আমাদের এই সোনার বাংলার সঠিক কোন ইতিহাস আমরা বর্তমান তরুন প্রজন্ম জেনেছি বা জানতে চাচ্ছি ,বা জানার সুযোগ দিছে কোন সরকার ??? আমাদের স্বাধীন দেশের কোন সঠিক ইতিহাস রচনা করেছে এই ৪৪ বছর পর্যন্ত কেহ ??? সেই ছোট কাল থেকেই আমরা মিথ্যা বা অস্তিত্ব্যহিন বিষয়ে পড়ে আসছি বইয়ে {আগ ডুম বাগ ডুম /হাট্রিমা টিম টিম টিম তারা মাঠে পারে ডিম} ইত্যাদি ??? আর আমাদের স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়েও আমাদের কে নানান জন নানান ভাবে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে এই তরুন প্রজন্মকে অথচ এই নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই ???
বিএনপি খালেদা জিয়া কেন স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন? গত সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেছেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। (প্রথম আলো ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫)
আমি খালেদা জিয়ার সমর্থনে আমার মন্তব্য করছি না। কিন্তু আমাদের মুক্তি যুদ্ধে শহীদদের, নিখোঁজদের ও, মুক্তিযুদ্ধাদের একটি তালিকা থাকলে সমস্যা কোথায় বুঝলাম না। সত্যকে জানার চেষ্টা আমরা কেন করতে পারি না? কোন জাতির স্বাধিনতার যোদ্ধা বা শহীদ হবার সৌভাগ্য সবার হবে বা। একটি দেশের জন্য স্বাধীনতার যোদ্ধা হবার সুজোগ পুরো জাতীর জীবনে একবার ই আসে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের একদিকে আবেগ ও গৌরবের বিষয়, অন্য দিকে ভবিষ্যতের ইতিহাস আমরা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম। আজ থেকে ১০০-২০০ বছর পর যখন ইতিহাস নিয়ে কেউ বসবেন তখন নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি প্রজন্মকে প্রশ্নের মুখে দাড় করাবেন বীরদের নাম নিই নাই বলে। আমাদের ৬৮ হাজার গ্রামে ছড়িয়ে থাকে শহীদদের একত্রে স্মরন করার জন্য গ্রাম- মহল্লা ভিত্তিক সমন্বিত উদ্যোগ নিলে সেটাই হবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধার বহিপ্রকাশ।
আসলে বাংলাদেশের সঠিক শহীদের সংখ্যা হিসাব করে বের করা যাবে না এবং বের করার প্রচেষ্টাও অবান্তর। দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন এবং যারা যুদ্ধ করে আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁদের উন্নতির দিকে খেয়াল দেয়া জরুরী বলে মনে করি। এখানে দলমত নির্বশেষে সকলকে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাগণ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত নাগরিক (অবশ্যই মহামান্য রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ সম্মানিত নাগরিক প্রধান) নাগরিক হিসাবে সম্মানিত হোক এটাই আমরা দেশের জনগণ চাই।
আগের বার জনগণ খালেদা জিয়ার কথায় সাড়া দেয়নি , তা কিভাবে হলফ করে বলতে পারেন ? খালেদা জিয়া যখনই ডাক দিয়েছেন তখনই সরকার সারাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। সারাদেশে গ্রেফতার বানিজ্য চালিয়েছে, সেই সাথে হত্যা গুমতো আছেই । নেতাকর্মিদের জেল জলুমতো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার । স্বয়ং খালেদা জিয়াকেউ ময়লার গাড়ি আর বালুর গাড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে । ঝারু মারা গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় একটি দলের মহাসচিব কে মাসের পর মাস রিমান্ড সহ জেলে রাখা হয়েছে । কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম মামলা সেন্চুরী ক্রস করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যকোন সরকারের আমলে এমন হয়েছে বলতে পারবেন ?ভূলে গেলে চলবেনা বেগম জিয়াই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছিলেন। আর বর্তমানে সরকার প্রদত্ত মাসিক ১০,০০০টাকা ভাতা কয়জন মুক্তিযোদ্ধা পায়, তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি কত? বরং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্পূর্ণ করার তাগিদ থেকেই হয়তো তিনি একথা বলেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ থেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা বিচার বিশ্লেষণের দাবি রাখে। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাসকরে, দেশ সৃষ্টি করতে যারা জীবনদান করেছেন তার সংখ্যা নিয় প্রশ্ন তুলতে পারেন না। যদি সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন করেন আমি অনুরোধ করব, সঠিক স্ংখ্যা নিশ্চয়ই আপনার কাছে আছে, তা প্রকাশ করুন অথবা বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। তানাহলে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্নাও কষ্ট পাবে। আবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমাননের নামেও তো শহীদ ব্যবহার করা যাবে না, কারণ তিনিতো রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে মারা যাননি- কেন যে কর্ণেল অলী আহমেদ এধরনের মন্তব্য করেন বুঝিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