বাংলাদেশে মূলতঃ সব সময়ই তিনটা পক্ষ থাকে- একটা সরকার পক্ষ, একটা সরকার-বিরোধী পক্ষ, আর একটা পক্ষ হ’ল জনগণ। সরকার পক্ষ কোন সমস্যাকেই সমস্যা মনে করে না, শুধুমাত্র ক্ষমতার ছড়িটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ছাড়া; সরকার-বিরোধী পক্ষও অনেকটা ঐরূপ, তারা ক্ষমতার ছড়িটাকে হাতে না পাওয়া ছাড়া বাকীগুলোকে তেমন একটা সমস্যা মনে করে না, যদিও ঐ ক্ষমতার কারণেই তারা কিছু ‘সুবিধাজনক’ সমস্যাকে সামনে তুলে ধরে থাকে; আর জনগণ, যারা আসলে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কোন বাস্তব ফ্যাক্টরই নয়, তারা মনে করে- সরকার বা বিরোধী পক্ষ সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবকিছু্কেই সমস্যাযুক্ত করে ক্ষমতার মোহে তাদের অপাংক্তেয় করে ফেলেছে। মূলতঃ যাদের কল্যাণ-কল্পে এ দেশটাকে স্বাধীন করা হয়েছিল, তাদের অবস্থান আজ স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল থেকে যেন বহুদূরে; তারা যেন অনেকটা ন্যূব্জ ভারবাহী প্রাণীর মত, যার পিঠে মাত্রাতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে, যাকে প্রয়োজনে পেটানো হবে, যাদের যাচ্ছেতাই খাওয়ানো হবে, হেড়ে গলায় স্বরচিত উদ্ভট গীতিমালা শোনানো হবে- সবই মনিবের ইচ্ছায়, যার নিজের ইচ্ছায় কোনকিছুই হবে না, এমনকি তার তরফে কোন আলোচনা বা সমালোচনাও সহ্য করা হবে না।
,
আওয়ামী লীগের নেতাদের মনে রাখা দরকার যে জঙ্গিবাদ কেবল দলীয় সমস্যা নয়, জাতীয় সমস্যা। জাতীয় মতৈক্যের মাধ্যমেই এর সমাধান খুঁজতে হবে। জঙ্গি সমস্যাটির রাজনৈতিক দিক আমলে না নিয়ে নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখলে কিংবা রাজৈনতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইলে কখনোই জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে না। যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে, তখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তারা তখনই তৎপর হয়, যখন রাজনৈতিক বৈরিতা–অস্থিরতা এবং জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়তে থাকে।
কারণ সংলাপ করলেই ফেয়ার ইলেকশনে প্রশ্নটি আসবে, আর ফেয়ার ইলেকশনের কথা বললেই লীগের হৃদকম্পন শুরু হয়ে যায় ."" এমনকি ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বৈঠকটিও ব্যর্থ হয় তৎকালীন সরকারের একগুঁয়েমির কারণে। পরবর্তীকালে বিএনপির মহাসচিব স্বীকার করেছিলেন যে দলীয় প্রধান চাননি বলেই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। "" যার ফল এখন বিএনপি ভোগ করছে। হয়ত একসময় আওয়ামী লীগও ভোগ করবে।২০০৬ সালে তো তত্ত্বাবোধায়ক ব্যবস্থা ছিল, তারপরও আওয়ামীলীগ আলোচনার প্রস্তাব ছিল শ্রেফ ১/১১ ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মহড়া, এখন যেমন নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নাই ২০০৬ সালেও তা ছিল না ২০০৯ সালেও তা ছিল না সুতরাং আওয়ামীলিগকে সব সময় 'মিথ্যা আর প্রতারনার' আশ্রয় নীয়েই চলতে হয়, যেটা তারা গর্বের সহিত 'কৌশল' হিসেবে প্রচার করে বেড়ায় ;
মোট কথা ্্্্্
আমজনতা আর গনতন্তের ফাকা বুলি শুনতে চায়না। আমজনতার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে বলেন রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেখবেন আমজনতা রাজাকারদের জেঠিয়ে বিদায় করছে। যে দলটি গণতন্তন্তের জন্য আন্দোলন করে সাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে তাদের নিকট আমজনতা ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচনের মাধমে গঠিত গনতন্তের কথা শুনলে বড়ই আশাহত হয়।রাজাকাররা কোন অপরাধ করলে তাদের ধরেন, শাস্তি দেন, এমনকি রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেন - কোন অসুবিধা নাই। তবে গণতন্ত্রের কোন মানদন্ডে আপনাদের শাসন গণতন্ত্র সেটা জানাবেন কি?মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ফেনা তুলে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তাহলে এই সসমস্থ রাজাকারেরা এমনিতেই গাঙ্গের জলের মত ভেসে যাবে।এদেশে রাজাকাররা বহাল তবিয়তে থাকার পেছনে গত ৪৫ বৎসরের সরকার গুলোর বিশেষ অবদান রয়েছে। কেউবা ফুয়েল দিয়েছে আর কেউবা ঢেলেছে পানি। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করে আইনের হাতে ্তুলে দিতে অনেকেই চায়নি। আপনারা বিচার করছেন কিন্তু ১০/ ২০ জনের বিচার আপিল আর রিভিউ করে বিচার সম্পন্ন করতেই তিন চার বৎসর লেগে যাচ্ছে, অন্য দিকে লক্ষ রাজাকার স্বাধীন বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