somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতাঃ পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাস।

পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা


ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যাসত্য করার পদ্ধতি নিয়ে আলেমসমাজের কোন সন্দেহই নাই। বাংলাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস মরহুম আজিজুল হক বলেছেন- বিশ্ববাসীকে এরূপ চ্যালেঞ্জ প্রদান করা যাইতে পারে যে, হাদিছের প্রামাণিকতার মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই। কোরান যেমন নির্ভূল হাদিছও তদ্রুপ নির্ভূল; ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই। [দ্র: বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ সংস্করণ, শায়খ আজিজুল হক; মুখবন্ধ অধ্যায়, পৃ. ১২]। এমন অবস্থায় ইমাম বুখারীর নিজস্ব কথা দিয়েই তার হাদীস সংকলণ পদ্ধতির সমালোচনা শুরু করা যাক। তবে একটি কথা আবারো পরিষ্কার করে বলে নেই যে আমার পোস্টের উদ্দেশ্য হাদীস শাস্ত্রকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা নয়, বরং হাদীস যেন কোরানের কষ্টি পাথরে যাচাই করা হয় সেই আবেদন জানানো। আর মূল বক্তব্য এক হবার কারণে এই পোস্টটি অন্য একটি পোস্ট থেকে কপি ও কিছু এডিট এখানে পোস্ট করা হয়েছে।

ইমাম বুখারী বলেন, ‌‌‌আমি এই কিতাবের মধ্যে প্রতিটি হাদীস এতদূর সতর্কতার সাথে গ্রহণ করেছি যে, আল্লাহ প্রদত্ত্ব স্বীয় ক্ষমতা, জ্ঞান, ইলম ও অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রতিটি হাদীসকে সূক্ষ্মভাবে বেছে ও পরখ করে নেয়ার পরেও প্রতিটি হাদীস লিখবার আগে গোসল করে ২ রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট এস্তেখারা করার পর যখন আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই হাদীসটি সন্দেহ লেশহীন ও সহিহ; তখনই আমি সেটাকে আমার এই কিতাবের অন্তর্ভূক্ত করেছি, এর পূর্বে নয়। এই কিতাবের পরিচ্ছেদসমূহ পবিত্র মদিনায় রাসূলের (সা) রওজাপাকের নিকটবর্তী বসে সাজিয়েছি এবং প্রতিটি পরিচ্ছেদ লিখতেও ২ রাকাত নামাজ পড়েছি। এইভাবে আমি স্বীয় কন্ঠস্থ ৬ লক্ষ হাদীস (তাজ্যব ব্যাপার বটে!) থেকে বেছে ১৬ বৎসরে অক্লান্ত পরিশ্রমে এই কিতাবখানা সংকলন করেছি এই আশায় অনুপ্রাণীত হয়ে যে, আমি যেন এই কিতাবখানাকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হতে পারি। [দ্র: বোখারী, আ. হক, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, ‘মুখবন্ধ অধ্যায়]

সমালোচনাঃ

মহানবির জীবিতাবস্থায় কাবাঘরের সামনেই যখন চুরি, ডাকাতি, মিথ্যা, চোগলখোরী, মোনাফেকী ঝগড়া-ফ্যাসাদ সংঘটিত হয়েছে; কাবাঘর, রওজা মোবারক জিয়ারতে এখনও মুয়াল্লেমদের যখন ঘুষ প্রদান করতে হয়; টাউট, বাটপার খুনী ঘুষখোর তথা রাজনীতিবিদ, ধর্ম ব্যবসায়ীগণও যখন হাজী হওয়ার সুযোগ পায়, ১৪শ বৎসর যাবৎ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ও কোষাগার রাজা-বাদশাগণ এখনও অবৈধভাবে দখল করে আছেন, তখন পবিত্র রওজা মোবারকের দোহাই দিয়ে কিছু প্রচার-প্রতিষ্ঠা করলেই কি তা শতভাগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে যাবে? তাহলে এই পোস্টের আগের পর্বে (২য় পর্ব) যে সর্বজনবিদিত বুখারীর ভুল হাদীসগুলো উল্লেখ করেছি সেখানে এই নামাজ, নবীর রওজা মুবারকের কেরামতি ব্যর্থ হল কিভাবে? প্রতিটি হাদীস লিখার আগে গোসল করে ২ রাকাত নামাজ পড়ে ইমাম বুখারী হাদীসটির সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিলেন বলে যে দাবী করেছিলেন সেই দাবীটির অযৌক্তিকতা সাধারণ মুসলিম কেন একবারও চিন্তা করে দেখেনা?

