেছিলাম । সে সময় হুমায়ুন মাথার ভেতর প্রবল আকারে জেঁকে বসেছিলো । বেশ কাঁচা লেখা অবশ্যই । ভয়ে ভয়ে এখানে দেয়া । জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে ।

এক.
বদিউজ্জামান বদরুলের মেজাজ এই মুহুর্তে চূড়ান্ত রকমের খারাপ।যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে । অবশ্য এই চাকরিটার জন্যই তাকে আজ এই ফাউল কাজটা করতে হচ্ছে । তাকে এখন যেতে হবে হিথ্রোতে । যদিও হিথ্রোতে যাওয়া আসা বদরুলের জন্য কোন ঘটনাই না , দিনে তাকে চার-পাঁচবার যাওয়া আসা করতে হয় । আজকে এই ডেলিগেট, তো কালকে ওই ডেলিগেট । ফ্রেঞ্চ, জার্মান কিংবা জাপানী বাবাজী । বহু হোমড়া চোমড়া মানুষজনদের বদরুল হিথ্রোতে পৌঁছে দেয় । এইটাই তার কাজ।

“দি আরিয়ান্স লিমিটেডের” এর ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেণ্টের জুনিয়র ড্রাইভার বদরুল । এতো দূরে ড্রাইভ করতে বদরুলের খারাপ লাগেনা । গান শুনতে শুনতে এম 25 ধরে সোজা এয়ারপোর্ট । গাড়ীর প্যাসেঞ্জার দের সাথে খাজুরা আলাপ করতে বদরুলের ভালই লাগে । এইদেশে থাকার কারনে বদরুল ইংরেজীটাও খুব একটা খারাপ বলে না । মাঝে মধ্যে এরাবিক ডেলিগেটরা আসলে বদরুলের আরবী বলতে হয় । হারামজাদারা ইংরেজী বলতে চায় না । তাই বদরুলের টুক-টাক আরবী শেখা হয়েছে । নবীজিও আরবিতে কথা বলতেন । প্রচুর সওয়াব । তবে এক বদ লোক তারে একটা ভুল আরবী শিখানোর কারনে গত বছর বদরুলকে বড় একটা ঝামেলায় পড়তে হয়েছিলো । চাকরি যায় যায় অবস্থা । লোকমান ভাই না থাকলে ওইবারই চাকরি গেসিলো ।

এক শেখের সাথে খাজুরা আলাপের এক পর্যায়ে বদরুল তাকে আরবীতে বলতে গিয়েছিলো
, " আন্নাক্কা সালু বি হাইফা তিন্নু, ইন্না আদাহ"…মানে আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো। বদরুল কথাটা ইংরেজীতেই বলতে পারত , কিন্তু নিজের আরবী জ্ঞানের বহরটা বোঝানো আর শেখ সাহেবকে একটু চমকিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থেকে বদরুল নিজেকে সংযত করতে পারে নাই । আর তাছাড়া বদরুলের খুব শখ নবীজির শহর দেখা । তাই একটু ভাব জমানোর চেষ্টা করছিলো । শেখ সাহেবের রাগ দেখে তো বদরুলের খুব অবাক । পরে অবশ্য বদরুল জানতে পারে এই কথার মানে, "তোরে পুটকি মারি।" ইশ!কি বেইজ্জতি ঘটনা!! ওইবার আরিয়ান্স লিমিটেডের চেয়্যারম্যন তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো । তবে যেতে হয় নাই । শেখদের সাথে কি একটা সমস্যার কারনে নাকি কন্টাক্টই হয় নাই । বদরুল অবশ্য ধরতে পারে না, পুটকি মারতে চাওয়ার কারনেই নাকি অন্য ভেজালের কারনে কনটাক্ট টা হয় নাই।

আজকের কাহিনী ভিন্ন । বদরুল এই প্যাসেঞ্জার রে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারছে না । একে কি জায়গামত নিবে ?নাকি রাস্তার মাঝখানে ফেলে যাবে বদরুল বুঝতে পারছে না । কুত্তারবাচ্চা আবার দেখি কুট কুট কইরা পান খায় । গন্ধে পুরা গাড়ী শেষ । ফাঁকে আবার দেখি ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করে ।

-হাউ আর ইউ ? লং টাইম ড্রাইভিং ?

বদরুলের ইচ্ছা হলো বলে, "ওই হারামজাদা, তুই ইংলিশ কইস না । তোর আবার ইংলিশ কি ? তুই কইবি উর্দূ নইলে আরবী।"

বদরুল জবাব দেয়, “মি… নো ইংলিশ”

-হুম…তা বাংলা জানো তো?

