somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সূর্যাস্তের সে অবয়ব -

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিত্যদিন ঠিক যেমন কাজের ব্যস্ততায় পার হয় সময়। আজও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। এককথায় বলা যায় এই’ই রোজনামচা। অনেকটা সময় একান্ত অনিচ্ছায়ও মন চাইলেও কারোর সাথে যোগাযোগ করা হয়ে উঠে না। যখন নিজের বেলায় হয় তখন আমরা মুখ ফুটে বলে দেই “কঠিন বাস্তবতা” নামক অতি পুরানো শব্দটি। এমনও কি, কেউ কোন ম্যাসেজ পাঠালো বা ফোনে কল দিল যা সঠিক সময়ে দেখা হলো না বা উঠানো হয় না বা পরবর্তীতে তার উত্তর দেওয়ার কথা ভূলে যাই। এমনটি হয় একান্ত অনিচ্ছাকৃত। তারপরও কেউ মনে করে নেয় কি এর সব’ই হয় বা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত। এমন কোন প্রতিশব্দ নাই যা খেসারতের বিণিময় হিসাবে প্রযোজ্য, কারণ “দুঃখিত” বেশ পুরানো হয়ে গেছে। এতে এখন চলে না। হঠাৎ’ই বলা যায় একারণে আজ কাল আর ডাক চলে না বলেই, তো বিকেল তখনও অল্প স্বল্প বাকি আছে হারাতে ঠিক তখন হাতে পেলাম আদি’র চিঠি। আদি লিখেছে -
“ কতদিন ধরে লিখতে চাইছি কিন্তু পারছি না। মনে হচ্ছে কোথায় যেন কি নেই। কি নেই তাও বুঝতে পারি না কিন্তু মনেও সাহস আসে না। আজ লিখতে বসে ভাবছি আজ যে বিকাল দেখলাম বা সেদিন সকালে উঠে যে রাস্তায় হেটে বেড়ালাম তাই নিয়েই লিখি। প্রতিদিন বিকাল হচ্ছে আমি তো দেখছি। নতুন তো নয় তবে কেন আমার কাছে খারাপ লাগল। আজ বিকালে কি আমার মনে আকাশের নিলাজ সুন্দর রঙ বা মেঘের আড়ালে থাকা কোন পুরানো স্মৃতি আমায় সব ভুলিয়ে দিতে পারলো না? আমি কি খুব বেশি কিছু চেয়েছি? নাকি সবার আড়লে থাকা পুরানো বইয়ের মত থাকতে চাওয়াই অপরাধ হয়ে গেলো? আজ রাতে কোন রুপকথা না থাকুক কিছু টুকরো স্মৃতি তো থাকতে পারতো? কেন নেই? এই কেন'র উত্তর আমি জানি না। না জানা কিছু উত্তর আর জানা কিছু প্রশ্নের মাঝে আমি যেন ঘুরে বেড়াচ্ছি। দেয়ালে ঝুলানো পুরানো দিনের দিনপঞ্জিকা আর আমার প্রশ্নের উত্তর দুটোর মাঝে মিল খুঁজে পাওয়া কি খুব কঠিন কিছু? আমাদের জীবনটা খুব ছোট কিন্তু সম্পর্কগুলো বিশাল। কারো জায়া, কারো পত্নী, কারো মাতা বা কারো প্রেমিকা , এই রকমই হয় নারী জীবনপথ। সব সম্পর্কই নানা ধাপে নানা পরীক্ষার ভিতর দিয়ে যায়। পরীক্ষায় সাফল্য আসে, জীবনে পরিপূর্ণতা আসে । সম্পর্ক মজবুত হয়, জীবন পূর্ণতা পায় না শুধু, পায় প্রাণ, পায় এগিয়ে চলার ইচ্ছে। জীবন এর কিছু বিকালে হয়ত তাই না চাইতেই মেঘের দেখা পাওয়া যায়। আর একার একটি একলা সকাল কিছু দেখালো নতুন করে। বাসার সামনে একটা বিশাল পুকুর থাকায় হাঁটাহাটির শখ ভালোই পূরণ হয়। বেরসিক মা যখনি এসে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকায় তখন সব সপ্ন মনে হয় পেঁজা তুলোর মত উড়ে গেল। জানালার বাইরে বা গেটের বাইরে যে জগত তা মায়ের শাসনের মাঝেই আটকা পরে যায়। এটাও তো ভালবাসা। সবার ভালবাসা অগ্রাহ্য করা যায় নাহ। আমার সাধারণ মা তার সাধারণ চিন্তার বাইরেও যে আমাকে শাসন করেন তার চোখ দিয়ে, গান আছে না.... “চোখের সে ভাষা বুঝতে হলে, মনের মত মন থাকা চাই”.... হা হা হা। আমি কিন্তু বুঝি তার চোখ দেখেই কখন কি বুঝায়। এটাই সম্পর্কের না বলা কথা বলে যায়। কোনো টেলিফোন কখন যে বেজে যায় কেই বা জানে আর কখন ই বা আমার মনঃবীণা কোন সুরে বেজে গেছে। সুর অনেক হয়, সুরের সাধনাও অনেক নিয়মেই করা যায় তবে আমার মনের সুর যে কোন রাগাশ্রয়ী তা তো আমি নিজেই বুঝলাম নাহ। আর আমার সকাল আমার বিকেল আমার নিয়মেই হয়। হয়ত তোমাদের নিয়মেও হয় কিন্তু আমার টা তো আমারই। আমার আমি র বাইরে চিন্তা খুব কম করি যা সাধারণ আর কেউ করে কি না জানি নাহ কিন্তু আমি করি। একি সাথে ভাবি আমি এত সার্থপর কেন? চাই নাই হতে কিন্তু এমন জীবনপথ যে হয়ে যাচ্ছি। যা করতে চাই নাহ তা করি নাহ তাই খামখেয়ালি উপাধি বহু ছোটবেলা থেকেই প্রাপ্ত। তাই তো আমি পালাতে চাই। পালাতে যেয়ে বার বার নানা মায়ায় বাধা পরে যাই। মায়ার বাঁধন কাটাতে গেলে যত মোহ কাটাতে হয় কাটাতে পারি নাহ। আজ এটুক’ই।
ভাল খেকো।”
চিঠির আদ্যেপান্তো বেশ ক’বার পড়লাম তবে কিছুই বুঝলাম না। ইচ্ছে ও করছে না একবার জিজ্ঞেস করি এসব কি। তবে বলতে ইচ্ছে হয় -
তোর জন্যে হাজার পরিক্রমা,
নিঃশ্বাস ভরিয়া নিই তোর’ই সৌরভ-
পথের বাঁকে তোর ছায়াতে বসেই হাসি আপন মনে,
কখনও তোর হাতের আঁছড় দগ্ধ হওয়া ঐ বালুচর।
ঘোমটা টানায় নাকের নোলক, সূর্য সম তোর নাকফূল।
মিষ্টি হাসির যাদুর পরশ-
দুর্বাঘাসে চপল পায়ে তোর পথের ঐ ধারায় বয়ে-
শিহরিত শিশির দানা,
বৃষ্টি সমেত মেঘের খোলস
উড়াই ধুলো ঘুর্ণি করে -
তোর হাসিতে ঝরছে ধারায় বৃষ্টি হয়ে ঝুমঝুমিয়ে -
তোরই জন্যে ফুলের পরাগ
তোর কান্নায় রাগ-অভিমান।
বাড়িয়ে দেওয়া অলস হাতের -
চমকানো সে হৃদ আলিঙ্গন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×