হযরত আবুবকর মাত্র ৫ শত হাদীস লিখে হাজার চিন্তা ভাবনা করেও সন্দেহ মুক্ত হতে না পেরে জাহান্নামের ভয়ে সবগুলো হাদীস জ্বালিয়ে দেন। হযরত উমর এ ব্যাপারে সভা সমিতি করে অতঃপর এক মাস যাবৎ চিন্তা করে একই কারণে এবং মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তর স্বার্থে সংকলনের পরিকল্পনা কসম খেয়ে পরিত্যাগ করেন এবং সংগৃহিত সকল হাদীস জ্বালিয়ে দেন। পক্ষান্তরে, প্রায় তিনশত বৎসর পরে ইমামগণ হাজার হাজার হাদীস সংগ্রহ করে সত্য, মহাসত্য বলে দাবী করেছেন বলেই কি তা মহা সত্য হয়ে গেল? মহাসত্য যে হয়নি তার প্রমাণ আগের পর্বে দেয়া আছে।

আরও সমালোচনা করার আগে ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির নিয়মগুলো একটু দেখে নেয়া দরকার। নিম্নে ইমাম বুখারীর হাদীস পরীক্ষার ধারাগুলি লক্ষনীয়: (সূত্র-বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ সংস্করণ, শায়খ আজিজুল হক; মুখবন্ধ অধ্যায়, পৃ. ১২)

১. শত শত বা হাজার বছর পরেই হোক না কেন, নবী (সা) থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সুত্র পরম্পরায় পর্যায়ক্রমে যতজন সাক্ষির মাধ্যমে হাদীসটি পৌছেছে, এক এক করে সমস্ত সাক্ষির পরিচিতি, নামের তালিকা সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ করতে হবে। কোন একজনের নামও যেন বাদ না পড়ে, নতুবা হাদীস গ্রহণীয় হবে না। এই ধারাটির সাথে আবার দুটি উপধারাও আছে:

ক. উক্ত সাক্ষ্য দাতাদের মধ্যে প্রতিটি সাক্ষি বা রাবী তার পূর্বের সাক্ষ্য দাতার নাম উল্লেখ করার সাথে সাথে স্পষ্ট উল্লেখ করবেন যে, ‘আমি অমুকের মুখে শুনেছি’ ‘তিনি বর্ণনা করেছেন’ বা ‘অমুক আমার নিকট বর্ণনা করেছেন।’ কোন একজন সাক্ষিও যদি এরকম স্পষ্ট শব্দ না বলে কোন অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করেন, যেমন এরূপ বলেন যে, ‘ছলিম কলিম হইতে বর্ণনা করেছেন’ তাহলে উক্ত সনদ গ্রহণীয় হওয়ার জন্য আরও অনেক রকম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। ইমাম বুখারী এমন সনদ গ্রহণ করার ব্যাপারে সর্বাধিক কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন।

খ. প্রত্যেক সাক্ষি ও পূর্ববর্তী সাক্ষি উভয়ের জীবনকাল ও বাসস্থান এমন হতে হবে যেন উভয়ের মধ্যে দেখা সাক্ষাত ও কথাবার্তা অসম্ভব না হয়।

২. সাক্ষ্যদাতার প্রত্যেক ব্যক্তি নাম ঠিকানা, গুণাবলী, স্বভাব চরিত্র এবং কোন কোন ওস্তাদের কাছে হাদীস শিক্ষা নিয়েছেন ইত্যাদি বিষয়ে হাদীস বিশারদগণের নিকট পরিচিত হতে হবে। সাক্ষ্য দাতাদের একজনও অপরিচিত হলে ঐ হাদীস গ্রহণীয় নয়।

