#মুদাসসর নজর(পাকিস্তান)
টেস্ট ক্রিকেট কাউকে ১৯৯রানে আটকে যেতে প্রথম দেখে খেলাটির প্রায় হাজার তম(৯৯৫ তম) ম্যাচে এসে। অভাগার নাম মুদাসসর নজর!চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সাথে ম্যাচটিতে সতীর্থ কাশিম ওমর ২১০রান করলেও তাঁকে কাটা পড়তে হয় ১৯৯রানেই!
#মুহাম্মদ আজহার উদ্দিন(ভারত)
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৭৬/৭ রানের স্কোরে ৩জন ১৫০+ রানের ইনিংস খেললেও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল শুধু আজহারকেই। গাভাস্কার পান তাঁর সর্বশেষ টেস্ট শতক(৩৪তম)। কপিল খেলেন ক্যারিয়ার-সেরা টেস্ট ইনিংস।ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস আজহারেরও! তবে ১৯৯রানের ইনিংসটিও তাঁর জন্য বিষাদময় ঐ ১রানের আক্ষেপেই।
#ম্যাথু এলিয়ট(অস্ট্রেলিয়া)
১রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে অজি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাথু এলিয়টকেও। আজহারের মত তাঁরও ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস ১৯৯!
#সনাথ জয়সুরিয়া(শ্রীলঙ্কা)
৩৪০রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঠিক এর আগের ম্যাচেই। ইয়ান বোথামের ২২০বলে করা ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও প্রায় ভাঙ্গার কাছে চলে গিয়েছিলেন এ ম্যাচেও। কিন্তু ২২৬বলে ১৯৯ তেই থামতে হয়েছিল তাঁকে। ১রানের আক্ষেপ গ্রাস করে মাতারা হারিকেনকেও!
#স্টিভ ওয়াহ(অস্ট্রেলিয়া)
যদিও ওয়াহর একমাত্র দ্বিশতকটি এই ক্যারিবিয়নদের বিপক্ষেই,১৯৯৫ সালে।কিন্তু লারার বীরোচিত ম্যাচে ওয়ালশ-এমব্রোসরা ১রানের হতাশায় ডুবিয়েছিল ওয়াহকেও! ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণ-যুগের শেষদিকে ১৯৯রানে আউট হয়েছিলেন অজি ক্যাপ্টেন।
#এন্ডি ফ্লাওয়ার(জিম্বাবুয়ে)
ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েগিয়েছিলেন আগেই। তবে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এবার পেলেন ভিন্ন এক স্বাদ! সতীর্থদের ব্যর্থতায় ১৯৯রানে অপরাজিত থাকতে হয়েছিল এই বাহাতিকে!
#ইউনিস খান(পাকিস্তান)
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ইতোমধ্যে হয়েগিয়েছিল ছয় ছয়টি সেঞ্চুরি! চারটিই পাকিস্তানের।বুঝা-ই যাচ্ছে কেমন ব্যাটিংবান্ধব ছিল উইকেট!আগের ম্যাচেও ডাবল হাঁকানো ইউনিসও এগিয়ে যাচ্ছিলেন টানা দ্বিতিয় ডাবলের দিকে। কিন্তু বিধিবাম! ১৯৯রানে রান-আউটে কাটা পড়তে হয় তাঁকে। ১৯৯ তে রান-আউট হওয়া একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। এরপর তিনি ত্রিশতকও হাঁকিয়েছিলেন।
#ইয়ান বেল(ইংল্যান্ড)
ইউনিসের মত ইয়ান বেলও একজায়গায় একমাত্র হয়ে আছেন। ১৯৯ তে আউট হওয়া কট এন্ড বোল্ড। দুজনের মিল আছে আরেক জায়গায়। দুজনেই সমান সংখ্যক বল মোকাবেলা করেছিলেন। তিন বছর পর বেল ডাবল হান্ড্রেডের দেখা পেয়েছিলেন।
#কুমার সাঙ্গাকারা(শ্রীলঙ্কা)
এন্ডির মত সাঙ্গারও রয়েছে অপরাজিত থাকার রেকর্ড। মজার ব্যাপার হল,দ্বিশতক ভেবে আগেই উদযাপনও করে ফেলেছিলেন তিনি। পরে দেখা যায় ১রান কমতি আছে। কিন্তু পরের ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় এ দলে যোগ দিতে হয় আগেও ৮টি ডাবল হাঁকানো সাঙ্গাকে! ইউনিসের মত সাঙ্গাও পরবর্তিতে ত্রিশক পেয়েছেন।
#স্টিভেন স্মিথ(অস্ট্রেলিয়া)
জেরোমি টেইলরের সুইংয়ে কাটা পড়তে হয়েছিল অজি দলপতিকে। পরের মাসেই অবশ্য ডাবলের দেখা পান স্মিথ তা-ও আবার লর্ডসে!
#লোকেশ রাহুল(ভারত)
মঈন আলিকে ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৯০'র ঘরে। ডাবল যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র তখনি আদিল রশিদের বলে কাটা পড়ে যোগ দেন আজহার-এলিয়টদের ক্লাবে।
#ডিন এলগার(দক্ষিণ আফ্রিকা)
১রানের আক্ষেপের তালিকায় সর্বশেষ নাম তোলেন এলগার। মোস্তাফিজের মায়াবি কার্টারে ধাঁধাঁয় পড়েন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে একমাত্র এলগারই ১৯৯ তে আউট হয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