somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রংধনুর সাতটি রং এর ভালোবাসা

১৮ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত তার চাদরটাকে আরো বিছিয়ে দিচ্ছে সময়ের ওপর। একেবারে নিশ্চুপ চারিদিক। এখানে এদেশীয়রা অনেক আগেই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আমরা বাঙ্গালীরা একটু রাত করেই শুই। আর আমি? আমি তো ঘুমালেও জেগেই থাকি। আমার মাথার ভেতরে এক দুষ্টু বালিকা শুধু ছুটোছুটি করে। এত্তো জ্বালাতন করে মেয়েটা! এই যে দ্যাখো, বললাম, আর অমনি সে হেসে দিলো। আর আমাকে দিলো একেবারে পাগল করে। এই হাসি দেখলে আমি কি আর কিছু করতে পারি? এই যে মেয়ে, তোমার চপলতা, চঞ্চলতা আমাকে কিভাবে জড়িয়ে রেখেছে জানো? থাক, সব কিছু জানতে হয়না। বুঝে নিতে হয়। জানালার পর্দা সরালেই আকাশটা দেখা যায়। আজ আকাশে অনেক অনেক তারা। কি শিহরণ জাগালে তুমি? এইসব ডি এন এ, আর এন এ এর মধ্যেও শুধু তুমি, তুমি, তুমি। তোমার হাসিমাখা মুখ আর তোমার ভালোবাসা আমাকে ডি এন এ এর ডাবল হেলিক্স এর মত জড়িয়ে রেখেছে। খুব মনে পড়ে তোমাকে যখন তোমাকে রেডিয়েশন ফিজিক্স বোঝাচ্ছিলাম, তুমি এত অস্থির হয়ে যেতে একটা কিছু না বুঝলেই। খুব বেশী আদর লাগত তোমাকে তখন। মনে হত, আমার এই সুন্দর ভালোবাসার পরীটা আসলে একটা ছোট্টো মেয়ে। আর তুমি শুধু সুযোগ খুঁজতে ফাঁকি দেবার। কতরকম বাহানা। ইস্‌ , কি ঢঙ্গু করে আমাকে বলতে, " থাক না আজকে। আরেকদিন পড়ি, কি হয়? চলোনা, আজকে সাথিয়া দেখি ডিভিডি তে।" আমি মনে মনে হাসতাম, তবে উপরে খুব সিরিয়াস একটা ভাব নিয়ে তো থাকতেই হত। পারতাম কই? তোমার ভালোবাসার প্লাবনে দু'জনেই একেবারে ভেসে ভেসে সাতসমুদ্দুর পার হয়ে কোথায় হারাতাম। তুমি তো সবসময় বল, "চলোনা, দু'জনে হারাই, অন্যকোথাও, অন্য কোনোখানে। যেখানে শুধু তুমি আর আমি। আর থাকবে হরিণ। হরিণকে পাতা খাওয়াবো আমরা। ডাক দিলেই হরিণ গুলো আমাদের কাছে চলে আসবে।" তখন আমি বলতাম, "ভালোই তো। তোমাকে তাহলে আমি যখন তখন আমার চুম দিয়ে মালা পরাতে পারবো"। তুমি বলতে, "ইস্‌, তুমি না... হরিণ রা থাকবেনা? ওরা ঠিক ই বুঝবে।" বুঝলে বুঝুক না। আমি ই তো,তাইনা?

রঙধনুতে কয়টা রঙ জানো?
সুর কয়টা বলতে পারো?

রঙ ধনুর ঐ সাতটি রঙের সপ্তসুরে
আমার তুমি আছো আমার হৃদয় জুড়ে।

ভালোবাসি।
২৩টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওহাবী-সালাফি-মওদুদীবাদ থেকে বাঁচতে আরেকজন নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই ৩০ জন ব্লগারের ভাবনার জগত ও লেখা নিয়ে মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯



গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্তনাদ

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন তার আকাশের বলাকা || নিজের গলায় পুরোনো গান || সেই সাথে শায়মা আপুর আবদারে এ-আই আপুর কণ্ঠেও গানটি শুনতে পাবেন :)

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×