জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে অনেক অভিযোগ শুনেছি কিন্তু বিশ্বাস হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির বিস্তার এবং ভয়াবহতা টের পেলাম আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে। আমার কাছে যদিও এখনো অবিশ্বাস্য লাগে কিন্তু বাস্তবতা হল এটা ঘটেছে। আমার ক্লাসমেট অনার্স শেষ করে রেজাল্ট পেল থার্ড ক্লাস। মোট নম্বর ১০৩৫। কয়েকদিন পর কলেজে সংশোধনী আসল । তার মোট নম্বর হয়ে গেল ১২৫০। তবে ওয়েবসাইটে এই তথ্যটা আপডেট হয়নি। আগের ১০৩৫ নম্বরই আছে।
পরের বছর আমার আরেক ক্লাসমেটের গার্লফ্রেন্ড থার্ড ক্লাস পেল। ঐ ছেলেকে ধরে তার নাম্বার ও বাড়িয়ে আনা হল!
এবার মাস্টার্স এ আরেক ক্লাসমেট ফেল করেছে। তার জন্য সংশোধনী আনার জন্য আবার সেই ছেলের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সেই ছেলে আবার দাতা হাতেম তাই মার্কা লোক। রাজনীতি করে কী না! আমাদের জন্য অনেক মায়া । বাড়তি কোনো টাকাও সে দাবী করেনা! তার নাকি এই কাজে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা করে খরচ হয় । এই টাকা দিলেই সে আমাদের যে কারো জন্য কষ্ট করে সংশোধনী আনতে প্রস্তুত।
এই ভাবে যদি একের পর এক সংশোধনী আনা যায় তাহলে আর পড়ালেখার দরকার কী? কর্তৃপক্ষের জবাব চাই।