somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুয়েটে ছাত্রলীগের ভাংচুর প্রসঙ্গে...

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিচের খবরটি প্রথম আলো থেকে নেয়া। খবরটি পড়ার আগে যারা বুয়েটের না তাদের অবগতির জন্যে কিছু জিনিস জানাচ্ছি।

১। বুয়েটে অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সীটের বানিজ্য নাই; বা কোনো নেতা তাদের পছন্দ মত ছেলেকে নিজের রুমে নিবে এমন কোনো কালচার কখনোই ছিল না (অন্তত ২০০৬ পর্যন্ত)। স্বাভাবিক ভাবেই কোনো রুম কোন নির্দিষ্ট দলের নেতাকর্মীদের জন্যে বরাদ্দ- এমন ব্যাপার কখনোই হয়নি।

২। বুয়েটে শিক্ষকদের দলীয় লেজুরবৃত্তির রাজনীতি একেবারেই নাই তাই কোন ছাত্র সংগঠনের স্বার্থরক্ষা করে কোনো শিক্ষক কোনোদিন কিছু বলেনা।

৩। আগের কথা জানিনা কিন্তু বুয়েটে গত সরকারের (বি এন পি) সময়ে দল-লীগ সংঘর্ষের কোনো খবর কেউ দিতে পারবেনা, টুকটাক যা হয়েছে তা দলীয় থেকে ব্যাক্তিগত কারনেই বেশি। এছাড়াও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের জের ধরে বুয়েটে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন কখনোই তাদের বিরোধীদের রুমে রুমে গিয়ে কষ্ঠের টাকায় কেনা কম্পিউটার, বই-পত্র পোড়ায়নি।

৪। শিবির নামক ছাত্র সংগঠনটি যেহেতু সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একজনকে মেরে ফেলেছে তাতে তো সরকার ইতিমধ্যে একটা পক্ষভুক্ত হয়ে গেছে এবং দেখাই যাচ্ছে তাদের কাছে বক্করের বা রাজশাহী পলিটেকনিকের ছাত্র মেত্রী নেতার খুনীদের ধরা থেকে ফারুকের খুনীদের ধরার প্রচেষ্টাই বেশি সেখানে ছাত্রলীগের নিজেদের মাঠে না নামলেও চলে।

৫। বুয়েট নিচের খবরের মত রাজনীতি লালন করেনা। বুয়েটের ছাত্ররা একটা ছোট পরিবারের মত; হলগুলো ছোট হবার কারনে সবার মধ্যেই মোটামুটি একটা সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশ থাকে সেখানে কারো সাথে যদি বিনা অপরাধে এইরকম ব্যবহার করা হয় তা অন্যরা ভালোভাবে নিবেনা। আমরা বুয়েটে এই রাজনীতি চাইনা।

খবরঃ এবং কিছু ছবি
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চারটি হলের অন্তত ২০টি কক্ষ তছনছ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসব কক্ষে শিবিরকর্মীরা থাকতেন সন্দেহে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁরা অভিযানে নামেন। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের সোহরাওয়ার্দী হলের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগের কর্মী ডেইলি স্টার-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাঁর সাংবাদিক পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন।
বুয়েটের সাধারণ ছাত্ররা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শিবিরের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলে হলে অভিযান শুরু করেন। ভোর পর্যন্ত ছাত্রলীগের অভিযান চলে। তাঁরা হলগুলোর ছাত্রশিবির চিহ্নিত কক্ষে গিয়ে শিবিরের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। যেসব কক্ষে তালা ছিল, সেগুলো ভেঙে প্রবেশ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা নজরুল হলের ২২৩, ৩১১(খ), ৪০৫; শহীদ স্মৃতি হলের ২১৫, আহসানউল্লাহ হলের ১০৮ ও ২১৫, শেরেবাংলা হলের ৩০০৭ ও ২০১১ এবং তিতুমীর হলের ২০০২ নম্বর কক্ষসহ অন্তত ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
ডেইলি স্টার-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাকিব আহমেদ জানান, বুয়েটে ছাত্রলীগের ভাঙচুরের খবর পেয়ে তিনি তথ্য সংগ্রহের জন্য যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস তাঁকে আটকান এবং ছাত্রলীগের কারও নাম দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেন। অন্যথায় ডেইলি স্টার ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুমকি দেন। রাকিব এর প্রতিবাদ করলে ফেরদৌস তাঁর পেশাগত পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক চৌধুরী বুয়েটের ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা ফেরদৌসকে কার্ডটি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ফেরদৌস কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে জানিয়ে দেন, তিনি ফেরত দেবেন না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের হামলা প্রতিবাদে হলগুলো শিবিরমুক্ত করা হয়। সাংবাদিকের কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এটি করেছে, তারাই জানে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×