ভারতের সাথে পানি চুক্তি করলেই যে তিস্তার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বিষয়টা এরকম নয়। ফারাক্কা নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তিক্ত। ভারত খরা মৌসুমে চুক্তি মত পানি দেয় না আবার বন্যা মৌসুমে বাঁধ খুলে দিয়ে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়। তিস্তা নিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি করলেও যে চুক্তি ঠিক মত মানবে না একেবারে নিশ্চিত। কাজেই তিস্তায় চিনা প্রকল্পের দরকার আছে।
তিস্তায় চিনা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের কি কি লাভ হবে তার একটা তালিকা বানাই আসেন:
>তিস্তায় চিনা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২-৩ কোটি লোক খরা এবং বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে
>খরা এবং বন্যার কারনে জান-মাল এবং অর্থনীতির যেই ক্ষতি হত তা বন্ধ হবে।
>নদীর প্রস্থ কমলে, দুই পাড়ের বিশাল এলাকা পুনঃরুদ্ধার হবে
>চাষের জমির পরিমান বাড়বে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে
>নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির কারনে নদিপথে পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে, ফলে সড়ক ও রেলপথের উপর চাপ কমবে, জ্বালানী সাশ্রয় হবে
>মৎস সম্পদের উন্নয়ন ঘটবে (যেহেতু নদীতে সারা বছর পানি থাকবে)
>ইরিগেশনের জন্য পানির অভাব হবে না
>তাপমাত্রার চরম ভাবাপন্নতা দূর হবে
>ঐ অন্চলের গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল সারা বছর ধরে রিচার্জ হতে থাকবে, ফলে আশেপাশের এলাকাগুলির ডিপ ও শ্যালো টিউবওয়েলগুলিতে পানির সংকট হবে না
>পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে
>কৃষি,মৎস, নদীপথে-পরিবহন সহ আরও অনেক সেক্টরে নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ হবে
>ভূমিহীন অনেক পরিবারের জন্য ভূমির ব্যবস্থা হবে
>উত্তরবংগের মংগা কবলিত অন্চলের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
>প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং রক্ষনাবেক্ষনের সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কার্যক্রম দেশের ওভারঅল অর্থনীতির চাকার গতি বৃদ্ধি করবে।
এবং
>ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ তৈরি হবে
এই প্রকল্পের উপরে পাওয়ার চায়না ফিজিবিলিটি টিমের তৈরি করা একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখি আসেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



