গতকাল মিজান মাহমুদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আমরা দেখেছি। মিজান মাহমুদের নাম যে মিজান মাহমুদ নয় তা বলাই বাহুল্য। তবে সামুতে তাদের ব্যান করা গেলেও মিজান মাহমুদরা বর্তমানে ফেসবুকে অনেক সক্রিয়। ফেসবুকে বাংলাদেশী হিন্দুদের বেশ কয়েকটি পেজ রয়েছে এবং ভারতের ন্যায় বাংলাদেশী হিন্দুদের একটি বড় অংশ বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীদের সমর্থন করে।
ফেসবুকে এরকম একটি পেজ হল আমি হিন্দু।
মিজান মাহমুদরা যদিও মুসলিম নিক নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলছে, এই সাইটে এদেশীয় হিন্দুরাই তাদের স্ব-নামে ভয়ানক সাম্প্রদায়িক কমেন্ট করে যাচ্ছে। তাদের ফেসবুক প্রোফাইল দেখে তাদের পরিচয় নির্ণয় করাটাও কঠিন কিছু নয়।
কিছু উদাহরণ দেয়া যাক
এই অলোক কুমার সরকারের ফেসবুক আইডি হলো alok.rmc। একজন ডাক্তারের সাথে তার কথোপকথন শুনে বোঝা যায় তিনি রাজশাহী মেডিকেলের ছাত্র।
স্বাভাবিকভাবে উক্ত 'ডাকতর' মুসলমান রোগীই বেশি পায়। এবং সে মুসলমান রোগীদের শরীরের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মতোই মুসলমানদের মারতে চায়, এটা বোঝা যায়।
আরো অনেক কমেন্ট রয়েছে এরকম
এই বিশাল পাল হল বিমানের কেবিন ক্রু। মুসলিম মা বোনেরা সাবধান!
তারা বলেছে
অনেকদিন পর ভারতের একটা কাজে খুশি হলাম। ইসরাইল যেমন সারা বিশ্বের ইহুদীদের স্বার্থ রক্ষা করছে ভারতের উচিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের নির্যাতিত হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করা।
এদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ তাদের যতোই শান্তশিষ্ট মনে হোক না কেন, তাদের মধ্যে দাঙ্গাপ্রবণতা খুব বেশি। গুজরাটে যে মুসলিম বোনটি তার প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে বলেছিল তোমরা আমরা চাচা, আমার ভাই, আমার সর্বনাশ করো না। তারা কিন্তু তার কথা শুনেনি। তাকে ধর্ষণ করেছিল। তার শিশুকন্যাকে পাথরে আছড়িয়ে শহীদ করেছিল।
৪৭ এর দেশভাগের সময় ওপারের মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাদের বিধর্মী সহপাঠীদের দ্বারা। একটি পোস্টে পড়েছি
যার সূত্রপাত হয় ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের সাথে। মাঝে মাঝে এটাই মাথা চাড়াদিয়ে উঠত। মুসলমানেরা পরণের কাপড় সম্বল করে, বাড়ি ছেড়ে গ্রামের দিকে পালিয়ে গিয়ে প্রান রক্ষা করে। যারা ধরা খায় তাদের জীবন ঐ খানেই শেষ হয়। আমার আব্বা মা আমাদের নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছাড়ে, পথে হিন্দু বন্ধু বান্ধব যাদের সাথে খেলা করেছে, স্কুলে গেছে, চাকরীও করেছে তাদের সাথে। তাদেরই একদল রাস্তায় আমার আব্বার বুকে ছুরি ধরে বলে, কিরে গনি, এখন যাবি কোথায়? আব্বা বলে তোরা মারতে চাইলে মার, তবে ছেলেমেয়ে গুলোকে মারিসনা, অনুরোধ রইল।
সবাই হয়তো এরকম নয়। কিন্তু অনেকেই এরকম। এই অনেকেই জমায়েত হয়েছে আমি হিন্দু নামের ফেসবুক পেজটিতে। তাদের সদস্যসংখ্যা বর্তমানে ৩৩০০ এর মতো। যা নেহায়েত কম নয়। এবং তা দিন দিন বাড়ছে। তাদের আরো প্রচুর পোস্ট কমেন্ট রয়েছে। আমি যা দিয়েছি তার চাইতেও ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকতার নজির রয়েছে সেখানে।
হয়তো এই পোস্টের জন্য আমাকে জেনারেল পদবি কিংবা তারচেয়েও বেশি কিছু করা হতে পারে। কিন্তু একজনও যদি এই পোস্ট পড়ে সচেতন হয় আমি এই পোস্ট লেখাকে সার্থক মনে করব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:২৩