somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের মানে কী

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে" -
এটা পাহাড়ি নেতাদের দাবী, শান্তিচুক্তির দাবী, CHT কমিশনের প্রধান দাবী। আমাদের সমাজেরও অনেকেই এটা সমর্থন করেন।
রাজনৈতিক দলের হিসাবে নিলে আওয়ামী লীগ - ঠিক একাজে তৎপর নয় তবে করতে চায়, ভাবতে চায় ধরণের একটা অবস্হানে। আবার আওয়ামী লীগকে শান্তিচুক্তির একটা পক্ষ (covenant) হিসাবে দেখে যদি বিচার করি তবে একটা দায় এই দলের আছে। কিন্তু এখন পাহাড়ের সমাধানটা কী এনিয়ে তাদের কোন হোম ওয়ার্ক আছে বলে জানা যায় না।
উপরে "ঠিক একাজে তৎপর নয়" বললাম এজন্য যে গত বছর পার্বত্য এলাকা থেকে যে এক ডিভিশন সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছিল সেটা ঐ সময় বার্মার সাথে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের উত্তেজনায় সামলাতে নেয়া স্ট্রাটেজির অংশ হিসাবে সেনার অভ্যন্তরীণ রিএরেঞ্জমেন্ট বলেও অনেক মনে করেন। এটা সামরিক বিষয়াদি, স্বভাবতই তা ঢেকে করার কথা তাই, পাহাড় থেকেই কিছু সেনা প্রত্যাহার বলেই বক্তব্য দেয়া হয়েছিল। আমার ধারণাটা এই অনুমানের কাছাকাছি।
অন্যদিকে, বিএনপির কথা, "সেনা প্রত্যাহারের জন্যই এবারের দাঙ্গা সংঘাত হয়েছে" - এটা একটা মাঠের বাকচাতুরি গিমিক ছাড়া কিছুই নয়। একটা দায়সারা দিকও আছে ওর মধ্যে। রাজনীতিতে মাঠের গিমিক দরকার হয় হয়ত কিন্তু কোন দলের কোন ইস্যুতে শুধু বাকচাতুরি ওর রাজনৈতিক অবস্হান হতে পারে না। বিএনপির শান্তিচুক্তি পছন্দ নয় এটা আমরা বুঝতে পারি কিন্তু পাহাড়ের সমাধানটা কী এনিয়ে তার কোন স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্হান বিএনপি আমাদেরকে জানায়নি।

ফলে সারকথায় পার্বত্য চট্রগ্রামের সমস্যা বলতে - সেনা প্রত্যাহার কে চায় কে চায় না কেবল এখানে লেপটে দাড়িয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সা.ইন ব্লগে পাহাড়ি ইস্যু নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে, সেটা পক্ষে বিপক্ষে যাই হোক আমার ভাল লেগেছে। আমাদের সামাজিক স্বভাবে এমন তর্কবিতর্কের রেওয়াজ ছিল না, সম্ভবত তার কিছু কাটবে এতে। এটা সামহয়ারইন এর সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্লগ হওয়ার দিকে একধাপ আগালো বলেই মনে করি।
কিন্তু প্রপাগান্ডা নয় এটাকে গঠনমূলক গোছানো দিকে নেবার ব্যাপারে আমরা সীমাহীন অপটু রয়ে গেছি; কোনটা তর্ক, কোনটা কুতর্ক আর কোনটা স্রেফ গালাগালি - এই বাধাগুলো থেকে বের হয় তর্ককে সিধা রাখার ব্যাপারে আমাদেরকে আরও দক্ষ হতে হবে। পক্ষের অথবা বিপক্ষের যে কেউ একটা ভালো ভাববার মত পয়েন্ট দিল কী না অথবা কী তার যুক্তিতর্ক - সেটা বুঝে নেবার চেয়ে আমরা অনেকেই খুঁজি কে কে আমার পক্ষে বললো আমাদের নজর সেখানে; যেন দলে ভারি হতে পারাটাই চিন্তার-বিচার যোগ্যতা এবং সমাধানে পৌছানোর পথ, মোক্ষ লাভ। এসব নিয়ে আমাদের ভাববার, করার অনেক কিছু বাকি আছে। সালাউদ্দিন শুভ্রের একটা পোষ্ট "কেন আপনি পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের পক্ষ নিবেন? Click This Link
আমার কাছে সমাজের "পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প" প্রসঙ্গে আমাদের সামাজিক চিন্তা ধারার সাথে প্রতিনিধিত্তমূলক বলে মনে হয়েছে। শুভ্রর পোষ্ট পড়ার সময় থেকেই চলতি এই পোষ্টের বক্তব্য মাথায় আসে। সেনা থাকা না থাকাকে পাহাড়ী সমস্যার কেন্দ্র বিন্দু মনে করে দেখার এই ষ্টাইলটা কাউন্টার প্রডাকটিভ, আমাদের পিছনের দিকে নিবে - বলে আমি মনে করি। কিন্তু এটাই আমাদের অনেকে পছন্দ; আমরা অনেকেই এভাবেই দেখতে অভ্যস্হ হয়ে উঠছি; সেই অর্থে এটাকে তাদের ভাবনার প্রতিনিধিত্ত্বমূলক বলছি।

