সুরের টানে ঘর ছেড়েছিলেন খুব অল্প বয়সেই। নওগাঁ থেকে চট্টগ্রামে। ১৯৮০ সালে "ফিলিংস" নামক ব্যান্ড নিয়ে পারফর্ম করা শুরু করেন। আত্মপ্রকাশ ঘটে "স্টেশন রোড" নামক অ্যালবামের মাধ্যমে। তখনকার শ্রোতাদের রুচির সাথে না মেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয় অ্যালবামটি। ১৯৮৮ সালে "অনন্যা" সুপার-ডুপার হিট হওয়ায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাঁর নাম। ১৯৯১ সালে রিলিজ পায় "জেল থেকে বলছি" অ্যালবামটি। মূলত এই অ্যালবাম দিয়েই তাঁর নিজস্ব স্টাইল খুঁজে পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একে একে প্রকাশ পায় তার 'নগর বাউল', 'দুখিনী দুঃখ করো না', 'লেইস ফিতা লেইস', 'ঠিক আছে বন্ধু', 'এপিটাফ' নামের মাস্টারপিস অ্যালবামগুলো। সাথে বিভিন্ন মিক্স অ্যালবামে করা কাজ তো আছেই। হৃদয়গ্রাহী গানের কথা আর তার সাথে যৌক্তিক স্বকীয় সুরের মিল তাঁকে করেছে অপ্রতিদ্বন্ধী। গিটার বাজানোতেও রয়েছে দারুন দক্ষতা।
শ্রোতাদেরকে মাতাল করে তোলার জন্য সুন্দরীতমা, কবিতা, যাত্রা, মিরা বাঈ, মান্নান মিঞার তিতাস মলম, সাপুড়ে, লিখতে পারি না,ঠিক আছে বন্ধু, দুষ্ট ছেলের দল সহ অসংখ্য গান দিয়ে পুর্ণ তাঁর ভান্ডার।
শুধু বাংলা গানেই নয় ইংরেজি, হিন্দি গানেও রয়েছে সমান পারদর্শিতা। ঢালিউড বলিউড সব জায়গাতেই সমান বিচরণ তাঁর। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পী। তাঁর গাওয়া "ভিগি ভিগি","আলভিদা","চাল চালে","বেবাসি" গানগুলো কাঁপিয়েছে বলিউড।
তাঁর গান মনকে ছুঁয়ে যায় নি এমন শ্রোতা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যারা খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন তিনি। প্রিয় শখ ছবি তোলা। তাঁর তোলা ছবি দিয়ে একটি প্রদর্শনীও করার ইচ্ছে আছে তাঁর।
এই শিল্পী তাঁর গান দিয়ে আমৃত্য শ্রোতাদের মনকে নাচিয়ে যেতে চান,প্রাণকে করে যেতে চান আন্দোলিত।
শুভ জন্মদিন !!! গুরু-খ্যাত মাহবুব আনাম জেমস.......
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