সাহিত্য যদি থাকে তবে সাহিত্য সমালোচনাও থাকবে ।সমালোচনা ও তুলনার মাধ্যমেই সাহিত্যের অবস্থান নির্ণীত হয় ।একজন সত্পাঠকের কাছে এ ব্যাপারটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা।তবে তাদের কাছে স্বাভাবিক নয় যারা প্রকৃতপক্ষে পাঠক নয় ।মূলত মুরিদ ।হুমায়ূন আহমেদের প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা ।তবে তার অর্থ এই নয় যে,তার সব লেখাই গ্রহণযোগ্য এবং ভালো ।যে কোন সাহিত্যিকের ক্ষেত্রেই তা সত্য ।আমি রবিঠাকুর বা ওয়ালীউল্লাহ এর বড় ভক্ত।আমি পাঠক ।মুরিদ না ।তাই তাদের সমালোচনা আলোচনা করতেও প্রস্তুত ।সমালোচনার পরেও দিনশেষে প্রিয় কবি বা লেখক হারিয়ে যান না।ভালো লেখাকে ভালো এবং খারাপ লেখাকে খারাপ বলতে হবে ।বরং তাদের মন্তব্য অর্থহীন যারা এক লেখকের সব লেখারই প্রশংসা করে । সম্রতি 'দেয়াল' পড়ার পর বিরক্ত বোধ করেছি ।তবে এক হুমায়ূন মুরিদ এ মন্তব্য শোনার পর আমাকে এক রকম পাগল বললেন ।একই লেখা কারো ভালো লাগতে পারে খারাপও লাগতে পারে ।কিন্তু যারা মুরিদ তাদের কাছে এ কথা আবার বলা যায় না ।মাজারের পীরবাবা সম্পর্কে যেমন ভালো ছাড়া খারাপ কিছু বললে মুরিদরা ঝাঁপিয়ে পড়ে এদের অবস্থাও তাই।হুমায়ূন আহমেদকে পীর বানিয়ে উনারা মাজার দিয়েছেন ।সেই মাজার থেকে বছরে ১০টা উপন্যাস বের হলেও অথবা মানহীন উপন্যাস একটা থাকলেও বলা যাবে না ।আগুনের পরশমনিকে ভালো বলা যাবে তবে নয় নম্বর বিপদ সংকেতকে ফালতু বলা যাবে না ।আর দু:খজনক হলেও সত্য যে, এই মুরিদরা সারা বছরে হুমায়ূন ছাড়া আর একটা বইও পড়ে না ।তাই এই কুয়োর ব্যাঙদের সাথে তর্কে যাওয়া যায় না।যারা এক লেখকের বই ছাড়া পড়ে না তাদের পাঠক বলা যায় না ।মুরিদই বলতে হয় না ।তার সংখ্যা যত বড়ই হোক তা ধর্তব্যের বিষয় নয় ।
(হুমায়ূন আহমেদকে ছোট করা আমার এ লেখার উদ্দ্যেশ্য নয় ।তার অনেক লেখাই আমার পছন্দের ।পাঠক যারা তাদের উদ্দ্যেশ্যে নয় ।লেখাটি শুধুমাত্র মুরিদদের প্রতি)