কেন কাউন্টার প্রডাকটিভ, আমাদের পিছনের দিকে নিবে বলছি সেখান থেকেই কথা শুরু করব।
যারা মনে করছেন এখনই সেনা প্রত্যাহার করলে পাহাড়ি সমস্যার একটা সমাধানে পাওয়া যাবে - এরা সেনা প্রত্যাহার মানে নিপীড়ন উধাও হয়ে যাবে - এমন একটা সরল ইকুয়েশনের ভাবনা থেকে একথা বলছেন। নিপীড়ন অত্যাচার তা সে সেটেলার বা সেনা যেই করুক কেবল লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর যেসব ছবি আমরা দেখছি বা ঘটনা শুনছি তা থেকে এর এক স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়ায় সেনা প্রত্যাহারকেই সমাধান মনে করা হয়েছে - এটা স্বাভাবিক বটে কিন্তু যথেষ্ট সময় দিয়ে ভাবা কোন চিন্তা এটা নয়; একেবারেই নব শিশুর অপটু চিন্তা এটা।
সেনা প্রত্যাহার করলেই কী কোন বা কিছু সমাধান আমরা আশা করতে পারি? না কি এটা যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা হোম ওয়ার্ক না করে বলা একটা কথা - সেটার বিচারে এখন যাব।

ধরা যাক আগামিকাল থেকে কোন চেরাগ বলে সমস্ত সেনা পার্বত্য এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। চেরাগ বলতে হচ্ছে কারণ কোন দলের সিদ্ধান্তে এটা ঘটবার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। এরপর আমরা সেখানে কী দেখতে পাব? সেখান থেকে কথা শুরু করি।

১. জুম্মল্যান্ড ওয়েব সাইটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৬ সালে মোট পনের লাখ বসবাসীর মধ্যে Jummas(Indigenous) ৪৭%, Bengali (Muslim) ৫৩%। সেটেলার বা সমতলীরা একদিকে আর অন্যদিকে পাহাড়িরা এদের মাঝে ব্যাপক অলআউট একেবারে মরণপণ বলতে যা বুঝায় সেভাবে পরস্পরকে কেটে সাফ করে ফেলার একটা ঝোঁক পাহাড়ী-সমতলী উভয়েরই আছে। এটাই একমাত্র সমাধান মনে করার যে মনোভাব আছে এই ভাবনারই ছিটেফোটা চলতি সময়ে বাস্তবায়ন দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে এই ব্লগে জড়ো হয়েছি। ছিটেফোটার আসলটা অর্থাৎ অলআউট চরম অবস্হাটা আমরা এখনও দেখিনি, দেখছি না কারণ দুপক্ষের ক্ষমতা ভারসাম্যের মাঝখানে আর এক উপাদান হয়ে আছে সেনাবাহিনী।
২. সেনারা সমতলীদের দিকে একটু কান্নি মেরে আছে, ভারকেন্দ্র সেদিকে - এই অভিযোগ সত্য না মনে করার কারণ নাই। কিন্তু সেনাবাহিনীর কান্নি মারার পরও ওদের মাঝখানে থেকে ভারসাম্যে তৈরিতে একটা ভুমিকা রাখছে সেটাও সত্যি; পরিস্হিতি কাটাকাটি সংঘর্ষ ব্যাপক অলআউট একেবারে মরণপণ পর্যায়ে যাচ্ছে না - এই চরম জায়গায় যাতে না পৌছায় এই অর্থে সেনাবাহিনীর ভারসাম্য ভুমিকা আছে একথাই বলছি আমি।

