somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন?-১ (রিপোস্ট)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহিম
আস সালামু 'আলাইকুম!

যে কোন অনুশীলনরত মুসলিমের কাছে তো বটেই, এমন কি নামমাত্র মুসলিম বলে আখ্যায়িত করা যায় এমন কারো কাছেও “আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন?” এমন একটা প্রশ্ন, প্রাথমিক পর্যায়ে অবান্তর মনে হতে পারে। অনেকেই বলবেন যে, “মাদার ন্যাচার”, প্রকৃতি বা নিয়তি - এমন শব্দাবলীর আড়ালে বহু বস্তুবাদী বা মানবতাবাদীও আসলে আল্লাহর অস্তিত্বই স্বীকার করে থাকেন। তা সত্ত্বেও প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মুসলিম উম্মাহর জন্যই তা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আমরা ভেবে দেখি কেন?

কুর’আনে একটি আয়াত রয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ

“হে ঈমানদারগণ। আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাকো।......” (সূরা আলে ইমরান, ৩:১০২)

এখানে বিশ্বাসীদেরই বলা হচ্ছে, আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত তেমন ভয় করতে - বিশ্বাসীরা তো আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে জানেই, তবে এই অতিরিক্ত সতর্কবাণী কেন?

আমাদের ভয় দুই ধরনের হতে পারে:
১)অজ্ঞতা থেকে ।
২)সঠিক জ্ঞান থেকে।

অনেক শহুরে মানুষ রাতে গ্রামের অন্ধকার মাঠ/প্রান্তরকে ভয় পান - এই ধরনের ভয় আসে অজ্ঞতা থেকে। গ্রামের ঐসব মাঠ/প্রান্তর যেহেতু তাদের কাছে অজানা ও অপরিচিত এবং তারা যেহেতু অন্ধকারে বসবাস করতে অভ্যস্ত নন, সেহেতু অকারণেই কোন শহুরে মানুষ হয়তো সেদিকে তাকাতে ভয় পান - হয়তো মনে করেন জ্বীন-ভূত বা আরো কত কি অজানা “জুজু” সেই অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে বসে আছে! এই ভয় হচ্ছে অজ্ঞতাবশত মানুষ অজানাকে যে ভয় করে, সেই ধরনের ভয়। এধরনের ভয়ের কথা মাথায় রেখেই, কার্ল মার্ক্স বা অন্যান্য বস্তুবাদী নাস্তিকরা ধর্মকে এধরনের ভয় থেকে উদ্ভূত বলে দেখাতে চেষ্টা করেছেন। একথা ঠিক যে, কোন কোন মানুষের কোন কোন ধর্ম এই ধরনের ভয় বা "সমীহ" থেকে জন্মগ্রহণ করে থাকতে পারে। যে কারণে মানুষ সাপ, নদী বা বৃহৎ কোন বৃক্ষ থেকে শুরু করে সিনেমার নায়কসহ আরো কত কিছুর পূজা-অর্চনা করে থাকে।

আবার ধরুন একজন সাক্ষর মানুষ যখন কোন একটা বৈদ্যুতিক স্থাপনার কাছ দিয়ে যেতে যেতে দেখেন যে, সেখানে একটা সতর্কবাণী রয়েছে: সাবধান ৩৩০০০ ভোল্ট! তখন তিনি ঐ স্থাপনার ভিতরের “আপাত নিরীহ” স্তম্ভগুলোর কাছে যেতে ভয় পান। এই ভয় আসে জ্ঞান থেকে। তিনি জানেন ৩৩০০০ ভোল্টের সংস্পর্শ কত ভয়াবহ ব্যাপার। ইসলামে আল্লাহকে ভয় করার যে concept তা হচ্ছে এই ধরনের ভয়। যে জন্য রাসূল (সা.) একটা সহীহ্ হাদীসে বলেছেন: “ ....তোমাদের মাঝে আমিই আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই....।” (বুখারী)। যে আল্লাহ্ সম্বন্ধে যত বেশী জ্ঞানী বা যে আল্লাহকে যত বেশী জানে, সেই আল্লাহকে তত বেশী ভয় করবে। বস্তুবাদী নাস্তিক, এগনস্টিক বা তাদের “ধর্ম-গুরু” মার্ক্স-ইঙ্গেলস - এই ধরনের ভয়ের ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ ছিলেন [অথবা হতে পারে তারা ইচ্ছে করেই এদিকটা এড়িয়ে গেছেন] - জ্ঞান ও প্রজ্ঞাভিত্তিক এই শ্রেণীর ভয় থেকে মানুষ যে আল্লাহকে মানতে পারে বা ধার্মিক হতে পারে তা তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।