বদরুলের বলতে ইচ্ছা হয় ,ওই শুয়োরের বাচ্চা, “তুমি” কি ? চিনস না জানস না, “তুমি” কইরা কস!! লাথথি দিয়া গাড়ী থেইকা ফালায়া দেয়া দরকার।

বদরুল জবাব দেয় না । তার ইচ্ছা করে আজকে একটা অঘটন ঘটাতে । বদরুল বুঝতে পারে না মতিউর রহমান নিজামী ওরফে মইত্যার লন্ডনে কি কাজ ? ফান্ডের কাজ হইলে যাবে সৌদি আরব নইলে কুয়েত । হুজুরগো পা ধইরা বইসা থাকবো । তাগো জিনিষ চাটবো । এইখানে আরিয়ান্স লিমিটেডের সাথে ঘটনা কি ?

মইত্যা কথা বলে যেতে থাকে, “বুঝলা মিয়া…এই দেশের স্ট্রাকচার গুলার দিকে তাকাও । কি কইরা রাখসে । পাঁচশ বছরেও কিছু হইব না”

বদরুল মনে মনে বলে , "তুই তোর দিকে তাকা ফকিরনীর পুত । তুই যেই রাজাকার । রাজাকারই আসস । তোর স্ট্রাকচারও পাঁচশো বছরে বদলাইবো না।"

মইত্যা আফসোস করে। “ইবা কুল্লি খাইজা বিরু বাঙ্গালা” মানে হইতেসে কিচ্ছু হইব না বাংগালীদের ।

বদরুলের ইচ্ছা করে কুত্তার বাচ্চার পাছা বরাবর একটা লাথথি দেয় । হারামজাদা রাজাকার । তোর আবার দেশ নিয়া চিন্তা ।

বদরুল আর পারে না এইসব শুনতে । গান ছাড়ে । ও আমার দেশের মাটি…তোমার প’রে ঠেকাই মাথা… অন্য সময় হলে এই গান বদরুল জীবনেও শুনত না । মইত্যা শুয়োরের বাচ্চাটারে বিরক্ত করার জন্য তার এই গান ছাড়া । একটু পর বদরুল যাবে ডাবল একশনে । জয় বাংলা গান টা দিবে,তার পর পরই বংগবন্ধুর ভাষন টা ছাড়বে । যাক, গানগুলা থাকতে আজকে কাজে লেগেছে। বদরুলের রক্ত ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে । তার ধারনা আজকে কিছু একটা সে করবে । দরকার নাই এই বালের চাকরি । আজকে সে অন্য মানুষ । পুরা ফায়ার ধিকি ধিকি ।

দুই.

মতিউর রহমান নিজামী মইত্যার মনটা আজকে খুব একটা ভাল না । কালকে দেশে ফিরলেই তো মুযাহিদ,কাদের মোল্লা সব তাকে ঘিরে ধরবে । ফান্ডের কি করতে পারলো । কেউ তো আর বিশ্বাস করবে না যে ইউ.কে থেকে ফান্ডের চিন্তা এখন থেকে বাদ । শালারা যে যেই শর্ত দিসে তাতে করে টাকা আনা মুশকিল । এইসব কথা বললেই সবাই সন্দেহ করে । তাদের ধারনা আমি টাকা মারি । ফান্ডের কথা বলে নিজের গোডাউন ভর্তি করি । আরিয়েন্স লিমিটেডের আলহাজ শফিকুল ইসলাম বোখারী তারে এক গাদা নসিহত করলো , "আপনাদের এতগুলা পোলাপানরে এইখানে চালাই । পড়ালেখা, কাজ । আর আপনাগো আমলে আমার সাপ্লাই টা কেমনে আটকায় ?" আর দুনিয়ার হাবি-জাবি কথা । মইত্যার জিন্নাহ টুপি চিড়-বিড় করে । মাথার ভিতরে চুলকাতে থাকে । মাথা গরম হয় । কিছু বলতে পারে না । মনে মনে বলে তুই দেশে যাবি না ? তারপর তোরে দেখতেসি । আফসোস পাওয়ারে নাই । "ইক্রা কুল্লা ইয়ত বি সামওয়া ।" মইত্যা আরবীতে বিড় বিড় করে। মানে , "দেশে গেলে তোর খবর আছে।"