এই পরিস্হিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার প্রাকটিক্যাল অর্থাৎ মাঠের মানে হলো,
পাহাড়ি ও সমতলী উভয়ের মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে নির্মুল, বিতারণ করে সমাধান - এই এথনিক ক্লিনজিংয়ের যে ধারণার দুই পক্ষে বিদ্যমান তাকে কার্যকর হতে দেয়া। এর আরও সোজা মানে হলো, আমরা পাহাড়ী সমস্যা ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের অপশনটা তুলে নিলাম। আমরা নিপীড়ন, অত্যাচারের লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর ছবি দেখে বা ঘটনা শুনে তা থেকে হয়ত এর স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান মনে করছি - যথেষ্ট ভেবে বা না ভেবে তাঁরা এই অপশনে যাচ্ছেন। আমি এই সমাধান ভাল না মন্দ সে বিচারে যাব না, কেবল বুঝে না বুঝে ভাবা এই সমাধান মানে কী, কী চাচ্ছি আমরা, এর পরিণতি কী সেটাই এখানে ব্যাখ্যা করছি কেবল। বাকী সিদ্ধান্ত পাঠক আপনাদের।

কিন্তু এই অপশনের এখানেই শেষ নয়, আরও পরিণতি আছে। ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের এই সিনারিওতে তাদের এই ভাবনায় অন্য একটা বড় সমস্যা এদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান - এই অপশন যারা নিতে চাচ্ছেন এরা কিন্তু পাহাড়িদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার বন্ধ হোক, সেখান থেকে তাঁরা পাহাড়ীদের রক্ষা করতে চান, লোমহর্ষক ঘটনাগুলোর ছবি গল্প নিজেকে আর দেখতে না হোক - এগুলোই হলো তাঁদের বাসনা। এই ভাবনার প্রধান সমস্যা হলো, সেনা প্রত্যাহারের পর পাহাড়ি-সমতলী কে পরস্পরকে কত বেশি ক্লিনজিং করে ধুয়ে মুঝে সাফ উধাও করে দিতে পারে - এই প্রতিযোগিতায় জিতবে কে, কে বিজয়ী হবে - পাহাড়ি না সমতলী - এটা দুনিয়ার কারও কাছে এর নিশ্চিত খবর নাই। যে পাহাড়িদের বাঁচানোর রাস্তা হিসাবে এই রাস্তায় যেতে তাঁরা অপশন তুলে নিলেন সেখানে পাহাড়িরাই সমতলীদের নিশ্চিন্ন করে দিতে পারবেন এর কোন নিশ্চয়তা তাঁদের কাছে নাই। এটাই মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি।
তাহলে সেনা প্রত্যাহারের অপশনধারীরা তখন কী করবেন; ওরা তো চেয়েছিলেন পাহাড়ীদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ওদের প্রতি সহানুভুতিশীল থাকতে। কিন্তু ক্লিনজিং পর পাহাড়ীরা জিতবে কী না এর কোন নিশ্চয়তা নাই। তাহলে দাঁড়াচ্ছে আমাদের ঐ সিদ্ধান্ত দাড়িয়ে তাঁরা চাইলেও "কেবল পাহাড়িরাই বাঁচবে" এমন করে তা জানা নাই। তবু ধরা যাক, ক্লিনজিং প্রতিযোগিতা শেষে সাফসুতরার পর ঘটনাচক্রে পাহাড়ীদের আমরা যদি বিজয়ী দেখতে পাইও তবে পাহাড়িদের হাতে সমতলীদেরকে এথনিক ক্লিনজিংয়ের রক্ত কী আমরা দেখব না? দেখতে পেলে কী আমরা খুশি হব, খুশিতে পাহাড়ীদের বুকে তুলে নিব? লোমহর্ষক ছবি দেখার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা আমাদের মনের চাওয়া যেখান থেকে ঘটনার শুরু - এই মনের কী হবে?

