somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংলাপকে কেন ভয় !!! তবে গণতন্ত্রের কোন মানদন্ডে আপনাদের গণতন্ত্র সেটা জানাবেন কি?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :











বাংলাদেশে মূলতঃ সব সময়ই তিনটা পক্ষ থাকে- একটা সরকার পক্ষ, একটা সরকার-বিরোধী পক্ষ, আর একটা পক্ষ হ’ল জনগণ। সরকার পক্ষ কোন সমস্যাকেই সমস্যা মনে করে না, শুধুমাত্র ক্ষমতার ছড়িটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ছাড়া; সরকার-বিরোধী পক্ষও অনেকটা ঐরূপ, তারা ক্ষমতার ছড়িটাকে হাতে না পাওয়া ছাড়া বাকীগুলোকে তেমন একটা সমস্যা মনে করে না, যদিও ঐ ক্ষমতার কারণেই তারা কিছু ‘সুবিধাজনক’ সমস্যাকে সামনে তুলে ধরে থাকে; আর জনগণ, যারা আসলে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কোন বাস্তব ফ্যাক্টরই নয়, তারা মনে করে- সরকার বা বিরোধী পক্ষ সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবকিছু্কেই সমস্যাযুক্ত করে ক্ষমতার মোহে তাদের অপাংক্তেয় করে ফেলেছে। মূলতঃ যাদের কল্যাণ-কল্পে এ দেশটাকে স্বাধীন করা হয়েছিল, তাদের অবস্থান আজ স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল থেকে যেন বহুদূরে; তারা যেন অনেকটা ন্যূব্জ ভারবাহী প্রাণীর মত, যার পিঠে মাত্রাতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে, যাকে প্রয়োজনে পেটানো হবে, যাদের যাচ্ছেতাই খাওয়ানো হবে, হেড়ে গলায় স্বরচিত উদ্ভট গীতিমালা শোনানো হবে- সবই মনিবের ইচ্ছায়, যার নিজের ইচ্ছায় কোনকিছুই হবে না, এমনকি তার তরফে কোন আলোচনা বা সমালোচনাও সহ্য করা হবে না।
,
আওয়ামী লীগের নেতাদের মনে রাখা দরকার যে জঙ্গিবাদ কেবল দলীয় সমস্যা নয়, জাতীয় সমস্যা। জাতীয় মতৈক্যের মাধ্যমেই এর সমাধান খুঁজতে হবে। জঙ্গি সমস্যাটির রাজনৈতিক দিক আমলে না নিয়ে নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখলে কিংবা রাজৈনতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইলে কখনোই জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে না। যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে, তখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তারা তখনই তৎপর হয়, যখন রাজনৈতিক বৈরিতা–অস্থিরতা এবং জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়তে থাকে।

কারণ সংলাপ করলেই ফেয়ার ইলেকশনে প্রশ্নটি আসবে, আর ফেয়ার ইলেকশনের কথা বললেই লীগের হৃদকম্পন শুরু হয়ে যায় ."" এমনকি ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বৈঠকটিও ব্যর্থ হয় তৎকালীন সরকারের একগুঁয়েমির কারণে। পরবর্তীকালে বিএনপির মহাসচিব স্বীকার করেছিলেন যে দলীয় প্রধান চাননি বলেই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। "" যার ফল এখন বিএনপি ভোগ করছে। হয়ত একসময় আওয়ামী লীগও ভোগ করবে।২০০৬ সালে তো তত্ত্বাবোধায়ক ব্যবস্থা ছিল, তারপরও আওয়ামীলীগ আলোচনার প্রস্তাব ছিল শ্রেফ ১/১১ ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মহড়া, এখন যেমন নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নাই ২০০৬ সালেও তা ছিল না ২০০৯ সালেও তা ছিল না সুতরাং আওয়ামীলিগকে সব সময় 'মিথ্যা আর প্রতারনার' আশ্রয় নীয়েই চলতে হয়, যেটা তারা গর্বের সহিত 'কৌশল' হিসেবে প্রচার করে বেড়ায় ;

মোট কথা ্‌্‌্‌্‌্‌

আমজনতা আর গনতন্তের ফাকা বুলি শুনতে চায়না। আমজনতার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে বলেন রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেখবেন আমজনতা রাজাকারদের জেঠিয়ে বিদায় করছে। যে দলটি গণতন্তন্তের জন্য আন্দোলন করে সাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে তাদের নিকট আমজনতা ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচনের মাধমে গঠিত গনতন্তের কথা শুনলে বড়ই আশাহত হয়।রাজাকাররা কোন অপরাধ করলে তাদের ধরেন, শাস্তি দেন, এমনকি রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেন - কোন অসুবিধা নাই। তবে গণতন্ত্রের কোন মানদন্ডে আপনাদের শাসন গণতন্ত্র সেটা জানাবেন কি?মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ফেনা তুলে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তাহলে এই সসমস্থ রাজাকারেরা এমনিতেই গাঙ্গের জলের মত ভেসে যাবে।এদেশে রাজাকাররা বহাল তবিয়তে থাকার পেছনে গত ৪৫ বৎসরের সরকার গুলোর বিশেষ অবদান রয়েছে। কেউবা ফুয়েল দিয়েছে আর কেউবা ঢেলেছে পানি। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করে আইনের হাতে ্তুলে দিতে অনেকেই চায়নি। আপনারা বিচার করছেন কিন্তু ১০/ ২০ জনের বিচার আপিল আর রিভিউ করে বিচার সম্পন্ন করতেই তিন চার বৎসর লেগে যাচ্ছে, অন্য দিকে লক্ষ রাজাকার স্বাধীন বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×