গত রাতে বোখারী সাহেব পোলিশ একটা মেয়ে পাঠালো । খারাপ না । এম্নিতে সৌদিতে গেলে পাকিস্তানী মেয়ে পাওয়া যায় । বিছানাতে পাকিস্থানী মেয়েদের উপর মেয়ে হয় না । গতকাল রাতে পোলিশ মেয়েটাও খারাপ ছিলো না । ভালই লেগেছে । তার উপর তার সাথে সারারাত গল্প করেছে । আলাপ না করলে মইত্যা জানতই না পোল্যান্ডে আলু হচ্ছে প্রধান খাদ্য । কত কি যে জানার আছে !! তার জিনিষ দাঁড়ায় না দেইখা হারামজাদীর কি হাসি। আরে,এই বয়সে দাঁড়ায় নাকি!! মাঝে মধ্যে এরশাদের উপর তার হিংসাই হয় । বাটপার টা যে কেমনে করে ! শালার জোর আসে ! নিজামী ভাবে তার আর কত বয়স হইসে।

তারপরেও রাতটা খারাপ যায় নাই । মইত্যার ভালোলাগে যে , এইখানে আসলে নামায পড়তে হয়না । উফ! দেশে থাকলে নামাজ না পড়লে কত ভেজাল !! সে কতবার নিজের চোখে দেখেছে ,মুজাহিদ ওইসব কাজ করে নামাজ পড়তে গিয়েছে ।

এই দিকে ড্রাইভারের ব্যাপারটাও বুঝা যাচ্ছে না । কিসব গান ছাড়ে । আবার দেখি শেখের ভাষনও ছাড়ে । মইত্যার কিঞ্চিত সন্দেহ হয় । হারামযাদা ফাজলামী করে না তো ! এই বয়সী পোলাপানের মেজাজ মর্জী ধরা যায় না । কখন যে কি করে!!

মইত্যা ড্রাইভারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করল । উত্তর দেয় না । মনে হয় তেল হইসে বেত্তমিজটার । আদব কায়দা জানেনা । নিজামী লক্ষ্য করেছে সে গাড়ীতে উঠার পর থেকেই ড্রাইভারের চোখ মুখ কেমন যেন শক্ত হয়ে গেছে । এই বয়সী তার একটা ছেলে আছে । মহান নেতা’র নাম চিন্তা করে মইত্যা তার নাম দিয়েছে আইয়ুব খান । ওহফ! কি লিডার ছিল, সাক্ষাত বাঘের বাচ্চা । অথচ তার ছেলেটা হলো একটা ফুলটাইম হিরিঞ্চি। সারাদিন ফেন্সি আর হেরোইনের উপর থাকে । এখন শুনেছে ইয়াবা না কি আসছে সেইটা নিয়া আছে ।

মইত্যা ভাবে এইগুলা কি তার পাপের ফসল ? আইয়ুব খান স্কুল থেকে প্রতিদিন বাসায় ফিরে কাঁদত । সবাই নাকি আড়ালে আবডালে তাকে রাজ়াকারের পোলা বলে গালি দেয় । এক সময় স্কুল পাল্টিয়ে দিতে হলো । তাতেও লাভ হয় নাই । ছেলেরে আমেরিকাতে পাঠিয়েও কোন ফল পায় নাই । কাজের কাজ যা হয়েছে,আইয়ুব খান হিরিঞ্চি হয়ে ফেরত এসেছে । সবখানেই এক কথা । রাজাকার,রাজাকার । মইত্যা ভাবে তার দিন তো চলে যাচ্ছে । এইসব তো তার গত ছত্রিশ বছর ধরে সহ্য হয়ে গেছে । এমন কি তার মেয়ে গুলজার, আর এখন তার নাতি-পুতিদেরো নাকি রাজাকারের নাতি এই গালি শুনতে হয় । রাস্তা ঘাটে সবখানে মানুষজন সবসময় ঘৃণা’র সাথে তাকায় । ওরা কিভাবে এগুলো সামলাবে ? মইত্যার ইচ্ছা করে বাংলাদেশটাকে শেষ করে ফেলতে । ইস আবারো যদি পাকি ব্রাদারদের সাথে এক হওয়া যেত ! সে তো চেষ্টা করেই যাচ্ছে । কিন্তু কিছুতেই লাভ হচ্ছে না । কিছু করতে গেলেই কোথথেকে যে এত বাধা আসে!!

মইত্যা আর কিছু ভাবতে পারে না । গাড়ীর ফাঁক দিয়ে মেয়েদের দেখতে নিজামীর খুব ভালো লাগে । কেমন সুন্দর সুন্দর মেয়ে । কি সুন্দর তাদের বুক । আহা,মাখনের মত হাত । সারা পা খালি । কি ভাল্লাগে । মইত্যা’র ইচ্ছে করে এখানে থেকে যেতে । কিন্তু তাতেও সমস্যা । এইবারের ট্রিপ টা তাকে যেভাবে সাবধানে আসতে হয়েছে । কেউ জানতে পারে নাই । আওয়ামিলীগের হারামজাদাগুলা খবর পাইলে সমস্যা আছে । তার কাছে খবর আছে বি এন পি’র কিছু পাতি নেতা তাকে খুঁজতেসে । এখন ভালয় ভালয় পৌছতে পারলেই হয় । এই বয়সে এত ঝক্কি ঝামেলা ভাল্লাগেনা মইত্যা’র ।