তাহলে দেখতে পাচ্ছি সারকথায়, এখনই সেনা প্রত্যাহার চাওয়া মানে দাঁড়াচ্ছে,
১. পাহাড়ী সমস্যা ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে সমাধানের অপশনটা তুলে নেয়া।
২. সমতলীদের সাথে ক্লিনজিং প্রতিযোগিতা শেষে সাফসুতরার পর পাহাড়িরাই বিজয়ী হবে এমন নিশ্চতা নাই।
৩. করিৎকর্মা সাফসুতারা করতে পারলেও পাহাড়িদের সফল হাতে সমতলীদেরকে এথনিক ক্লিনজিংয়ের রক্ত লেগে থাকবে।
৪. হেগের আন্তর্জাতিক কোর্ট কাচারিও হতে পারে।

এই পরিস্হিতিতে কারা এখন সেনা প্রত্যাহারকে সমাধান দেখেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটা তাদের ইচ্ছা। তাঁরা কি চেয়ে কী পাচ্ছেন এই বুঝ তাদের। আমার কিছু বলবার নাই সিদ্ধান্ত তাদের।

অনেকের মনে হতে পারে আমি সেনা প্রত্যাহার চাইনা বলে বাকচাতুরিতে কথা সাজিয়েছি। দুঃখিত আপনাদের সন্দেহ বাতিকগ্রস্হ মনকে শান্ত কি করে করা যায় আমি জানি না, আমি কেবল বলতে পারি, আপনাদের সে ধারণার কোন ভিত্তি নাই। তবে, আসলেই যদি আমরা এক রাষ্ট্র কনষ্টিটিউশনের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান চাই তবে অনেক ভেবে, হোম ওয়ার্ক করে এরপর কথা বলতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের সবার আগে সিরিয়াস কিছু নীতিগত অবস্হান নিতে হবে। গত কয়েকদিনের বিভিন্ন ব্লগে যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে তাতে আমার রিডিং হলো ঘটনা পরিস্হিতি যত ভয়াবহ জটিলতায় চলে গেছে সে তুলনায় আমাদের সাধারণ মতামত অনেক অনেক পিছনে। দেখছি এখন আমরা একটা কনসেনশাসে পৌচেছি পাহাড়ীদের আমার সমান জ্ঞান করতে হবে, একটা সহঅবস্হানের জায়গায় সমাধান খুঁজতে হবে। কিন্তু পাহাড়ী সমস্যা এতটুকু চিন্তার ঐক্য দিয়ে কিছুই সমাধান করতে পারবে না। সমান জ্ঞান করে কিছু করার বোধ কমপক্ষে ১৫ বছরের পিছনে; পরিস্হিতি যা দাবি করে ক্রমশ যে জটিল জায়গায় পৌচেছে তা আরও মনোযোগ ভাবনা চিন্তা ইমিডিয়েট করণীয় দাবী করে। ঘটনার পিছনে দৌড়ে এখন আমাদের যাদের মনে হচ্ছে সেনা প্রত্যাহারই সমাধান এটাও যে যথেষ্ট না ভেবে বলা কথা এটা আমরা উপরেই দেখলাম। এর মুল কারণ সেনা প্রত্যাহারের বিষয় ভুমি বিরোধের সমাধান থেকে আলাদা করে বিচার করা যাবে না, আলাদা নয়ও। এসব দিক বিবেচনায় সাধারণ নীতিমালার দিক থেকে যা ভাবতে পারি সেগুলোর কিছু তালিকা এখানে আমি নীচে দিচ্ছি।

১. সীমাহীন না সীমাওয়ালা কোন সামরিক বলপ্রয়োগের মধ্যে পাহাড়ি সমস্যার সমাধান নাই।
২. এভাবে কোন দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় নাই, যাবে না। এটা আদৌ নিরাপত্তা রক্ষা করার কোন পদ্ধতিই নয়।
৩. পাহাড়ী এলাকায় ব্যারাকের বাইরে সেনাবাহিনী থাকবে না, ঠিক যেমন আমাদের বিভিন্ন জেলা শহরে, কিন্তু ব্যারাকের চৌহদ্দির ভিতরে, সেনাবাহিনী আছে সেরকম থাকতে হবে।
৪. সেনাবাহিনী পাহাড়ী বা সমতলী কারও দিকে কান্নি মারতে পারে না।
৫. যদি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান চাই তবে ওর কেন্দ্র হতে হবে ভুমি কমিশন। শক্তিশালী ও দায়িত্তবান কমিশন এবং পরিস্কার কাজের নীতিমালাসহ এক ভুমি কমিশন। পাহাড়ের সমস্ত ভুমি বিরোধ শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিই হবে ওর কাজ।
৬. এই কমিশনের কাজ, সাফল্যের অগ্রগতির সাথে সাথেই একমাত্র সেনা প্রত্যাহার সম্ভব।

