আমি তাকে বললাম- চলো না! কোথাও থেকে ঘুরে আসি?
সে বললো- ছোট্ট দুটি পা আমার, এই অসীম ব্রহ্মাণ্ডের কোথায় বা যেতে পারি!
বললাম - চলো, পাহাড় দেখে আসি?
বললো- ধুর, কাটখোট্টা শক্ত পাথর। দেখলেই কষ্ট হয়। যেন বুকের উপর জেঁকে বসেছে।
বললাম- তাহলে চলো, সমুদ্র দেখে আসি?
বললো- ঐ বিশালতার সামনে নিজেকে ক্ষুদ্র মনেহয়।
বললাম- দেখো দেখো, কী সুন্দর মেঘের ভেলা।
বললো- দু:খের কথা মনেহয়।
বাহিরে তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, বললাম- চলো ভিজি, বৃষ্টি বিলাশ করি।
সে এমন আনরোমান্টিক, বললো- চোখের পাতায় অজস্র অশ্রু আমার, অহর্নিশি ভিজছি।
বললাম- তাজমহল দেখে আসি?
বললো- ঐ ভালোবাসার নিদর্শনে আমি রক্তের গন্ধ পাই, ক্রুরতার গন্ধ পাই, নির্মমতার গন্ধ পাই।
বললাম- চাঁদ দেখেছো?
বললো- কলঙ্ক।
ধুর ছাই, বিরক্ত হয়ে বললাম- তাহলে চলো, মঙ্গল গ্রহে যাই?
সে খানিক হেসে বললো- তুমিই আমার পাহাড়, ঝর্ণা, সমুদ্র, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র।
এই যে তোমায় এত দেখছি তবু চোখ ভরছে না, মন ভরছে না।
ব্রক্ষ্মাণ্ডের আর কোথায় এমন অসীম স্বাদের তৃপ্ততা পাব? যে দেখতে যাব!
তারচেয়ে কপালে একটা টিপ দিয়ে এসো, চোখের কিনারে কাঁজল
কচু পাতা রঙ্গের শাড়ীটা পরে আমার সামনে বসো
আমি ধ্যানমগ্ন ঋষির মত তোমায় দেখি।