৩. আগা গোড়া প্রতিটি সাক্ষিই জ্ঞানী, খাঁটি সত্যবাদী, সৎ চরিত্র, মোত্তাকীম পরহেজগার শালিনতা ও ভদ্রতা সম্পন্ন স্বভাবের হতে হবে। কোন ব্যক্তি জীবনে মাত্র একবার হাদীস সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা উক্তির জন্য ধরা পড়লে এ ব্যক্তির শুধু মিথ্যা হাদীসই নয়, বরং তার সারা জীবনের সমস্ত হাদীসই অগ্রাহ্য হবে। তওবা করলেও তার বর্ণিত হাদীস আর গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া অন্য কোন বিষয়েও মিথ্যাবাদী বলে পরিচিত হলে বা শরিয়ত বিরোধী আকিদা বা কার্যকলাপে লিপ্ত প্রমাণিত হলে বা অসৎ প্রকৃতির লম্পট ও নীচ স্বভাবের লোক হলে তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণীয় হবে না।

৪. প্রত্যেক সাক্ষি তার স্মরণ শক্তি সম্বন্ধে অতিশয় পাকাপোক্ত সুদক্ষ ও সুদৃঢ় সংরক্ষক বলে পরিচিত হতে হবে। এবং এটাও প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক যে, প্রতিটি সাক্ষি তার পূর্ববর্তী সাক্ষ্যদাতার কাছে হাদীসটি পূর্ণ মনোযোগের সাথে শুনে তা আবার সবিশেষ মনোযোগের সাথে মূখস্ত করে বা লিখে রেখেছেন। এই বিশেষ প্রমাণ এমন হবে যে, উক্ত সাক্ষি হাদীসটি আজীবন শত শতবার গড়মিল ছাড়াই বর্ণনা করে আসছেন। যে সময় তার বর্ণনার মধ্যে এমন গরমিল দেখা যাবে, তখন থেকে আর ঐ সাক্ষির বর্ণনার কোন হাদীস সঠিক প্রমাণিত বলে গণ্য হবে না।

সমালোচনা:

উল্লিখিত ধারাগুলির উপর নজর যেকোন সাধারণ শিক্ষিত লোক মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কথা। এইসব পদ্ধতি যে কোনদিনই ফুলপ্রুফ হতে পারেনা তা বুখারী শরীফে অন্তর্ভুক্ত ভুল হাদীসগুলোই প্রমাণ করে দেয়। হাদিছবেত্তাগণ অজানা অচেনা লক্ষ লক্ষ মৌখিক সাক্ষির উপর হাদীসের সত্যাসত্য প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু কষ্মিনকালেও কোরানের আলোকে একটি হাদীসেরও সত্য মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেননি বরং অজ্ঞাত কারণে তা প্রত্যাখ্যান করনে। হালের শায়খুল হাদিছগণও কোরানের আলোকে হাদিছের সত্যাসত্য প্রমাণে এখনও রাজী হচ্ছেন না। অথচ কোরান সাক্ষি দেয় যে, রাছুল কোরানের বাহিরে তিল পরিমাণ কথা ও কাজ করেন নি; করলে তার জীবন ধমনী কেটে দেয়া হতো। কোরান মিজান অর্থাৎ সত্য/মিথ্যা, ন্যায়/অন্যায় মাপার সুত্র; কোরান ফোরকান অর্থাৎ সত্য/মিথ্যা পার্থক্য করার মন্ত্র।

হাদীস প্রতি ৭ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত বর্ণনাকারী বা রাবী আছেন। এদের গড়পরতা হিসাবে হাদীস প্রতি ৫০ জন রাবী হয়। সংগৃহীত ৩০ লক্ষ হাদিছের রাবী বা বর্ণনাকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ কোটি। ইমাম বুখারীর ৬ লক্ষ হাদিছের রাবীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটি। এদের নাম, ঠিকানা, বংশ পরিচয়, দৈনন্দিন জীবনের কথা ও কাজের সত্য-মিথ্যা, জ্ঞান বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, জীবনে একটি মাত্র মিথ্যা বলেন নি বা বলেছেন ইত্যাদি খুটিনাটি বিবরণসহ ৩ বা ১৫ কোটি রাবীর জীবনেতিহাসসহ ৬ বা ৩০ লক্ষ হাদীস শোনামাত্র মৌখিকভাবে সংগ্রহ করে ইমাম বুখারী একটার পর একটা মন্থন করে নিজ জ্ঞান বুদ্ধি ও বিচার মোতাবেক প্রায় ৬ হাজার হাদীস সত্য বলে গ্রহণ করেছেন। এই সত্য বলে গৃহীত হাদীসগুলোর গড়পরতা রাবীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭ শত ৫০ জন। পক্ষান্তরে, ইমাম বুখারী অন্য একটি কিতাবে মাত্র ১৮শ জন রাবীর চরিত্রের সত্যতার দলিল রচনা করেছেন। বাকি লক্ষ লক্ষ রাবীর চরিত্রের সত্যাসত্যের কোন দলিল নেই।