পাঠককে খেয়াল রাখতে বলব এগুলো সবই নীতিগত অবস্হানের কথা বললাম। যা যা আমরা এরপর থেকে বিভিন্ন ধাপে, সময়ে করব ওর নির্দেশনামূলক গাইডলাইন এগুলো। এবং এর কোন একটাকে আলাদা করে নিয়ে বাস্তবায়নে লেগে পরার কথা আমি বলছি না।
এই নীতিমালাগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে করা যাবে সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে; সেই প্রশ্নে,
১. সেনা প্রত্যাহারের ভাবনার আগে পাহাড়ের সমতলীদের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২. সেটেলারদের সেটেল করা ঠিক হয়েছিল কী না এর চেয়েই গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাস্তবে ফ্যাক্টস হলো সমতলীরা পাহাড়ে আছে, সে সম্পর্ক ভুমি কমিশনের সিদ্ধান্ত কী নেয়া যায় এটাই একনকার জরুরী বিষয়। জুম্মল্যান্ডের হিসাবেই এরা ৫০ ভাগের বেশি। ভুমি কমিশনকে এ সম্পর্কে সমাধান বের করার জন্য কাজ করতে হবে।
৩. পাহাড়ের সমতলীদের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত মানে ভূমি বিষয়ক, ভূমি কমিশনের সক্রিয়তা। পাহাড়িদের সমস্যারও গোড়া হলো ভূমিতে বসবাস, চাষাবাদ ও জীবিকার অধিকার।
৪. ভূমি কমিশনের কাজের নীতিগত গাইডলাইন নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা এবং দ্রুত তা শেষ করা, যাতে ভুমি কমিশন কাজ শুরু করে একটা সমাধান করতে পারে।
৫. সবার আগে সমতলী-পাহাড়ী সবপক্ষকে একটা ষ্টাটাস কো অর্থাৎ যেখানে যে অবস্হায় যা আছে তা মেইনটেন করতে হবে। ততদিন যতক্ষণ পর্যন্ত না ভুমি কমিশন সিদ্ধান্তে এসে মাঠে কি কি বদল কোথায় কী হবে তা না বলে। ভুমি কমিশনকে একাজ করার পরিবেশ দিতে হবে। ভুমি সংক্রান্ত যার যা ক্ষোভ অভিযোগ আছে তা দায়েরের একমাত্র জায়গা হতে হবে ভুমি কমিশন; ভুমি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নিজেই কোন দখল, বেদখল মারামারি সংঘর্ষ কঠোরহস্তে দমন করতে হবে।
৫. এমন কী সেনা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও পক্ষ নেবার, কান্নি মারার, ভুমি বিরোধের বিচার - এগুলো করতে পারবে না। করার প্রশ্নই আসে না। এটা তার কাজ নয়, একাজ করে সেনারা কেউ করে বসলে সেটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে তার কোন কাজ নাই একথা সহ তাদের কাজের লিখিত তালিকায় তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ভুমি কমিশন কোন বিষয়ে যে রায় দিবে এর বাস্তবায়নই ওর কাজ।
৬. ভুমি কমিশন তার কাজের মাধ্যমে পাহাড়ী সমতলীদের আস্হার জায়গা হয়ে উঠতে হবে। এটা খুবই গুরুত্তপূর্ণ। কারণ ভূমি কমিশনের উপর সবার আস্হা, এর ন্যায়বিচারপরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে পাড়ায় পাড়ায় পাহাড়ী সমতলীদের পরস্পরকে নির্মুলের চিন্তা করার দরকার পড়বে না। বরং কমে আসবে। সমতলীদের ব্যাপারে আলাদা আলাদা ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভূমি কমিশন যা সুপারিশ করবে সরকার সে পদক্ষেপ নিবে, তবে এসব সিদ্ধান্ত কাজের মুলনীতি হবে, সমতলী কেউ এখন যে লিভিং ষ্টাটাসে, আয়ে আছে এর সামজ্ঞস্যপূর্ণ তা হতে হবে, ক্ষতিগ্রস্হ করা যাবে না। এসব কাজের মধ্য দিয়ে সামাজিক একে অপরের পড়শী শত্রুতা কমতে থাকবে। পরস্পর সহাবস্হান আস্হা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, এনজিওর ভুমিকা নিতে পারে। তবে এনজিও কোন কোন লক্ষ্য গাইডলাইনের মধ্যে পাহাড়ে আস্হা তৈরির পক্ষে কাজ করবে তা আগেই ঠিক করে দিতে হবে। এনজিও বুরো পাহাড়ে এনজিও কাজের এসব নির্দেশনা গাইড লাইন ভুমি কমিশনের সাথে কথা বলে নির্ধারণ করে দিবে।
ইত্যাদি ইত্যদি আরও অনেক কিছু বলা যেতে পারে তবে আশা করি মুলভাবটা পাঠককে বুঝাতে পেরেছি। তাই এখানেই থামছি।

