এই যে আমায় জ্বলতে দেখো
জ্বলের চোখে আগুন দেখো
ভলকে ওঠা লাভার মত,
দপদপিয়ে উঠছি কেন
শব্দ নিয়ে তীক্ষ্ণ যত?
এই যে আমার শব্দ দেখো
বাক্য ব্যাসের বাহার দেখো,
ওষ্ঠ ফাকে অনল দেখো
হলাহলের কন্ঠ দেখো।
শরীর জুড়ে অহং দেখো
তীব্র কথায় বক্র দেখো,
কাব্য লেখার হরফ জুড়ে
বক্র বিষের বহর দেখো।
দেখেছো কি আমার-
নরম-শরম অধর জুড়ে
তীক্ত কথার আঘাত কত?
পাথর বুকে অগাত ক্ষত।
এই যে আমার বাক্য দেখো
ঝঞ্ঝা হয়ে ঝরতে দেখো,
ঝড়ের মত আচড়ে পড়ে
তুলকালামের লন্ড দেখো।
জানতে কি চেয়েছো-
শান্ত শীতল জলের চোখে
এমন তুফান উঠলো কেন?
তোমরা শুধু লড়তে দেখো
ছায়ার সঙ্গে টুটতে দেখো,
ফলার মত তীক্ষ্ণ হয়ে
ছুরির মত বসতে দেখো।
দেখেছো কি রাত-নিশিতে
একলা থাকার প্রহর জুড়ে
নিচ্ছি কত অশ্রু শুষে?
কি করেছি-
রাষ্ট কথায় ধর্ম কথার বাধ ভেঙেছি,
তাতেই তোমরা উঠছো ক্ষেপি?
মোল্লা হয়েও দিচ্ছো গালি,
স্বপ্নে আমায় পাবার আশায়
ওয়াজ জুড়েই আমিই জুড়ি।
তোমরা হুজুর নিচ্ছো পিছু
শুয়োর যত লাগছো পিছু,
আদিম মানব বানর স্বভাব
কেমন করে হাটবে পিছু।
আমি অধম যুদ্ধে গিয়ে
নারীর হতে লড়তে গিয়ে
লড়ছি তুমুল অধিষ্ঠানে।
কটাক্ষের কালো চোখে
হিংসা ভরা হিংস্র নখে
যতই বাধো নিয়ম টেনে,
উঠবো আমি কাফন ভেদে।
বেহায়া আমি বেয়াড়া বড়,
কেমন করে শুদ্ধ হব!
পাথর বুকে পরশ মেখে
দেয়নি তো কেউ কখোনো,
আমার কেবল ঘৃণার আগুন
জ্বলে জ্বেলেই সরব রবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২