একজন মাত্র মানুষের সারা জীবনে একটি মাত্র মিথ্যা বা ভূল বলেননি বা বলেছেন; এমন ঘোষণা স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, মাতা-পিতা কারো পক্ষেই কেউ দিতে পারেন না। এমনকি নিজের ব্যাপারেও তা সম্ভব নয়; এমন একটি নিষ্পাপ মাসুম মানুষের পরিচয় আদম থেকে আজ পর্যন্ত কারো জানা নেই; এমনকি হাদীসের আলোকে নবিগণও ভূলের উর্দ্ধে ছিলেন না বলে শরিয়ত স্বয়ং নিজেই সাক্ষি দিচ্ছে।

রাবীদের মধ্যে ২/৪ জন রাবীর নাম ঠিকানা বিস্মৃত হলে বা অধিক যুক্ত করলে তা সনাক্ত করার সুত্র কারও জানার কথা নয়। যিনি মাত্র শ্রুতি সুত্রে হাদিছ ও রাবীর নাম ঠিকানা ও জীবন ইতিহাস সংগ্রহ করেছেন, তিনি দু'চারটি বাদ দিলে বা সংযুক্ত করলে কার কি করার আছে!

স্বয়ং ইমাম বুখারীগণ নিজেরা মিথ্যা বলেননি, ভুল করেন নি, এমন কোন দলিল প্রমাণ নেই! ‘মিথ্যা বলিনি’ বাক্যটি হাজার বার লিখে কসম করে বললেও বর্বর মূর্খ ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বাস করতে পারে না! মহানবির রওজা মোবারকের পাশে বসে লিখলেই যে তা সত্য হবে এমন বিশ্বাস ‘ক’ অক্ষর জ্ঞানশুণ্য লোকেরাই করতে পারে। হাদীস সত্য কি মিথ্যা তা প্রমাণের জন্য স্বয়ং হাদীসগুলিই যথেষ্ট। ইমাম বুখারীগণ সাহাবাদের তুলনায় অধিক ধার্মিক বা জ্ঞানী অবশ্যই ছিলেন না। তদুপরি শরিয়তের বিশ্বাসে মহানবি নিজেই যখন ভুল করেছেন তখন ইমাম বুখারীগণ যে ভুল করেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহই থাকতে পারে না।

এতকিছু বুঝেনা বলেই সাধারণ মুসলমান বুখারী শরীফের নাম শুনেই অন্য চিন্তা করতে ভুলে যায়, বরং পরম ভক্তি সহকারে অত্যন্য হাস্যকর কথাও বিশ্বাস করে নেয়। এই মোহাবিষ্ট মুসলিম মনে করে যে ইমাম বুখারী ইমাম মুসলিম হচ্ছেন ফেরেশতার কাছাকাছি, তাদের সমালোচনা করা গুনাহের কাজ, তাদের জীবণ সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত, তাদের বই তাদের আমলের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে ইমাম বুখারি ইমাম মুসলিমের সমালোচনা অনেক আলেমই করেছেন, ইমাম বুখারীকে তার এলাকাবাসী পরিত্যাগ করেছিলেন, ইমাম বুখারীর হাদীস ইমাম মুসলিম গ্রহণ করতেন না, ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলণ পদ্ধতিকে ইমাম মুসলিম ত্রুটিপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করতেন, তাদের মাঝে খুব একটা সুসম্পর্ক ছিলনা। পরবর্তী পর্বে এসব বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা হবে।

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
১৬টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×