এসব কাজ ঠিক ঠাক মত চললে কমিউনিটি সম্প্রীতি সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে সেনা প্রত্যাহারও সেই একই গতিতে চলতে থাকবে।

আসলে সেনা প্রত্যাহার বলে কিছু থাকবে না যদি শুরুতেই একটা কাজ করে নেয়া যায়।
উপরে যে পথের কথা বললাম এগুলো মুলত একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তমূলক কাজ। ফলে ক্ষমতাশীন সরকারের সিরিয়াস রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিতে পারেন, যিনি হবেন পার্বত্য ইস্যুতে রাষ্ট্রের প্রধান এজেন্ট বা কর্তা। আসলে তিনি হবেন পার্বত্য ইস্যুতে অন্তর্বতীকালীন এই সময়ে রাষ্ট্রের মুল রাজনৈতিক এজেন্ট। ঐ অঞ্চলের সেনা, পুলিশ সহ সব বাহিনী, সিভিল প্রশাসন তার অপারেশনাল অধীনে কাজ করবে। ভুমি কমিশনের সিদ্ধান্তের তিনি তার কাজের সাথে সমন্বয় করবেন এবং বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবেন। তিনি আইন শৃঙ্খলার কোন কাজে প্রয়োজন অনুসারে পুলিশ বা সেনা ব্যাবহার করবেন। পর্যায়ক্রমে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়লে সেনাবাহিনীকে ধীরে ধীরে আর তার সিভিল প্রশাসনের অধীনে রাখার দরকার পড়বে না, সামরিক মূল কমান্ডে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন।
আমি এখানে আমার আইডিয়াটাকে এক্সপ্লোর করার জন্য কথাগুলো পয়েন্ট আকারে বললাম। এখানে মুল আইডিয়াটাই পাঠকের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। আমার পয়েন্টে মিলিয়ে সব হতে হবে এমন নয়।

এখন সারকথায় বললে ভূমি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগটা হলো প্রথম কাজ, এর মাধ্যমে কমিউনিটি হারমনি বা সম্প্রীতি তৈরি করার আগে সেনা প্রত্যাহার করার দাবির নীট মানে হবে একটা এথনিক ক্লিনজিংয়ের পক্ষে দাঁড়ানো, জেনে অথবা না জেনে। সেনা প্রত্যাহার ভূমি সমস্যা থেকে আলাদা কোন ইস্যু না। এভাবে তা দেখা যাবে না, সুযোগ নাই।

যারা মনে করেন পাহাড়িদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আসল ও একমাত্র সমাধান তাঁরা
আমার এই লেখার ধরণ কেউ পছন্দ করবেন না। করার কারণও নাই। কারণ, একটা রাজনৈতিক সমঝোতা করতে চাই এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এটা লেখা হয়েছে।

এর বিপরীতে, কোন রাজনৈতিক সমঝোতা না হোক, সমঝোতায় আস্হা নাই, কোন ফল পাওয়া যাবে না - ইত্যাদি যারা ভাবেন তাদের দিক থেকে দেখলে তাদের জন্য সবার আগে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দাবী তোলাটাই সঠিক। এটা পাহাড়ীদের বিছিন্ন হবার পথে সমাধানে যেতে সাহায্য করবে। তবে এরা এথনিক ক্নিনজিংয়ের যে ঝোঁক পাহাড়ি-সমতলী উভয় কোয়ার্টারে আছে এটা কী করে মোকাবিলা করবেন আমি জানি না। তবে এথনিক ক্নিনজিংয়ের ভয়ঙ্কর বিপদ আছে এটা আমি নিশ্চিত। তারা মনে করতে পারে, এথনিক ক্নিনজিংয়ের পথেই তারা সমাধান করবে, করতে পারে।
পাঠক সিদ্ধান্ত, অবস্হান আপনাদের যার যার। সিদ্ধান্ত যাই নেন, নেবার পর যেন মনে না হয় আগে বুঝিনি - সেই অবস্হা এড়াতেই এলেখাটার গুরুত্ত্ব, আমার ভুমিকা।
এখানের এই প্রসঙ্গ শেষ করছি।
____

