আমাদের ছেলেমেয়েরা এই কিছুদিন ভালো মতে পড়ালেখায় মন দিয়েছিল, খেলাধুলা এখন শিখে উঠবে । এক রুম থেকে পাশের রুমে ওরা এখন লাইক দেবে। লাইক পাগল ''সেলিব্রেটিদের' দিন আবার শুরু হল ।যাবতীয় নষ্টামির , নির্লজ্জতার রাস্তা খুলে গেল । এখন শুরু হবে প্রেম- প্রেম খেলা আর অসামাজিক ছবি দেখা ।
নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের আমলের বাংলা সিনেমার একটা দৃশ্য মনে পড়ে গেল যেখানে নায়িকার কাছে নিজেকে হিরো প্রমান করার জন্য নিজের পকেটের টাকায় গুন্ডা ভাড়া করতো আর নায়িকার সামনে এক্সপোজ হবার সুযোগ আসা মাত্রই ঢিসুমাইক ঢিসুমাইক ফেইক স্টান্ট... ভালোই দেখালেন ভাউ...
ফেসবুককে বগলদাবা করা সম্ভব হয়নি সরকারের। ফেসবুক একটি সামসাজিক নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ দেশ একটি প্রগ্রেসিব মুসলিম দেশ । ফেসবুককে অবশ্যই সেদিক বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে সমাজে কেউ অপকর্ম করার চেষ্টা করলে তা প্রকাশ করবেই। সেটা খোদ সরকারই হউক,ফেস বুক সরকার চেনে না। তাদের একটি নির্দষ্ট নীতিমালা আছে।ওরে তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে ফেসবুক খুলে দিয়েছে আহারে আহারে আহারে.। তারানা হালিমের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো একটি পালক ফেসবুক তুমি আসিয়াছ ফিরে, আবার হইবো ডিজিটাল সরাসরি কথা বন্ধ আবার, ফেসবুকে হবো টালমাটাল।
যাদের জন্য ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল, বিকল্প মাধ্যমে তারা ঠিকই তাদের কাজ চালিয়ে গেছে। মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও কিছু তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে সরকারের এই সিদ্ধান্তে।
মোট কথা .....................।।
বাংলাদেশে ৯৫% মুসলিম থাকা সত্যেও পর্নগ্রাপি সাইট ওপেন আর ফেসবুক বন্ধ, হিন্দু রাষ্ট ভারতে ৮৫০টিরও বেশি সাইট ব্লক যার ফলে আমাদের দেশে হরদম ইভটিজীং ট্রিজ আর ধর্ষনের মত মাহামারি ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত ।
ভারতে সবাই যাতে অবাধে পর্নোগ্রাফিক সাইটে যেতে না-পারে, সেজন্য সরকার ৮৫০টিরও বেশি সাইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে।আর আমার সোনার বাংলায় বরং নিষিদ্ধ না করে যুব সমাজকে আরো অধঃপতনের জন্য সানি লিয়নের মত বিশ্ব পতিতা বেশ্যা কে আমন্ত্রন জানায় । হায় আফসুস হায় আফসুস ।
যুব সমাজ কেন বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে তুলছে? কারণ, তারা পর্নোতে ডুবে আছে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশে জিডিপি আরও বাড়তে পারতো, যদি মানুষকে পর্নো দেখা থেকে বিরত রাখা যেত। এসব দেখে তারা স্বার্থপর হয়ে যায়। তারা জাতিকে কিছু দিতে চায় না।
ভাল হয়েছে। তবে দেশ ও জাতির জন্য সমূহ ক্ষতি হচ্ছে এমন কিছু সাইট বন্ধের দাবী জানাই। এলেক্সা র্যাংকিং বাংলদেশে গেলেই দেখা যাবে যে, প্রথম ১৫টি সাইটের মধ্যে পর্ন সাইটের অস্তিত্ব রয়েছে। এগুলি কারা নিয়মিত দেখছে। মানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি বিরাট অংশ তা দেখছে, যদিও এগুলির জন্য কেউ কাউকে বলেনি বা কোন বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে না। আমি মনে করি অন্তত বাংলাদেশের এলেক্সা র্যাংকিং এর 100 এর মধ্যে যাতে কোন পর্ন সাইট না দেখা যায় তার ব্যবস্থা করা। তারপরেও হয়ত অন্য উপায়ে কেউ কেউ দেখবে। তবে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