তিন।

বদরুলের মাথা ধরেছে । আজকে অনেকদিন পর এইভাবে তার মাথা ব্যথা করছে । যে জীবনে বদরুল আছে , এইখানে মাথা ব্যথা,পায়ে ব্যাথা,খোস-পাচরা,সর্দি,জর,কাশা-কাশি এইসবরে পাত্তা দিলে চলে না । হাগা মুতার মত দেখতে হয় সব কিছু । কিন্তু আজকের কথা ভিন্ন । সেই কখন থেকে মাথা ফোরটি নাইন হয়ে আছে।

বদরুল এখন আছে টরবে রোডে । একটু পর টার্ন নিতে হবে থ্রি-সেভেন্টিনাইন বরাবর । তারপর ভিক্টোরিয়া রোড ধরে টান । আরো ঘন্টা খানিকের মামলা।

বদরুল লক্ষ করলো মইত্যা কুত্তারবাচ্চা আশে পাশের গাড়ীতে মেয়েছেলে দেখলেই কেমনে জানি তাকায় । বদরুল মনে মনে শুওরের বাচ্চা বলে গাল দেয় । মুখে অইটা কি ! রস বাইয়া পড়তেসে নাকি হারামজাদার মুখ দিয়া ? পুরা গাড়ীতে একটা বদ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে । মনে হয় মইত্যা পাদ দিসে । হারামজাদা খাইসে কি ! বদরুলের ইচ্ছা করে মইত্যার পাছায় একটা লাথথি দিতে । ব্যথায় তার মাথা ছিড়ে যেতে থাকে । মনে হয় কয়েকটনি একটা বোঝা তার মাথায় কেউ চাপিয়ে দিয়েছে ।

* * *

বদরুল হঠাত করে গাড়ী বেশ নিরব একটা জায়গাতে নিয়ে থামায় । ব্রিজটাউনের আশে পাশে কোথাও হবে । আজকে তার সবকিছু অচেনা লাগতে থাকে। বদরুল হঠাত চিতকার করে বলে ,

“ওই কুত্তার বাচ্চা,বাইর হ গাড়ী থেইকা”

মইত্যা বুঝতে পারে না । ভয়ে তার বুক ফেটে যাচ্ছে।কেউ আশে পাশেও নেই।মেরে ফেলবে নাকি?একাত্তর সালেও এক মুক্তি তারে পাছার মধ্যে বেয়নেট দিয়া গুতা দিয়েছিলো । আজকে এতো বছর পরেও তার পাছায় সে ব্যাথাটা আছে । কাউকে সে দেখাতে পারেনি । অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলো মইত্যা ।

মইত্যা মিন মিন করে বলে “বাবা কি হয়েছে”।

বদরুলের আর অপেক্ষা করতে ভাল্লাগেনা । মইত্যার পাছা বরাবর দুইটা লাথথি দেয় । সব শক্তি দিয়ে গালে ইচ্ছা মত চড় মারে।

“কুত্তার বাচ্চা তুই রাজাকার । আবার কস কি হইসে?”

মাল পত্র সব সহ মইত্যা কে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয় বদরুল । এইখানে আরেকটা গাড়ী পাওয়া বেশ মুশকিল ই হবে । আর তার উপর মইত্যার কাছে নাই ফোন । আজকের জন্য হারামীর হিথ্রো যাওয়া বাদ । "মর কুত্তার বাচ্চা এই শীতে ।" বদরুল বিড় বিড় করে

বদরুলের মাথা ধরা কমতে থাকে । দেশ নিয়ে বদরুল কোনদিনই ভাবে নাই । ছোটবেলা থেকেই তাকে তার পরিবার টানতে হচ্ছে । ওইটাই ছিল তার সব চিন্তা, ওইটাই তার দেশ । অনেক কষ্টে,বহু টাকা খরচ করে এইদেশে এসেছে বদরুল । আজকে এই ঘটনার পর হয়ত তার চাকরিটা’র আশা করা বোকামী । বদরুল আজকে চাকরির মত তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ভাবে না । এইখানে চাকরি একটা গেলে আরেকটা পাবে । আজকে তার বড় ভাল্লাগে ।

অনেকদিন পর দেশের কথা ভাবে বদরুল । মইত্যার গালে কয়েকটা চড়, পাছায় কয়েকটা লাথি, বদরুলকে অন্য রকম মানুষে পরিনত করে । অন্য রকম ভাবতে শেখায়।

তার জন্য এই পরিবর্তনটা বড় প্রয়োজন ছিল।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×