এবার একটা অন্য প্রসঙ্গ: আইনী তর্ক ও রাজনৈতিক তর্ক

দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে - এই ভাবনা ঠিক বেঠিক বিচার - এই বিষয় নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আমাদের মধ্যে অবস্হান আছে। আমি কীভাবে এই বিষয়টাকে দেখি সেটাই এখানকার প্রসঙ্গ।

দেশকে খন্ড বিখন্ড করে কাউকে অধিকার দেয়া অর্থাৎ কারও আলাদা রাষ্ট্র হতে চাওয়া বা হতে দেওয়া - এ ব্যাপারে আমার আগের পোষ্টে একটা তর্ক উঠেছিল। সেই তর্কটাকে সিধা চলতে দেবার জন্য আমাদেরকে কিছু কথা মনে রাখতে হবে।
প্রথমত পরিস্কার করে নিতে হবে আমরা এই তর্কটা আইনী দিক থেকে দাড়িয়ে মানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কনষ্টিটিউশনের চোখে তাকায়ি করতে চাই, না এর বাইরে রাজনৈতিক ফ্রেমে দাড়িয়ে দেখতে চায়।
আইনী ফ্রেমের তর্ক মানে, কনষ্টিটিউশনের যে আইনকানুন আছে তার ফ্রেমের ভিতরে থেকে তর্ক করা, তর্ক তোলা বা তর্কের সমাধান বাতলানো। ফলে এটা চিন্তাকেও কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের ভিতর বেঁধে রেখে কথা বলা।
কিন্তু চিন্তা তো আমরা না চাইলেও স্বাধীন। চিন্তা কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের বাইরেও ভেবে কোন যুক্তিতর্ক হাজির করে বসতে পারে। কনষ্টিটিউশনের আইনকানুনের বাইরে যেয়ে ভেবে কোন যুক্তিতর্ক যখন হাজির করা হয় সেটাকে রাজনৈতিক তর্ক বলছি। আইনি ফ্রেমের মধ্যে তর্কের কথাবার্তার ভিতরও রাজনৈতিক উপাদান আছে তবে তা পরোক্ষে। এখানে জেনে শুনে আইনী তর্কের ফ্রেমে বেঁধে চিন্তাকে কাজ করতে হয় বলে এই অর্থে তা পরোক্ষ রাজনৈতিক তর্ক। এটাই কনষ্টিটিউশাল বা আইনী দিক থেকে তোলা তর্ক; সংক্ষেপে আইনী তর্কও বলি।
আইনী তর্ক একথা বলার মানে আমি মেনে নিলাম মানুষের (চিন্তার) রাজনৈতিক তর্ক বলে আরও একটা কিছু হতে পারে।
তবে আইনী তর্কে, যুক্তিতর্ক তোলার সময় এক পক্ষ তর্কটা আইনী সীমার মধ্যে ধরে বিপক্ষকে আটকাতে চাচ্ছে আর বিপরীত পক্ষ আইনী সীমা না মেনে রাজনৈতিক তর্কের জায়গা থেকে তা খন্ডন করছে - এই অবস্হা যদি হয় তবে এই তর্কের কোন শেষ নাই। কোন ফল পাবার আশা সেখানে না করাই ভাল। তর্ক ভুল বুঝাবুঝি এড়িয়ে সফল জায়গায় নিতে গেলে একটা আন্ডারষ্টান্ডিং দরকার তর্কটা আইনী ফ্রেমের মধ্যেই করব না, বাইরে বেরিয়ে রাজনৈতিক তর্ক করব; খেলার নিয়ম আগে বেঁধে নেবার মত। তাহলে তর্ককে সিধা রাখা যায়।

"দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে"- এই বিতর্কে ধরা যাক রহমান নামের একজন বলছেন,
সে দেশ স্বাধীনের এক সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্র কনষ্টিটিউশন গড়ার পর সে নিজেই দেশের কোন এক অংশ জনগোষ্ঠিকে দেশ খন্ড করে ওদের আলাদা রাষ্ট্র করার দাবিকে সমর্থন করতে পারে না।

