অনলাইনে এখন আলোচনার তুফান সমকামিতা নিয়ে। বিষয়টি আমার কাছে বেশ বিব্রতকর বলে মনে হয়। LGBT আইনটি হয়েছে আমেরিকায়। আমার কাছে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় যা মনে হয়েছে তা হল আমাদের মাতামাতি, এই কয়েক দিনে বেশ ভালই বিনোদন মূুলক কিছু মতামত পরেছি, যার মধ্যে একটি উল্লেখ করি বিষয়টি শুরু হয় ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তনের মাধ্যমে, ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করার পর তার অনুসারিরা তাদের মতামত সেখানে প্রকাশ করে তখন এই ব্যাক্তিটি তার যুক্তি উপস্থাপন করে যার সারমর্ম দাড়ায় সে নিজে সমকামি না কিন্তু সে যা সমর্থন করে তার নাম ভালবাসা, এই আইনটির মাধ্যমে নাকি ভালবাসার জয় হয়েছে। তার কথাটা যদি মেনেও নি তবুও আইন তো হয়েছে আমেরিকায় সেখানে গিয়ে উৎয়াপন করেন, বাংলাদেশে কি? বাংলাদেশে তো আর আইন হয় নাই।
এখন আমার কিছু কথা, ভালবাসার জয় কোনো দিন আদালতের রায়ে হয় না, আদালতের রায়ে বিয়ে হতে পারে ভালবাসা না। ভালবাসা এবং বিয়ে দুটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এখন তার কথা মতন যদি তার সম লিঙ্গের কেউ একজন তার দিকে কামনার দৃষ্টি নিয়ে তাকায় এবং তার ভালবাসা চায় তখন বিষয়টা কেমন দাড়াবে? যেহেতু সে সমকামী না তার কাছে কেমন লাগবে? যেই ভালবাসার প্রতি তার এত শ্রদ্ধা তার কি হবে?
আবার দেখলাম আর একজন যুক্তি বের করেছে পর্ন দেখো প্রেম কর ইত্যাদি ইত্যাদি তাই ইসলামের দোহাই দিয়ে সমকামিতার বিরোধিতা করা যাবে না। আমি পড়ি আর ভাবি আহা কি অপূর্ব যুক্তি !! বাবা তোরা এত বুদ্ধি নিয়া ঘুমাছ কেমনে? ঘুম তো আসার কথা না। একটা অন্যায় করলে যদি আর একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না যায় তাহলে তো সব ঝামেলার সমাধান। দুনিয়াতে কারো প্রতিবাদ করার কোনো অধিকার নাই, যার যা মনে আসে তাই করবে, কারণ প্রতিবাদ করতে গেলে তো বলবে তুমি প্রেম কর, পর্ন দেখো তাই তোমার প্রতিবাদ করার কোনো অধিকার নাই।
এখন আমার পর্যবেক্ষণ বলি আমার কাছে মনে হয়েছে যারা এগুলা করছে তারা ছ্রেপ এটেনশন সীকার ছাড়া কিছুই না। কিছু মানুষই থাকে যারা যেকোন উপায়েই হোক আলোচনায় থকতে ভালবাসে তা যদি লোকে তাদের গালিও দেয় তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তা যদি না হত তাহলে একজন হলেও শিকার করত যে সে সমকামী, তা কিন্তু কেউ করছে না, আমি এমন একজন কেও দেখিনি। শরৎ বাবু বলেছিলেন "সাহেবরা যদি পা উল্টা করিয়া হাতে ভর করিয়া হাটিতো তবে তোমরা বলিতে ঐভাবে হাটিতে না পারিলে আর উন্নতি সম্ভব না, ঐভাবে না হাটিলে দেশ রসাতলে যাইবে" এখানেও ঠিক তাই ঘটেছে।
নিজের সন্তান কানা হোক লুলা হোক তাকে ভালোবাসাই পিতা মাতার ধর্ম, অপরের সন্তান দেবশিশু হলেও তা অপরের সন্তান। সুতরাং নিজেদের সংস্কৃতি ভুলে অন্যের সংস্কৃতি নিয়ে লাফালাফি যত তারাতারি আমরা বন্ধ করব তত আমাদের জন্য মঙ্গল।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫৭