somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগন পরিবর্তনের প্রস্তুত, বিএনপি কি তৈরী? (সংকলিত পোস্ট)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৌর নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকারের কয়েকটি মতলব রয়েছেঃ

১. চট্টগ্রামের নির্বাচনের পরে সরকারের মধ্যে নির্বাচন ভীতির সঞ্চার হয়েছিলো। পৌরনির্বাচন দিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগের অবস্থান কি রকম, সেটা মাপা।

২. দু’বছরে বিএনপিকে কতটুকু ধংস করা গেছে, সেটা নিরুপন করা।

৩. ১ম দিনের নির্বাচনের পরে ২য় দিনে কারচুপি করে নির্বাচন সরকারের পক্ষে এনে “সরকারী দলের জনপ্রিয়তা কমেনি” - এটা বোঝানো। বিএনপির দুর্গ হিসাবে পরিচিত বরিশাল বিভাগের ১৯টির মধ্যে ১৬টি কব্জা করেছে সরকারী দল, বিএনপি পেয়েছে মাত্র ১টি। ঠিক যে ভাবে “তোফায়েলীয় পদ্ধতি”তে ভোলায় শাওনকে জিতিয়ে আনা হয়েছিলো, একই ফর্মুলায় ১৬টি পৌরসভা করায়ত্ব করেছে সরকার। একটা সাফল্য বটে!

৪. আসলে, এবারের নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য অত্যন্ত সুদুর প্রসারী। তাহলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ক্ষেত্র তৈরী করা। এ নির্বাচনের পরেই বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ তোলা হবে- বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। এটা দিয়েই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির দরকার নাই। জনগনেকে ধোকা দিয়ে এবং বিএনপিকে ট্রাপে ফেলে কাজ হাসিল করাই মূখ্য উদ্দেশ্য। ১৯৯১ সালে ‘রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা বদলে সংসদীয় পদ্ধতি চালূ’ এবং ১৯৯৬ সালে ‘তত্তাবধায়ক পদ্ধতি প্রবর্তন’- দুটোর জন্যই আ’লীগ আন্দোলন করেছিলো। কিন্তু ট্রাপে ফেলে বিএনপিকে দিয়েই সে কাজগুলো করিয়ে নেয়। এবারকার ঘটনাও সেদিকে গড়াতে পারে!

আগামী ১৭ ও ১৯ তারিখে সরকার সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন দখলের চেষ্টা করবে- এতে কোনো সন্দেহ নাই। এসব ষড়যন্ত্র কিভাবে মোকাবেলা করা হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

জনগন পরিবর্তনের প্রস্তুত, বিএনপি কি তৈরী?



শাসক দলে উৎকন্ঠা। কিন্তু কেনো?

কারন অনেক-

১. এবারের পৌর নির্বাচনে অকল্পনীয় ঘটনা ঘটেছে নড়াইল সদরে। ১৯৭২ সাল থেকে এই পৌরসভাটি শাসন করছে আওয়ামীলীগ। শেখ হাসিনাও এখানে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নড়াইলের ভোট-চিত্র পাল্টে গেছে। নড়াইলের দু’টি পৌরসভার নির্বাচনেই আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। বিজয় চলে যায় বিএনপির ঘরে।

২. যশোরের সব এমপি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের। কিন্ত ৭টি পৌরসভার মধ্যে ছয়াটিতেই বিজয়ী হয়েছে বিএনপি।

৩. সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এলাকা কাজীপুর পৌরসভায়ও বিএনপি জয়ী। সিরাজগঞ্জের ৫টির মধ্যে ৩টি পেয়েছে বিএনপি, ১টি আওয়ামীলীগ, ১টিতে জামায়াত প্রার্থী জয়ী হয়েছে। পাবনায় ৭টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপি পেয়েছে ৩টি, আওয়ামীলীগ ৩টি।

৪. লালমনিরহাটের ৩টি পৌরসভায়ই আওয়ামীলীগ হেরেছে। ২টিতে বিএনপি প্রার্থী, ১টি স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়। রংপুর বিভাগেও বিএনপি ভালো করেছে, আর জাতীয় পার্টির ঘাটিতে এরশাদের দল পেয়েছে কেবল একটি।

৫. নাটোরের ছয় পৌরসভার মধ্যে ৫টিতেই বিজয়ী হয়েছে বিএনপি প্রার্থীরা। ধারনা করা হয়, বরাইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই নাটোরবাসী ভোটের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দিয়েছেন।

৬. রাজশাহী-রংপুর বিভাগে ৭২টি আসনের মধ্যে ৪দলীয় জোট পেয়েছে ৩৯টি, মহাজোট পেয়েছে ২৫টি। অথচ গত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনের মধ্যে মহাজোট জিতেছিলো ৬২টি।

৭. খুলনা বিভাগে ৩০টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপি পেয়েছে ১৬ টি, আর আ’লীগ ৮টি। বরিশাল বিভাগে ১৯টি পৌরসভার মধ্যে ১টি পায় বিএনপি, বাকীগুলো সরকার দল ও সতন্ত্র প্রার্থীর। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে সরকারী দলের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

৮. এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ১২১ পৌরসভার মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ৫৮, আ’লীগ-জাপা ৫৩

মূল পোস্ট এখানে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৬
২০টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×