আজ আমি রাজাকারদের ফাঁসির ( হত্যার ) দাবি নিয়ে আসিনি, আসিনি কারাগারে রেখে তিলেতিলে মারার দাবি নিয়ে। আমি এসেছি তাদের র্সবচ্চো শাস্তির দাবি নিয়ে। এই র্সবচ্চো শাস্তি যদি মুতুদন্ড হয় তবে তাই হোক।
আমার বিবেকের কাছে প্রশ্ন এই রায়ে তার প্রতিফলন হয়েছে না কি না ?
উত্তর হচ্ছে না।
শতাধিক মানুষ হত্যা , সন্মানহাণী, লুটপাটে সক্রিয় আংশ গ্রহন, তথাধিক অন্যদের কে অনুপ্রাণিত করার শাস্তি দ্বিতীয় মাত্রা ! হত্যার ধরন ( জবাই করে হত্যা ! ), নিষঠুরতা বিবেচনা করলেও তো র্সবচ্চো শাস্তির দাবি রাখে। আর ব্যক্তি সংখ্যা বিচারের ভার তো পাঠকদের নিকট রাখলাম।
এবার আসি ইতিহাসের কাছে। একটি সময় ছিল যখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কে খাওয়ানো হতো, ঘুম পাড়ানো হতো, দুষ্ঠদের পড়তে বসানো হতো র্বগিদের ভয় দেখিয়ে। সময়ের পরিক্রমায় ১৯৭১ এর পরে র্বগিদের স্থান নিলো একজন কসাই। একজন ব্যক্তির ক্ষণিকের নিষ্ঠুরতার কি ভাবে হাজার বছরের নিষ্ঠুরতার কাছে পরাজিত হয় । তার শাস্তি দ্বিতীয় মাত্রা !
এবার আসি আবেগের কাছে। ভাই হত্যার সুবিচার , বাবা হত্যার সুবিচার , সন্মানহাণীর সুবিচার আমরা কী চাইবোনা ? যারা ভাই হারিয়েছে বাবা হারিয়েছে তারা কী সুবিচার চাইবে না ? চাইবে না হত্যার বদলে হত্যা । খুনির কী অধিকার রয়েছে এই পৃথিবিতে আলো বাতাসের স্বাদ গ্রহণ করার। আবেগের কাছে প্রশ্ন রইলো।
আমার ভাবনা গুলো যদি একই সুতায় গাথা রাজাকারদের ফাঁসির দাবি নিয়ে আসে তবে আমি তার দাবি নিয়ে এসেছি।
বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।
তুই রাজাকার , তোর ফাঁসি চাই।