ক্রিকেটের বেশিরভাগ ব্যাটিং রেকর্ডই ক্রিকেট-ঈশ্বর শচীনের দখলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও "রেকর্ডের বরপুত্র" বলা হয় ব্রায়ান চার্লস লারাকেই। ব্র্যাডম্যানের পর দ্রুত রান তোলায় যে ক্যারিবিয়ন এই কিংবদন্তীই সেরা! লারার ব্যাটিং মানেই রানের ফোয়ারা! রমরমা টি-২০'র প্রভাবে ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি অনেক বেড়ে গেলেও একদিনেই ৩০০রান করা এ যুগেও অনেক আগ্রাসী ব্যাটসম্যানের পক্ষেও প্রায় অসম্ভব-ই। অথচ ২৩বছর আগে এ অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিলেন কী অবলীলায়!
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫০১রানের এভারেস্টে চড়ে নিজেকে করেছেন অনন্য! পেছনে ফেলেছেন হানিফ মোহাম্মদের ৪৯৯রানের ইনিংসকে। ৭৩বছর ধরে ধরে রাখা সিংহাসন থেকে সরিয়ে দেন সিজে ম্যাকার্টিনকেও! ১৯২১ সালে ম্যাকার্টিন একদিনে করেছিলেন ৩৪৫!
এ ম্যাচে সেঞ্চুরির সুবাদে টানা আট ইনিংসে সাত সেঞ্চুরির রেকর্ডের মালিকও বনে যান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এ অর্জন অন্য কারও নেই! আগের রেকর্ডটি ছিল সাত ইনিংসে ছয় সেঞ্চুরি।
এজবাস্টনে রানের এ চূড়ায় পৌঁছার মাত্র দুই মাস আগেই টেস্টের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। অ্যান্টিগায় তাঁর ৩৭৫ রানের ইনিংসটি টিকে ছিল প্রায় এক দশক! ২০০৩ সালে পার্থে অজি তারকা হেইডেন ৩৮০ করে তাকে দুই নম্বরে ঠেলে দিলেও কয়েক মাস পরেই তা আবার পুনরুদ্ধার করেন এই ‘ক্যারিবীয় যুবরাজ’ । সময় নেন মাত্র ১৮৫দিন ও ১৯ইনিংস! প্রায় সোয়াশ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গড়েন এক ইনিংসে ৪০০ রানের নতুন ইতিহাস!
৩৭৫ ও ৪০০* - দুটি ইনিংসই খেলেছেন অ্যান্টিগায়। প্রতিপক্ষও একই- ইংল্যান্ড।
মাসও ছিল একটাই- এপ্রিল! দুটো ইনিংসই আবার খেলেছেন ১ম ইনিংসে। দুটোতেই ম্যাচসেরা। তবে বেদনার বিষয় হল কোনটিতেই তাঁর দল জয়লাভ করতে পারে নি!!
প্রথম টেস্ট শতক ছিল অজিদের বিপক্ষে,সিডনিতে। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচে। ইনিংসটি কত রানের জানেন? ২৭৭!! এতই খুশি হয়েছিলেন যে,পরবর্তিতে কন্যার নামই রেখে দেন-সিডনি!
অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক ৫টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি। মোট ডাবল সেঞ্চুরি-৯টি।
ক্যারিবিয়নদের মধ্যে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি তাঁরই-৩৪টি।
আছে টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষেই শতক হাঁকানোর রেকর্ড।
এক সেশনেই সেঞ্চুরি করাদের মধ্যে তিনি ৬ষ্ঠ।
এক টেস্টেই সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিতেও নাম আছে।
টেস্টে ১১,৯৫৩ ও ওয়ানডেতে ১০,৪০৫রানের মালিক।