মোট ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ , আওয়ামী লীগ ১২৩, বিএনপি ৮, জামায়াত ১, স্বতন্ত্র ৫ জয়ী ।
সহিংসতায় মৃত্যু, গোলাগুলি, ব্যাপকহারে কেন্দ্র দখল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষপাতিত্বসহ নানা অনিয়মের মধ্যেই শেষ হলো ২৩৪ পৌরসভার নির্বাচন।তার কিছু চিত্র অনলাইন নিউস পেপার থেকে নিম্নে দেওয়া হল ।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার শায়েস্তানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এভাবেই কর্মীরা ব্যালটবাক্সে সিল মারা ব্যালট পেপার ভরছেন।
নারায়ণগঞ্জের তারাবতে একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারছেন এক নির্বাচনী কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জের তারাবতে একটি কেন্দ্রে চলছে ভোট কারচুপি।
বগুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাপসী রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে ককটেল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আজ সকালে কুয়াকাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বহিরাঙ্গন।
ব্যালটবাক্স এলাকা ঘিরে চলছে সিল মারা। ছবিটি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার শায়েস্তানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তোলা।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ৮ নম্বর পাঞ্জুপাড়া ভোট কেন্দ্রে হামলা করে ব্যালটবাক্স ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ১০০ ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল পানিতে ভেসে থাকে। এটি উদ্ধারে একজন আনসার সদস্য পানিতে নামেন। ছবিটি আজ বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুমারখালী আদর্শ ডিগ্রি মহিলা কলেজ থেকে তোলা।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় একজনকে এভাবে অস্ত্র হাতে দেখা যায়। ছবিটি আজ পৌরসভার পিটিআই মোড় থেকে তোলা।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন ও মারধর করেন। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকেরা।
বগুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাপসী রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। ছবিটি আজ বুধবার দুপুরে তোলা।
বগুড়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থীর বুথ ভাঙচুর করা হয়। ছবিটি আজ বুধবার দুপুরে তোলা।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।
মোট কথা্ .।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।।
আমি কোন দল সাপোর্ট করে নয় ,
বিএনপি কেন কোন দলেরই এসব নির্বাচন নির্বাচন খেলায় নামাটাই ঠিক হয়নি। মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না, তাদের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এটা মানুষ জানে এবং বিশ্বাস করে, দেশের মানুষের কাছে নতুন করে এর প্রমাণ হাজির করার দরকার নেই। বিএনপির উচিত ছিলো পৌরসভা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ‘এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন নয়, কোন ধরণের নির্বাচন নয়’ অবস্থান নেয়া। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে পৌরসভা নির্বাচনের পরিণতিও ৫ জানুয়ারির মতোই হতো। দাঙ্গাহাঙ্গামাপূর্ণ নির্বাচনও আওয়ামী লীগের জন্য কিছুটা হলেও ইতিবাচক। নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জনগণকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানালে সেটা অনেক বেশি কার্যকর হতো। বিএনপির অনুপস্থিতি যতক্ষণ থাকবে মানুষ ততক্ষণ ভোটকেন্দ্র বর্জন করবেই। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনও নয়, ভোটারবিহীন কেন্দ্রই আওয়ামী লীগের প্রাপ্য ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