আমরা এর উল্টো প্রস্তাবনাও ভেবে দেখতে পারি - মানুষের মনে সাহস বা ভয়শূন্যতাও দু'টো কারণে আসতে পারে:

ক)অজ্ঞতা থেকে।
খ)সঠিক জ্ঞান থেকে।

আমরা প্রায়ই কোন দুর্ঘটনার বৃত্তান্তে এমন শুনি যে, কোন একটি শিশু গরম একটা ইস্ত্রি ধরে হাত পুড়িয়ে ফেলেছে অথবা কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে হাত দিয়ে “শক্” খেয়েছে। বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে শিশুটির ভয়শূন্যতার কারণ হচ্ছে তার অজ্ঞতা। তেমনি যারা দিনের পর দিন আল্লাহ্ সম্বন্ধে কোন চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই জৈবিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে গা ভাসিয়ে দিয়ে সুখে শান্তিতে কালাতিপাত করেন, তাদের সেই নির্ভয় জীবন-যাপনের মূলে রয়েছে অজ্ঞতা।

ঠিক একইভাবে একজন জ্ঞানী মানুষকে যখন কোন কবর বা মাজারের ভয় দেখানো হয়, তিনি তাতে মোটেই বিচলিত হন না - কারণ তিনি জানেন যে, মৃত মানুষের কিছুই করার ক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে তার ভয়শূন্যতার ভিত্তিও হচ্ছে তার জ্ঞান।

মোটকথা ইসলাম মানুষের কাছে দাবী রাখে যে, তার ভয় এবং ভয়শূন্যতা দু'টো ব্যাপারই যেন তার জ্ঞান উদ্ভূত হয় - অর্থাৎ, মানুষের ভয় এবং ভয়শূন্যতা দু'টোই “শুদ্ধ” হতে হবে। ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা তৌহিদ বা আল্লাহর একত্ব নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছেন, তারা দেখে থাকবেন যে, আল্লাহকে তাঁর নাম, গুণাগুণ এবং সত্তার নিরিখে সব কিছুর থেকে আলাদা জ্ঞান [বা single out] করে তবে তাঁর “ইবাদত” বা উপাসনা করতে হবে। ঠিক একইভাবে, নিরঙ্কুশ অর্থে, মানুষ কেবল আল্লাহকেই ভয় করবে - শুদ্ধভাবে আল্লাহকে ভয় করবে, যেমনটা তাঁকে ভয় করা উচিত। সেজন্য প্রাথমিকভাবে তার তৌহিদের জ্ঞান থাকতে হবে এবং তাকে, বিশেষত, আল্লাহর নাম ও গুণাবলী নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করতে হবে। পবিত্র কুর’আনে আমরা দেখি যে, আল্লাহ্ মানুষকে এধরনের চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহ্ আছেন, এ ব্যাপারে একেবারে ১০০% নিশ্চিত হওয়া যেমন অত্যন্ত জরুরী, তেমনি সেই আল্লাহর সঠিক পরিচয় - যতটুকু তিনি আমাদের জানিয়েছেন - তা জানাটাও একান্ত জরুরী। আপনি নিশ্চিত যে আল্লাহ্ আছেন, কিন্তু আপনি মনে করেন যে, সেই আল্লাহ্ অক্ষম - একটা কাঠ বা পাথরের মূর্তি - যাঁর কিছুই করার ক্ষমতা নেই। এটা কি কিছু হলো? হলোনা! কারণ আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর ন্যূনতম পরিচয়টুকুই জানলেন না - আর তাই আপনার জীবনযাত্রার উপর তাঁর অস্তিত্বের সেই প্রভাব থাকবে না, যা থাকার কথা।