রহমানের এই উত্তরটা সঠিক।
তবে এখানে রহমান তর্কটা আইনী ফ্রেমের মধ্যে বেঁধে নিয়েছেন, যুক্তিবুদ্ধি সাজিয়ে তুলেছেন এটা খেয়াল রাখতে হবে।
তর্কটা হচ্ছিল অন্য একজন আহমেদের সাথে।
আহমেদ পাহাড়িদের স্বাধীন "জুম্মু ল্যান্ড এর দাবী" ওদের ওয়েব ঠিকানায় দেখেছে, সে তা সমর্থ করে; এবং সেও একজন মুক্তিযোদ্ধা।

কিন্তু রহমানের কথা শুনে ভেবাচ্যাকা খেয়ে আহমেদ দ্রুত একটা আইনী রাস্তা নিয়ে বলছে, "''আমি যে দেশকে খন্ড বিখন্ড করে পাহাড়িদের অধিকার দিতে হবে - এমন বলছি না। আমি স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার কথা বলছি। এটা দেশকে খন্ড করা নয়। কারণ, আহমেদ জানে রাষ্ট্র ভেঙ্গে আর এক রাষ্ট্রের কথা কনষ্টিটিউশনের চোখে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাই সে নিজের মনের কথা নিজেই চুরি করল।
এখন আহমেদের কথা দাঁড়াল, সে "স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন" দিতে চায়; স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন দেয়া বা চাওয়া আর দেশকে খন্ড করে সেই খন্ড নিয়ে কাউকে আলাদা রাষ্ট্র করতে দেয়া এককথা নয়।

যদিও বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশনের বাইরেও কারও স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসন হতে পারে, সম্ভব। কিন্তু সেটা মানে না করে, বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশনের মধ্যেই স্বাধিকার বা স্বায়ত্বশাসনের কথা যদি ধরে নেই তবে আহমেদের এই কথা রহমানের মতই আইনী ফ্রেমের মধ্যেই এসে বেঁধে নিয়ে যুক্তিবুদ্ধি সাজিয়ে বলা কথা। এবং বলা বাহুল্য তা একদম ঠিক কথা।
এই হিসাবে রহমান ও আহমেদের তর্কাতর্কি বিচারের এখানেই শেষ হবার কথা, কেস ডিসমিস।

কিন্তু দেখা গেল বাস্তবে তা হয়নি। ওরা তর্ক চালিয়েই যাচ্ছে।

কেন তর্ক শেষ হয়নি কারণ আহমেদের এর পরিচয় দুইটা। এক সে রহমানের মতই মুক্তিযোদ্ধা আর এক সে জুম্মল্যান্ডের সমর্থক। তবে এখানে তর্ক চলাকালে একটা একদম আইনী সীমার মধ্যে এবং "মুক্তিযোদ্ধা" হয়েই সে থাকতে চেয়েছে। এটা আহমেদের একটা কম্প্রোমাইজ, নিজের সাথে নিজের।

কিন্তু আমি আহমেদকে জাগিয়ে বলতে চাই, আহমেদের এই কম্প্রোমাইজ করার কোনই দরকার ছিল না, নাই। আহমেদ যা তাই সে "রাজনৈতিক তর্ক" তুলে বলতে পারত।

রহমান তার যুক্তিতর্ক কনষ্টিটিউশনাল আইনী ফ্রেমের মধ্যে যা বলেছে তা সঠিক। কিন্তু তা হলেও রাজনৈতিক যুক্তিতর্কে আরও অনেক কিছু বলার থেকে যায়।

যেমন আমি আহমেদ হলে বলতাম, "আমি নিজে মুক্তির যোদ্ধা, অন্যের মুক্তির যুদ্ধকে আমার সমর্থন করা স্বাভাবিক। ফলে ওদেরও আলাদা হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার সব পথ, ব্যাপক আলাপ আলোচনা উদ্যোগ প্রচেষ্টা শেষ মাথায় (exhaust) চরমে পৌছানোর পরই সে পথ ওরা নিবে এই আশা করি।

আহমেদের হয়ে এই উত্তরটা সঠিক। এবং এখানে কিছু লুকাতেও হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৩
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×