সাড়ি সাড়ি গাছ যেন প্রতিযোগিতা করে পিছনে ছুটে চলছে। মনে হয় পিছনে ছুটে চলার জন্যই ওদের জন্ম। কিছুক্ষণ আগেই এক ঝলক বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। তাই পরিবেশটা বেশ শীতল। সারা দিনের পথ চলার পর ক্লান্ত সূর্য্যিমামা বিদায়ের প্রহর গুনছে। যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারহ। চোখ যেন জুড়ে আসছে। নীল বাইরে হাত প্রসারিত করে মনে হয় বাতাস ধরার চেষ্টা করছে।
- কিরে কিছু পেলি নাকি? রফিক আরমোর ভেঙে জিজ্ঞাসা করল।
- আরে না। এমনি হাতটা বের করে রেখেছি। বাইরের দিকে তাকিয়েই জবাব দিল নীল।
খানিকক্ষণ নীরবতা পালন শেষে নীল অধিক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করল
- কিরে আর কত দূর?
- কেন? খারাপ লাগছে নাকি?
- আরে না! অনেক দিন যান্ত্রিক জীবন থেকে ছুটি নেয়া হয়না বেশ ভালই লাগছে।
পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে রফিক আবার ঘুমিয়ে গেছে। এইসব প্রকৃতি-পরিবেশ রফিকের চিরচেনা। তাই এসবের প্রতি তার অতিআগ্রহ নেই। কি আর করার নীল একাই বসে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে থাকল।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। দুই একটা জোনাক টিপ টিপ করে জ্বলছে নিভছে। মাঝে মাঝে পু-পু হাঁক ছেরে ঝিক ঝিক শব্দে আধার ছিন্ন করে সাপের মত একে বেকে ট্রেনটি এগিয়ে চলছে। সব মিলে মুগ্ধতায় মাতাল করে তুলছে নীলকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