আল্লাহ্, অংক দিয়ে প্রমাণ করার কোন “বস্তু” নন বরং সকল অংকের নিয়ম, বস্তুর নিয়ম [বা পদার্থ বিদ্যার নিয়ম] এবং বস্তুর তিনি সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ্ space ও time-এর variable নন বরং space ও time-কে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্বদানকারী সর্বশক্তিমান সত্তা। তিনি কার্যকারণের সূত্রে বাঁধা পড়া আমাদের মত কোন নশ্বর বা “সাময়িক” সত্তা নন বরং তিনি হচ্ছেন আদি অন্তের সকল ধারণা ছাড়িয়ে চিরস্থায়ী ও চিরঞ্জীব সেই সত্তা, যিনি সকল কার্যের কারণ। আমরা বলতে পারি তিনি হচ্ছেন: uncaused cause of all reality or all that exist । সুতরাং, আমরা যখন আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলবো বা নিশ্চিত হতে চাইবো, তখন ২+২ = ৪ ধরনের প্রমাণ আশা করবো না। ২+২ = ৪ ধরনের অত্যন্ত হাতুড়ে একটা প্রমাণ (বা হিসাব) আল্লাহকে ধারণ করবে, এটা আশা করা এক ধরনের অজ্ঞতা ও এক ধরনের ধৃষ্টতাও বটে। ২+২ ধারণ করবে এমন “বস্তু”-কে যা আমাদের জানা - যা আমাদেরই মত ত্রি-মাত্রিক অথবা আরো সঠিকভাবে বললে ৪-মাত্রার space-time-এর মাঝে অবস্থিত। যেমন ধরুন ২টা আম আর ২টা আম মিলে ৪টা আম হয়। আম আমরা হাতে নিতে পারি, চোখের দৃষ্টিতে ধারণ করতে পারি। এখানে খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, তর্কের খাতিরে আমরা যদি ধরে নেই যে, জ্বীন জাতীয় একটা ৫-মাত্রার প্রাণী, আমাদের পরিবেশ প্রতিবেশে রয়েছে, তবে তাকে আমরা “মস্তিষ্কের” ইন্দ্রিয় দিয়ে সম্পূর্ণ ধারণ করতে পারবো না। তাহলে এই মহাবিশ্ব বা তা ছাড়িয়েও যে বহু বহু মাত্রিক ব্যাপার-স্যাপার থেকে থাকতে পারে বলে আমরা চিন্তা-ভাবনা করি, সে সবের সূচনাকারী, নিয়ন্ত্রণকারী ও অধিকারী যিনি, তাঁকে আমরা ২+২ = ৪ ধরনের একটা ছকে ফেলে প্রমাণ করে ফেলবো - এমন ভাবাটা একধরনের মূর্খতা বৈকি। সুতরাং আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে গিয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আমরা ভেবে দেখবো - তার প্রায় সবই হবে inferential বা অনুসিদ্ধান্তমূলক। আল্লাহ্ নিজেও কুর’আনে মানুষকে এধরনের যুক্তির মাধ্যমেই আহ্বান করেছেন। যেমন ধরুন:

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآَنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا

Do they not consider the Qur-an (with care)? Had it been from other than Allah, they would surely have found therein much discrepancy.(Qur'an, 4:82)

এখানে আল্লাহ্ বলছেন যে, যদি কুর’আন আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো কাছ থেকে আসতো বা আর কারো দ্বারা রচিত হতো - তাহলে তোমরা তাতে অনেক অসঙ্গতি পেতে। যেহেতু কুর’আনে অসঙ্গতি নেই, সেহেতু তা আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে। আল্লাহ্ এখানে inferential প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া অবিশ্বাসীদের বা বিশ্বাসীদের কাছে যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করতে গিয়ে আল্লাহ্ সাধারণভাবে খুব সহজ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন যা তখনকার বেদুঈনরা যেমন সহজে বুঝেছেন, তেমনি আজকের অর্ধ-শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ব্যক্তিরাও বুঝবেন। আমাদের মনে রাখা উচিত যে, আল্লাহর অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে Quantum Mechanics বা Modern Physics জানাটা অপরিহার্য নয় - যদি তাই হতো, তবে ইসলামের সর্ব-শ্রেষ্ঠ তিনটি প্রজন্ম [অর্থাৎ প্রথম তিনটি প্রজন্ম] তখন অস্তিত্ব লাভ করতে পারতো না। তাহলে আসুন, আমাদের পরিবেশ বা প্রতিবেশে ছড়িয়ে থাকা খুব সহজ নিদর্শনসমূহের আলোকে আমরা ভেবে দেখতে চেষ্টা করি আল্লাহ্ সত্যিই আছেন কি না:

একজন ধর্মান্তরিত পশ্চিমা ‘আলেমের একটা বক্তৃতায় একবার একটা ঘটনার কথা শুনেছিলাম, যেখানে মরুবাসী কোন বালক বেদুঈন, তার চেয়ে বয়সে বড় কোন ব্যক্তিকে, “আল্লাহ্ যে আছেন” তার প্রমাণ জানতে চেয়ে বলেছিল যে, আল্লাহকে তো আমরা দেখি না! বয়োজ্যেষ্ঠ অপর মেষপালক বেদুঈন ব্যক্তিটি, তার হাতের ছড়ি দিয়ে বালকটিকে মৃদু ভর্ৎসনা করে বলেছিল যে, কোন কিছু যে আছে, তা জানতে বা বুঝতে সেটা দেখতে হবে কেন? আমরা কোন স্থানে উটের গোবর দেখেই বুঝতে পারি যে, [এখন না থাকলেও] এখানে একটা উট ছিল। তেমনি আল্লাহর সৃষ্টির দিকে তাকিয়েই আমরা বুঝি যে, আল্লাহ্ আছেন।

মহাকাশে মহাবিশ্বের নক্ষত্ররাজির মাঝে এমন অনেক নক্ষত্র রয়েছে, যেগুলোকে বিজ্ঞানীরা [দূরবীনের সাহায্যে বা] চোখে না দেখেই, সেগুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে জেনেছেন - নিশ্চিত হয়েছেন। অন্য নক্ষত্রের উপর সেগুলোর প্রভাব দেখেই তারা বুঝেছেন যে, ঐ নক্ষত্রগুলোর পরিবেশ/প্রতিবেশে অবশ্যই অন্য কোন মহাজাগতিক “বস্তু” রয়েছে - যেটাকে তারা তখনো দেখতে পাচ্ছেন না। একইভাবে তারা “ব্ল্যাকহোল” নামক বিশাল ভরের মহাজাগতিক “বস্তু”সমূহ সম্বন্ধে জেনেছেন - সেগুলোকে না দেখেই। এমনকি আমাদের সৌরজগতে এমন গ্রহ রয়েছে, যার অস্তিত্ব সম্বন্ধে তারা প্রথম জেনেছেন অন্য গ্রহসমূহের উপর সেটার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে - এবং না দেখেই। এসবই হচ্ছে অনুসিদ্ধান্তমূলক প্রমাণের উদাহরণ। আমাদের হাতের কাছে, শুধু effect দেখে cause সম্বন্ধে জানার একটা সহজ উদাহরণ হচ্ছে আমাদের ঘরের বিদ্যুৎ শক্তির আনাগোনার ব্যাপারটা। কখনো “লোড শেডিং”-এর সময় যখন একটা বৈদ্যুতিক পাখা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমরা বলি “বিদ্যুৎ চলে গেল”। আবার সেই অবস্থায় থাকতে থাকতে হঠাৎ যখন সেই বৈদ্যুতিক পাখা আবার ঘুরতে শুরু করে - আমরা তখন বলি যে, “বিদ্যুৎ এসেছে”। স্পষ্টতই বিদ্যুতের এই “চলে যাওয়া” বা “আসা” আমরা দেখতে পাই না - কিন্তু তার effect দেখে আমরা সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হই। আল্লাহ্ যে আছেন, সে ব্যাপারে আমরা এভাবেই নিশ্চিত হবো ইনশা’আল্লাহ্! (........চলবে)

আল্লাহ্ হাফিজ!

(লেখাটি আগে এই ব্লগে এবং অন্যান্য ব্লগেও প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামের মৌলিক ধারণা বা বিষয়গুলো সবই পুরাতন - দ্বীন ইসলামে নতুন করে কোনকিছুকে যোগ করার বা দ্বীন ইসলাম থেকে কোন কিছুকে বিয়োগ করার অধিকার/ক্ষমতা কারো নেই - তাইতো ইসলামে নতুন সংযোজনকে বিদ'আত বলে আখ্যায়িত করা হয় - যা কিনা একটি গুরুতর গুনাহ্! ইসলামের সেই পুরাতন মৌলিক বিষয়গুলো নিজেকে, তথা অন্যকে বার বার মনে করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলিমের উপর বর্তায় - তা করতে গিয়ে, অন্যের কাছে বোধগম্য করতে গিয়ে, একজন মুসলিম নানা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে পারেন। সে কথা মনে রেখেই অনেকদিন আগের পুরানো একটা লেখা আবারো এই ব্লগে প্রকাশ করতে যাচ্ছি - কথাগুলো ব্লগে যারা নতুন তাদের জানানোর জন্য, আর নিজেকেও আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য!)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×